জৈন ধর্মঃ জৈনধর্ম (প্রথাগত নাম জিন সাশন বা জৈন ধর্ম) হল একটি ভারতীয় ধর্ম। এই ধর্ম সকল জীবিত প্রাণীর প্রতি অহিংসার শিক্ষা দেয়। জৈন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন অহিংসা ও আত্ম-সংযম হল মোক্ষ এবং জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তিলাভের পন্থা।
“জৈন” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “জিন” (অর্থাৎ, জয়ী) শব্দটি থেকে। যে মানুষ আসক্তি, আকাঙ্ক্ষা, ক্রোধ, অহংকার, লোভ ইত্যাদি আন্তরিক আবেগগুলিকে জয় করেছেন এবং সেই জয়ের মাধ্যমে পবিত্র অনন্ত জ্ঞান (কেবল জ্ঞান) লাভ করেছেন, তাঁকেই “জিন” বলা হয়। “জিন”দের আচরিত ও প্রচারিত পথের অনুগামীদের বলে “জৈন”।
জৈন ধর্ম সম্পর্কিত জেনারেল নলেজ
- জৈনদের প্রথম তীর্থঙ্কর হলেন – ঋষভদেব বা আদিনাথ।
- জৈনদের ২৩-তম তীর্থঙ্কর হলেন – পার্শ্বনাথ বা পরেশনাথ।
- পার্শ্বনাথ প্রকৃতপক্ষে – জৈন ধর্মের প্রচারের সূচনা করেন।
- জৈনদের ২৪-তম ও সর্বশেষ তীর্থঙ্কর হলেন- মহাবীর।
- ত্রিরত্ন হল – সঠিক জ্ঞান, সঠিক বিশ্বাস ও সৎ আচরণ।
- দ্বাদশ অঙ্গ হল- জৈন ধর্মের নীতি সমূহের সংকলনের বারােটি খণ্ড।
- জৈনদের ধর্ম শাস্ত্রকে বলা হয়- আগম’।
- জৈনরা দ্বিধাবিভক্ত হয় – চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময়ে।
- দিগম্বরদের (যাঁরা গ্রন্থী বা বস্ত্রহীন ভাবে থাকতেন) নেতৃত্ব দেন – ভদ্রবাহু। শ্বেতাম্বরদের (যাঁরা শ্বেতবস্ত্র পরিধান করতেন) নেতৃত্ব দেন স্থূল ভদ্র।
এটিও পড়ুন – বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কিত জানা অজানা প্রশ্ন উত্তর