You are currently viewing বর্ধমান জেলা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর

বর্ধমান জেলা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর

বর্ধমান জেলা ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত বর্ধমান বিভাগের একটি জেলা। এটি মূলত কৃষি প্রধান জেলা। একে পশ্চিম বঙ্গের শস্য ভান্ডার বলা হয়। জেলার বৃহত্তম শহর বর্ধমান মহানগর। ধান এ জেলার প্রধান ফসল। এ ছাড়া পাট, আলু, পেঁয়াজ, আখ হয়। জেলার রানিগঞ্জ এবং আসানসোল কয়লাখনির জন্য প্রসিদ্ধ।

বর্ধমান জেলা সম্পর্কে তথ্যাবলি

সীমানা : পূর্বে ভাগীরথী নদী ও নদিয়া জেলা, পশ্চিমে বীরভূম জেলা, বাঁকুড়া জেলা ও বিহার রাজ্য। উত্তরে মুর্শিদাবাদ জেলা, বীরভূম জেলা ও বিহার রাজ্য। দক্ষিণে হুগলি জেলা ও বাকুড়া জেলা।

আয়তন : বর্ধমান জেলার আয়তন ৭,০২৮ বর্গকিমি।

লােকসংখ্যাঃ বর্ধমান জেলার লােকসংখ্যা ৬০,৫০, ৬০৫ জন। প্রতি বর্গ কিলােমিটারে জনসংখ্যা ঃ ৮৫১ জন।

কৃষিজীবী লােক : প্রায় ৫০ শতাংশ।

হিন্দীভাষী : প্রায় ১২ শতাংশ।

সাঁওতালভাষী : প্রায় ৬ শতাংশ।

পুরুষ (আনুপাতিক হার): ৫২.৬৭%।

মহিলা (আনুপাতিক হার): ৪৭.৩৩%।

জনসংখ্যার আনুপাতিক হার গ্রামাঞ্চল: ৬৪.৯১৭%।

জনসংখ্যার আনুপাতিক হার শহরাঞ্চল: ৩৫.০৯%।

তপশিলি জাতি: ১৬৬০৪৯৩ জন (২৭.৪৪%)।

তপশিলি উপজাতি : ৩৭৬০৩৩ জন (৬.২১৭%)।

সাক্ষরতার হার পুরুষ : ৭১.১২ শতাংশ।

সাক্ষরতার হার মহিলা: ৫১.১৬ শতাংশ।

জেলা সদর: এই জেলার জেলাসদর বর্ধমান।

মহকুমা : বর্ধমান জেলার মহকুমা ৬টি। যথা—আসানসােল, দুর্গাপুর, কালনা, কাটোয়া, বর্ধমান, সদর (উত্তর) ও সদর (দক্ষিণ)।

লােকসভা: লােকসভা ৪টি। সেগুলি হল—কাটোয়া, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসােল। বিধানসভা : এই জেলায় বিধানসভা আসন ২৬টি। সেগুলি হল, যথা-কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, কাটোয়া, পূর্বস্থলী, মন্তেশ্বর, নাদানঘাট, কালনা, মেমারি, জামালপুর, রায়না, খণ্ডঘােষ, বর্ধমান (দক্ষিণ), বর্ধমান (উত্তর), ভাতার, গলসি, আউস গ্রাম, কাঁকসা, কুলটি, রবাবনি, হিরাপুর, উখড়া, আসানসােল, রানিগঞ্জ, জামুরিয়া, দুর্গাপুর-১, দুর্গাপুর-২।

পুরসভা: এই জেলার পুরসভা আসন ১১টি। যথা-মেমারি, আসানসােল, জামুরিয়া, দুর্গাপুর, কুলটি, গুসকরা, রানীগঞ্জ, দাঁইহাটা, কাটোয়া, কালনা ও বর্ধমান।

গ্রাম পঞ্চায়েত: বর্ধমান জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত ২৭৮টি

পঞ্চায়েত সমিতি: এই জেলায় পঞ্চায়েত সমিতি ৩১টি।

থানা: এই জেলায় ৩০টি থানা আছে।

কৃষিজমি : বর্ধমান জেলার কৃষিজমি ৪৩৭.৯ (প্রতি ১০০০ হেক্টরে)।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা : এই জেলায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা ১০৮০টি। পরিবার কল্যাণকেন্দ্র বর্ধমান জেলার পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৭৩৭টি।

কারখানার সংখ্যা : বর্ধমান জেলায় স্বীকৃত কারখানার সংখ্যা ৫৬৬টি।

ক্ষুদ্রশিল্পের সংখ্যা: ৩৮৭৮টি।

নদনদী : বর্ধমান জেলার প্রধান নদনদী হল—দামােদর, অজয়, বরাকর, ব্রাহ্মণী ও ভাগীরথী।

কৃষিজ ফসল : বর্ধমান জেলার প্রধান উৎপন্ন ফসল ধান, গম, আলু ও সবজি।

উৎসব : এই জেলার প্রধান উৎসব পীর বাহারামের মেলা, চামুণ্ডা পূজার মেলা, ধর্মঠাকুরের মেলা, বেয়াই চণ্ডী মায়ের মেলা, শিবের গাজনের জেলা।

বিখ্যাত ব্যক্তিঃ 

দেবকীকুমার বসুঃ দেবকীকুমার বসু পদ্মশ্রী উপাধি লাভ করেন। তাঁর বিখ্যাত ছবির নাম মীরাবাঈ, বিদ্যাপতি, সাপুড়ে, আপনা ঘর ইত্যাদি।

কমল মিত্রঃ কমল মিত্র একজন প্রখ্যাত অভিনেতা। তার উল্লেখযােগ্য চলচ্চিত্র-কংস, মায়ামুগ, পথের দাবী, দেওয়া নেওয়া ইত্যাদি। কমল মিত্রের জন্ম ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে এবং মৃত্যু ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে।

সত্যেন্দ্রনাথ দত্তঃ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বর্ধমান জেলায় ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছন্দের যাদুকর নামে পরিচিত। তাঁর উল্লেখযােগ্য কাব্যগ্রন্থ সবিতা, বেণু ও বীণা, তীর্থ সলিল ইত্যাদি।

মুকুন্দরাম চক্রবর্তী : মুকুন্দরাম চক্রবর্তী চণ্ডীমঙ্গল কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা। তিনি কবিকঙ্কণ উপাধি লাভ করেন।

বিখ্যাত স্থান :

বর্ধমান : জেলা সদর, রাজবাড়ি, বিশ্ববিদ্যালয়, মেঘনাদ সাহা তারামণ্ডল, গােলাপ বাগ, কমলাকান্ত কালী বাড়ি, সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দির, একশাে আট শিবমন্দির, ও বিজয়তােরণ প্রভৃতি দর্শনীয় বস্তু।

পানাগড়ঃ  এটি একটি সামরিক বিমানবন্দর ও বাণিজ্য প্রধান স্থান। চিত্তরঞ্জন : এখানে রেল ইঞ্জিন তৈরির কারখানা আছে।

রানীগঞ্জ : কয়লার খনি, টালি কারখানা ও কাগজের কলের জন্য বিখ্যাত।

আসানসােলঃ এটি একটি শিল্প প্রধান মহকুমা। এখানে কয়লাখনি, রেলওয়ে জংশন ও রেল ইঞ্জিন তৈরির কারখানা আছে।

কাঞ্চননগরঃ ছুরি ও কাঁচির কারখানা আছে। এছাড়া বাণিজ্য বহুল নগরী।

কুলটি : লৌহ ও ইস্পাত কারখানা আছে। এখানে ইলেকট্রিক তারের কারখানা আছে।

রূপনারায়ণপুরঃ এখানে বিদ্যুৎ তারের কারখানা আছে।

দুর্গাপুর : এটি একটি ইস্পাত নগরী। লৌহ ও ইস্পাত-এর কারখানা, কোক ওভেন কারখানা, নানারকম ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্য তৈরির কারখানা এখানে আছে। এই দুর্গাপুরে দামােদর নদের উপর দুর্গাপুর ব্যারেজ (D.V.C.) অবস্থিত।

বর্ধমান জেলা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন : বর্ধমানবাসী একজন সর্বশ্রেষ্ঠ কবির নাম কী ?

উত্তর ~ ঘনরাম চক্রবর্তী।

প্রশ্নঃ  দুর্গাপুর কী জন্য বিখ্যাত ?

উত্তর – লৌহ ও ইস্পাত কারখানা, সার কারখানা এছাড়া D,V.C. অবস্থিত।

প্রশ্ন : রাঢ়ভূমির কোন ভাগে বর্ধমান জেলা অবস্থিত?

উত্তর: — মধ্যভাগে।

প্রশ্ন : বর্ধমান জেলার কৃষিতে “সবুজ বিপ্লব এল কীভাবে? উত্তর — দামােদর নদে বাঁধ দিয়ে জল সরবরাহের ফলে।

প্রশ্ন : বর্ধমান জেলার কোন অংশ সাগরকূলে ছিল ?

উত্তর:- পূর্বাংশ।

প্রশ্ন: বর্ধমানের রূপকথা কার লেখা ?

উত্তর: নগেন্দ্রনাথ বসুর লেখা।

প্রশ্ন: চিত্তরঞ্জন কীজন্য বিখ্যাত ?

উত্তর – রেল ইঞ্জিন তৈরির কারখানা আছে।

প্রশ্ন:  রায়না থানার বােড়গ্রামে কীসের মূর্তি আছে?

উত্তর — সুউচ্চ ভগবান শ্রীশ্রী বলরামের মূর্তি।

প্রশ্ন:  পাণ্ডুরাজার ঢিবি কোন নদীর তীরে আছে ?

উত্তর – অজয় নদের তীরে।

প্রশ্ন: বর্ধমান জেলার কয়েকজন বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিকের নাম বলাে ?

উত্তর: মালাধর বসু, কাশীরাম দাস, অক্ষয়কুমার দত্ত, রূপরাম চক্রবর্তী, ঘনরাম চক্রবর্তী, কালীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, ডঃ সুকুমার সেন, কাজী নজরুল ইসলাম, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, কালিদাস রার, কুমুদরঞ্জক মল্লিক, মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।

প্রশ্ন: বর্ধমানের কোথায় নদীগর্ডের মেলা অনুষ্ঠিত হয়?

উত্তর: দামােদর নদীর গর্ভে বর্ধমান সাগর ঘাটে পৌষ সংক্রান্তিতে।

প্রশ্ন: বর্ধমান জেলায় যে সমস্ত কাৰ্গাপূজা প্রচলিত আছে সেগুলির নাম ? শশানকালী, শ্যামাকালী, রক্ষাকালী, দক্ষিণাকালী, সিদ্ধেশ্বরীকালী, ডাক্যতালী ইত্যাদি।

প্রশ্ন : বর্দমানে কতগুলি চঙকের মেলা হয় ?

উত্তর: ৬০০টি চড়কের মালা হয়।

প্রশ্ন:  কালনা শহরটি মহকুম সদतकপে পরিচিতি লাভ করে কত খ্রিস্টাব্দে?

উত্তর – ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন:  নর্ধমান সদর মকুমাকে গো কত খ্রিস্টাব্দে ভাগ করা হয় ?

উত্তর – ১৯৮৮ খি ।

প্রশ্ন: বর্ধমানের কোন জায়গায় অষ্টভূজ শিবমূর্তি আছে ?

উত্তর – বামুন আড়া গ্রামে।

প্রশ্নঃ ‘বুড়ােরাজ কথাটি কীভাবে এসেছে?

উত্তরঃ – বুড়ােশিবের বুড়াে এবং ধর্মরাজের রাজ কথাটি থেকে এসেছে।

প্রশ্নঃ এই জেলায় ছােটো-বড়াে মিলে কত মেলা অনুষ্ঠিত হয় ?

উত্তরঃ – প্রায় পাঁচ শতাধিক।

প্রশ্নঃ বর্তমান বর্ধমান শহর কোন নদীর তীরে অবস্থিত ?

উত্তর – দামােদরের শাখা বাঁকা নদীর তীরে।

প্রশ্নঃ  বিপ্লবী মহানায়ক রাসবিহারী বসু কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তরঃ – ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান জেলার শুড়ে কালনায়।

প্রশ্নঃ বর্ধমানের অন্য প্রাচীন নাম কী ছিল ?

উত্তর – কুসুমপুর।

প্রশ্নঃ বর্ধমানেশ্বর শিবের ওজন এবং পরিধি কত?

উত্তরঃ – ওজন ৩৫০ মন, পরিধি ১৮ ফুট।

প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে কার আমলে চাকলা বর্ধমানের সৃষ্টি হয়েছিল ?

উত্তরঃ – ১৭২২ খ্রিস্টাব্দে নবাব জাফর খাঁর আমলে চাকলা বর্ধমানের সৃষ্টি হয়েছিল

প্রশ্নঃ বর্ধমানের কবি কালীকিঙ্কর সেনগুপ্তের রচনায় বর্ধমান সম্বন্ধে কী উল্লেখ আছে?

উত্তর: বর্ধমান হইল বড়ােয়া।

প্রশ্ন: শ্যামাসঙ্গীত আর আগমনি গানের কবি কে?

উত্তর:  কালনার অম্বিকা গ্রামের সাধক কমলাকান্ত।

প্রশ্ন: আদর্শ পুরুষ রাসবিহারী ঘােষ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?

উত্তর :  বর্ধমান জেলার তােড়কোনা গ্রামে।

প্রশ্ন:  উপেন্দ্রনাথের আদি নিবাস কোথায় ছিল ?

উত্তর – বর্ধমান জেলার সরভাঙ্গা গ্রামে।

প্রশ্ন: তিনি কী উপাধি পেয়েছিলেন ?

উত্তর: → রায় বাহাদুর, স্যার।

প্রশ্ন:  দাশরথি রায় বা দাশু রায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?

উত্তর — ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে কাটোয়ার পশ্চিমে বাঁধমােড়া গ্রামে।

প্রশ্ন: ঢেকুরের নাম শ্যামারূপার গড় হল কেন ?

উত্তর → শ্যামারূপা দেবীর নামেই এই নাম হয়েছিল।

প্রশ্ন: ক্ষীরগ্রামের দেবীর নাম কী ?

উত্তর: যােগাধ্য।

প্রশ্ন: বরাকরের নিকট কুলটিতে কীসের মন্দির আছে ?

উত্তর:  শিবমন্দির বা দেউল।

প্রশ্ন: বর্ধমান জেলায় কোন সম্প্রদায়ের লােকের সংখ্যা বেশি

উত্তর: বাগদি।

প্রশ্ন: বর্ধমান জেলার আকৃতি কীসের ন্যায় ?

উত্তর: সাইকেলের সিট-এর ন্যায়।

প্রশ্ন: আসানসােল কীজন্য বিখ্যাত ? উত্তর → কয়লাখনি, রেলওয়ে জংশন ও রেল ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা আছে।

প্রশ্ন: আসানসােল কীজন্য বিখ্যাত ?

উত্তর: → কয়লাখনি, রেলওয়ে জংশন ও রেল ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা আছে।
প্রশ্ন:  কোন কোন মুসলমান শাসক বর্ধমানে এসেছেন ?

উত্তর: কুতুবউদ্দিন, শের আফগান, আজিমুশ্বান ও আলিবর্দি ।।

প্রশ্ন:  বর্ধমান জেলার প্রধান খনিজ দ্রব্য কী কী?

উত্তর: কয়লা, লােহা।

প্রশ্ন: বর্ধমান জেলার মুসলিম জনসংখ্যা মােট জনসংখ্যার প্রায় কত শতাংশ।

উত্তর: প্রায় ২০ শতাংশ।

প্রশ্ন: বর্ধমান জেলার মােট ভূমির প্রায় কত শতাংশ চাষযােগ্য জমি ?

উত্তর: প্রায় ৬৫ শতাংশ।

প্রশ্ন: বর্ধমান জেলার বৃহত্তম কারখানাটির নাম লেখাে।

উত্তর:  চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন তৈরির কারখানা।

প্রশ্ন: বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের জন্ম ও মৃত্যুর খ্রিস্টাব্দ কত ?

উত্তর:  জন্ম – ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ, মৃত্যু ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ।

প্রশ্ন: মহাভারতের অনুবাদক কাশীরাম দাসের জন্মস্থান কোথায় ?

উত্তর – সিঙ্গিগ্রামে।

প্রশ্ন:  বর্ধমান জেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা স্কুলের সংখা কত?

উত্তর – প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা – ৩৯৭৪টি, মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ৪৭৮টি, উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ২৯৯টি। মাদ্রাসা স্কুলের সংখ্যা ৩৪টি।

বর্ধমান জেলা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর

প্রঃ বর্ধমান জেলার আয়তন কত বর্গ কিমি?

উঃ ৭,০২৪ বর্গ কিমি।

প্রঃ বর্ধমান জেলায় প্রতি হাজার হেক্টরে কৃষিজমির পরিমাণ কত?

উঃ ৪৩৭.৯ ভাগ।

প্রঃ বর্ধমান জেলায় শহরাঞ্চলে কত শতাংশ কৃষিজমি রয়েছে?

উঃ ৩৫.০৯ শতাংশ।

প্রঃ বর্ধমান জেলার সীমানা উল্লেখ কর।

উঃ উত্তরে বীরভূম ও দক্ষিণে হুগলি, পূর্বে নদীয়া ও পশ্চিমে

প্রঃ বর্ধমান জেলার জনসংখ্যা কত?

উঃ ৬৯,১৯,৬৯৮ জন।

প্রঃ এর মধ্যে কত শতাংশ লােক শহরাঞ্চলে বাস করেন?

উঃ ৩৭.১৮ শতাংশ।

প্রঃ বর্ধমান জেলার প্রতি বর্গ কিমিতে কতজন লােক বাস করেন?

উঃ ৯৮৫ জন।

প্রঃ বর্ধমান জেলায় সাক্ষর জনগণের সংখ্যা কত?

উঃ ৪২,৯০,৬৭২ জন।

প্রঃ বর্ধমান জেলায় সাক্ষরতার পরিমাণ মােট জনসংখ্যার কত শতাংশ?

উঃ ৭১ শতাংশ। প্রঃ বর্ধমান জেলার জেলা সদর কোনটি?

উঃ বর্ধমান।

প্রঃ বর্ধমান জেলায় কটি মহকুমা আছে?

উঃ ৬টি।

প্রঃ বর্ধমান জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা কত?

উঃ ২৭৭টি।

প্রঃ বর্ধমান জেলায় পুরসভা রয়েছে কটি?

উঃ ১১টি।

প্রঃ বর্ধমান জেলায় থানা ও ব্লক কটি আছে?

উঃ থানা ৩০টি, ব্লক ৩১টি।

প্রঃ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কত সালে স্থাপিত হয়?

উঃ ১৯৬০ সালে।

প্রঃ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে?

উঃ ডঃ অমিতকুমার মল্লিক।

প্রঃ বর্ধমান জেলায় কটি পলিটেকনিক ও কটি জুনিয়র টেকনিক্যাল স্কুল রয়েছে?

উঃ পলিটেকনিক কলেজ ৫টি ও জুনিয়র টেকনিক্যাল স্কুল আছে ৩টি।

প্রঃ বর্ধমান জেলা ধান উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গে কততম স্থানাধিকার করে?

উঃ প্রথম।

প্রঃ বর্ধমান জেলায় বছরে কতটন ধান উৎপন্ন হয়?

উঃ ১৫,৭১,০০০ টন।

প্রঃ বর্ধমান জেলা দুধ, ডিম ও আলু উৎপাদনে কোন কোন স্থান অধিকার করে?

উ : দুধ উৎপাদনে দ্বিতীয়, ডিম উৎপাদনে পঞ্চম ও আলু উৎপাদনে প্রথম স্থান।

প্রঃ বর্ধমান জেলার কয়েকটি নদনদীর নাম লেখ।

উঃ ভাগীরথী, বাঁকা, ব্রাহ্মণী নদী ও অজয়, দামােদর নদ।

প্রঃ বর্ধমান জেলার প্রধান খনিজ দ্রব্য কি?

উঃ কয়লা ও লােহা।

প্রঃ বর্ধমান জেলার প্রধান শিল্পগুলির নাম লেখ।

উঃ কাগজ, লােহা ও ইস্পাত (বার্ণপুর); ছুরি, কাঁচি (কাঞ্চননগর); সিমেন্ট (দুর্গাপুর); রেল কারখানা (চিত্তরঞ্জন)।

প্রঃ বর্ধমান জেলার কয়েকটি বিখ্যাত স্থানের নাম লেখ।

উঃ নজরুল ইসলামের গ্রাম চুরুলিয়া, কাশীরাম দাসের জন্মভূমি সিঙ্গিগ্রাম, সাধক কমলাকান্তের কালনা, মুকুন্দ চক্রবর্তীর দামুন্যা ও বর্ধমানের রাজবাড়ি।

এটিও পড়ুন – ভারতীয় ইতিহাস সম্পর্কিত জিকে

This Post Has One Comment

Leave a Reply