বাংলার পাল বংশঃ পাল সাম্রাজ্য ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের পরবর্তী ধ্রুপদি যুগের একটি সাম্রাজ্য। এই সাম্রাজ্যের উৎসস্থল ছিল বাংলা অঞ্চল। পাল সাম্রাজ্যের নামকরণ করা হয় এই সাম্রাজ্যের শাসক রাজবংশের নামানুসারে। পাল সম্রাটদের নামের শেষে ‘পাল’ অনুসর্গটি যুক্ত ছিল। প্রাচীন প্রাকৃত ভাষায় এই শব্দটির অর্থ ছিল ‘রক্ষাকর্তা’। পাল সম্রাটেরা বৌদ্ধধর্মের মহাযান ও তান্ত্রিক সম্প্রদায়ের অনুগামী ছিলেন। ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে গৌড়ের সম্রাট পদে গোপালের নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে এই সাম্রাজ্যের পত্তন ঘটে। অধুনা বাংলা ও বিহার ভূখণ্ড ছিল পাল সাম্রাজ্যের প্রধান কেন্দ্র। এই সাম্রাজ্যের প্রধান শহরগুলি ছিল পাটলীপুত্র, বিক্রমপুর, রামাবতী (বরেন্দ্র), মুঙ্গের, তাম্রলিপ্ত ও জগদ্দল।
বাংলার পাল বংশ সম্পর্কিত তথ্য
- পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন – গােপাল।
- গোপালের মৃত্যুর পর – ৭৭০ খ্রিঃ ধর্মপাল রাজা হন।
- ধর্মপালের মৃত্যুর পর – ৮১০ খ্রিঃ দেবপাল সিংহাসনে বসেন।
- পাল বংশের শেষ শক্তিশালী রাজা ছিলেন- রামপাল।
- ভাগলপুরে ধর্ম ও জ্ঞান চর্চার জন্য বিক্রমশীলা বিহার স্থাপন করেন – ধর্মপাল।
- পাল বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট ছিলেন – দেবপাল।
- কৈবর্ত বিদ্রোহ (১০৭৫ খ্রিঃ) হয়েছিল – দ্বিতীয় মহীপালের আমলে।
- কৈবর্ত বিদ্রোহের নেতা ছিলেন- দিব্যক বা দিব্য।
এগুলিও পড়ুন