বৌদ্ধ ধর্ম গৌতম বুদ্ধ কর্তৃক প্রচারিত একটি ধর্ম বিশ্বাস এবং জীবন দর্শন। বৌদ্ধ ধর্ম আপাত অর্থে জীবন দর্শন। অনুসারীদের সংখ্যায় বৌদ্ধধর্ম বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দিতে গৌতম বুদ্ধের জন্ম। বুদ্ধের পরিনির্বাণের পরে ভারতীয় উপমহাদেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার হয়। বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্ম দুটি প্রধান মতবাদে বিভক্ত। প্রধান অংশটি হচ্ছে হীনযান বা থেরবাদ (সংস্কৃত: স্থবিরবাদ)। দ্বিতীয়টি মহাযান নামে পরিচিত। বজ্রযান বা তান্ত্রিক মতবাদটি মহাযানের একটি অংশ। শ্রীলংকা, ভারত, ভুটান, নেপাল, লাওস, কম্বোডিয়া, মায়ানমার, চীন, জাপান, মঙ্গোলিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ও কোরিয়াসহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে এই ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধধর্মাবলম্বী বাস করেন চীনে। বাংলাদেশের উপজাতীদের বৃহত্তর অংশ বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত। এটিও পড়ুন – বৈদিক সভ্যতা সম্পর্কিত জানা অজানা তথ্য
বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কিত জানা অজানা প্রশ্ন উত্তর
- ২৯ বছর বয়সে গৌতম বুদ্ধ গৃহত্যাগ করেন, যাকে- মহাভিনিষ্ক্রমণ’ বলা হয়।
- ৩৫ বছর বয়সে তিনি – বাদী’ বা দিব্যজ্ঞান লাভ করেন।
- ত্রিপিটক তিন ভাগে বিভক্ত – (1) বিনয় পিটক (বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ভিক্ষুণীদের পালনীয় বিধিসমূহ ও সংঘেব নিয়মাবলী), (ii) সুত্র পিটক (বুদ্ধের উপদেশাবলী), (ii) অভিধর্ম পিটক(বৌদ্ধধর্মের দার্শনিক তত্ত্ব)।
- বাবাণসীব নিকটবর্তী সারনাথে তিনি প্রথম ধর্মমত প্রচার করেন । এটি ধর্মচক্র প্রবর্তন নামে খ্যাত।
- বৌদ্ধদেব প্রধান ধর্মগ্রন্থ হল – ত্রিপিটক’ যা পালি ভাষায় রচিত।
- কপিলাবস্তুর নির্বাচিত রাজা ছিলেন- শুদ্ধোধন।
- গৌতম বুদ্ধ বােধি বা সম্যক জ্ঞান লাভ করেন- নৈরঞ্জনা (ফল্গু ) নদীর তীরে গয়ার কাছে উরুবি গ্রামে।
- যে স্থানে গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভ করেন তার নাম হয়- বােধগয়া/বুদ্ধগয়া।
- যে বৃক্ষটির নীচে ধ্যানরত হয়ে গৌতম বুদ্ধত্ব অর্জন করেন তাব নাম হয়- বােধিদ্রম/ বােধিবৃক্ষ।
- বােধি লাভের পর গৌতম বুদ্ধের নাম হয় – বুদ্ধ বা জ্ঞানী/তথাগত (যিনি পরম জ্ঞানের সন্ধান পেয়েছেন)।
- বুদ্ধদেব বুদ্ধত্ব লাভের পর প্রথম বাণী প্রচার করেন- বারাণসীর কাছে (বর্তমান সারনাথে)।
- বুদ্ধদেবের প্রথম পাঁচজন শিষ্যকে বলা হয় – পঞ্চভিক্ষু (কৌন্ডিন্য, ভদ্রিক, অশ্বজিৎ, বাষ্প ও মহানাম)।
- বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ গুলি হল – দীপবংশ, মহাবংশ, ত্রিপিটক, জাতক কাহিনি, বুদ্ধচরিত প্রভৃতি।
- অষ্টাঙ্গিক মার্গ – সৎকর্ম, সুদৃষ্টি, সৎসংকল্প, সঞ্জীবন, সৎস্মৃতি, সৎচেষ্টা ও সম্যক সমাধি।
- পঞ্চশীল – শিষ্যদের পাঁচটি আচরণবিধি পালন বুদ্ধদেবের নির্দেশে।
- শীল’ কথার অর্থ – নৈতিক শুদ্ধতা, অর্থাৎ লােভ, হিংসা, অসত্য, দুর্নীতি ও অন্যায় করা থেকে নিবৃত্ত হওয়া।
- বৌদ্ধ ধর্মের দুটি – ভাগ হীনযান ও মহাযান।
এগুলিও পড়ুন –