ভাইরাস সম্পর্কিতঃ ভাইরাস হলো এক প্রকার অতিক্ষুদ্র জৈব কণা বা অণুজীব যারা জীবিত কোষের ভিতরেই মাত্র বংশবৃদ্ধি করতে পারে। এরা এক্যারিওটা শ্রেণির সদস্য ও আণুবীক্ষণিক এবং অকোষীয়।এরা সরলতম জীব।
ভাইরাস ল্যাটিন ভাষা হতে গৃহীত একটি শব্দ। এর অর্থ হল বিষ। আদিকালে রোগ সৃষ্টিকারী যে কোন বিষাক্ত পদার্থকে ভাইরাস বলা হত।
উদ্ভিদ ও প্রাণীর বহু রোগ সৃষ্টির কারণ হল ভাইরাস। ভাইরাস কে জীবাণু না বলে ‘বস্তু’ বলা হয়। কারণ, জীবদেহ ডিএনএ,আরএনএ ও নিওক্লিক এসিড দিয়ে গঠিত,প্রোটিন তাই ভাইরাস অকোষীয়।
ভাইরাস সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
Q. একটি উপকারী ভাইরাসের নাম লেখ।
Ans: ব্যাক্টিরিওফাজ।
Q. একটি অপকারী ভাইরাসের নাম লেখ।
Ans.: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।
Q. TMV এর পুরো অর্থ কি?
Ans.: টোব্যাকো মোজাইক ভাইরাস।
Q. ব্যাক্টিরিওফাজ কি?
Ans.: যে ভাইরাস ব্যাক্টিরিয়াকে আক্রমণ করে তাকে ব্যাক্টিরিওফাজ বলে।
ভাইরাস বাহিত রোগ
ভাইরাস সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য
উদ্ভিদ, প্রাণী, ব্যাকটেরিয়া , সায়ানোব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক প্রভৃতি জীবদেহের সজীব কোষে ভাইরাস সক্রিয় অবস্থায় অবস্থান করতে পারে। আবার নিষ্ক্রিয় অবস্থায় বাতাস, মাটি, পানি ইত্যাদি প্রায় সব জড় মাধ্যমে ভাইরাস অবস্থান করে। কাজেই বলা যায়, জীব ও জড় পরিবেশ উভয়ই ভাইরাসের আবাস।
ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া থেকে ক্ষুদ্র। ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া এদের দেখা যায়না। এদের আকার সাধারণত ১০ nm থেকে ৩০০ nm পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে কিছু ভাইরাস এর চেয়েও বড় হতে পারে।
এটিও পড়ুন – পোকামাকড় থেকে ছড়ানো বিভিন্ন রোগ সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর