মনােবিদ্যাঃ এই পোষ্টে মনােবিদ্যা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হল। আশা করি ছাত্র ছাত্রীদের বেশ কাজে আসবে। নিম্নে 300+ মনােবিদ্যা প্রশ্ন ও উত্তর PDF সহ দেওয়া হল। [ মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর, Download মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর, জানা অজানা 300 + মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর. Free Download মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর, মনােবিদ্যা সম্পর্কিত জানা অজানা তথ্য।]
মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ- মনােবিদ্যা কথাটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কি?
উত্তর ঃ মনােবিদ্যা কথাটির ইংরেজী প্রতিশব্দ হল ‘psychology’ যা দুটি গ্রীক শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। একটি হল ‘Psyche’ যার অর্থ হল আত্মা (Soul) বা মন (Mind) এবং অন্যটি হল logos’ যার অর্থ হল বিজ্ঞান (Science)। কাজেই মনােবিদ্যা কথাটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল আত্মা বা মনের বিজ্ঞান।
প্রশ্নঃ- মনের তিনটি কাজ কি কি ?
উত্তরঃ চিন্তা, অনুভুতি ও ইচ্ছা।
প্রশ্ন: মনােবিদ্যা কোন ধরনের বিজ্ঞান ?
উত্তরঃ এটি একটি বস্তুনিষ্ঠ (Positive) বিজ্ঞান। মনােবিদ্যা চিন্তা, অনুভূতি, ইচ্ছা প্রভৃতি বাস্তবে যে ভাবে ঘটে তাই নিয়েই আলােচনা করে।
প্রশ্নঃ- মনােবিজ্ঞানের স্বীকৃত পদ্ধতিগুলাে কি কি?
উত্তরঃ মনােবিজ্ঞানের আলােচ্য পদ্ধতিগুলাে হল—অন্তর্দর্শন, পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ প্রভৃতি।
প্রশ্নঃ- অন্তদর্শন বলতে কি বােঝায়?
উত্তরঃ মানসিক ক্রিয়া-প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞানলাভের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি যখন তার নিজের মানসিক অবস্থার ও প্রক্রিয়ার স্বরূপ পর্যবেক্ষণ করে, তখনই তাকে অন্তর্দর্শন কলা হয়।
প্রশ্নঃ-পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কি?
উত্তরঃ মনােবিদ্যায় পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি বলতে বােঝায়, অন্য ব্যক্তির মনের বাহ্যিক প্রকাশ প্রত্যক্ষ করে তার মন বা মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা। মনের যে জ্ঞান এখানে লাভ করা হয় তা পরােক্ষ জ্ঞান।
প্রশ্নঃ-পরীক্ষণ পদ্ধতি বলতে কি বােব?
উত্তরঃ যখন কোন একটি বিশেষ উদ্যেশ্যে একটি কৃত্তিম পরিবেশ তৈরী করে কোন ব্যক্তির মন বা মানসিক ক্রিয়াকে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তখন তাকেই পরীক্ষণ বলা হয়।
• প্রশ্নঃ- অন্তর্নিরীক্ষণ কি?
উত্তর : অন্তর্নিরীক্ষণ হল মনােবিজ্ঞানের একটি পদ্ধতি। নিজের মনের প্রক্রিয়াগুলােকে যখন অন্যের সাহায্য ছাড়া নিজে নিজেই ব্যক্তি সরাসরি জানতে পারে, তখন তাকে অন্তর্নিরীক্ষণ (Introspection) বলে।
প্রশ্নঃ সংবেদনের বৈশিষ্টগুলি কি কি?
উত্তর : প্ৰথমনঃ, উদ্দীপক হল সংবেদনের উৎস, উদ্দীপক না থাকলে সংবেদন হতে পারে না। দ্বিতীয়তঃ, সংবেদন হল জ্ঞানের প্রবেশদ্বার বা জ্ঞানের সরলতম উপাদান। তৃতীয়তঃ, সংবেদন হল একটি বিমূর্ত মানসিক অবস্থা যা বস্তুকেন্দ্রিক। চতুর্থতঃ, সংবেদন জোর করে আমাদের মনােযােগ আকর্ষণ করে অর্থাৎ সংবেদনের মধ্যে একটা বাধ্যবাধকতা আছে। পঞ্চমতঃ, সংবেদন সৃষ্টির ক্ষেত্রে মন নিস্ক্রিয় থাকে।
* প্রশ্নঃ সংবেদনের উপাদান কয়টি?
উত্তরঃ সংবেদন উৎপন্নের ক্ষেত্রে তিনটি উপাদান হল (১) উদ্দীপক, (২) স্নায়ুতন্ত্র এবং (৩) মন।
• প্রশ্নঃ- বিশুদ্ধ সংবেদন কি সম্ভব?
উত্তরঃ বাস্তবে বিশুদ্ধ সংবেদন সম্ভব নয়। সংবেদন সৃষ্টির সঙ্গেই তার একটি সংব্যাখ্যান মন্ডিস্কে তৈরী হয়ে যায়। ব্যাখ্যান বর্জিত সংবেদন পাওয়া সম্ভব নয়; অবশ্য সদ্যোজাত শিশুর ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ সংবেদন সম্ভব বলে কোন কোন মনােবিজ্ঞানী মনে করেন। কারণ সংবেদন ব্যাখ্যা করার মত পূর্বজ্ঞান শিশুদের থাকে না।
প্রশ্নঃ- হেব্বার-ফোরের সূত্র বলতে কি বােব ?
উত্তর : এর্ণষ্ট হাইনরিশ হেবার (Emst Heinrich Weber) এবং গুস্ভাভ থিওডাের ফেক্নার (Gustav Theodor Fechner) নামে দু’জন বিশিষ্ট মনােবি সংবেদনের পারস্পরিক বৃদ্ধির হার সম্পর্কে ব্যাপক গবেষণা চালিয়ে যে নীতি প্রতিষ্ঠা করেন তা-ই হেবার-ফোর সূত্র নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ-সংবেদনকে কয়ভাগে ভাগ করা হয় এবং কি কি?
উত্তরঃ সংবেদনকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা—ইন্দ্রিয় সংবেদন, দৈহিক সংবেদন এবং পেশীগত সংবেদন।
প্রশ্ন-সংবেদন ও প্রত্যক্ষের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ প্রথমতঃ, সংবেদন হল উদ্দীপকের প্রাথমিক চেতনা বা অনুভূতি, এর সাথে উদ্দীপকের কোন অর্থ যুক্ত হয় না। কিন্তু প্রত্যক্ষণ হল সংবেদন সংব্যাখ্যাতরূপ। দ্বিতীয়তঃ, সংবেদন হল সহজ-সরল বিমূর্ত মানসিক প্রক্রিয়া এবং প্রত্যক্ষণ হল জটিল মানসিক প্রক্রিয়া। তৃতীয়তঃ, সংবেদনের ক্ষেত্রে মন নিস্ক্রিয় থাকে কিন্তু প্রত্যক্ষনের সময় মন সক্রিয় হয়ে ওঠে। চতুর্থতঃ, সংবেদনের কাজ হল উদ্দীপনা সংগ্রহ করা এবং প্রত্যক্ষণের কাজ হল উদ্দীপনার ব্যাখ্যা করা। পঞ্চমতঃ, সংবেদন হল বস্তুর গুণবিশেষের চেতনা আর প্রত্যক্ষণ হল গুণবিশিষ্ট বস্তুর চেতনা।
প্রশ্ন-প্রত্যক্ষনের বিভিন্ন স্তর গুলো কি কি?
উত্তর : প্রত্যক্ষণের বিভিন্ন স্তরগুলাে হল
(১) পৃথকীকরণ, (২) সদৃশকরণ, (৩) অনুষঙ্গ ও পুনরুজ্জীবন, (৪) বস্তু-চেতনা ও স্থান নিরুপন ও (৫) বিশ্বাস।
প্রশ্নঃ-গেষ্টা কথাটির অর্থ কি ?গেষ্টাস্ট মজাদের প্রতিষ্ঠাতা কারা?
উত্তর : জার্মান শব্দ গেষ্টান্ট (Gestalt) কথাটির প্রকৃত অর্থ হল সমগ্রতা বা সংগঠন এবং আকার বা নক্সা। এই মতবাদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে আছেন কোহলার (Kohler) কফকা (Koffka) ভেথাইমার (Warthimer) নামক তিনজন বিখ্যাত মনােবিজ্ঞানী।
প্রশ্নঃ- অধ্যাস সৃষ্টির কারণ কি?
উত্তরঃ প্রথমতঃ, দৈহিক, মানসিক ও জাগতিক কারণে অধ্যাসের সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয়ত, প্রত্যাশা, প্রতীক্ষা ও পূর্বধারণা অধ্যাসের সৃষ্টি করে থাকে। তৃতীয়তঃ, উদ্বেগ ও ভীতি অধ্যাসের সৃষ্টি করে। চতুর্থতঃ, ভ্রান্ত ধারণা, অন্ধবিশ্বাস, সন্দেহ, পক্ষপাতিত্ব প্রভৃতি থেকেও অধ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে।
প্রশ্নঃ- অন্ধ ব্যক্তি কিভাবে স্থান প্রত্যক্ষ করে ?
উত্তরঃ অন্ধ ব্যক্তি বা জন্মান্ধ শিশু নিষ্ক্রিয় স্পর্শন এবং সক্রিয় স্পর্শনের মাধ্যমে স্থান প্রত্যক্ষ করে থাকে।
প্রশ্নঃ- স্মৃতি কাকে বলে?
উত্তরঃ আধুনিক মনােবিজ্ঞানীদের মতানুযায়ী স্মৃতি হল একটি মানসিক প্রক্রিয়া। অতীতের কোন বিষয় বা অভিজ্ঞতাকে সঠিকভাবে বর্তমান চেতনার মধ্যে নিয়ে আসা বা মনে করাকে স্মৃতি (Memory) বলা হয়।
প্রশ্নঃ স্মৃতির কি কি উপাদান বিদ্যমান? অথবা, স্মরণপ্রক্রিয়ার শর্তগুলাে কি কি?
উত্তরঃ বিখ্যাত মনােবি উডওয়ার্থ স্মরণ ক্রিয়াকে চারটি পৃথক ও ধারাবাহিক স্তরে বিভক্ত করেছেন। যথা—শিখন (Learning), সংরক্ষণ (Retention), পুনরুদ্রেক (Re- call) এবং পরিজ্ঞান বা প্রত্যাভিজ্ঞা (Recognition)। এই চারটি শর্তের দ্বারাই স্মরণ প্রক্রিয়া গঠিত।
প্রশ্নঃ পুনরুদ্রেক বলতে কি বোঝ?
উত্তর : আমাদের মনের মধ্যে প্রতিরূপ আকারে সংবক্ষিত অতীত অভিজ্ঞতাকে বর্তমানে চেনায় জাগিয়ে তােলাকে পুনরুদ্রেক বলে।
মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর, Download মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর, জানা অজানা 300 + মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর. Free Download মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর, মনােবিদ্যা সম্পর্কিত জানা অজানা তথ্য।
Pingback: উদ্ভিদ জগৎ সম্পর্কিত 500 প্রশ্ন উত্তর - KmdInfo