রেচনঃ শক্তি এবং বৃদ্ধির প্রয়োজনে জীব (উদ্ভিদ এবং প্রাণী) খাদ্য গ্রহণ করে। খাদ্যদ্রব্যগুলোর পরিপাক এবং বিপাক এর কালে কিছু অপ্রয়োজনীয় পদার্থ সৃষ্টি করে । অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর বস্তুগুলো একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় দেহ থেকে নিষ্কাষিত হয় । প্রক্রিয়াটির নাম রেচন।
রেচন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ 300 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ- উদ্ভিদের একটি বর্জ্য পদার্থের উদাহরণ দাও যার অর্থকরী গুরুত্ব আছে।
Ans.: ট্যানিন। চমশিল্পে চামড়া ট্যান করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ-উদ্ভিদের একটি উপক্ষারের উদাহরণ দাও যার অর্থকরী গুরুত্ব আছে।
Ans. : কুইনাইন ম্যালেরিয়া রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ-কোন্ গাছ পত্রমোচন করে রেচন পদার্থ ত্যাগ করে?
Ans.: শিরীষ, শিমুল ইত্যাদি গাছ।
প্রশ্নঃ-কুইনাইন কোথায় পাওয়া যায়?
Ans. সিনকোনা গাছের বাকলে।
প্রশ্নঃ- মরফিন কোথায় পাওয়া যায়?
Ans.: আফিম গাছের কাঁচা ফলের খোসায়।
প্রশ্নঃ-ক্যাফিন কোথায় পাওয়া যায়?
Ans: কফির বীজে।
প্রশ্নঃ- রেসারপিন কোথায় পাওয়া যায়?
Ans.: সন্ধা গাছের মূলে।
এটিও পড়ুন – ভারতের গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রসমূহ PDF সহ
প্রশ্নঃ-চায়ের পাতায় কোন রেচন পদার্থ পাওয়া যায়?
Ans: ট্যানিন।
প্রশ্নঃ-বানতে কোথায় পাওয়া যায়।
Ans: লেবু গাছের পাতা ও ফুলে
প্রশ্নঃ- সাইট্রিক অ্যাসিড কোথায় পাওয়া যায়?
Ans. লেবুতে।
প্রশ্নঃ- টারটারিক অ্যাসিড কোথায় পাওয়া যায়?
Ans. তেঁতু
প্রশ্নঃ- ম্যালিক অ্যাসিড কোথায় পাওয়া যায়?
Ans.: আপেলে।
প্রশ্নঃ-কোন গাছ ফলমোচন করে রেচন পদার্থ ত্যাগ করে?
Ans:লেবু, আপেল।
প্রশ্নঃ-বাকলমোচনের দ্বারা কোন গাছ রেচন পদার্থ ত্যাগ করে?
Ans: অর্জুন, পেয়ারা।
প্রশ্নঃ-র্যাফাইড কি?
Ans: ক্যালসিয়াম অক্সালেটের কেলাস।
প্রশ্নঃ-ব্র্যাফাইড কোথায় পাওয়া যায়?
Ans.: ওল, কচু ইত্যাদি গাছের কাণ্ডে।
প্রশ্নঃ-সিস্টোলিথ কি?
Ans: ক্যালসিয়াম কার্বনেটের কেলাস।
প্রশ্নঃ- সিস্টোলিথ কোথায় পাওয়া যায়?
Ans: বট, রবার প্রভৃতি গাছের পাতায়।
প্রশ্নঃ-লিথোসিস্ট কি?
Ans.: সিস্টোলিথযুক্ত কোষ।
প্রশ্নঃ-পেঁপেগাছের তরুক্ষীরে কি আছে?
Ans: প্যাপাইন, যা প্রোটিন পরিপাকে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ-কোন গাছের তরুক্ষীর বাণিজ্যিক রবার প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত
Ans: প্যারা রাবার।
প্রশ্নঃ-রঞ্জন কোথায় পাওয়া যায়?
Ans. পাইন গাছের রজন নালীতে।
এটিও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকা PDF সহ – Chief Ministers of West Bengal
প্রশ্নঃ-সর্পগন্ধা গাছের মূলে কি পাওয়া যায়?
Ans.: রেসারপিন।
প্রশ্নঃ-র্যাফাইডযুক্ত কোষকে কি বলে?
Ans.: ইডিওব্লাস্ট।
প্রশ্নঃ-স্ফিাফাইড কোথায় পাওয়া যায়?
Ans: কচুরিপানার বৃত্তে।
প্রশ্নঃ-উপকার কি পদার্থ?
Ans: উদ্ভিদের নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থ।
প্রশ্নঃ- ধুতরা গাছের পাতায় কি পাওয়া যায়?
Ans: ডাটুরিন।
প্রশ্নঃ-নিকোটিন কোথায় পাওয়া যায়?
Ans. তামাক গাছের পাতায়।
প্রশ্নঃ-কোন গাছে তরুক্ষীর পাওয়া যায়?
Ans.: বট, আকন্দ ইত্যাদি গাছে।
প্রশ্নঃ-বানতেল কিসে ব্যবহৃত হয়
Ans. প্রসাধন শিল্পে।
প্রশ্নঃ- একটি পদ্ধতির নাম কর যার সাহায্যে উদ্ভিদের রেচন পদার্থ অপসারিত হয়?
Ans.: বাকলমোচন।
প্রশ্নঃ-কোন্ জৈবিক প্রক্রিয়ার ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল উদ্ভিদদেহ হইতে বাহির হইয়া যায়?
Ans.: বাষ্প
প্রশ্নঃ- বৃক্কের একক কি?
Ans.: নেফ্রন।
প্রশ্নঃ- মানবদেহের প্রধান রেচন অঙ্গ কি?
Ans. বৃক্ক।
প্রশ্নঃ-প্রাণীর একটি বেচন পদার্থের নাম কি?
Ans: ইউরিয়া।
প্রশ্নঃ-ম্যালপিজিয়ান কর্পাসল কি নিয়ে গঠিত?
Ans.: বাওম্যান্স ক্যাপসুল এবং গ্লোমেরুলাস।
প্রশ্নঃ- ‘U’ আকৃতিবিশিষ্ট সরু নালিকাকে কি বলে?
Ans.: হেনলীর লুপ।
প্রশ্নঃ- বৃক্কের আবরণীর নাম কি?
Ans.: ক্যাপসুল।
প্রশ্নঃ-বৃক্কে নেফ্রনের সংখ্যা কত?
Ans.: প্রতিটি বৃদ্ধে প্রায় দশ লক্ষ।
প্রশ্নঃ-বৃক্কের কোথায় দূষিত রেচন পদার্থযুক্ত রক্তের পরিশ্রুতকরণ ঘটে?
Ans: গ্লোমেরুলাসেমোচন।
প্রশ্নঃ- বৃত্তের কোথায় পরিশ্রুত তরল সংগৃহীত হয়।
ans: বাওম্যানস ক্যাপসুলে।
প্রশ্নঃ- মুত্র কোথায় সাময়িকভাবে সঞ্চিত থাকে?
Ans. মুত্রাশয়ে।
প্রশ্নঃ- একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক লোক দিনে কি পরিমাণ মূত্র ত্যাগ করে?
Ans. প্রায় দু লিটার।
প্রশ্নঃ-গ্লোমেরুলাস কোন অঙ্গে পাওয়া যায়।
Ans: ম্যালপিজিয়ান কর্পাসল-এ।
প্রশ্নঃ-. গ্লোমেরুলাসে প্রতিদিন একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের কি পরিমাণ তরল পরিত হয়?
Ans. প্রায় 170 লিটার।
প্রশ্নঃ-ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কোন প্রাণী রেচন ত্যাগ করে।
Ans: অ্যামিবা, হাইড্রা ইত্যাদি প্রাণী।
প্রশ্নঃ-মানুষের মূত্রের প্রধান রেচন পদার্থ কি?
Ans.: ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়া
প্রশ্নঃ-চ্যাপ্টা কৃমির রেচন-অঙ্গের নাম কি?.
Ans. ফ্লমকোষ।
প্রশ্নঃ- কেঁচোর প্রধান রেচন-অঙ্গের নাম কি?
Ans: নেফ্রিডিয়া।
প্রশ্নঃ- চিংড়ির রেচন-অঙ্গের নাম কি?
Ans. সবুজ গ্রন্থি বা শুঙ্গ গ্রন্থি।
প্রশ্নঃ-পতঙ্গের রেচন-অঙ্গের নাম কি?
Ans.: ম্যালপিজিয়ান নালিকা।
প্রশ্নঃ-কোন অমেরুদণ্ডী প্রাণীর রেচন অঙ্গ বৃক্ক ?
Ans. শামুক, সিনুক।
প্রশ্নঃ-মানুষের মৃত্রে যে নাইট্রোজেনযুক্ত পদার্থ দেখা যায় তার নাম কি?
Ans: ইউরিয়া।
প্রশ্নঃ-বৃদ্ধের হাইলাম অংশ বলতে কি বোঝ?
Ans: বৃক্কের যে অংশে গবিনী যুক্ত থাকে তাকে হাইলাম বলে।
প্রশ্নঃ- বৃদ্ধ থেকে মুত্র কিসের মাধ্যমে মূত্রাশয়ে আসে?
Ans. গবিনীর মাধ্যমে।
প্রশ্নঃ-একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মুত্রাশয়ে কতটা মূত্র সঞ্চিত থাকতে পারে।
Ans.: 500-800 মিলিলিটার।
প্রশ্নঃ-মূত্রের দুটি অস্বাভাবিক উপাদানের নাম লেখ।
Ans. গ্লুকোজ এবং অ্যালবুমিন।
প্রশ্নঃ- রেচন কাকে বলে?
Ans: যে জৈবনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবদেহ থেকে বিপাকজাত অপ্রয়োজনীয়, ক্ষতিকারক পদার্থসমূহ দেহ থেকে পরিত্যক্ত হয় অথবা অদ্রাব্য কোলয়ে কণারূপে দেহের কোন অংশে সঞ্চিত থাকে, তাকে রেচন বলে।
প্রশ্নঃ-রেচন পদার্থ কাকে বলে?
Ans.: জীবকোষে বিপাকজাত পদার্থসমূহকেই রেচন পদার্থ বলে। যেমন—নিকোটিন, ডাটুরিন (উদ্ভিদের); ইউরিয়া, অ্যামোনিয়া (প্রাণীদের) ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ-রেচনকে অপচিতি বিপাক বলে কেন?
Ans: রেচনের ফলে দেহের শুষ্ক ওজন হ্রাস পায়, আর এই কারণের জন্য রেচনকে অপচিতি বিপাক বলে।
প্রশ্নঃ- উদ্ভিদের বিভিন্ন রেচন পদ্ধতি কি?
Ans: উদ্ভিদের বিভিন্ন রেচন পদ্ধতি জ্বলমোচন, পত্রমোচন, পুষ্পমোচন, ফলমোচন, বাকলমোচন; গদ, রজন, তরুক্ষীর নিঃসরণ ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ-ল্যাটেক্স বা তরুক্ষীর কি? কোথায় পাওয়া যায়?
Ans.: ল্যাটেক্স বা তরুক্ষীর উদ্ভিদের নাইট্রোজেনবিহীন একপ্রকার রেচন পদার্থ। ল্যাটেক্স বট, আকন্দ, রবার প্রভৃতি গাছে পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ-কুইনাইন কি ও কোথায় পাওয়া যায়
Ans: কুইনাইন সিনকোনা গাছের নাইট্রোজেনঘটিত রেচন পদার্থ এটি সিনকোনা গাছের বাকলে পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ-উপক্ষার কি ও কোথায় পাওয়া যায়?
Ans.: এটি উদ্ভিদের একপ্রকার নাইট্রোজেনঘটিত রেচন পদার্থ। যেমন—কুইনাইন একপ্রকার উপক্ষার যা সিনকোনা গাছের বাকলে পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ- উদ্ভিদের কয়েকটি নাইট্রোজেনবিহীন রেচন পদার্থের নাম লেখ।
Ans.: উদ্ভিদের কয়েকটি নাইট্রোজেনবিহীন রেচন পদার্থ—ট্যানিন, গঁদ, রজন, বানতেল, তরুক্ষীর ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ-উদ্ভিদের কয়েকটি নাইট্রোজেনঘটিত রেচন পদার্থের নাম লেখ।
Ans: উদ্ভিদের কয়েকটি নাইট্রোজেনঘটিত রেচন পদার্থ—কুইনাইন, রেসারপিন, ডাটুরিন, ক্যাফিন ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ-র্যাফাইড কি? কোথায় পাওয়া যায়?
Ans: র্যাফাইড একপ্রকার ক্যালসিয়াম অক্সালেটের কেলাস জাতীয় রেচন পদার্থ। কচু, ওল প্রভৃতি গাছের কাণ্ডে এরা গুচ্ছাকারে অবস্থান করে।
প্রশ্নঃ- সিস্টোলিথ কি?
Ans: সিস্টোলিথ একপ্রকার ক্যালসিয়াম কার্বনেটের কেলাস জাতীয় রেচন পদার্থ। এটি বট, রবার প্রভৃতি গাছের পাতার যৌগিক ত্বকে অবস্থান করে।
প্রশ্নঃ- একটি উপক্ষার ও তার উৎসের নাম লেখ।
Ans: কুইনাইন একটি উপক্ষার। এটি সিনকোনা গাছের বাকলে পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ-ওল বা কচু খেলে গলা চুলকায় কেন?
Ans: ওল বা কচুতে ক্যালসিয়াম অক্সালেটের কেলাস থাকে, যার সুচাল অংশ গলায় বিধে গেলে গলা চুলকায়। তেঁতুল খেলে তেঁতুলের অ্যাসিডের সংস্পর্শে এই কেলাসগুলি দ্রুত দ্রবীভূত হয়, ফলে আর গলা চুলকায় না।
প্রশ্নঃ-দুটি পদ্ধতির নাম কর যার মাধ্যমে উদ্ভিদ রেচন কার্য সম্পন্ন করে।
Ans: বাকলমোচন দ্বারা পেয়ারা, সিনকোনা ইত্যাদি। পত্রমোচন দ্বারা—শিরীষ, শিমুল ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ-কুইনাইন ও তরুক্ষীর যে গাছের রেচন পদার্থ তার নাম লেখ।
Ans: কুইনাইন—সিনকোনা গাছ ,তরুক্ষীর-রবার গাছ।
প্রশ্নঃ- মলকে রেচন পদার্থ বলা হয় না কেন?
Ans. মল বিপাকজাত বর্জ্য পদার্থ নয় বলে মলকে রেচন পদার্থ বলা হয় না।
প্রশ্নঃ-. প্রাণীর প্রধান রেচন পদার্থ কি?
Ans:প্রাণীর প্রধান রেচন পদার্থ—ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়া ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ-“সব রেচন পদার্থই বর্জ্য পদার্থ, কিন্তু সব বর্জ্য পদার্থ রেচন পদার্থ নয়”-কেন?
Ans: জীবদেহে সৃষ্ট ক্ষতিকর পদার্থ মাত্রই বর্জ্য পদার্থ। কিন্তু সব বর্জ্য পদার্থ বিপাকের ফলে উদ্ভূত হয় না। যেসব বর্জ্য পদার্থ বিপাকজাত তাদের রেচন পদার্থ বলা হয়। যেমন- মল যেহেতু বিপাকের ফলে উদ্ভূত হয় না, তাই মলকে বর্জ্য পদার্থ বলা যায়, কিন্তু রেচন পদার্থ বলা যায় না। আবার, মুত্র একই কারণে বিপাকের ফলে সৃষ্ট হওয়াতে মুত্রকে রেচন পদার্থ বলা হয়। একই সঙ্গে তা বর্জ্য পদার্থও বটে। সুতরাং, সব রেচন পদার্থই বর্জ্য পদার্থ, কিন্তু সব বর্জ্য পদার্থ রেচন পদার্থ নয়।
প্রশ্নঃ-প্রাণীদের কয়েকটি নাইট্রোজেনঘটিত রেচন পদার্থের নাম লেখ।
Ans.: প্রাণীদের কয়েকটি নাইট্রোজেনঘটিত রেচন পদার্থ—ইউরিয়া, ইউরিক অ্যামোনিয়া ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ-প্রাণীদের নাইট্রোজেনবিহীন রেচন পদার্থের নাম লেখ।
Ans:প্রাণীদের নাইট্রোজেনবিহীন রেচন পদার্থ কার্বন ডাই-অক্সাইড।
প্রশ্নঃ- লম্বচ্ছেদে বৃক্কের কটি স্তর?
Ans: লম্বচ্ছেদে বৃক্কের দুটি স্তর কর্টেক্স ও মেডালা।
প্রশ্নঃ- নেফব্রুন কি? এটি কোথায় থাকে?
Ans.: বৃক্কের গঠনমূলক ও কার্যমূলক একককে নেফ্রন বলে। মেরুদণ্ডী প্রাণীর বৃক্কে নেফ্রন থাকে।
প্রশ্নঃ-বৃক্ক থেকে রেচন বস্তু সাময়িকভাবে কোথায় জমা হয়?
Ans.: বৃক্ক থেকে রেচন বস্তু সাময়িকভাবে মূত্রাশয়ে জমা হয়।
প্রশ্নঃ- নেফ্রনের প্রধান অংশগুলি কি কি?
Ans.: নেফ্রনের প্রধান অংশগুলি হল—ম্যালপিজিয়ান কর্পাসল, বৃক্কীয় নালিকা এবং সংগ্রাহী নালিকা।
প্রশ্নঃ-ম্যালপিজিয়ান কর্পাসল কি কি অংশ নিয়ে গঠিত?
Ans.: ম্যালপিজিয়ান কর্পাসল বাওম্যান্স ক্যাপসুল ও গ্লোমেরুলাস নিয়ে গঠিত।
প্রশ্নঃ-ম্যালপিজিয়ান কর্পাসল কাকে বলে?
Ans. বৃত্তের বহিঃস্তরে অবস্থিত নেয়নের ফানেলসদৃশ প্রান্তীয় অংশকে ম্যালপিজিয়ান কর্পাসল বলে যা গ্লোমেরুলাস ও বাওম্যান্স ক্যাপসুল দ্বারা গঠিত।
প্রশ্নঃ-28 গ্লোমেরুলাস কাকে বলে?
Ans. ম্যালপিজিয়ান কর্পাসলের বাওম্যাস ক্যাপসুল দ্বারা পরিবৃত রক্তজালককে গ্লোমেরুলাস বলে।
প্রশ্নঃ- সংগ্ৰাহী নালিকা কি?
Ans. প্রতিটি বৃক্কীয় নালিকার শেষ প্রান্ত অপেক্ষাকৃত যে মোটা নালিকার সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাকে সংগ্রাহী নালিকা বলে।
প্রশ্নঃ-হেনদীর লুপ কি?
Ans.: বৃক্কীয় নালিকার মধ্যাংশ সরু ও ‘ঢ’ আকৃতিবিশিষ্ট এই অংশটিকেই হেনলীর লুপ বলা হয়।
প্রশ্নঃ-চ্যাপ্টা কৃমি ও কেঁচোর রেচন-অঙ্গের নাম কি?
Ans: চ্যাপ্টা কৃমির রেচন অঙ্গ–ফ্লেমকোষ কেঁচোর রেচন অঙ্গ—নেফ্রিডিয়া।
প্রশ্নঃ-বৃক্ক ছাড়া মেরুদণ্ডী প্রাণীর আর কি কি রেচন অঙ্গ আছে?
Ans.: বৃক্ক ছাড়া মেরুদণ্ডী প্রাণীর অন্যান্য রেচন অঙ্গ হল—ফুসফুস, ত্বক, যকৃৎ, লালাগ্রন্থি ও অস্ত্র।
প্রশ্নঃ- যকৃৎ-কে রেচন অঙ্গ হিসাবে গণ্য করা হয় কেন?
Ans: যকৃৎ বিলিরুবিন, বিলিভার্ডিন, লেসিথিন ইত্যাদি রেচন পদার্থ সৃষ্টি করে পিত্তের মাধ্যমে পৌষ্টিক নালীতে নিঃসরণ করে, তাই যকৃৎকে রেচন অঙ্গ হিসাবে গণ্য করা হয়।
প্রশ্নঃ-. ফুসফুসকে রেচন অঙ্গ হিসাবে ধরা হয় কেন? –
Ans: ফুসফুসের মাধ্যমে CO2 গ্যাস নির্গত হয়, তাই ফুসফুসকে রেচন-অঙ্গ হিসাবে ধরা হয়।
প্রশ্নঃ- রেচনতন্ত্র কাকে বলে?
Ans: রেচনে সহায়ক অঙ্গগুলি পরস্পর মিলিত হয়ে যে তন্ত্র গঠন করে, তাকে রেচনতন্ত্র বলে। যেমন—একজোড়া বৃক, একজোড়া গবিনী, একটি মূত্রথলি ও মূত্রনালী দ্বারা গঠিত হয়েছে মানুষের রেচনতন্ত্র।
প্রশ্নঃ-বৃক্কের দুটি কাজ কি?
Ans: বৃক্কের দুটি কাজ (i) মুত্র উৎপাদন ও নিঃসরণ করা, এবং (ii) রক্তে জল ও খনিজ লবণের ভারসাম্য রক্ষা করা।
প্রশ্নঃ-মূত্র কি?
Ans.: মূত্র মেরুদণ্ডী প্রাণীদের বিভিন্ন রেচন পদার্থ সমন্বিত একপ্রকার স্বচ্ছ, ফিকে হলুদ বর্ণের, অম্লধর্মী এবং ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত তরল পদার্থ যা বুকের নেফ্রনে উৎপন্ন হয়।
প্রশ্নঃ- ত্বকের মাধ্যমে কোন রেচন পদার্থ বাইরে নির্গত করে দেওয়া হয়?
Ans. ত্বকের মাধ্যমে ঘাম নিঃসৃত হয় এবং এই ঘামে অতিরিক্ত জল, খনিজ লবণ, সামান্য পরিমাণ ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়া নির্গত হয়।
প্রশ্নঃ-গ্লোমেরুলাস কি? এটি কোথায় পাওয়া যায়?
Ans. ম্যালপিজিয়ান কর্পাসলের বাওম্যান্স ক্যাপসুল দ্বারা পরিবৃত রক্তজালকরে গ্লোমেরুলাস বলে।
প্রশ্নঃ-গ্লোমেরুলাসের কাজ কি?
Ans: গ্লোমেরুলাস আলট্রা-ফিল্টারের কাজ করে এর মাধ্যমে রক্তের সাথে মিশ্রিত দূষিত পদার্থ পরিশ্রুত হয়।
প্রশ্নঃ- বাওম্যান্স ক্যাপসুলের কাজ কি?
Ans.: পরিস্তুত তরলকে বৃক্কীয় নালিকায় প্রেরণ করা।
প্রশ্নঃ-যে প্রক্রিয়ায় ইউরিয়া উৎপন্ন হয় তার নাম কর।
Ans:অরনিথিন চক্র।
প্রশ্নঃ-মানুষের দেহের কোন অঙ্গে অরনিথিন চক্র সম্পন্ন হয়?
Ans: অরনিথিন চক্র যকৃতে সম্পন্ন হয়।
প্রশ্নঃ- বৃক্কের সঙ্গে নেফ্রনের সম্পর্ক কি?
Ans: প্রতিটি বৃদ্ধ অসংখ্য নেফ্রন নিয়ে গঠিত। নেফ্রনে মূত্র উৎপন্ন হয় এবং তা বাইতে বেরিয়ে আসে এটি বৃদ্ধের প্রধান কাজ। সুতরাং নেফ্রন বৃক্কের গঠনগত ও কার্যগত একক।
Pingback: জীব বিজ্ঞান সংক্রান্ত 50 টি যন্ত্রের ব্যবহার - KmdInfo