You are currently viewing মনােবিদ্যা সম্পর্কিত 300 প্রশ্ন উত্তর

মনােবিদ্যা সম্পর্কিত 300 প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নঃ- সুখ দুঃখ নিরপেক্ষ অনুভুতি কি?

উত্তর : যে অনুভূতি সুখকর নয়, আবার দুংখ জনক নয় তাকেই সুখ-দুংস্ নিরপেক্ষ সুভূতি বলা হয়। এই রকম অনুভুতিআদৌ সম্ভব কিনা এ প্রশ্নে মনােবিদরা একমত হতে পারেন নি। মনােবিদ হবুণ্ড ও এই ধরনের অনুভূতির অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। তবে বেশীর ভাগ মনােবিই এই জাতীয় অনুভূতি মানেন না।

প্রশ্নঃ- আবেগ সম্পর্কে ম্যাকডুগালের মত কি?

উত্তর : ম্যাকডুগাল মনে করেন, আমাদের যাবতীয় আচরণ ও চিন্তার পিছনে রয়েছে কতকগুলাে সহজাত প্রবৃত্তি। এই সব সহজাত প্রবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এক একটি আবেগ। পলায়ন বৃত্তি হল একটি সহজাত প্রবৃত্তি এবং এর সঙ্গে ভয় নামক আবেগটি যুক্ত হয়ে অছে।

প্রশ্নঃ-ম্যাকডুগাল কটি আবেগ স্বীকার করেছে ?

উত্তর ঃ ম্যাকতাল মােট সতেরটি সহজাত প্রবৃত্তি স্বীকার করেন এবং এদের প্রত্যেকটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একটি করে আবেগ। কাজেই তার মতে আবেগের সংখ্যাও সতেরটি।

প্রশ্নঃ- শিখনের প্রধান তত্ত্বগুলাে কি কি?

উত্তরঃ শিখনের প্রধান প্রধান তত্ত্ব বা মতবাদগুলাে হল(১) থর্নভইকের সংযােজনবাদ (২)গেষ্টা-্টবাদীদের অর্শর্সৃষ্টির সাহায্যে শিখন, (৩) প্যাভলভের সাপেক্ষ প্রতিবর্ত ক্রিয়ামতবাদ এবং (৪) ফিল্ড বা ক্ষেত্র সম্পর্কীয় মতবাদ।

প্রশ্নঃ- গেষ্টা-ট মতবাদের কয়েকজন প্রবক্তার নাম লেখ?

উত্তর : জার্মান মনােবি কোহলার, কফকা এবং ভের্থাইমার গেষ্টান্ট মতবাদের প্রবক্তা।

প্রশ্ন-সাপেক্ষ প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তরঃ মনােবিপ্যাভলভনানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন যে একটি স্বাভাবিক উ্টীপকের প্রয়ােগে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কিন্তু স্বাভাবিক উস্দীপকটির সঙ্গে যদি কোন বিকয্প উদ্দীপক বার বার উপস্থাপন করা হয় তাহলে কিছুদিন পরে স্বাভাবিক উদ্দীপকটি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র বিকল্প উন্দীপকটি প্রয়ােগ করলেই স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে। এইভাবে কৃত্রিম ব বিকল্প উদ্দীপকটি প্রয়ােগে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে সাপেক্ষ প্রতিবর্ত ক্রিয়া (Conditioned Reflex) বলা হয়।

মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর, Download মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর, জানা অজানা 300 + মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর. Free Download মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর, মনােবিদ্যা সম্পর্কিত জানা অজানা তথ্য।

প্রশ্ন:- প্রেষণা বলতে কি বুঝ।

উত্তর: প্রেষণা (Motivation) হল এমন এক আভ্যন্তরীণ গতিশীল ও সক্রিয় অবস্থা যা ব্যক্তিকে উদ্দেশ্যপ্রণােদিত করে তার উপযােগী আচরণ নির্বাচন ও সম্পাদনে উদ্জুদ্ধ করে। এটিকে শিখন প্রক্রিয়ার মনস্তাত্ত্বিক উপাদান কেন্দ্র বলা হয়।

প্রশ্নঃ- প্রতিবর্ত ক্রিয়া কত ধরনের ?

উত্তর : প্রতিবর্ত ক্রিয়া দু ধরনের সরল পতিকর্ত ক্রিয়া ও ক্রমিক প্রতিবর্ত ক্রিয়া।

প্রশ্নঃ মন ও চেতনার ক্ষেত্র কি সমব্যাপক।

উত্তর : মন ও চেতনা সমার্থক শব্দ নয়। চেনার ক্ষেত্রের তুলনায় মনের ক্ষেত্র অনেক বেশী ব্যাপক। মনের মধ্যে চেতন ছাড়া ও অবচেতন এবং নিন স্তর রয়েছে।

প্রশ্নঃ- মনের তিনটি স্তরের নাম কি?

উত্তরঃ মনােবিজ্ঞানীদের মতে মনের তিনটি স্তর আছে। যথা—সচেতন স্তর, অবচেতন স্তর এবং অচেতন বা নিঞ্জান স্তর।

প্রশ্নঃ- অচেতন মনের অতিতত্বের প্রমাণ কি?

উত্তরঃ (১) স্মৃতির সম্ভাব্যতা, (২) দৈনন্দিন জীবনের ভুল-ভ্রান্তি, (৩) অভ্যন্ত ক্রিয়া, (৪)স্বপ্ন ও দিবাস্বপ্ন, (৫) সংবেশন ও সংবেশনােত্তর অভিভাবন, (৬) মানসিক রােগগ্রস্থ ব্যক্তির কার্যকলাপ (৭) উদ্দেশ্যের বিকৃত প্রকাশ, (৮) ঘুমের সময় মনেরক্রিয়া, (৯) অগােচর আবেগ, (১০) কবি ও শিল্পীদের সৃষ্টিশীল প্রেরণা প্রভৃতি হল অচেতন বা নিজ্ঞান মনের অস্তিত্বের প্রমাণ।

প্রশ্নঃ- স্বপ্ন কি?

উত্তরঃ অচেতন বা নির্জন মনের অস্তিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হল স্বপ্ন । নিদ্রাকালে অচেতন মনের অবদমিত ইচ্ছা, কামনা-বাসনা,যখন চেতন মনে বিকৃতভাবে প্রবেশ করে তখন তাকে স্বপ্ন বলে। যে সব অবদমিত কামনা বাসনা অচেতন মনে আশ্রয় নিয়ে থাকে, স্বপ্নে সেগুলাে চরিতার্থতা লাভ করে।

প্রশ্নঃ- অধ্যাস কি?

উত্তর ঃ অধ্যাস হল একধরনের ভ্রান্ত প্রত্যক্ষ। বিপথগামী কল্পনার ফলে এবং সংবেদনের ভুল ব্যাখ্যার জন্যই অধ্যাসের সৃষ্টি হয়

প্রশ্নঃ অধ্যাসের কারণ কি?

উত্তর : দৈহিক অসুস্থতা, উদ্বেগ বা ভীতি এবং ব্যক্তির কোন বিশেষ প্রকৃতির জন্য অধ্যাসের সৃষ্টি হয়। যেমন, আমরা সাপকে ভয় পাই বলে এবং দড়ির সঙ্গে এর সাদৃশ্য হেতু অন্ধকারে দড়িকে সাপ বলে মনে করি।

প্রশ্নঃ-স্বপ্নের কারণ কি?

উত্তরঃ স্বপ্নের কারণ সম্বন্ধে মােটামুটি তিনটি মত প্রচলিত আছেএগুলাে হল জাগতিক কারণ, দৈহিক কারণ ও মানসিক কারণ। জাগতিক কারণ বলতে বােঝায় বাইরের জগতের কোন উদ্দীপক। দৈহিক কারণ বলতে নিদ্রাকালে দেহযন্ত্রের কোন ক্রিয়ার ব্যাঘাত বােঝায়। আর মানসিক কারণ বলতে চিন্তা, অবেগ ও ইচ্ছার প্রভাব বােঝায়।

প্রশ্নঃ পরিণত বয়স্কদের থেকে শিশুদের স্বপ্ন ভিন্ন প্রকৃতির কেন?

উত্তরঃ শিশুদের স্বপ্ন সংজ্ঞান স্তর থেকে আসংজ্ঞান স্তর পর্যন্ত যায়, নির্জন স্তরে প্রবেশ করেনা। কিন্তু বয়স্ক ব্যক্তিদের কামনা-বাসনা নির্জন স্তরে আশ্রয় গ্রহণ করে। তাছাড়া শিশুদের চাহিদা সহজ-সরল যা সমাজ অনুমােদিত কিন্তু বয়স্ক ব্যক্তিদের কামনা অনেক সময়ই সমাজ স্বীকৃত হয় না। তাই শিশুদের স্বপ্ন ভিন্ন প্রকৃতিরই হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ- স্বপ্নের অব্যক্ত কূপ ও ব্যক্তরূপ বলতে কি বােৰ ।

উত্তরঃ যে সব কামনা বাসনা মনের নির্জন স্তরে থাকার জন্য আমরা কোন একটি স্বপ্ন দেখি সেটি স্বপ্নের অব্যক্ত রূপ এবং যে রূপে আমরা স্বপ্নটি দেখি সেটি স্বপ্নের ব্যক্ত রূপ।

This Post Has One Comment

Leave a Reply