প্রশ্নঃ- স্বপ্নকৃতি কি?
উত্তর ঃ যে সব প্রক্রিয়ার সাহায্য নিয়ে অব্যক্ত রূপ ব্যক্ত রূপে স্বপ্নের মাধ্যমে ব্যক্তির কাছে ধরা দেয় তাদের বালে স্বপ্নকৃতি।
প্রশ্নঃ- প্রথম বুদ্ধি পরিমাপের পদ্ধতি কে আবিস্কার করেন এবং কেন?
উত্তরঃ দ্বিতীয় বিশবযুদ্ধের পর থেকে মনােবিজ্ঞানীরা বৃদ্ধির বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করার চেষ্টা করেন। ফ্রান্সের চিকিৎসক শিক্ষাবিদ, বৈজ্ঞানিক ও জনসেবকরা অল্প বুদ্ধিসম্পন্ন শিশুদের কিভাবে স্কুল, কলেজে শিক্ষা দিয়ে বেশী শিক্ষিত ও লাভবান করে তােলা যায় অর জন্য একটি কমিশন গঠন করেন। মনােবিজ্ঞানিক বিনে ও চিকিৎসক সাইমনই প্রথম বৃদ্ধি পরিমাপের পদ্ধতি আবিস্কার করেন।
প্রশ্নঃ-কত খ্রীষ্টাব্দে বিনেসিমে স্কেল কাজে লাগানাে হয় ?
উত্তরঃ ১৯০৫ খ্রীঃ বিনেসিমে স্কেল কাজে লাগানাে হয়।
প্রশ্ন:- বুধ্যঙ্ক কি?
উত্তরঃ যে শিশু যে বয়সের উপযােগী প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে সেটি হবে তার মানসিক কয়স বা Mental age বা M.A.I এই মানসিক বয়সকে তার প্রকৃত বা সত্যিকারের যে বয়স তা দিয়ে ভাগ করলে যে ভগ্নাংশ পাওয়া যাবে তাকে ১০০ দিয়ে গুণ করলে বুধ্যঙ্ক বাIntelligence quotient বা IQ. পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ ক্ষীণবুদ্ধি সম্পন্ন শিত কাদের বলা হয়।
উত্তরঃ বুদ্ধি পরিমাপক পরীক্ষা ছাড়াই শিশুকে দেখেই বলে দেওয়া যায় এদের বুদ্ধি খুব গল। নিজেদের জীবনকে সুষ্ঠভাবে চালনা করার ক্ষমতা এদের নেই। এদের ক্ষীণবুদ্ধি (Fecble minded) সম্পন্ন ব্যক্তি বলে। এইরকম বুদ্ধির ভিত্তিতে মানুষকে জড়ধী, ক্ষীরধী ও অধী এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
প্রশ্নঃ প্রতিভাবান ব্যক্তির বুধ্যঙ্ক কত?
উত্তরঃ এদের বুধ্যঙ্ক ১১০-১২০ আর মানসিকবয়স ১৬২০। আর যারা আরও বুদ্ধিসম্পন্ন অদের বৃদ্যয্ক ১২০-১৪০ মানসিক বয়স ২০-২২। আর যারা প্রতিভাবান তাদের বুদ্ধ ১৪০-১৬০, মানসিক বয়স ২২-২৪।
প্রশঃ-সর্ব প্রথম বুধ্যঙ্কর ব্যবহার কোথায় এবং কে করেন?
উত্তরঃ আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টারম্যান বিনের অভক্ষা সংশােধন করে তার একটি সংস্করণ করেন এবং সর্বপ্রথম বুদ্ধ্যঙ্কের ব্যবহার তিনিই করেন।
প্রশ্নঃ- মানসিক বয়স কি?
উত্তর : যদি কোন শিশুর শারীরিক বয়স ১০ কিন্তু সে ৮ বছর বয়সের উপযােগী প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, কিন্তু ১০ বছরের উপযােগী প্রহ্নের উত্তর দিতে পারে না তাহলে তার মানসিক বয়স ৮ বছর ধরতে হবে।
প্রশ্নঃ- ব্যক্তিত্ব কি?
উত্তর ঃ ‘ব্যক্তিত্ব’ শব্দটির যে ব্যাখ্যা সাধারণ লােক করে মনােবিজ্ঞানীরা কিন্তু সেরকম ব্যাখ্যা গ্রহণ করতে পারেন না। সাধারণ মানুষ ব্যক্তিত্ব বলতে বােঝে এক বিশেষ ধরণের স্বাতন্ত্র বা অসাধারণত্ব যা একটি ব্যক্তিকে অন্য ব্যক্তি থেকে পৃথক মর্যদা দিতে পারে। কিন্তু মনােবিজ্ঞানীরা যেমন-অধ্যাপক নাইট ও নাইট এর মতে ব্যক্তিত্ব হল ব্যক্তিত্ব এমন এক অনবদ্য বৈশিষ্ট যা সমান বুদ্ধি ও জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের একই পরিস্থিতিতে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া কায়।
প্রশ্নঃ-বংশানুক্রমিক উপাদান বলতে কি বােৰায় ?
উত্তরঃ প্রতি জননকোষে ২৩টি ক্রোমােজোম থাকে এবং এই ক্রোমোেজামের মধ্যে যে অসংখ্য ‘জিন’ থাকে তারাই বংশানুক্রমের ধারক ও বাহক। পিতৃকোষ ও মাতৃকোষের জিনগুলাের পারস্পরিক মিলনের উপরই শিশুর বংশধারার স্বরূপ নির্ণিত হয়। সুতরাং জিনের যে সংগঠন নিয়ে একটি মানুষ তৈরী হয়েছে, তার উপরই নির্ভর করে ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত কি হবে? উত্তরাধিকারসূত্রে ব্যক্তি পায় শারীরিক বৈশিষ্ট্য, মানসিক বৈশিষ্ট্য ও মনের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য।
প্রশ্নঃ পরিবেশের উপাদান বলতে কি বােঝায়?
উত্তর : যে কোন ব্যক্তি উত্তরাধিকারসূত্রে কতকগুলাে বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হলেও তার মধ্যে যে সব অনন্ত সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে তা পরিবেশের প্রভাবেই প্রস্ুটিত হয়। অর্থাৎ পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সঙ্গতিবিধান ও সেই সঙ্গে নিজের শক্তি ও সম্বাকনার সুষম সমন্বয়েই ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে।
প্রশ্ন:- প্রাকৃতিক পরিবেশ বলতে কি বােঝ;
উত্তর : মৃত্তিকা, জলবায়ু, জীবজন্তু, খাদ্য এর সব কিছুই ব্যক্তির উপর প্রভাব বিস্তার করে। প্রাকৃতিক পরিবেশ যেখানে যে রকম হয় সেখানকার মানুষ সেই অনুযায়ী কর্মঠ বা অলস্যপ্রিয় হয়ে ওঠে।
প্রশ্ন:- সামাজিক পরিবেশের মধ্যে সব থেকে উল্লেখযোেগ্য কি?
উত্তর : সামাজিক পরিবেশের মধ্যে সব থেকে গৃহের পরিফেশই উল্লেখযােজ্য। পরিবারের সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনে সাহায্য করে।
প্রশ্ন:- নিন মনের অস্তিত্বের কয়েকটি প্রমাণ দাও।
উত্তর : (১) স্বপ্ন, (২) দিবাস্বপ্ন, (৩) দৈনন্দিন জীবনের ভুলভ্রান্তি।
প্রশ্নঃ- বংশগতি না পরিবেশ কোনটি ব্যক্তিত্বের উপর অধিক প্রভাব বিস্তার করে?
উত্তর : এদের কোন একটিকেই ব্যক্তিত্বের বিকাশের একমাত্র সহায়ক বলা যাবে না কারণ উভয়েরই প্রভাব ব্যক্তিত্ব গঠনে সমান গুরুত্বপুর্ণ কেননা প্রতিটি ব্যক্তি কতকগুলাে সহজাত ধারণা নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ তার সেই গুণগুলােকে বিকশিত করতে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ জিন কি?
উত্তরঃ প্রত্যেকটি ক্রোমােজোমের মধ্যে যে অসংখ্য ছােট ছােট দানার মত রাসায়নিক পদার্থ থাকে তাই হল জিন।।
প্রশ্নঃ- অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি ছাড়াও আমাদের দেহে আর কি কি গ্রন্থি আছে?
উত্তর : অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি ছাড়াও আমাদের দেহে অনেক বহিঃক্ষরা গ্রন্থি আছে। যেমন- লালা গ্রন্থি, মুত্র গ্রন্থি, স্বেদ গ্রন্থি, অগ্র গ্রন্থি। প্রশ্নঃ- সংবেদনের তিনটি গুরুত্ব পূর্ণ উপাদান কি কি ?
উত্তরঃ (১) উদ্দীপক, (২) স্নায়ুতন্ত্র ও (৩) মন।
মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর, Download মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর, জানা অজানা 300 + মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর. Free Download মনােবিদ্যা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর, মনােবিদ্যা সম্পর্কিত জানা অজানা তথ্য।
Pingback: উদ্ভিদ জগৎ সম্পর্কিত 500 প্রশ্ন উত্তর - KmdInfo