You are currently viewing সিন্ধু সভ্যতা নিয়ে কিছু জানা অজানা কিছু তথ্য

সিন্ধু সভ্যতা নিয়ে কিছু জানা অজানা কিছু তথ্য

সিন্ধু সভ্যতা ছিল একটি ব্রোঞ্জ যুগীয় সভ্যতা (৩৩০০ – ১৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ; পূর্ণবর্ধিত কাল ২৬০০ – ১৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। এই সভ্যতার কেন্দ্র ছিল মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের[১] পশ্চিমাঞ্চলে[২][৩] অবস্থিত সিন্ধু নদ অববাহিকা। প্রথম দিকে এই সভ্যতা পাঞ্জাব অঞ্চলের সিন্ধু অববাহিকায় বিকাশ লাভ করে। পরে তা প্রসারিত হয় ঘগ্গর-হকরা নদী উপত্যকা ও গঙ্গা-যমুনা দোয়াব অঞ্চল পর্যন্ত। বর্তমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রায় সম্পূর্ণ অংশ, ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের পশ্চিমদিকের রাজ্যগুলি, দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তান এবং ইরানের বালোচিস্তান প্রদেশের পূর্ব অংশ এই সভ্যতার অন্তর্গত ছিল। উইকিপিডিয়া

বিস্তৃতি : উত্তর মান্ড্য (বর্তমানে জম্মুতে) থেকে দক্ষিণে দাইমাবাদ। পূর্বে আলমগীরপুর (বর্তমান উত্তরপ্রদেশ) থেকে পশ্চিমে সুতকাগেন্ডর (বালুচিস্তানে) পর্যন্ত।

সিন্ধু সভ্যতার : আদি বা প্রাথমিক স্তর পরিলক্ষিত হয় কোটদিজি, আমরি, হরপ্পা, কালিঙ্গা ও বনওয়ালিতে। মধ্যবর্তী বা পূর্ণবিকাশ স্তর পরিলক্ষিত হয় হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো, চানহুদারো, কালিবঙ্গা, বনওয়ালি ও লােথানে। অন্ত বা পরবর্তী স্তর পরিলক্ষিত হয় রংপুর ও রােজদি নামক স্থানে।

  • সিন্ধু সভ্যতার অধিকাংশ মানুষই ছিল ভূমধ্যসাগরীয়, প্রোটো অস্ট্রালয়েড, মঙ্গোলয়েড ও আলপিনীয় জাতিগােষ্ঠীর যদিও | এদের মধ্যে প্রথম দুই শ্রেণীর লোক বেশি ছিল।
  • এ যুগের মানুষ সুতা ও পশমের পোষাক পরত। তামা, ব্রোঞ্জ, সােনা ও রূপা প্রভৃতি ধাতুর ব্যবহার জানলেও লােহা আবিষ্কার করতে পারে নাই।
  • এ সভ্যতার লিপি ছিল চিত্রলিপি। লেখাগুলো ছিল প্রথম লাইন ডান থেকে বামে ও পরের লাইন বাম থেকে ডান  দিকে। এই রীতির নাম ‘বুস্ট্রোফেডন’!
  • লোথাল একটা পোতাশ্রয় ছিল। রংপুর, সোমনাথ ও বালাকোট সমুদ্রবন্দর হিসাবে সুপরিচিত ছিল।
  • এ সভ্যতায় অশ্বথ বৃক্ষ এবং নরব্যাঘ্র (অগ্রাংশ মানুষের পশ্চাদের কিয়দংশ ব্যাঘ্রের) মূর্তি পূজো করা হত।
  •  এই সভ্যতায় মৃহদেহ কবর দেওয়া হত (কিছুক্ষেত্রে কফিনে পুরে) এবং সেই দেহ শায়িত হত উত্তর দক্ষিণে)

এগুলিও পড়ুন –

This Post Has 2 Comments

Leave a Reply