জব ইন্টারভিউ এর সময় নিয়ােগকর্তারা যা যা খোঁজ করেন

জব ইন্টারভিউ : স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন নিয়ম অনুসারে শুধুমাত্র বিষয়গত শিক্ষাই নয়, সমাজ ও বিদ্যালয়ের ব্যাবহারিক ক্ষেত্রে আপনি কতটা যােগ্যতাসম্পন্ন তা-ও দেখা হয়। আপনি যে বিষয়ের শিক্ষক বা শিক্ষিকা হবেন শুধুমাত্র সেই বিষয়ের ওপর প্রশ্ন না-করে নিম্নলিখিত তিনটি বিষয়ের ওপরও প্রশ্ন করা হবে-

জব ইন্টারভিউ এর সময় নিয়ােগকর্তারা যা যা খোঁজ করেন

(i) পরিবেশ ও সমাজ সচেতনতা।

(ii) ভাব বিনিময়ের দক্ষতা ও স্বাধীনভাবে চিন্তার সক্ষমতা।

(iii) শিক্ষাগত সক্ষমতা এবং সম্পর্কিত জ্ঞান ও গুণাবলি।

এই তিন বিষয়ে প্রশ্ন করার কারণ, সমাজ গঠনে শিক্ষক-শিক্ষিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। ওপরের তিনটি বিষয়ের ওপর দক্ষতা ও জ্ঞান না-থাকলে বিদ্যালয় ও সমাজের কাছে শিক্ষক-শিক্ষিকা বেমানান হয়ে পড়বেন। সামাজিক সচেতনতা, মৌলিক- ভাবে চিন্তার ক্ষমতা, প্রকাশভঙ্গির দক্ষতা, অনুমান ক্ষমতাও যাচাই করা হবে।

প্রার্থীর মূল বিষয় সম্পর্কিত জ্ঞান লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে আগেই যাচাই করা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষাতেও বিষয়ভিত্তিক প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করা হতে পারে, সেজন্য প্রার্থীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

জেনে নিন – চাকুরী ইন্টারভিউ বাের্ডের সামনে 20 টি নিয়ম না মানলেই বিপদ

একস্ট্রা ক্যারিকুলাম অ্যাকটিভিটিস আর-একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। যাদের এই অরিরিক্ত দক্ষতা আছে, তাঁদের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রেও প্রশ্ন করা হতে পারে।

একজন গণিতের শিক্ষককে অন্য বিষয়েও ক্লাস নিতে হতে পারে। বিদ্যালয়ে শুধু একটি বিষয় নিয়েই থাকা যায় না। সব বিষয়ের ওপর কিছু কিছু জ্ঞান থাকা আবশ্যক, যাকে বলে ‘অল রাউন্ড নলেজ। তাই মাধ্যমিক স্তরের যে-কোনাে বিষয় নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার ধারণা থাকবে এটাই স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং কমিশনের পরীক্ষকরা আশা করেন। অর্থাৎ সাবজেক্ট কম্বিনেশনের সব কটি বিষয় সম্পর্কে প্রার্থীর জ্ঞান থাকা দরকার।

পরিবেশ বা সামাজিক সচেতনতা প্রভৃতি বিষয়ের পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে যুব সমস্যা, বিতর্ক সম্পর্কিত প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। একটু চোখ-কান খােলা রাখলেই এইসব বিষয়ে অবহিত হওয়া যায়। পরীক্ষকরা কিছু অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন বা লােক ঠকানাে প্রশ্নও করতে পারেন, তবে এটা ভেবে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়ােজন নেই। তবে, বহু আলােচিত বিষয়গুলি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল থাকা এবং নিজের মতাে করে ভাবনাচিন্তা করে উত্তর দেওয়ার প্রবণতা থাকা দরকার। যেমন, দূষণের প্রধান কারণ কী? কীভাবে দূষণ। প্রতিরােধ করা যায় ? ইত্যাদি। এক্ষেত্রে প্রার্থীর ভাবনাচিন্তার বিশিষ্টতা পরীক্ষকরা লক্ষ করবেন।

যেহেতু কাজটা শিক্ষকতা, তাই প্রার্থীর টিচিং অ্যাপটিচিউট বা শিক্ষকতার ক্ষমতা জরিপের বিষয়টি গুরুত্ব পাবেই। এক্ষেত্রেও পরীক্ষকরা শিক্ষকতার কাজটি সম্পর্কে প্রার্থীর আন্তরিকতা, স্বাভাবিক প্রবণতা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হতে চাইবেন।

পরীক্ষকরা প্রার্থীকে কোনোভাবেই বিপদে ফেলতে চান না। তারা প্রার্থীর সঙ্গে সহযােগিতাই করবেন।

জেনে নিন – চাকুরীর জন্য এখনও যেসব পদে আবেদন করতে পারবেন

#জব ইন্টারভিউ, #জেনে নিন জব ইন্টারভিউ # জব ইন্টারভিউ এর গোপন কথা

Leave a Reply