বাংলার সেন বংশঃ সেন রাজবংশ কিঞ্চিদধিক একশ বছর (১০৯৭-১২২৫ খ্রিষ্টাব্দ) বাংলা শাসন করে। সেন রাজাদের আদি বাসস্থান ছিল দক্ষিণ ভারতের অধুনা কর্ণাটকের মহীশূর ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে। প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে একাদশ শতাব্দীর অন্তিমলগ্নে পাল রাজবংশের বিশৃঙ্খলতার সুযোগ নিয়ে সেনদের উত্থান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ অধ্যায়। বাংলার পাল রাজবংশের রাজা দ্বিতীয় মহীপালের রাজত্বকালে বারেন্দ্র ‘সামন্তচক্রের’ বিদ্রোহের সুযোগ নিয়ে সেন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় সেন পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ স্বীয় আধিপত্য বিস্তার করেন এবং অবশেষে বাংলার পাল রাজবংশের রাজা মদনপালের রাজত্বকালে স্বাধীন সত্ত্বার বিকাশ ঘটান।
বাংলার সেন বংশ সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
- সেনবংশের প্রতিষ্ঠতা কে ছিলেন?
উত্তরঃ- বিজয়সেন। - বিজয় সেনের মৃত্যুর পর কে সিংহাসনে বেসন?
উত্তরঃ- ১১৫৮ খ্রিঃ বল্লালসেন সিংহাসনে বসেন। - বল্লাল সেন কোন প্রথা প্রবর্তন করেন?
উত্তরঃ- কৌলিন্য প্রথা প্রবর্তন করেন। - বল্লাল সেন কোন গ্রন্থ রচনা করেন?
উত্তরঃ- ‘দানসাগর ও ‘অদ্ভুত সাগর নামে দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। - বল্লাল সেনের পুত্র কে?
উত্তরঃ- লক্ষ্মণসেন - লক্ষণসেন কত খ্রিষ্টাব্দে সিংহাসনে বসেন?
উত্তরঃ- ১১৭৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সিংহাসনে বসেন। - লক্ষ্মণসেনকে কী বলা হয়?
উত্তরঃ– বাংলার শেষ স্বাধীন হিন্দু নরপতি বলা হয়। তার রাজধানী ছিল (গৌড়) লক্ষ্মণাবতী। - লক্ষ্মণসেনের রাজধানী নদীয়া অধিকার করেন কে?
উত্তরঃ- তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি।
এগুলিও পড়ুন