মুর্শিদাবাদ জেলাঃ মুর্শিদাবাদ জেলা পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদা বিভাগের একটি জেলা। এই জেলার মধ্য দিয়ে ভাগীরথী নদী বয়ে গিয়ে জেলাকে দুভাগে ভাগ করেছে। নদীর পশ্চিমের অংশ রাঢ় অঞ্চল ও পূর্বের অংশ বাগড়ি অঞ্চল নামে পরিচিত। ৫.৩১৪ বর্গ কিলোমিটার (২,০৬২ বর্গ মাইল) আয়তনের এলাকা এবং ৭১.০২ লক্ষ জনসংখ্যা থাকায় এটি একটি জনবহুল জেলা
মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পর্কে তথ্যাবলি
সীমানা : মুর্শিদাবাদ জেলার উত্তরে মালদহ ও গঙ্গা, দক্ষিণে বর্ধমান ও নদিয়া জেলা, পূর্বে বাংলাদেশ, পশ্চিমে বীরভূম জেলা।
আয়তন : ৫, ৩২৪ বর্গকিমি।
লােকসংখ্যা ৬২, ২৯,২৫৯ জন।
প্রতি বর্গ কিলােমিটারে জনসংখ্যা : ৮৯০ জন।
পুরুষ (আনুপাতিক হার) : ৫১.৪৬%। মহিলা (আনুপাতিক হার) : ৪৮.৫৪%।
• জনসংখ্যার আনুপাতিক হার ।
গ্রামাঞ্চলঃ ৮৯.৫৭%
শহরাঞ্চলঃ ১০.৪৩%
তপশিলিজাতিঃ এই জেলায় তপশিলিজাতির সংখ্যা হল ৬৩৪৯৭১ জন (১৩.৪০%)।
তপশিলি উপজাতিঃ এই জেলায় তপশিলি উপজাতি হল ৬১৫১৩ জন (১.৩০%)।
হিন্দু ও মুসলিম বসতিঃ প্রায় ৩৮ শতাংশ ও প্রায় ৬১ শতাশ।
সাক্ষরতার হার
পুরুষঃ ৪৬.৪২%।
মহিলাঃ ২৯.৫৭।
জেলাসদরঃ মুর্শিদাবাদ জেলাসদর বহরমপুর।
মহকুমাঃ এই জেলার মহকুমা ৪টি। সেগুলি হল- বহরমপুর, লালবাগ, কান্দি, জঙ্গিপুর ।
লােকসভাঃ এই জেলার লােকসভা আসন সংখ্যা ৩টি। বহরমপুর, জাঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ
বিধানসভাঃ এই জেলার বিধানসভা আসন ১৯টি। যথা-ভবতপুর, ঔরঙ্গাবাদ, সুতি, সাগরদীঘি, জঙ্গিপুর, বেলডাঙা, বহরমপুর, হরিহরপাড়া, লালগােলা, ভগবানগােলা, বড়ােয়া, খড়গ্রাম, কান্পি, ফারাকা, নবগ্রাম, নওদা, ভােমকল, জলদি, মুর্শিদাবাদ।
পুরসভাঃ এই জেলার পুরসভা আসন হল ৭টি। থা-বহরমপুর পুরসভা, মুর্শিদাবা পুস, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা, জঙ্গিপুর পুরসভা, ধুলিয়ান পুরসভা, বেলডাঙা পুসে কান্দি পুরসভা।
থানাঃ এই জেলায় থানার সংখ্যা ২৬ টি।
গ্রাম পঞ্চায়েতঃ ২৫৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত সমিতি ২৬টি পঞ্চায়েত সমিতি।
কৃষিজমি : ৪০৭.১৫৪ (প্রতি ১০০০ হেক্টরে)।
চাষযােগ্য জমিঃ প্রায় ৭৫ শতাংশ।
কৃষিজীবী লােকঃ প্রায় ৬০ শতাংশ।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা : ২৩৯ টি।
পরিবার কল্যাণকেন্দ্রঃ এই জেলায় পরিবার কল্যাণকেন্দ্র ৩০টি।
কারখানার সংখ্যা : এই জেলায় কারখানার সংখ্যা হল ২২ টি।
ক্ষুদ্রশিল্পের সংখ্যা : স্বীকৃত ক্ষুদ্রশিল্পের সংখ্যা ২৪৬৮২টি।
নদনদী ও এই জেলার প্রধান নদনদী হল-ভাগীরথী ; এছাড়া জলঙ্গি, ময়ূরাক্ষী , দ্বারকা, শিয়ালমারা প্রভৃতি রয়েছে।
কৃষিজ ফসলঃ এই জেলার প্রধান কৃষিজ দ্রব্য হল ধান, গম এবং আখ।
উৎসবঃ এই জেলার প্রধান উৎসব হল বেরা উৎসব।
এটিও পড়ুন – জনপ্রিয় খেলোয়াড়দের আসল নাম ও ডাকনাম
মুর্শিদাবাদ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
মনীশ ঘটকঃ মনীশ ঘটক একজন বিশিষ্ট কবি ও গল্প লেখক। তাঁর লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ হল শিলালিপি। উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ পটলডাঙার পাঁচালী।
রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় : রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১২.৪.১৮৮৫ তারিখে এবং মৃত্যু ২৩.৫.১৯৩০ তারিখে। তিনি মহেঞ্জোদারাের ধ্বংসাবশেষের আবিষ্কারক। তিনি কুষাণ ও পাল বংশের রাজাদের অনেক মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করেন।
রমেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীঃ রমেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর জন্ম ২০.৮.১৮৮৪ তারিখে এবং ৬.৬.১৯১৯ তারিখে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর লেখা গ্রন্থগুলি হল-কর্মকথা ও প্রকৃতি জিজ্ঞাসা।
মুর্শিদাবাদ জেলার বিখ্যাত স্থান
ধুলিয়ানঃ মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ান গ্রামে বিখ্যাত বিড়ি শিল্পকেন্দ্র রয়েছে।
রাঙ্গামাটিঃ গৌড়ে রাজা শশাঙ্কের রাজধানী ছিল। এর আর এক নাম কর্ণসুবর্ণ।
বহরমপুরঃ মুর্শিদাবাদ জেলার সদর শহর। কাঁসা-পিতল, রেশম শিল্প ও হাতির দাতের কারশিল্পেন জন্য বিখ্যাত। বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজ বিখ্যাত।
কাশিমবাজারঃ প্রাচীন শহর। মহারানী স্বর্ণময়ী ও মহারাজা মণীद्রচন্ত্র নন্দী বাসভূমি। এখানে বিরাট কাপড়ের কল আছে।
মুর্শিদাবাদঃ এই জেলা প্রাচীন বাংলার রাজধানী। এখানে মতিম্মিল, চিত্রশাল, হাজার দুয়ারী নামে নবাবের প্রাসাদ ও ইমামবাড়া প্রসিদ্ধ। এখানকার রেশমশিল্প পৃথিবী বিখ্যাত।
আজিমগঞ্জ ও জিয়াগঞ্জ : বাণিজ্যপ্রধান স্থান হিসাবে বিখ্যাত।
বেলডাঙাঃ পশ্চিমবঙ্গের উৎকৃষ্ট সবজি উৎপাদন কেন্দ্র। এখানে একটি বড়াে চিনির কল ও ট্রাষ্টর কারখানা আছে।
লালগােলাঃ মহকুমা শহর ও রাজবাড়ির জন্য বিখ্যাত।
ফারাক্কাঃ এখানে পদ্মানদীর উপর একটি বাঁধ নির্মাণ করে বৃহৎ রেল সড়ক সেতু তৈরি হয়েছে এখানে একটি তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র রয়েছে।
খাগড়া : কসর বাসনের জন্য বিখ্যাত।
মুর্শিদাবাদ জেলার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- মুর্শিদকুলি খার পর বাংলার নবাব কে হন ?
উত্তরঃ তার জামাতা সুজাউদ্দিন। - মুর্শিদাবাদের প্রথম বিলাত যাত্রী কে ছিলেন?
উত্তর – নবাব নাজিম ফেরেদুন ওরফে মনসুর আলি। - কৃষ্ণনাথ কলেজের প্রথম মুসলমান স্বাতকের নাম কী ?
উত্তর – ওবেদুল রহমান। - মুর্শিদাবাদের নবাব নাজিম পদের বিলােপ ঘটে কবে?
উত্তর – ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে ১৭ নভেম্বর। - শেখের দিঘি খনন করান কে?
উত্তর – মহম্মদ হোসেন শা। - প্রশ্ন ৬। মহারাজা ফণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর জন্ম হয় কবে ?
উত্তর – ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে ২৯ মে। - কলকাতার বাইরে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা কলেজ কোনটি ?
উত্তর – বহরমপুর বালিকা বিদ্যালয়। - নজরুল ইসলাম কবে বহরমপুরে আসেন ?
উত্তর – ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে। - মুর্শিদাবাদ পৌরসভা কবে স্থাপিত হয় ?
উত্তরঃ- ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১ এপ্রিল। - ধুলিয়ান পুরসভা কবে স্থাপিত হয় ?
উত্তরঃ- ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে। - মুর্শিদাবাদে শীতলতম দিন ছিল কোনটি ?
উত্তরঃ-– ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি। - ‘বন্দর কাশিমবাজার গ্রন্থের লেখক কে?
উত্তরঃ- সােমেন্দ্রনাথ নন্দী। - এই জেলার প্রথম নবাব বাহাদুর কে?
উত্তর – হাসান আলি মির্জা। - কে, সি. আই. উপাধি কে পান ?
উত্তরঃ-মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী। - মুর্শিদাবাদ জেলার লিড ব্যাঙ্ক কোনটি ?
উত্তরঃ ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। - বহরমপুর রবীন্দ্র মেলার জন্ম হয় কবে ?
উত্তর – ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৭ এপ্রিল। - ভারত সরকার কত তারিখে হাজার দুয়ারী অধিগ্রহণ করেন ?
উত্তর→ ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দের ২৬ আগস্ট। - মুর্শিদাবাদে কটি পোেস্ট অফিস আছে ?
উত্তর → ৫৪৪টি। - ‘মুর্শিদাবাদের রচয়িতা কে?
উত্তর – শ্যামধন মুখােপাধ্যায়। - মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা কত?
উত্তর → প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ৩১৬৬ টি, মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ২৬৭টি, উচ্চমাধ্যমিক খ্যা ১৫৭টি। - মুর্শিদাবাদজেলার প্রধান নগদ ফসল বা ক্যাসক্রপ কী ?
উত্তরঃ রেশম শিল্পজাত পণ্য। | - কোন নদী মুর্শিদাবাদ জেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে?
উত্তর – ভাগীরথী নদী। - মুর্শিদাবাদ জেলার উপর দিয়ে কত নম্বর জাতীয় সড়ক গিয়েছে?
উত্তর – ৩৪ নং জাতীয় সড়ক। - মুর্শিদাবাদ জেলার কোন স্থান থেকে গঙ্গার নাম পদ্মা হয়েছে ?
উত্তর ~ ধুলিয়ান।
এটিও পড়ুন – বিভিন্ন খেলায় খেলােয়াড়ের সংখ্যা PDF সহ
- মুর্শিদাবাদ নিউজ’-এর প্রথম প্রকাশ ঘটে কত খ্রিস্টাব্দে ?
উত্তর – ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে। - মুর্শিদাবাদ সংবাদপত্রের প্রথম সম্পাদক কে ?
উত্তর – গুরুদয়াল চৌধুরী। - নবাব মাদ্রাসা ও নিজামত স্কুলের সংযুক্তির পর কী নাম হয় ?
উত্তর – নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউশন। - পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুক্তকারা কোথায় স্থাপিত হয় ?
উত্তর – লালগােলায়। - মুর্শিদাবাদ শহরে নিজামত কলেজ প্রতিষ্ঠা হয় কত খ্রিস্টাব্দে ?
উত্তর – ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে। - ঐতিহাসিক লালদিঘির নাম বদলে সুভাষ সরােবর হয় কবে থেকে?
উত্তর – ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন। - রানাঘাট থেকে ভগবানগােলা রেললাইন চালু হয় কবে?
উত্তর – ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ১ সেপ্টেম্বর। - মীরজাফর প্রথম কবে বাংলার নবাব হন ?
উত্তর – ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন। - লালবাগে সুভাষচন্দ্র বসু কলেজের উদ্বোধন কবে হয় ?
উত্তর – ১২ আগস্ট ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে। - বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাচীনতম দোচালা মন্দির কোনটি ?
উত্তর — বামডাঙার সূর্যের শিবমন্দির। - কোন বিখ্যাত চিত্র পরিচালকের বাড়ি জঙ্গিপুরের হিলােড়া গ্রামে ?
উত্তর – তপন সিংহের। - ‘রাধার ঘাট ব্রীজ’ নামে পরিচিত সেতুর আসল নাম কী ?
উত্তর – রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী সেতু। - দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিত এই জেলার কী কী বিখ্যাত পত্রিকায় লেখেন ?
উত্তর – ‘বিদূযক ও ‘বােতল পুরাণ। - শেখ গুমানী দেওয়ানের জন্ম হয় কবে?
উত্তর – ১৩০২ বঙ্গাব্দের ২১ ফাল্গুন। - মুর্শিদাবাদের বর্তমান সদর শহর বহরমপুরের প্রাচীন নাম কী ?
উত্তর – ব্রহ্মপুত্র। - কাশিমবাজার কলেজ অব মিউজিক প্রতিষ্ঠিত হয় কত খ্রিস্টাব্দে ?
উত্তর – ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে। - কাশিমবাজারে ফরাসিদের কুঠি কোথায় ছিল?
উত্তর – সৈদাবাদে। - সিপাহী বিদ্রোহের সূত্রপাত হয় কোথায় ?
উত্তর – বহরমপুর ব্যারাকে। ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে। - কলকাতা থেকে বহরমপুরের দূরত্ব প্রায় কত কিলােমিটার ?
উত্তর → প্রায় দুইশত কিলােমিটার। - হাজারদুয়ারী কে নির্মাণ করেছিলেন ? এটি কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর – ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে নবাব নাজিম হুমায়ুন জা। লালবাগ শহরে। - মনীশ ঘটক কে ছিলেন? তাঁর ছদ্মনাম কী ছিল ?
উত্তরঃ মনীশ ঘটক একজন বিশিষ্ট কবি ও গল্প লেখক। তাঁর ছদ্মনাম যুবনাশ্ব। - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কত খ্রিস্টাব্দে জন্ম ও মৃত্যু ?
উত্তর – → ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে জন্ম ও ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু। - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর জন্ম ও মৃত্যু কত খ্রিস্টাব্দে ?
উত্তর। → ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে জন্ম এবং ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু।
এটিও পড়ুন – ভারতের হ্রদ সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলার সীমানা উল্লেখ করাে।
উঃ পূর্ব দিকে নদিয়া জেলা এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র; পশ্চিমে বীরভূম জেলা; উত্তরে ভাগীরথী ও পদ্মা নদী; দক্ষিণে নদিয়া ও বর্ধমান জেলা।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলার আয়তন কত?
উঃ ৫,৩২৪ বর্গ কিলােমিটার।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলার জনসংখ্যা কত?
উঃ ৫৮,৬৩,৭১৭ জন; পুরুষ—৩০,০৪,৩৮৫ জন; মহিলা-২৮,৫৯,৩৩২ জন।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলার জেলা সদর কোনটি ?
উঃ বহরমপুর।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলার সাক্ষরতার হার কত শতাংশ?
উঃ ৬১.৪০ শতাংশ; সাক্ষর—২৬,৬২,৬৮২ জন।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলার কয়েকটি কৃষিজ ফসলের নাম উল্লেখ করাে।
উঃ ধান, গম, আখ, আম ইত্যাদি।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলার কোথায় রাজা শশাঙ্কের রাজধানী ছিল?
উঃ কর্ণসুবর্ণ।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলার কোন স্থান থেকে গঙ্গার নাম পদ্মা হয়েছে?
উঃ ধূলিয়ান।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলায় কোন্ অঞ্চল আমের জন্য বিখ্যাত?
উঃ লালগােলা এবং ভগবানগােলা।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলার কয়েকটি বিখ্যাত স্থানের নাম লেখাে।
উঃ হাজারদুয়ারি, নবাবের সমাধি, গােলাপবাগ ও লালবাগ, মতিঝিল, জগৎশেঠের বাড়ি, কান্দিতে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর বাড়ি, কাশিমবাজারে মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্রের জন্মস্থান।
প্রঃ এই জেলার উপর দিয়ে কত নম্বর জাতীয় সড়ক গিয়েছে?
উঃ ৩৪ নং জাতীয় সড়ক।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলার বিখ্যাত মসজিদটির নাম কী?
উঃ কাটরা মসজিদ। প্রঃ হাজারদুয়ারি কে নির্মাণ করেছিলেন?
উঃ নবাব নাজিম হুমায়ুন জাদ।
প্রঃ হাজারদুয়ারি প্রাসাদের কটি দরজা আছে?
উঃ এক হাজারের বেশি দরজা। ৫০০টি আসল এবং ৫০০টি নকল।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলার হাজারদুয়ারি কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উঃ ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলার কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম কী?
উঃ মহাশ্বেতা দেবী, ঋত্বিক ঘটক, প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রঃ সিরাজ-উদ-দৌলা কর্তৃক নির্মিত প্রাসাদের নাম কী?
উঃ হিরাঝিল প্রাসাদ ও উদ্যান।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ নামকরণ কীভাবে হয়?
উঃ মুরশিদকুলি খাঁ-র নামানুসারে মুকসুদাবাদের নাম মুর্শিদাবাদ হয়।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলার প্রধান শিল্প কী কী?
উঃ রেশম শিল্প, হাতির দাঁতের শিল্প, খাগড়াই কাঁসার বাসনপত্র ও তাঁত
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলায় ফরাক্কায় কী আছে?
উঃ ফরাক্কায় ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কর্পোরেশন রয়েছে।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলায় কয়েকটি নদনদীর নাম লেখাে।
উঃ ভাগীরথী, ময়ূরাক্ষী, দ্বারকা, পিয়ালমারা ও ব্রায়মণী নদী।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রসিদ্ধ বাঁধটির নাম লেখাে। উঃ ফারাক্কা বাঁধ।
প্রঃ মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গা নদী দ্বি-ভক্ত হয়ে কী নামে প্রবাহিত হয়ে
উঃ ভাগীরথী নদী।