মৌর্যবংশ: মৌর্য্য সাম্রাজ্য (সংস্কৃত: मौर्यसाम्राज्यम्) প্রাচীন ভারতে লৌহ যুগের একটি বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্য ছিল। মৌর্য্য রাজবংশ দ্বারা শাসিত এই সাম্রাজ্য ৩২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল। ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বদিকে সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমতলভূমিতে অবস্থিত মগধকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র
শুঙ্গ সাম্রাজ্য: শুঙ্গ সাম্রাজ্য ( Śuṅga) হলো মগধের একটি প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্য, যা ১৮৭ থেকে ৭৮ খ্রীস্টপূর্বে ভারতের উত্তর ও পূর্বভাগ নিয়ন্ত্রণ করত। মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের পর পূষ্যমিত্র শুঙ্গ এই সাম্রাজ্যের পত্তন করেন। এর রাজধানী ছিল পাটলীপুত্র, কিন্তু ভগভদ্র প্রভৃতি শাসকগণ পূর্ব মালবের বেশনগর (বিদিশা) থেকেও দরবার চালাতেন।
কান্ব বংশ: প্রাচীন ভারতের রাজবংশ বিশেষ। খ্রিষ্টপূর্ব ৭৩ অব্দে শুঙ্গ বংশ-এর শেষ রাজা দেবভূতি’র মৃত্যুর পর কান্ব রাজবংশের রাজাদের রাজত্বকাল শুরু হয়। পৌরাণিক গ্রন্থাদি থেকে জানা যায়, এই বংশের রাজারা খ্রিষ্টপূর্ব ৭৩ অব্দ থেকে ২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছিল। তবে এই বংশের রাজাদের সম্পর্কে বিশেষ কোনো বিবরণ পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয়, এদের রাজ্য সীমা মগধের ভিতরেই সীমাবদ্ধ ছিল। এই রাজ বংশের চতুর্থ রাজা সুদর্শন দাক্ষিণাত্যের সাতবাহনবংশের রাজা সিমুক কর্তৃক পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর ‘মিত্র’ উপাধিধারী কয়েকজন রাজা মধুরা ও মগধে রাজত্ব করেছিলেন। তবে এদের সাথে শুঙ্গরাজবংশের রাজাদের কোনো প্রত্যক্ষ সম্পর্ক ছিল কিনা তা জানা যায় না।
মৌর্যবংশ এবং শুঙ্গ ও কান্ব বংশ
- মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মাতার নাম -> মুরা। এই নাম থেকে মৌর্যবংশ নামের সৃষ্টি হয়েছে।
- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে রাষ্ট্রনীতি ও রণনীতি বিষয়ে শিক্ষিত করেন -> কৌটিল্য।
- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মৃত্যুর পর -> তাঁর পুত্র বিন্দুসার ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মগধের সিংহাসনে বসেন।
- বিন্দুসারের পর -> অশােক ২৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মগধের সিংহাসনে বসেন।
- ২৬১ খ্রিঃপূঃ-এ -> কলিঙ্গ যুদ্ধের সূচনা হয়।
- মৌর্যবংশের শেষ সম্রাট হলেন-> বৃহদ্রথ।
- অশােক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন-> কলিঙ্গ যুদ্ধের পর।
- পাটলিপুত্র নগরে তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি আহ্বান করেন- > অশােক।
- অশােক বৌদ্ধধর্ম প্রচাব্বে জন্য সিংহলে পাঠিয়েছিলেন-> পুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সংঘমিত্রাকে (মতান্তরে ভ্রাতা মহেন্দ্র ও ভগ্নি সংঘমিত্রা)।
- অশােক বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা নেন-> সন্ন্যাসী উপগুপ্তের কাছে।
এটিও পড়ুন – ভারতের বিভিন্ন কমিটি এবং কমিশনের তালিকা PDF সহ