প্রশ্নঃ-বিবর্তন কাকে বলে?
Ans: যে মন্থর কিন্তু অবিরাম গতিশীল পরিবর্তনের ফলে পূর্বপুরুষ অর্থাৎ উদ্বংশীয় জীব থেকে নতুন প্রকারের জীবের উদ্ভব ঘটে, তাকে বিবর্তন বা জৈব অভিব্যক্তি বলে।
প্রশ্নঃ-সমসংস্থ অঙ্গ কি?
Ans: যে সমস্ত অঙ্গ উৎপত্তি বা গঠনের দিক থেকে একই রকম হলেও আকৃতিগত ও কার্যকারিতার দিক থেকে পৃথক, তাদের সমসংস্থ অঙ্গ বলে। যেমন—পাখির ডানা, মানুষের হাত।
প্রশ্নঃ- সমবৃত্তীয় অঙ্গ কি?
Ans: যে সমস্ত অঙ্গের উৎপত্তি বা গঠন ভিন্ন প্রকারের অথচ কার্যকারিতার দিক থেকে তারা একই প্রকারের, তাদের সমবৃত্তীয় অঙ্গ বলে। যেমন—বাদুড়ের ডানা, পতঙ্গের ডানা।
প্রশ্নঃ-লুপ্তপ্রায় অঙ্গ কি?
Ans: পরিবেশের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রাণিদেহে, এমনকি কিছু উদ্ভিদদেহে যদি একদা সক্রিয় থাকা অঙ্গগুলির কর্মক্ষমতা হ্রাস পেয়ে কার্যবিহীন অঙ্গে পরিণত হয়, তবে ওই
সমস্ত অঙ্গকে লুপ্তপ্রায় অঙ্গ বলে। যেমন— মানুষের কব্জিক্স ভার্টিব্রা।
প্রশ্নঃ-জীবাশ্ম বা ফসিল কাকে বলে?
Ans: পৃথিবীর প্রাচীন শিলাস্তরে যুগ যুগ ধরে সংরক্ষিত অধুনালুপ্ত উদ্ভিদ কিংবা প্রাণিদেহের সামগ্রিক বা আংশিক প্রস্তরীভূত রূপকে জীবাশ্ম বলে।
প্রশ্নঃ-জীবন্ত জীবাশ্ম কি?
Ans: যেসব প্রাণী বা উদ্ভিদ বহুকাল পূর্বে উৎপত্তি লাভ করেছিল অথচ আজওঅপরিবর্তিত রূপ নিয়ে তারা পৃথিবীতে বেঁচে আছে, যদিও তাদের সমসাময়িক জীবরা বহুকালআগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তাদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলে। যেমন— সিলাকাস্থ মাছ, গিঙ্গোবাইলোবাউদ্ভিদ ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ-আরকিও টেরিক্সে সরীসৃপের কি কি লক্ষণ পাওয়া যায়?
Ans: (i) স্টারনাম অস্থিতে কোন কিল অস্থি থাকে না।
(ii) চোয়ালে দাঁত থাকে।
(iii) পায়ের গঠন সরীসৃপের মতো।
প্রশ্নঃ-আরকিওপটেরিক্সে পক্ষীর কি কি লক্ষণ পাওয়া যায়?
Ans: (i) অগ্রপদ পালকসহ ডানায় রূপান্তরিত।
(ii) চ বর্তমান।
(iii) দীর্ঘ পুচ্ছ বর্তমান।
প্রশ্নঃ-প্লাটিপাস কি?
Ans: প্লাটিপাস বা হংসচঞ্চুকে সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর সংযোগরক্ষাকারী প্রাণী বলে। এর কিছু বৈশিষ্ট্য সরীসৃপ ও কিছু বৈশিষ্ট্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো।
প্রশ্নঃ-দুটি সংযোগরক্ষাকারী প্রাণীর নাম লেখ।
Ans: আরকিওপ্টেরিক্স এবং পেরিপেটাস।
প্রশ্নঃ- দুটি যোগরক্ষাকারী উদ্ভিদের নাম লেখ।
Ans: ফার্ন, নিতাম।
প্রশ্নঃ- মার্ক কি জন্য বিখ্যাত।
Ans: ব্যবহার ও অব্যবহারের সূত্র’ এবং ‘অর্জিত গুণের বংশানুসরণ” মতবাদের জন্য (280, 92)ল্যামার্ক বিখ্যাত।
প্রশ্নঃ-ব্যবহার ও অব্যবহারের তত্ত্ব বলতে কি বোঝ?
Ans: ল্যামার্কের মতে, জীবদেহের কোন অঙ্গ ক্রমাগত ব্যবহাত হতে থাকলে অঙ্গটি শক্তিশালী, সবল, সুগঠিত হয়। পক্ষান্তরে জীবদেহের কোন অঙ্গ দীর্ঘদিন অব্যবহারের ফলে সেটি দুর্বল ও নিষ্ক্রিয় হয়ে অবশেষে অবলুপ্ত হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ-অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণ বলতে কি বোঝ?
Ans:পরিবেশের প্রভাবে জীব যে সকল বৈশিষ্ট্য অর্জন করে সেই সকল বৈশিষ্ট্য বংশানুক্রমে সন্তান-সন্ততির দেহে সঞ্চারিত হয়। ল্যামার্কের এই মতবাদকে অর্জিত বৈশিষ্ট্যেরউত্তরাধিকার’ বলা হয়।
প্রশ্নঃ-জার্মপ্লাজমবাদ কি?
Ans: বিজ্ঞানী ভাইসম্যানের মতে, জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্যগুলি দেহকোষের মাধ্যমে পরবর্তী বংশে সঞ্চারিত হয় না; বরং এই বৈশিষ্ট্যগুলি জননকোষের মাধ্যমে পুরুষানুক্রমে সঞ্চারিত হয়। এটিই জার্মপ্লাজমবাদ নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ- চার্লস ডারউইন কি জন্য বিখ্যাত?
Ans: ডারউইনবাদ অর্থাৎ ‘জীবন-সংগ্রাম’, ‘প্রাকৃতিক প্রভৃতি মতবাদের জন্য চার্লস ডারউইন বিখ্যাত।
প্রশ্নঃ- অন্তঃপ্রজাতির সংগ্রাম কি?
Ans:নির্বাচন’, ‘যোগ্যতমের উদ্বর্তন’ একই প্রজাতির বিভিন্ন সদস্যের ভেতর উপযুক্ত আহার ও বাসস্থানের জন্য অর্থাৎনিজের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য যে সংগ্রাম চলে, তাকে অন্তঃপ্রজাতির সংগ্রাম বলে।
প্রশ্নঃ- আন্তঃপ্রজাতির সংগ্রাম কি?
Ans: দুই বা ততোধিক প্রজাতির সদস্যদের ভেতর উপযুক্ত আহার ও বাসস্থানের জন্ অর্থাৎ নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য যে সংগ্রাম চলে, তাকে আন্তঃপ্রজাতির সংগ্রাম বলে।
প্রশ্নঃ- প্রকরণ বা variation কাকে বলে?
Ans: প্রতিটি জীবের ভেতর যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বৈশিষ্ট্য একে অপরের থেকে পৃথক করে রাখে এবং যা জীবের ক্রমবিকাশে সহায়ক, তাকে প্রকরণ বা variation বলে।
প্রশ্নঃ-মিউটেশন কাকে বলে?
Ans: ক্রোমোজোমের জিনের ভেতর হঠাৎ স্থায়ী পরিবর্তনকে মিউটেশন বলে।
প্রশ্নঃ- মিউট্যান্ট কি?
Ans: মিউটেশনের ফলে সৃষ্ট নতুন জীবকে মিউট্যান্ট বলে।
প্রশ্নঃ- মিউল্যাটো কি?
Ans: শ্বেতকায় ও কৃষ্ণকায় মানুষের মিলনে যে সংকর মানুষ সৃষ্ট হয়েছে, তাকে মিউল্যাটো বলে।
প্রশ্নঃ-অজীবযোনি কাকে বলে?
Ans: বহু বছর আগে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, অজৈব পদার্থ থেকে জীবের উদ্ভব হয়েছে এই তত্ত্বকে অজীবযোনি বলে।
প্রশ্নঃ- সায়ানোজেন মতবাদ কি?
Ans: বিজ্ঞানী ক্রুজারের মতে, পৃথিবীর তাপ বা উষ্ণতা উৎপত্তির পর থেকে ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এই তাপ কমতে থাকার সময় কার্বন ও নাইট্রোজেন মিলে সায়ানোজেন নামে একপ্রকার প্রোটিন যৌগ গঠিত হয় এবং এই প্রোটিন থেকেই প্রোটোপ্লাজমের উদ্ভব হয় এই মতবাদকে সায়ানোজেন মতবাদ বলে।
প্রশ্নঃ-জীবনের আবির্ভাব কোথায় হয়েছিল?
Ans: জলে (সমুদ্রে)।
প্রশ্নঃ-জৈব অভিব্যক্তি কি ধরনের প্রক্রিয়া?
Ans: অত্যন্ত ধীর ও গতিশীল প্রক্রিয়া।
প্রশ্নঃ-জৈব অভিব্যক্তির ধাপগুলি কি কি?
Ans: প্রোটোভাইরাস 1) ভাইরাস 2) ব্যাকটিরিয়া 3) এককোষী জীব 4)বহুকোষী জীব।
প্রশ্নঃ-পাখির ডানা, বাদুড়ের ডানা, মানুষের অগ্রপদ কি জাতীয় অঙ্গের উদাহরণ?
Ans: সমসংস্থ জাতীয় অঙ্গের উদাহরণ।
প্রশ্নঃ-পতঙ্গের ডানা ও পাখির ডানা কি জাতীয় অঙ্গের উদাহরণ?
Ans: সমবৃত্তীয় জাতীয় অঙ্গের উদাহরণ। দাও।
প্রশ্নঃ-মানুষের দুটি ভেস্টিজিয়াল বা নিষ্ক্রিয় অঙ্গের উদাহরণ Ans: অ্যাপেনডিক্স এবং চক্ষুর উপপল্লব।
প্রশ্নঃ- উদ্ভিদের দুটি নিষ্ক্রিয় অঙ্গের নাম কর।
Ans: (i) ভূনিম্নস্থ কাণ্ডের শঙ্কপত্র, (ii) কালকাসুন্দার বন্ধ্যা পুংকেশর (স্ট্যামিনোড)।
প্রশ্নঃ-অঙ্গুরিমাণ ও সন্ধিপদ প্রাণীর সংযোগরক্ষাকারী প্রাণীটির নাম কি?
Ans: পেরিপেটাস।
প্রশ্নঃ-মাছ ও উভচরের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী প্রাণীর নাম কি।
Ans: লাঙফিস।
প্রশ্নঃ- উভচর ও সরীসৃপের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী প্রাণীর নাম কি?
Ans: স্কেনেডিন।
প্রশ্নঃ-সরীসৃপ ও পক্ষীর সংযোগরক্ষাকারী প্রাণীটির নাম কি? Ans: আরকিওপ্টেরিক্স।
প্রশ্নঃ- সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ীর সংযোগরক্ষাকারী প্রাণীটির নাম কি?
Ans: প্লাটিপাস বা হংসচঞ্চ।
প্রশ্নঃ- আদি শিলায় প্রস্তরীভূত জীবদেহকে কি বলে?
Ans: জীবাশ্ম।
প্রশ্নঃ-আধুনিক ঘোড়ার বিজ্ঞানসম্মত নাম কি?
Ans: Equas
প্রশ্নঃ- ঘোড়ার আদিপুরুষকে কি বলে?
Ans: ইয়োহিপ্পাস।
প্রশ্নঃ- আধুনিক হাতির বিজ্ঞানসম্মত নাম কি?
Ans: এলিফাস (Elephus)
প্রশ্নঃ- হাতির আদিপুরুষের নাম কি?
Ans: মোয়েরিথেরিয়াম (Moeritherium)।
প্রশ্নঃ-একটি অমেরুদণ্ডী জীবন্ত জীবাশ্মের উদাহরণ দাও।
Ans: Limulus (রাজকাকড়া)।
প্রশ্নঃ- একটি মেরুদণ্ডী জীবন্ত জীবাশ্মের উদাহরণ দাও।
Ans: স্ফেনোডন (Sphenodon)।
প্রশ্নঃ- আরকিওপটেরিক্স কি?
Ans: সরীসৃপ ও পক্ষীর সংযোগরক্ষাকারী প্রাণী।
প্রশ্নঃ- উদ্ভিদের ক্ষেত্রে দুটি জীবন্ত জীবাশ্মের উদাহরণ দাও।
Ans: (i) নিতাম, (ii) গিঙ্গো বাইলোবা (Ginkgobiloba)।
প্রশ্নঃ- মিউটেশন সম্পর্কে কে ধারণা দেন?
Ans: হুগো দ্য ত্রিস।
প্রশ্নঃ- মিউটেশনের ফলে উদ্ভুত জীবকে কি বলে?
Ans: মিউট্যান্ট।
প্রশ্নঃ-‘ব্যবহার ও অব্যবহারকার মতবাদ?
Ans: বিজ্ঞানী ল্যামার্ক এর মতবাদ।
প্রশ্নঃ- ‘অর্জিত গুণের বংশানুসরণ’ কার মতবাদ?
Ans: বিজ্ঞানী ল্যামার্ক-এর মতবাদ।
প্রশ্নঃ- ডারউইন রচিত পুস্তকের নাম কি?
Ans: ‘Origin of Species by Means of Natural Selection’
প্রশ্নঃ- ডারউইন কোন দ্বীপপুঞ্জে তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান?
Ans: গ্যালাপ্যাগোস দ্বীপপুঞ্জে।
প্রশ্নঃ-জীবন-সংগ্রাম কয় প্রকারের?
Ans: তিন প্রকারের – (i) আন্তঃপ্রজাতির সংগ্রাম, (ii) অন্তঃপ্রজাতির সংগ্রাম, এবং (iii) পরিবেশ সম্পর্কিত সংগ্রাম।
প্রশ্নঃ- যোগ্যতমের উদ্বর্তন’— কে এই মন্ত্রাদের প্রস্তাবক?
Ans: চার্লস ডারউইন।
প্রশ্নঃ- ‘প্রাকৃতিক নির্বাচন’ কার মতবাদ?
Ans: চার্লস ডারউইন-এর।
প্রশ্নঃ- নয়া ডারউইনবাদের প্রবক্তা কে?
Ans: ভাইসম্যান।
প্রশ্নঃ- ভাইসম্যানের তত্ত্বকে কি বলে?
Ans: জার্মপ্লাজমবাদ।
প্রশ্নঃ- ‘জননকোষের মাধ্যমে বংশগত বৈশিষ্ট্য পুরুষানুক্রমে সঞ্চারিত হয়’—একে কি বলে?
Ans: জার্মপ্লাজম।
প্রশ্নঃ- বিবর্তনের সর্বজন সমন্বিত তত্ত্বটি কি?
Ans: আধুনিক সংশ্লেষবাদ।
Pingback: প্রাণীর গমন অঙ্গ ও গমন পদ্ধতি তালিকা PDF সহ - KmdInfo