কুষাণ সাম্রাজ্য সম্পর্কে জানা অজানা তথ্যঃ খ্রিষ্টপূর্ব ২য় শতাব্দীর প্রথমার্ধে শুংনু নামে এক উপজাতি তাদের প্রতিবেশী ইউয়েচি নামে অপর এক উপজাতিকে হারিয়ে দেয়। দীর্ঘ সংঘর্ষের পর য়ুঝি উপজাতির লোকেরা পশ্চিমদিকে সরে যেতে বাধ্য হয়। তারা পশ্চিমদিকে সরে ইলি নদীর উপত্যকা পেরিয়ে ইস্সিক কুল হ্রদের (ইংরাজীতে Lake Issyk Kul) দক্ষিণতীর ধরে এগোতে থাকে। তাদের এই স্থান পরিবর্তন শকসহ বেশ কিছু উপজাতিকে তাদের সামনে এগোতে বাধ্য করে। ১৪৫-১২৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী কোন সময়ে তারা ব্যাকট্রিয় ও পার্থিয়ায় বসতি স্থাপন করে। এক প্রজন্ম পর তারা সেই জায়গা ত্যাগ করে কাবুল উপত্যকা পেরিয়ে পাঞ্জাব সমভূমিতে প্রবেশ করে। খ্রীষ্টাব্দ শুরুর দিকে য়ুঝি উপজাতির নেতা কিউ-সিউ-কিও বাকী চার নেতাকে মেরে সমগ্র উপজাতির প্রধান হয়ে বসে। তার নাম থেকেই নাম হয় কিউই-শাং বা কুষাণ। কণিষ্কের অধীনে এই সাম্রাজ্য বিশাল আকৃতি লাভ করে।
এ সাম্রাজ্য ইউরোপের রোমান সাম্রাজ্য, চীনের হান রাজবংশ ও পূর্ব আফ্রিকার আক্সুমিত সাম্রাজ্যের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল ।
কুষাণ সাম্রাজ্য সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য
- কুষাণ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা – প্রথম কদফিস বা কুজলকারা কদফিস।
- ভারতের প্রথম স্বর্ণ মুদ্রা প্রবর্তন করেছিলেন – বিম কদৃফিস (দ্বিতীয় কদফিসেস)।
- কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা- কণিক।
- দ্বিতীয় অশোক’ বলা হয় – কনিষ্ক।
- কণিষ্কের শাসনকালে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসক ছিলেন – চরক।
- কণিষ্কের সভাকবির নাম হল – অশ্বঘোষ।
- কুষাণ যুগের শ্রেষ্ঠ শিল্প হল- গান্ধার শিল্প।
- কণিষ্কের রাজত্বকালে গান্ধার শিল্প ব্যতীত- মথুরা-সারনাথ-অমরাবতী শিল্পরীতিরও বিকাশ ঘটেছিল। মস্তকবিহীন কণিকের মূর্তি মথুরা শিল্পরীতির নিদর্শন।
- ভারতে স্বর্ণমুদ্রা ও শকাব্দের প্রবর্তক হল- কুষাণরাই।
- কুাণরা ছিল – ইউ-চি নামক এক যাযাবর জাতির শাখা যারা চিনের উত্তর-পশ্চিম অংশে বসবাস করত।
- ৭৮ খ্রিস্টাব্দে – কণিক কুষাণ সাম্রাজ্যের সিংহাসনে বসেন এবং শকাব্দ প্রচলন করেন।
- কণিষ্কের রাজধানী ছিল – পুরুষপুর (পেশোয়ার)।
- কুষাণ বংশের শেষ রাজা হলেন – বাসুদেব।
এগুলিও পড়ুন