কোষ বিভাজন: এই পোষ্টে কোষ বিভাজন সম্পর্কিত কিছু তথ্য শেয়ার করা হল। উক্ত তথ্যগুলি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা ও চাকুরী পরীক্ষায় কাজে আসবে। নিম্নে কোষ বিভাজন সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হল। [ এটিও পড়ুন – ভারতবর্ষ নিয়ে ছোটদের কিছু প্রশ্ন উত্তর ]
কোষ বিভাজন একটি মৌলিক ও অত্যাবশ্যকীয় প্রক্রিয়া যার দ্বারা জীবের দৈহিকবৃদ্ধি ও বংশ বৃদ্ধি ঘটে । যে প্রক্রিয়ায় জীব কোষের বিভক্তির মাধ্যমে একটি থেকে দুটি বা চারটি কোষের সৃষ্টি হয় তাকে কোষ বিভাজন বলে । বিভাজনের ফলে সৃষ্ট নতুন কোষকে অপত্য কোষ (Daughter cell) এবং যে কোষটি বিভাজিত হয় তাকে মাতৃ কোষ (Mother cell) বলে । Walter flemming ১৮৮২ সালে সামুদ্রিক সালামান্ডার কোষে ১ম কোষ বিভাজন লক্ষ্য করেন।
মানবদেহ একটি মাত্র কোষ থেকেই তৈরি হয় । জাইগোট থেকে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ দেহ তৈরি হয় ।
কোষ বিভাজন সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর
- জিন অবস্থিত ক্রোমোজোমে।।
- DNA অবস্থিত – ক্রোমোজোমে।
- একটি মাতৃকোষ থেকে দুটি অপত্য কোশ সৃষ্টি হয় মাইটোসিস কোশ বিভাজনে।
- একটি মাতৃকোষ চারটি অপত্য কোশ সৃষ্টি করে – মিয়োসিস কোশ বিভাজনে।
- মাতৃকোষে ক্রোমজোম সংখ্যা হ্রাস পায় – মাইটোসিস কোশ বিভাজনে।
- কোষ বিভাজনে প্রজাতির ক্রোমোজোম সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকে – মিয়োসিস কোষ বিভাজন।
- উদ্ভিদের ভাজক কলায় দেখা যায় – মাইটোসিস বিভাজন।
- জীব দেহের জনন মাতৃ কোশে দেখা যায় – মিয়োসিস।
- অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজন দেখা যায় – উদ্ভিদ ঈস্ট , প্রাণি – অ্যামিবা
- প্রাণীদের স্নায়ুকোষের সেন্ট্রোজোম না থাকার জন্য স্নায়ু কোশ বিভাজন হয় না।
- ক্রোমোজোম গুলিকে বেমের বিষুব অঞ্চলে অবস্থান করে – মেটাফেজ দশায়।
- মানব দেহে ক্রোমোজোম সংখ্যা ২৩ জোড়া।
- মানুষের জনন কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা ২৩ টি
- শুক্রাশয়ে শুক্রাণু মাতৃকোষ থেকে উৎপন্ন হয় – মিয়োসিস পদ্ধতিতে।
- ব্যাকটেরিয়ার কোশ বিভাজন পদ্ধতি হল – অ্যামাইটোসিস।
এগুলিও পড়ুন