পুষ্যভূতি বংশঃ হর্ষবর্ধন বা হর্ষ (৫৯০–৬৪৭ খ্রিস্টাব্দ) উত্তর ভারতের এক খ্যাতনামা সম্রাট যিনি ৬০৬ থেকে ৬৪৭ খ্রিষ্টাব্দ (মতান্তরে ৬৪৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর্যন্ত শাসন করেন। তিনি পুষ্যভূতি বংশীয় রাজা প্রভাকর বর্ধনের সন্তান ছিলেন। এটিও পড়ুন – ভারতবর্ষের বিভিন্ন মন্দির ও নির্মাতা এর তালিকা
৬ষ্ঠ শতকের মাঝের দিকে গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটলে উত্তর ভারত ছোট ছোট প্রজাতন্ত্র ও রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। বড় ভাই থানেসারের রাজা রাজ্যবর্ধন গৌড়ের সম্রাট শশাংকের হাতে নিহত হলে ৬০৬ সালে হর্ষকে রাজা ঘোষণা করা হয়; তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। হর্ষ পাঞ্জাব থেকে মধ্য ভারত পর্যন্ত প্রজাতন্ত্রগুলিকে একত্রিত করেন। ক্ষমতার শীর্ষে পশ্চিমে পাঞ্জাব থেকে শুরু য়ে পূর্ব বঙ্গ ও ওড়িশা পর্যন্ত এবং নর্মদা নদীর উত্তরে অবস্থিত সমস্ত সিন্ধু-গাঙ্গেয় অববাহিকাতে হর্ষবর্ধনের রাজত্ব বিস্তৃত ছিল। নর্মদার দক্ষিণে রাজ্য বিস্তার করার চেষ্টা করার সময় দক্ষিণে চালুক্য বংশীয় রাজা দ্বিতীয় পুলকেশী-র কাছে পরাজিত হন ৬১৮-৬১৯ সালে।
পুষ্যভূতি বংশ সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
পুষ্যভূতি বংশ (থানেশ্বর)
- পুষ্যভূতি বংশের প্রথম উল্লেখযােগ্য রাজা হলেন – প্রভাকরবর্ধন। তার কন্যা হলেন রাজ্যশ্রী।
- প্রভাকরবর্ধনের মৃত্যুর পর থানেশ্বরের রাজা হন- তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র রাজ্যবর্ধন। তিনি শশাঙ্কের দ্বারা নিহত হন।
- রাজ্যবর্ধনের পর থানেশ্বরের রাজা হন – হর্ষবর্ধন (৬০৬ খ্রিস্টাব্দে)।
- ‘হর্ষাব্দ-এর প্রচলন করেছিলেন- হর্ষবর্ধন (৬০৬ খ্রিস্টাব্দে)।
- আইহােল প্রশস্তিতে সকলােত্তর পথনাথ’ বলা হয়েছে- হর্ষবর্ধন কে।
- হর্ষচরিত’-এ বাণভট্টের ‘পঞ্চ ভারত কথাটি দ্বারা বোঝাতে চেয়েছেন- থানেশ্বর, কনৌজ, মগধ, বাংলা ও উৎকল।
- নাগানন্দ’, ‘রত্নাবলী’ ও প্রিয়দর্শিকা’ নাটক সংস্কৃত ভাষায় রচনা করেন – হর্ষবর্ধন।
- ‘কাদম্বরী ও হর্ষচরিত’ রচনা করেন- বাণভট্ট।
- বিখ্যাত চিনা বৌদ্ধ তীর্থযাত্রী হিউয়েন সাঙ ভারতে আসেন – হর্ষবর্ধনের সময় (৬৩০ খ্রিস্টাব্দে)।
- হিউয়েন সাঙ ভারতে ছিলেন- ১৪ বছর (৬৩০-৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ)।
- নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপােষক ছিলেন – হর্ষবর্ধন।
- হর্ষবর্ধন প্রতি পাঁচ বৎসর অন্তর মহােৎসবের আয়ােজন করতেন- প্রয়াগে (গঙ্গা-যমুনার সঙ্গমস্থলে) দানক্ষেত্র’ ও সম্তোষক্ষেত্র’ নামক স্থানে।
- হর্ষবর্ধনের সময়কালে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন মহাস্থবির শীলভদ্র।
এগুলিও পড়ুন –