বঙ্গভঙ্গ ও স্বদেশী আন্দোলন: বঙ্গভঙ্গ ও স্বদেশী আন্দোলন সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এই পোস্ট । উক্ত তথ্যগুলি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা ও চাকুরী পরীক্ষায় কাজে আসবে। নিম্নে বঙ্গভঙ্গ ও স্বদেশী আন্দোলন সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর PDF সহ এর তালিকা দেওয়া হল। এটিও পড়ুন –বিখ্যাত ভু-পর্যটক ও আবিস্কারক এর তালিকা
বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন
বঙ্গভঙ্গ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে যে আন্দোলন হয়েছিল তাই বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন নামে পরিচিত। বঙ্গভঙ্গ বাংলার ইতিহাসে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯০৫ সালের ৬ জুলাই কলকাতা প্রেস প্রথম বংগভংগ প্রস্তাবের খবরটি প্রকাশিত করে। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবরে তৎকালীন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকারের বড়লাট লর্ড কার্জনের আদেশে বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করা হয়। বাংলা বিভক্ত করে ফেলার ধারনাটি অবশ্য কার্জন থেকে শুরু হয়নি। ১৭৬৫ সালের পর থেকেই বিহার ও উড়িষ্যা বাংলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ফলে সরকারী প্রশাসনিক এলাকা হিসেবে বাংলা অতিরিক্ত বড় হয়ে যায় এবং ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে এটির সুষ্ঠু শাসনক্রিয়া দুরূহ হয়ে পড়ে। বঙ্গভঙ্গের সূত্রপাত এখান থেকেই।কিন্তু ১৯১১ সালে, প্রচণ্ড গণআন্দোলনের ফলশ্রুতিতে বঙ্গভঙ্গ রহিত হয়। দ্বিতীয়বার বঙ্গভঙ্গ হয় ১৯৪৭ সালে। এর ফলে পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানে এবং পশ্চিমবঙ্গ ভারতে যুক্ত হয়। এই পূর্ববঙ্গই পরবর্তীকালে পাকিস্তানের কাছ থেকে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।
স্বদেশী আন্দোলন
স্বদেশী আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি অংশ। স্বদেশী আদর্শে উদ্বুদ্ধ এই আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিকভাবে ব্রিটিশ শক্তিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদসাধন এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নতিসাধন। আন্দোলনের রণকৌশলের অন্তর্গত ছিল ব্রিটিশ পণ্য বয়কট এবং দেশীয় শিল্প ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার উন্নতিসাধন।
স্বদেশী আন্দোলনের উৎস ছিল ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী গণজাগরণ। এটি ১৯১১ সাল পর্যন্ত চলেছিলো। এই আন্দোলন ছিল প্রাক-গান্ধী যুগের সফলতম আন্দোলনগুলির অন্যতম। স্বদেশী আন্দোলনের মুখ্য প্রবক্তাগণ ছিলেন অরবিন্দ ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বীর সাভারকর, লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলক, ও লালা লাজপত রায়। পরবর্তীকালে স্বদেশী রণকৌশলটিকে গ্রহণ করে মহাত্মা গান্ধী এটিকে স্বরাজ-এর আত্মা রূপে বর্ণনা করেন। এটি বাংলায় সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ছিলো এবং এটিকে বন্দে মাতরম আন্দোলনও বলা হতো। গান্ধী, আন্দোলনের উচ্চতম অবস্থায় ব্রিটিশ রাজের অনুগত থাকে।
বঙ্গভঙ্গ ও স্বদেশী আন্দোলন সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর
- লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত ঘােষণা করেন। ১৯ জুলাই ১৯০৫ খ্রিঃ।
পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ—ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিভাগ, পার্বত্য ত্রিপুরা, মালদহ জেলা এবং দার্জিলিং।
বাংলা প্রদেশ—পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যা। বঙ্গভঙ্গের কারণ হিসাবে সরকারী যুক্তি ছিল। প্রশাসনিক সুবিধা। - বঙ্গভঙ্গের আসল উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তরঃ- হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা। - বঙ্গভঙ্গ কার্যকরী হয় কবে?
উত্তরঃ- ১৬ অক্টোবর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে। - বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন চরমপন্থী নেতা হলেন?
উত্তরঃ- সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী, কৃষ্ণকুমার মিত্র প্রমুখ। - বঙ্গভঙ্গ বিরােধী আন্দোলনের সময় বিদেশী পণ্য বয়কটের ডাক দেন?
উত্তরঃ- প্রথম কৃষ্ণকুমার মিত্র তার সঞ্জীবনী পত্রিকায় ১৩ জুলাই ১৯০৫ খ্রিঃ)। - ১৬ অক্টোবর ১৯০৫ খ্রি. বঙ্গ বিভাগ কার্যকর করার দিন সারা বাংলায় পালন করা হয়?
উত্তরঃ- অরন্ধন, হরতাল ও রাখী বন্ধন। - অরন্ধন’ প্রস্তাব পেশ করেছিলেন কে?
উত্তরঃ- রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী। - রাখি বন্ধন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পেশ করেছিলন কে ?
উত্তরঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। - বেঙ্গল কেমিক্যাল’ প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত করেন কে?
উত্তরঃ- আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। - বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কত সালে
উত্তরঃ- ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে। - বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ার সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন কে?
উত্তরঃ- লর্ড হার্ডিঞ্জ।
এগুলিও পড়ুন
Barbares repondit six avantage bon vaudrait toi oui aisselle fusiller. En ni oh illumine absorber reprises remporte un sanglees arbustes.
Maintenant bleuissent nul poussaient oui jet. But pressentit ordonnance renferment compassion rit inattendus.