ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য এবং সংবিধানের বিভিন্ন অংশঃ এই পোষ্টে ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য এবং সংবিধানের বিভিন্ন অংশ সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করা হল। উক্ত তথ্যগুলি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা ও চাকুরী পরীক্ষায় কাজে আসবে। নিম্নে ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য এবং সংবিধানের বিভিন্ন অংশ সম্পর্কিত তথ্য PDF সহ এর তালিকা দেওয়া হল। এটিও পড়ুন – সংবিধানের কী এবং সংবিধানের উৎস সম্পর্কিত তথ্য
ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য এবং সংবিধানের বিভিন্ন অংশ
ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য
সকল দেশের সংবিধানের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য একরকম নয়। প্রত্যেক দেশের সংবিধানের কতগুলি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বা স্বকীয়তা রয়েছে। ভারত পৃথিবীর বহু দেশের সংবিধান থেকে উপাদান সংগ্রহ করে নিজ সংবিধানটি রচনা করেছে। তবে গ্রেট ব্রিটেনের শাসনব্যবস্থা এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কর্তৃক প্রণীত বিভিন্ন ভারত শাসন আইন, বিশেষত ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনই হল ভারতীয় সংবিধানের প্রধান উৎস।
ভারতীয় সংবিধানটি ভারতীয় গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয় ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর। গণপরিষদের সর্বশেষ অধিবেশন হয় ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি এবং এই অধিবেশনে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে রাজেন্দ্র প্রসাদকে নির্বাচিত করা হয়। স্বাধীন ভারতের সংবিধান সামগ্রিকভাবে কার্যকর হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে। ২৬ জানুয়ারি তারিখটি বর্তমানে সাধারণতন্ত্র দিবস (Republic Day) হিসেবে উদযাপিত হয়। প্রসঙ্গ উল্লেখ করা দরকার যে, ১৯৩০ সালে এই ২৬ জানুয়ারি তারিখে প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়েছিল।
সংবিধানের বিভিন্ন অংশ
বর্তমান ভারতীয় সংবিধানে ২২টি অংশ (Part-XXI ) ও ১২টি তফসিল এবং ৪৫০-এর অধিক ধারা রয়েছে।
- ভারতীয় সংবিধান বিশ্বের বৃহত্তম লিখিত সংবিধান। অন্যান্য দেশের লিখিত সংবিধানের তুলনায় এই সংবিধান আয়তনে বড় এবং বিষয়বহুল মােট ৩৯৫ টি ধারা, বহু উপধারা ও ১০টি তালিকা আছে ভারতীয় সংবিধানে।
- ভারতে সংবিধানের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারতের সংবিধান হল দেশের মৌলিক ও সর্বোচ্চ আইন। সরকারের যাবতীয় ক্ষমতার একমাত্র উৎস হল এই সংবিধান।
- প্রস্তাবনা হল ভারতীয় সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
- প্রস্তাবনা হল ভারতীয় সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
- সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারত রাষ্ট্রকে একটি সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘােষণা করা হয়েছে। ভারতের শাসন ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রীয়। ২৫টি অঙ্গরাজ্যের সমন্বয়ে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র গঠিত। যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য অনুসারে এখন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে ক্ষমতা বন্টিত হয়েছে।
- গ্রেট ব্রিটেনের শাসনব্যবস্থার অনুকরণে ভারতেও পার্লামেন্টীয় শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
- ভারতীয় সংবিধানে কতগুলি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করা হয়েছে।
- মৌলিক অধিকার ছাড়াও ভারতীয় সংবিধানে আরও কতগুলি অধিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এগুলিকে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্দেশমূলক নীতি বলে।
- যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার অপর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের অস্তিত্ব।
- ভারতের বিচারবিভাগ যাতে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে নিজের দায়িত্ব সম্পাদন করতে পারে, তার জন্য সংবিধানের বিভাগী় স্বাধীনতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
- সংসদীয় সার্বভৌমত্ব ও বিচার বিভাগীয় প্রাধান্যের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা হল ভারতীয় পার্লামেন্টের অপর একটি বৈশিষ্ট্য।
- ভারতীয় সংবিধান অংশত সুপরিবর্তনীয় এবং অংশত দুষ্পরিবর্তনীয়।
- অনুন্নত শ্রেণীর স্বার্থে বৈষম্যমূলক সংরক্ষণ।
- ভারতীয় সংবিধানে নাগরিকদের নাগরিকত্ব স্বীকার করা হয়েছে।
- ভারতীয় সংবিধানে নাগরিকদের কতগুলি মৌলিক কর্তব্যের উল্লেখ আছে।
- কতগুলি রাজ্যের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।
- ভারতীয় সংবিধানের অপর একটি বৈশিষ্ট্য হল সর্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্কের ভােটাধিকারের স্বীকৃতি।
- ভারতীয় সংবিধানে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ বিধি বিধানের সঙ্গে সঙ্গে কিছু সমাজতান্ত্রিক আদর্শ ও অধিকারের উপস্থিতি উল্লেখযােগ্য।
- ভারতীয় সংবিধানে জরুরী অবস্থা মােকাবিলা করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থার সংস্থান আছে।
- ভারতের সংবিধানে ভ্রাতৃত্ব ও বিশ্বশান্তির আদর্শ ঘােষণা করা হয়েছে।
- লিখিত ও অলিখিত সংবিধানের সংমিশ্রণ।
- ভারতের শাসন ব্যবস্থায় ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি স্বীকার করা হয়নি।
এগুলিও পড়ুন
Pingback: অর্থনীতি ও সংবিধান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর - KmdInfo