Tips Tweet | Free PC Tricks
Search ...
আজ ১৫ আগস্ট । ভারতের ৭০তম স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের এই দিনে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত। প্রায় ২০০ বছরের শাসন-শোষণের ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটে ১৫ আগস্ট। আজকের এই বিশেষ দিনে Kmdinfo এর পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিন্দন। জয় হোক মানবতার জয় হোক ভারত বর্ষের। আসুন সকলে মিলে ভালবাসি আমাদের এই দেশকে।
Malin Sarkar 19:46:00 New Google SEO Bandung, Indonesia
স্বাধীনতা দিবস হল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটি জাতীয় ছুটির দিন। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসনকর্তৃত্ব থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। তারই স্মৃতিতে প্রতি বছর ১৫ অগস্ট ভারতে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রধানত অহিংস অসহযোগ ও আইন অমান্য কর্মসূচির মাধ্যমে দীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের পর ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার সময় ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত হয়ে ভারত অধিরাজ্য ও পাকিস্তান অধিরাজ্য নামে দুটি পৃথক রাষ্ট্রের রূপে আত্মপ্রকাশ করে। এই বিভাজনের সময় ধর্মীয় দাঙ্গায় প্রচুর জীবন ও সম্পত্তি হানি ঘটেছিল। ভারত বিভাজনের ফলে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন জওহরলাল নেহেরু। এই দিন দিল্লির লাল কেল্লার লাহোরি দরজার উপর ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পর থেকে প্রতি বছরই স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় পতাকা উত্তোলন করে ভাষণ দেন।[১]
স্বাধীনতা দিবসে সারা ভারতে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি, কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ভারতীয়রা এই দিন তাঁদের পোষাক-পরিচ্ছদ, যানবাহন ও বাড়িতে জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত করেন। দেশাত্মবোধক গান ও দেশপ্রেমমূল চলচ্চিত্র সম্প্রচারিত হয়। এই দিনটি পারিবারিক পুনর্মিলন ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে একত্রে মিলিত হওয়ার একটি দিনও বটে। যে সব চলচ্চিত্র বা গ্রন্থে স্বাধীনতা ও দেশভাগের কথা রয়েছে, সেগুলিও এই দিন সম্প্রচারিত বা পঠিত হয়ে থাকে। ১৫ অগস্ট এবং তার আগের ও পরের দিনগুলিতে দেশে সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি হানার আশঙ্কা থাকে। তাই এই সময় দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখা হয়।
ইতিহাস
১৭শ শতাব্দীতে ইউরোপীয় বণিকরা ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করতে শুরু করে।.১৮শ শতাব্দীতে অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তির বলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি স্থানীয় রাজ্যগুলিকে পরাজিত করে ভারতে নিজেদের শাসন কায়েম করে। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের পর ভারত শাসন আইন (১৮৫৮) পাস হয় এবং ব্রিটিশ রাজশক্তি ভারতের প্রত্যক্ষ শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেয়। পরবর্তী কয়েক দশকে ধীরে ধীরে ভারতে সুশীল সমাজ গড়ে ওঠে। এই গড়ে ওঠার পিছনে অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি ছিল ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস।[৪][৫]:123 প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ সরকার মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার প্রভৃতি শাসনতান্ত্রিক সংস্কারে উদ্যোগী হয়। সেই সঙ্গে দমনমূলক রাওলাট আইনও পাস হয়। এর ফলে ভারতীয় আন্দোলনকারীরা স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি জানাতে থাকেন। এই সময় ভারতীয় জনসাধারণের অসন্তোষ সারা দেশব্যাপী অহিংস অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলনের জন্ম দেয়। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মোহনদাস করমচন্দ গান্ধী (মহাত্মা গান্ধী)।
১৯৩০-এর দশকে ব্রিটিশ সরকার ভারতে আংশিক স্বায়ত্তশাসন মঞ্জুর করার পর আইনসভা গঠিত হয়। এরপর নির্বাচনে কংগ্রেস জয়লাভ করে।[৫]:195–197 পরবর্তী দশকটি ভারতের ইতিহাসে একটি রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার দশক। এই দশকেই ভারত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়, কংগ্রেস সর্বশেষ বারের জন্য অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে এবং অল-ইন্ডিয়া মুসলিম লিগের ইসলামি জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে। এই রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার অবসান ঘটে ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে। তবে স্বাধীনতা লাভের আগে ভারতীয় উপমহাদেশ ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রে বিভাজিত হয়।[৫]:203
১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস ২৬ জানুয়ারি তারিখটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে এসেছে।[৯][১০] সেই সময় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জনসভার আয়োজন করা হত। সেই জনসভায় অংশগ্রহণকারীরা “স্বাধীনতার শপথ” গ্রহণ করতেন। [৮]:19–20 জওহরলাল নেহেরু তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, এই জনসভাগুলি ছিল শান্তিপূর্ণ ও ভাবগম্ভীর এবং “এই সব সভায় কোনও প্রকার ভাষণ দেওয়া হত না বা কোনও সনির্বন্ধ মিনতি জ্ঞাপন করাও হত না।”[১১] গান্ধী ভেবেছিলেন যে এই সব জনসভার সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে “...কিছু সৃজনশীল কাজও করা যায়। যেমন, চরকা কাটা, সামাজিকভাবে অস্পৃশ্যদের সেবা করা, হিন্দু-মুসলমান সমন্বয়, সরকারিভাবে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ অথবা এই সব কটি কাজই।”[১২] ১৯৪৭ সালে ভারত প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের সংবিধান কার্যকর হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি তারিখে। সেই থেকে ২৬ জানুয়ারি তারিখটি ভারতে সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
ভারতের নবনিযুক্ত ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন মনে করেন, কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে ক্রমান্বয়িক বিতর্ক অন্তর্বর্তী সরকারের পতনের কারণ হতে পারে। তাই তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি এগিয়ে আনেন।[১৭] তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের দ্বিতীয় বার্ষিকী ১৫ অগস্ট তারিখটিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের তারিখ হিসেবে নির্ধারিত করেন।[১৭] ১৯৪৭ সালের ৩ জুন ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে, সরকার ব্রিটিশ ভারতকে দুটি রাষ্ট্রে বিভক্ত করার প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে[১৬] এবং উক্ত দুই রাষ্ট্রের সরকারকে অধিরাজ্য মর্যাদা দেওয়া হবে এবং ব্রিটিশ কমনওয়েলথ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্ণ অধিকারও দেওয়া হবে। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন ১৯৪৭ (১০ অ্যান্ড ১১ জিও ৬ সি. ৩০) পাস হয়। উক্ত আইন বলে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ব্রিটিশ ভারত দ্বিধাবিভক্ত হয় এবং স্বাধীন ভারতীয় অধিরাজ্য ও পাকিস্তান অধিরাজ্য (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভূখণ্ড সহ) গঠিত হয়। দুই রাষ্ট্রেরই গণপরিষদের উপর রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ আইনি কর্তৃত্ব স্বীকৃত হয়। ১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই এই আইনটি ব্রিটিশ রাজশক্তির সম্মতি লাভ করেছিল।[১৮]
স্বাধীনতা ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসতে থাকে, পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তত বৃদ্ধি পায়। দাঙ্গা রোধে ব্রিটিশ বাহিনীর অক্ষমতার কথা মাথায় রেখে ভারতের তদনীন্তন ভাইসরয় লুইস মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি সাত মাস এগিয়ে আনেন। ১৯৪৭ সালের জুন মাসে জওহরলাল নেহেরু, আবুল কালাম আজাদ, মহম্মদ আলি জিন্নাহ, ভীমরাও রামজি আম্বেডকর প্রমুখ জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের প্রস্তাব মেনে নেন। হিন্দু ও শিখ সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি ভারতে ও মুসলমান সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যুক্ত হয়; পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশ দ্বিখণ্ডিত হয়।
লক্ষাধিক মুসলমান, শিখ ও হিন্দু শরণার্থী র্যাডক্লিফ লাইন পেরিয়ে নিরাপদ দেশে আশ্রয় নেন। পাঞ্জাবে শিখ অঞ্চলগুলি দ্বিখণ্ডিত হওয়ায় রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা হয়। বাংলা ও বিহারে মহাত্মা গান্ধীর উপস্থিতি দাঙ্গার প্রকোপ কিছুটা প্রশমিত করতে সক্ষম হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ২৫০,০০০ থেকে ৫০০,০০০ লোক সীমান্তের দুই পারের দাঙ্গায় হতাহত হয়।[২০] ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট নতুন পাকিস্তান অধিরাজ্য জন্ম নেয়। করাচিতে মহম্মদ আলি জিন্নাহ এই রাষ্ট্রের প্রথম গভর্নর-জেনারেল হিসেবে শপথ নেন। মধ্যরাতে অর্থাৎ, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট সূচিত হলে জওহরলাল নেহেরু তাঁর বিখ্যাত নিয়তির সঙ্গে অভিসার অভিভাষণটি প্রদানের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ভারতীয় ইউনিয়নের জন্ম হয়। নতুন দিল্লিতে নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী রূপে কার্যভার গ্রহণ করেন। মাউন্টব্যাটেন হন স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল।
Malin Sarkar 17:48:00 New Google SEO Bandung, Indonesia
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রধানত অহিংস অসহযোগ ও আইন অমান্য কর্মসূচির মাধ্যমে দীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের পর ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার সময় ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত হয়ে ভারত অধিরাজ্য ও পাকিস্তান অধিরাজ্য নামে দুটি পৃথক রাষ্ট্রের রূপে আত্মপ্রকাশ করে। এই বিভাজনের সময় ধর্মীয় দাঙ্গায় প্রচুর জীবন ও সম্পত্তি হানি ঘটেছিল। ভারত বিভাজনের ফলে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন জওহরলাল নেহেরু। এই দিন দিল্লির লাল কেল্লার লাহোরি দরজার উপর ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পর থেকে প্রতি বছরই স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় পতাকা উত্তোলন করে ভাষণ দেন।[১]
স্বাধীনতা দিবসে সারা ভারতে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি, কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ভারতীয়রা এই দিন তাঁদের পোষাক-পরিচ্ছদ, যানবাহন ও বাড়িতে জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত করেন। দেশাত্মবোধক গান ও দেশপ্রেমমূল চলচ্চিত্র সম্প্রচারিত হয়। এই দিনটি পারিবারিক পুনর্মিলন ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে একত্রে মিলিত হওয়ার একটি দিনও বটে। যে সব চলচ্চিত্র বা গ্রন্থে স্বাধীনতা ও দেশভাগের কথা রয়েছে, সেগুলিও এই দিন সম্প্রচারিত বা পঠিত হয়ে থাকে। ১৫ অগস্ট এবং তার আগের ও পরের দিনগুলিতে দেশে সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি হানার আশঙ্কা থাকে। তাই এই সময় দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখা হয়।
ইতিহাস
১৭শ শতাব্দীতে ইউরোপীয় বণিকরা ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করতে শুরু করে।.১৮শ শতাব্দীতে অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তির বলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি স্থানীয় রাজ্যগুলিকে পরাজিত করে ভারতে নিজেদের শাসন কায়েম করে। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের পর ভারত শাসন আইন (১৮৫৮) পাস হয় এবং ব্রিটিশ রাজশক্তি ভারতের প্রত্যক্ষ শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেয়। পরবর্তী কয়েক দশকে ধীরে ধীরে ভারতে সুশীল সমাজ গড়ে ওঠে। এই গড়ে ওঠার পিছনে অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি ছিল ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস।[৪][৫]:123 প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ সরকার মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার প্রভৃতি শাসনতান্ত্রিক সংস্কারে উদ্যোগী হয়। সেই সঙ্গে দমনমূলক রাওলাট আইনও পাস হয়। এর ফলে ভারতীয় আন্দোলনকারীরা স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি জানাতে থাকেন। এই সময় ভারতীয় জনসাধারণের অসন্তোষ সারা দেশব্যাপী অহিংস অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলনের জন্ম দেয়। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মোহনদাস করমচন্দ গান্ধী (মহাত্মা গান্ধী)।
১৯৩০-এর দশকে ব্রিটিশ সরকার ভারতে আংশিক স্বায়ত্তশাসন মঞ্জুর করার পর আইনসভা গঠিত হয়। এরপর নির্বাচনে কংগ্রেস জয়লাভ করে।[৫]:195–197 পরবর্তী দশকটি ভারতের ইতিহাসে একটি রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার দশক। এই দশকেই ভারত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়, কংগ্রেস সর্বশেষ বারের জন্য অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে এবং অল-ইন্ডিয়া মুসলিম লিগের ইসলামি জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে। এই রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার অবসান ঘটে ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে। তবে স্বাধীনতা লাভের আগে ভারতীয় উপমহাদেশ ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রে বিভাজিত হয়।[৫]:203
স্বাধীনতার আগে স্বাধীনতা দিবস
১৯২৯ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে ‘পূর্ণ স্বরাজ’ ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়[৬] এবং ২৬ জানুয়ারি তারিখটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[৬] কংগ্রেস জনসাধারণের কাছে আবেদন জানায়, যতক্ষণ না ভারত পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করছে ততক্ষণ তারা যেন আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করেন এবং “বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেস কর্তৃক প্রচারিত নির্দেশাবলি অনুসরণ করেন”।[৭] এই ধরনের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ধারণার প্রসার এবং ভারতের স্বাধীনতা অনুমোদনের জন্য ব্রিটিশ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা।[৮]:19১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস ২৬ জানুয়ারি তারিখটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে এসেছে।[৯][১০] সেই সময় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জনসভার আয়োজন করা হত। সেই জনসভায় অংশগ্রহণকারীরা “স্বাধীনতার শপথ” গ্রহণ করতেন। [৮]:19–20 জওহরলাল নেহেরু তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, এই জনসভাগুলি ছিল শান্তিপূর্ণ ও ভাবগম্ভীর এবং “এই সব সভায় কোনও প্রকার ভাষণ দেওয়া হত না বা কোনও সনির্বন্ধ মিনতি জ্ঞাপন করাও হত না।”[১১] গান্ধী ভেবেছিলেন যে এই সব জনসভার সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে “...কিছু সৃজনশীল কাজও করা যায়। যেমন, চরকা কাটা, সামাজিকভাবে অস্পৃশ্যদের সেবা করা, হিন্দু-মুসলমান সমন্বয়, সরকারিভাবে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ অথবা এই সব কটি কাজই।”[১২] ১৯৪৭ সালে ভারত প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের সংবিধান কার্যকর হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি তারিখে। সেই থেকে ২৬ জানুয়ারি তারিখটি ভারতে সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
সমসাময়িক প্রেক্ষাপট
১৯৪৬ সালে ব্রিটেনে লেবার সরকার গঠিত হয়। সদ্যসমাপ্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারের সরকারি অর্থভাণ্ডার প্রায় নিঃশেষিত হয়ে গিয়েছিল। ব্রিটিশ সরকার বুঝতে পারে, ভারতে ক্রমবর্ধমান অস্থির পরিস্থিতির মোকাবিলায় তারা স্বদেশের সম্মতি বা আন্তর্জাতিক সাহায্য তো পাবেই না, তার উপর স্থানীয় বাহিনীর উপরেও নির্ভর করতেও পারবে না।[৫]:203[১৩][১৪][১৫] ১৯৪৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি ঘোষণা করেন, ব্রিটিশ সরকার ১৯৪৮ সালের জুন মাসের মধ্যেই ভারতকে সম্পূর্ণ স্বায়ত্ত্বশাসনের অধিকার প্রদান করবে।[১৬]ভারতের নবনিযুক্ত ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন মনে করেন, কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে ক্রমান্বয়িক বিতর্ক অন্তর্বর্তী সরকারের পতনের কারণ হতে পারে। তাই তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি এগিয়ে আনেন।[১৭] তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের দ্বিতীয় বার্ষিকী ১৫ অগস্ট তারিখটিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের তারিখ হিসেবে নির্ধারিত করেন।[১৭] ১৯৪৭ সালের ৩ জুন ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে, সরকার ব্রিটিশ ভারতকে দুটি রাষ্ট্রে বিভক্ত করার প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে[১৬] এবং উক্ত দুই রাষ্ট্রের সরকারকে অধিরাজ্য মর্যাদা দেওয়া হবে এবং ব্রিটিশ কমনওয়েলথ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্ণ অধিকারও দেওয়া হবে। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন ১৯৪৭ (১০ অ্যান্ড ১১ জিও ৬ সি. ৩০) পাস হয়। উক্ত আইন বলে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ব্রিটিশ ভারত দ্বিধাবিভক্ত হয় এবং স্বাধীন ভারতীয় অধিরাজ্য ও পাকিস্তান অধিরাজ্য (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভূখণ্ড সহ) গঠিত হয়। দুই রাষ্ট্রেরই গণপরিষদের উপর রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ আইনি কর্তৃত্ব স্বীকৃত হয়। ১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই এই আইনটি ব্রিটিশ রাজশক্তির সম্মতি লাভ করেছিল।[১৮]
পটভূমি
১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাবে ব্রিটেনের রাজকোষ শূন্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় ব্রিটেনের পক্ষে অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক কোনোরকম সাহায্য লাভ অসম্ভব হয়ে পড়ে। ব্রিটেনের লেবার সরকার বুঝতে পারেই সেই পরিস্থিতে ভারতে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বা অর্থবল ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী হারিয়ে ফেলেছে।[১৩][১৯] তাঁরা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৪৭ সালের গোড়ার দিকে ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে দেন যে, ১৯৪৮ সালের জুন মাসের মধ্যে ভারতের শাসনক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।স্বাধীনতা ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসতে থাকে, পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তত বৃদ্ধি পায়। দাঙ্গা রোধে ব্রিটিশ বাহিনীর অক্ষমতার কথা মাথায় রেখে ভারতের তদনীন্তন ভাইসরয় লুইস মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি সাত মাস এগিয়ে আনেন। ১৯৪৭ সালের জুন মাসে জওহরলাল নেহেরু, আবুল কালাম আজাদ, মহম্মদ আলি জিন্নাহ, ভীমরাও রামজি আম্বেডকর প্রমুখ জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের প্রস্তাব মেনে নেন। হিন্দু ও শিখ সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি ভারতে ও মুসলমান সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যুক্ত হয়; পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশ দ্বিখণ্ডিত হয়।
লক্ষাধিক মুসলমান, শিখ ও হিন্দু শরণার্থী র্যাডক্লিফ লাইন পেরিয়ে নিরাপদ দেশে আশ্রয় নেন। পাঞ্জাবে শিখ অঞ্চলগুলি দ্বিখণ্ডিত হওয়ায় রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা হয়। বাংলা ও বিহারে মহাত্মা গান্ধীর উপস্থিতি দাঙ্গার প্রকোপ কিছুটা প্রশমিত করতে সক্ষম হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ২৫০,০০০ থেকে ৫০০,০০০ লোক সীমান্তের দুই পারের দাঙ্গায় হতাহত হয়।[২০] ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট নতুন পাকিস্তান অধিরাজ্য জন্ম নেয়। করাচিতে মহম্মদ আলি জিন্নাহ এই রাষ্ট্রের প্রথম গভর্নর-জেনারেল হিসেবে শপথ নেন। মধ্যরাতে অর্থাৎ, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট সূচিত হলে জওহরলাল নেহেরু তাঁর বিখ্যাত নিয়তির সঙ্গে অভিসার অভিভাষণটি প্রদানের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ভারতীয় ইউনিয়নের জন্ম হয়। নতুন দিল্লিতে নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী রূপে কার্যভার গ্রহণ করেন। মাউন্টব্যাটেন হন স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল।
উদযাপন
১৫ আগস্ট দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানটি জাতীয় চ্যানেল দূরদর্শনের সাহায্যে সারা দেশে সম্প্রচারিত হয়। রাজ্য রাজধানীগুলিতেও পতাকা উত্তোলন সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অন্যান্য শহরে রাজনৈতিক নেতৃবর্গ নিজ নিজ কেন্দ্রে পতাকা উত্তোলন করেন। নানা বেসরকারি সংস্থাও পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্কুল-কলেজেও পতাকা উত্তোলন ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা এই উপলক্ষে বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাজপোষাক পরে শোভাযাত্রা করে। সোর্স - Wikipedia
আজ ১৫ ই আগস্ট ( পনেরোই আগস্ট ) ৬৯ তম মহান স্বাধীনতা দিবস বা স্বতন্ত্রতা দিবস । ১৯৪৭ সালে আজকের দিনেই স্বাধীন হয়েছিল ভারতবর্ষ। আজকের তারিখেই ভারত ব্রিটিশদের অপশাসন শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছিল। সারা দেশে স্থানীয় প্রশাসন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। দেশের প্রধান অনুষ্ঠানটি হয় দিল্লির লালকেল্লায়। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পতাকা উত্তোলন করে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। সেই সঙ্গে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নেতা ও শহিদদেরও শ্রদ্ধা জানান।
শুভ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে, স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকল নেতা ও শহিদদেরও জানাই শ্রদ্ধা এবং দেশের সবাইকে জানাই স্বাধীনতা দিবস আন্তরিক শুভেচ্ছা। শুভ স্বাধীনতা দিবস। সবাইকে কম্পিউটার জগৎ এর পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেছা ।
Read more: http://www.computerjajot.com/2015/08/69th-independence-day-celebration.html#ixzz3iqWHfYpm
Malin Sarkar 19:26:00 New Google SEO Bandung, Indonesia
শুভ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে, স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকল নেতা ও শহিদদেরও জানাই শ্রদ্ধা এবং দেশের সবাইকে জানাই স্বাধীনতা দিবস আন্তরিক শুভেচ্ছা। শুভ স্বাধীনতা দিবস। সবাইকে কম্পিউটার জগৎ এর পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেছা ।
Read more: http://www.computerjajot.com/2015/08/69th-independence-day-celebration.html#ixzz3iqWHfYpm
Older Posts Home
Popular Posts
-
কালী পূজা কীঃ কালীপূজা বা শ্যামাপূজা হিন্দু দেবী কালীর পূজাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত একটি হিন্দু উৎসব। প্রধানত বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে এই উৎ...
-
আগমনী বার্তা নিউজ পোর্টাল এর পক্ষ থেকে, সকল আগমনী বার্তা পাঠক পাঠিকাদের জানাই শারদীয়া দুর্গা পূজার আন্তরিক প্রীতি ও ভালবাশা। সকলের পুজা ভাল...
-
ছট পূজাঃ ভারতবর্ষের হিন্দিভাষী হিন্দুদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পূজা ছট্ পূজা। ছট্ অর্থাৎ ছটা বা রশ্মির পূজা। এই রশ্মি সূর্য থেকেই পৃথিবীর বু...
-
বালুরঘাট তথা গোটা উত্তরবঙ্গের অন্যতম ঐতিহ্যপূর্ণ পূজা হল বোল্লা কালী পুজো। শুধু মাত্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নয় জেলা ছারিয়ে ভিন রাজ্য এমনকি ব...
-
আজ বিজয়া দশমী। বড়দের জানাই বিজয়া দশমীর প্রণাম, বন্ধুদের জানাই আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা এবং ছোটদের জানাই ভালবাসা। বিজয়া দশমী এসএমএস, বিজয়া ...
Kmdinfo FB Page