Tips Tweet | Free PC Tricks
Search ...
শিল্পী ও নির্মাতাদের দেবতা বিশ্বকর্মা। ব্রহ্মাপুত্র বিশ্বকর্মাই গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নকশা তৈরি করেন। ঈশ্বরের প্রাসাদের নির্মাতাও বিশ্বকর্মা। দেবতাদের রথ ও অস্ত্রও তৈরি করেছিলেন এই বিশ্বকর্মাই।
মহাভারত অনুযায়ী বিশ্বকর্মা হলের শিল্পকলার দেবতা, সকল দেবতার প্রাসাদ, সকল প্রকার অলঙ্কারের নির্মাতা। বিবরণ অনুযায়ী তাঁর চার বাহু, মাথায় রাজার মুকুট, হাতে জলের কলস, বই, দড়ির ফাঁস ও অপর হাতে একটি যন্ত্র।
আজ বছরের সেই দিন যে দিন ঘুড়িতে ঘুড়িতে ছেয়ে উঠেছে আকাশ। প্রতিবছর এই সময় আসেন বিশ্বকর্মা আর ছড়িয়ে দিয়ে যান একমুঠো দুর্গাপুজোর গন্ধ, একরাশ ভাললাগা। কিন্তু কে এই বিশ্বকর্মা? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
বিশ্বকর্মা পূজা কি এবং কেন পালন করা হয়?
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিশ্বকর্মা দেবতাদের শিল্পী। তিনি দেবশিল্পী নামে পরিচিত। বৃহস্পতির ভগিনী যোগসিদ্ধা তাঁর মাতা এবং অষ্টম বসু প্রভাস তাঁর পিতা। বিশ্বকর্মার বাহন হাতি।
বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃকতঞ্চ বাসনামানো দণ্ডধৃক।।
ওঁ বিশ্বকর্মণে নমঃ।
বিশ্বকর্মা পূজার কীর্তি ও স্থাপত্য
বিশ্বকর্মা লঙ্কা নগরীর নির্মাতা। তিনি বিশ্বভুবন নির্মাণ করেন। বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিব এর ত্রিশূল, কুবের এর অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকেয়র শক্তি প্রভৃতি তিনি তৈরি করেছেন। শ্রীক্ষেত্রর প্রসিদ্ধ জগন্নাথ মূর্তিও তিনি নির্মাণ করেছেন।
বিশ্বকর্মা পূজা
ভাদ্রমাসের সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মার পূজা করা হয়। সূতার-মিস্ত্রিদের মধ্যে এঁর পূজার প্রচলন সর্বাধিক। তবে বাংলাদেশে স্বর্ণকার,কর্মকার এবং দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিগণও নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পূজা করে থাকেন। সোর্স -উইকিপিডিয়া
Malin Sarkar 17:30:00 New Google SEO Bandung, Indonesia
মহাভারত অনুযায়ী বিশ্বকর্মা হলের শিল্পকলার দেবতা, সকল দেবতার প্রাসাদ, সকল প্রকার অলঙ্কারের নির্মাতা। বিবরণ অনুযায়ী তাঁর চার বাহু, মাথায় রাজার মুকুট, হাতে জলের কলস, বই, দড়ির ফাঁস ও অপর হাতে একটি যন্ত্র।
আজ বছরের সেই দিন যে দিন ঘুড়িতে ঘুড়িতে ছেয়ে উঠেছে আকাশ। প্রতিবছর এই সময় আসেন বিশ্বকর্মা আর ছড়িয়ে দিয়ে যান একমুঠো দুর্গাপুজোর গন্ধ, একরাশ ভাললাগা। কিন্তু কে এই বিশ্বকর্মা? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
বিশ্বকর্মা পূজা কি এবং কেন পালন করা হয়?
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিশ্বকর্মা দেবতাদের শিল্পী। তিনি দেবশিল্পী নামে পরিচিত। বৃহস্পতির ভগিনী যোগসিদ্ধা তাঁর মাতা এবং অষ্টম বসু প্রভাস তাঁর পিতা। বিশ্বকর্মার বাহন হাতি।
বিশ্বকর্মা পূজার মাহাত্ম্য
বিশ্বকর্মা বৈদিক দেবতা, ঋগবেদের ১০ম মণ্ডলে ৮১ এবং ৮২ সূক্তদ্বয়ে বিশ্বকর্মার উল্লেখ আছে। ঋগবেদ অনুসারে তিনি সর্বদর্শী এবং সর্বজ্ঞ। তাঁর চক্ষু, মুখমণ্ডল, বাহু ও পদ সবদিকে পরিব্যাপ্ত। তিনি বাচস্পতি, মনোজব, বদান্য, কল্যাণকর্মা ও বিধাতা অভিধায় ভূষিত। তিনি ধাতা, বিশ্বদ্রষ্টা ও প্রজাপতি।বিশ্বকর্মা পূজার ধ্যানমন্ত্র
দংশপালঃ মহাবীরঃ সুচিত্রঃ কর্মকারকঃ।বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃকতঞ্চ বাসনামানো দণ্ডধৃক।।
ওঁ বিশ্বকর্মণে নমঃ।
বিশ্বকর্মা পূজার কীর্তি ও স্থাপত্য
বিশ্বকর্মা লঙ্কা নগরীর নির্মাতা। তিনি বিশ্বভুবন নির্মাণ করেন। বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিব এর ত্রিশূল, কুবের এর অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকেয়র শক্তি প্রভৃতি তিনি তৈরি করেছেন। শ্রীক্ষেত্রর প্রসিদ্ধ জগন্নাথ মূর্তিও তিনি নির্মাণ করেছেন।
বিশ্বকর্মা পূজা
ভাদ্রমাসের সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মার পূজা করা হয়। সূতার-মিস্ত্রিদের মধ্যে এঁর পূজার প্রচলন সর্বাধিক। তবে বাংলাদেশে স্বর্ণকার,কর্মকার এবং দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিগণও নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পূজা করে থাকেন। সোর্স -উইকিপিডিয়া
পূজা সম্পর্কিত যেকোন তথ্য জানতে এখনে ক্লিক করুন।
মনসা-লৌকিক দেবী হিসেবে খ্রীষ্টপূর্ব ৩০০০অব্দে সিন্ধু সভ্যতার অন্তর্গত আদিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে যাঁর প্রচলন পরবর্তীতে পৌরাণিক দেবী হিসেবেও খ্যাত ।
পদ্মপুরাণ,দেবীভাগবত পুরাণ ও ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণসহ কয়েকটি উপপুরাণে এই দেবীর উল্লেখ রয়েছে।তবে ইতিহাসবেত্তাদের মতে,মনসা দেবীর বর্তমান মূর্তিরূপে পূজার প্রচলন ঘটে দশম-একাদশ শতকে ।সাধারণত সর্পকুলের অধিষ্ঠাত্রী দেবীরূপে প্রচলিত হলেও তাঁকে কৃষির দেবীও বলা হয়।পুরাণ মতে,মনসা জরত্কারু মুনির পত্মী,আস্তিকের মাতা এবং বাসুকির ভগিনী । ব্রহ্মার উপদেশে ঋষি বশিষ্ঠ সর্পমন্ত্রের সৃষ্টি করেন এবং তাঁর তপস্যার দ্বারা মন থেকে অধিষ্ঠাত্রী দেবীরূপে মনসার আবির্ভাব ঘটে। মন থেকে সাকার রূপ লাভ করেছেন বলে এর নাম হয়েছে মনসা । মনসাকে আবার শিব দুহিতা রূপেও কল্পনা করা হয়। মনসার অপর নাম কেতকা , বিষহরি, পদ্মাবতী প্রভৃতি।
*মনসা পূজাঃ
আষাঢ় মাসের পূর্ণিমার পর যে পঞ্চমী তিথি (শ্রাবণ)তাকে নাগপঞ্চমী বলে। নাগপঞ্চমীতে উঠানে সিজগাছ স্থাপন করে মনসা পূজা করা হয়। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণা পঞ্চমী পর্যন্ত পূজা করার বিধান আছে।বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একমাস যাবত্ পূজা করে পূজাসমাপনান্তে বিশেষভাবে পুজো করা হয় অথবা শুধুমাত্র শেষ দিনে পুরোহিত দ্বারা পূজা করা হয়।উল্লেখ্য, নাগকুল কশ্যপমুনির জাত যা সাধারণ সাপ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন যেমনঃ অনন্ত , শিষ , বাসুকি প্রভৃতি উদাহরণস্বরূপ বিষ্ণুর মস্তকের উপরে থাকে শিষ নাগ ।
*বাংলা সাহিত্যে মনসাঃ
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষার্ধে কানা হরি দত্ত রচিত মনসা মঙ্গল,নারায়নদেবের পদ্মপুরাণ,বিপ্রদাস বিপলাই রচিত মনসা বিজয় ,কেতাকদাস , ক্ষেমানন্দ প্রমুখসহ পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশের)প্রায় বাইশ জন কবি রচিত মনসাকে নিয়ে মঙ্গলকাব্য ও পালাগান তত্কালীন বাংলার আর্থ -সামাজিক প্রতিচ্ছবিকে প্রকাশ করে।
*পরিশেষঃ
ভগবান গীতায় ১০ম অধ্যায়ের ২৮-২৯ শ্লোকে বলেছেন ,সর্পের মধ্যে বাসুকি,নাগের মধ্যে তিনি অনন্ত। আবার,তিনি খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যে, আকাশ যেমন সবকিছুকে আচ্ছাদিত করে থাকলেও কোন কিছুর সাথে লেগে নেই তেমনি সবকিছুর শক্তি তাঁর ই অথচ তিনি কোনকিছুর সাথে জড়িত নন দেবী মনসার পুজো কালক্রমে বাঙালি সনাতনী সংস্কৃতির অংশ
হয়ে দাঁড়িয়েছে।কেরালা,তামিলনাড়ুসহ দক্ষিণভারতে,নেপালের কাঠমুন্ডুতে আজ নাগপঞ্চমী অন্যতম প্রধান উৎসব।বাংলাদেশে দিনাজপুর,বরিশাল সহ অনেক আদিবাসী সম্প্রদায়ের পল্লীতেও গড়ে উঠেছে অনেক মনসা দেবীর মন্দির।এমনকি বৌদ্ধ ও জৈন দর্শনেও দেওয়া হয়েছে মনসা দেবীকে বিশেষ মর্যাদা । ভগবান গীতায় বলেছেন , "যে যথা মাং প্রপদ্যন্ত...পার্থ সর্বশঃ ॥"(৪/১১)
আবার,ভগবান গীতার ৭ম অধ্যায়ের ২১-২২ নং শ্লোকে বলেছেন, "যে যে ভক্ত যেই যেই দেবতাকে পূজা করিতে চায়,সেই দেবতাকে পূজা করিবার অচলা ভক্তি আমি তাকে দিয়া থাকি।সেই ভক্ত ভক্তির সহিত সেই দেবতাকে পুঁজিয়াই ইষ্টলাভ করে।"
পূজা সম্পর্কিত আরও তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন।
তুলসী (ইংরেজি: holy basil, বা tulasī) (বৈজ্ঞানিক নাম: Ocimum Sanctum) একটি ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। তুলসী গাছ লামিয়াসি পরিবারের অন্তর্গত একটি সুগন্ধী উদ্ভিদ। হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এটি একটি পবিত্র উদ্ভিদ হিসাবে সমাদৃত। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে তুলসীকে 'সীতাস্বরূপা', স্কন্দপুরাণে 'লক্ষীস্বরূপা', চর্কসংহিতায় 'বিষ্ণুপ্রিয়া', ঋকবেদে 'কল্যাণী' বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
তুলসী দেবীর কৃপা ব্যতীত কৃষ্ণ প্রেম সম্ভব নয়। তাই তুলসী দেবীকে তুষ্ট করার জন্য নিয়মিত তুলসী সেবা আবশ্যক। কৃষ্ণ সেবায় একমাত্র তুলসী পত্র ব্যতীত অন্য কোন কিছুর প্রয়োজন হয় না। তুলসী দেবী কৃষ্ণভক্তি লাভের প্রতীক। এছাড়াও তুলসী পত্র একটি মহাঔষধি।
সর্বৌষধি রসেনৈব পূর্বমৃত মন্থনে।
সর্বোসত্ত্বোপকারায় বিষ্ণুনা তুলসী কৃতা।।
(তথাহি স্কন্ধ পুরাণ)
পরাকালে দেবাসুর হইয়া মিলিত।
সমুদ্র মন্থনে করে উৎপন্ন অমৃত।।
জীবের মঙ্গল হেতু বিষ্ণু হিতময়।
সর্বগুণা তুলসীরে উদ্ধত করয়।।
তুলসী দেবীর কৃপা ব্যতীত কৃষ্ণ প্রেম সম্ভব নয়। তাই তুলসী দেবীকে তুষ্ট করার জন্য নিয়মিত তুলসী সেবা আবশ্যক। কৃষ্ণ সেবায় একমাত্র তুলসী পত্র ব্যতীত অন্য কোন কিছুর প্রয়োজন হয় না। তুলসী দেবী কৃষ্ণভক্তি লাভের প্রতীক। এছাড়াও তুলসী পত্র একটি মহাঔষধি।
সর্বৌষধি রসেনৈব পূর্বমৃত মন্থনে।
সর্বোসত্ত্বোপকারায় বিষ্ণুনা তুলসী কৃতা।।
(তথাহি স্কন্ধ পুরাণ)
পরাকালে দেবাসুর হইয়া মিলিত।
সমুদ্র মন্থনে করে উৎপন্ন অমৃত।।
জীবের মঙ্গল হেতু বিষ্ণু হিতময়।
সর্বগুণা তুলসীরে উদ্ধত করয়।।
তুলসী মাহাত্ম্যঃ
ন বিপ্রসদৃশং পাত্র ন দানং সুরভে সমম্।
ন চ গঙ্গাসমং তীর্থং ন পত্রং তুলসী সমম্।।
অভিন্ন পত্রং হরিতাং হৃদ্যমঞ্জরী সংযুতাম্।
ক্ষীরোদার্ণব সম্ভুতাং তুলসী আপদোদ্ধার।।
(তথাহি স্কন্ধ পুরাণ )
ব্রাহ্মণ সমান পাত্র ধেনুতুল্য দান।
ধরাধামে তীর্থ নাহি গঙ্গার সমান।।
তেমনি পত্রের মধ্যে হয় শ্রেষ্ঠ তরা।
তুলসী নামেতে পত্র খ্যাত এই ধরা।।
যে তুলসী সমুদ্ভব ক্ষীরোদ সাগরে।
অচ্ছিন্ন হরিৎ পদ্ম কৃষ্ণ দান করে।।
ক্ষীরোদ সাগরে জন্ম তুলসী হরিৎ।
অচ্ছিন্ন মঞ্জুরী কৃষ্ণে হলে সমর্পিত।।
সকল আপদ নাশি মুক্ত হয় সেই।
ছিন্ন ভিন্ন পক্কপত্র তুলসী না দেই।।
ন চ গঙ্গাসমং তীর্থং ন পত্রং তুলসী সমম্।।
অভিন্ন পত্রং হরিতাং হৃদ্যমঞ্জরী সংযুতাম্।
ক্ষীরোদার্ণব সম্ভুতাং তুলসী আপদোদ্ধার।।
(তথাহি স্কন্ধ পুরাণ )
ব্রাহ্মণ সমান পাত্র ধেনুতুল্য দান।
ধরাধামে তীর্থ নাহি গঙ্গার সমান।।
তেমনি পত্রের মধ্যে হয় শ্রেষ্ঠ তরা।
তুলসী নামেতে পত্র খ্যাত এই ধরা।।
যে তুলসী সমুদ্ভব ক্ষীরোদ সাগরে।
অচ্ছিন্ন হরিৎ পদ্ম কৃষ্ণ দান করে।।
ক্ষীরোদ সাগরে জন্ম তুলসী হরিৎ।
অচ্ছিন্ন মঞ্জুরী কৃষ্ণে হলে সমর্পিত।।
সকল আপদ নাশি মুক্ত হয় সেই।
ছিন্ন ভিন্ন পক্কপত্র তুলসী না দেই।।
তুলসী জাগরণ মন্ত্রঃ
উত্তিষ্টং তুলসীদেবী গাত্রোত্থানাং কুরু যথা।
অরুণোদয় প্রাতঃ প্রীচরণে প্রণমাম্যহম্।।
অরুণোদয় প্রাতঃ প্রীচরণে প্রণমাম্যহম্।।
তুলসীর মূল লেপন মন্ত্রঃ
তুলসী নিপয়তে গঙ্গা স্থানেমেকং বারাণসী।
সেবনে পঞ্চতীর্থানি তুলসীভ্যাং নমো নমঃ।।
তুলসী ত্বং সদা ভক্তা সর্বতীর্থফলং ভবেৎ।
লেপনাৎ তব মূলঃ সর্বপাপৈ প্রমুচ্যতে।।
তন্মুলে সর্বতীর্থানি তৎপত্রে সর্বদেবতা।
তদঙ্গে সর্বপুণ্যানি কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনীং।।
সেবনে পঞ্চতীর্থানি তুলসীভ্যাং নমো নমঃ।।
তুলসী ত্বং সদা ভক্তা সর্বতীর্থফলং ভবেৎ।
লেপনাৎ তব মূলঃ সর্বপাপৈ প্রমুচ্যতে।।
তন্মুলে সর্বতীর্থানি তৎপত্রে সর্বদেবতা।
তদঙ্গে সর্বপুণ্যানি কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনীং।।
তুলসী স্নান মন্ত্রঃ
গোবিন্দবল্লভাং দেবী ভক্তচৈতন্যকরণীং।
স্নাপয়ামি জগদ্ধাত্রীং কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনীং।।
স্নাপয়ামি জগদ্ধাত্রীং কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনীং।।
তুলসী চয়ন মন্ত্রঃ
তুলস্যমৃত নামাসি সদা ত্বং কেশব প্রিয়া।
কেশবার্থে চিনোমি ত্বাং বরদা ভব শোভনে।।
তদঙ্গ সম্ভবৈ পত্রৈ পূজয়ামি যথা হরিং।
তথা কুরু পবিত্রাঙ্গি, কলৌমলবিনাশিনীম্।।
চয়ানাদ্ভব দুঃখান্তে যদ্দেবি। হৃদি বর্ততে।
তৎ ক্ষমস্ব জগন্মাতস্তুলসী! ত্বাং নমাম্যহম্।।
কেশবার্থে চিনোমি ত্বাং বরদা ভব শোভনে।।
তদঙ্গ সম্ভবৈ পত্রৈ পূজয়ামি যথা হরিং।
তথা কুরু পবিত্রাঙ্গি, কলৌমলবিনাশিনীম্।।
চয়ানাদ্ভব দুঃখান্তে যদ্দেবি। হৃদি বর্ততে।
তৎ ক্ষমস্ব জগন্মাতস্তুলসী! ত্বাং নমাম্যহম্।।
তুলসী অর্ঘ্য মন্ত্রঃ
শ্রিয়ঃ শ্রিয়ে শ্রিয়াবাসে নিত্যং শ্রীধরসৎকৃতে।
ভক্ত্যা দত্তং ময়া দেবী গ্রহাণার্ঘ্যঃ নমোহস্তুতে।।
ভক্ত্যা দত্তং ময়া দেবী গ্রহাণার্ঘ্যঃ নমোহস্তুতে।।
গন্ধ পুষ্প দেওয়ার মন্ত্রঃ
ইদং গন্ধং তুলসীদেব্যৈ নমঃ।
এতে গন্ধপুষ্পে তুলসীদেব্যৈ নমঃ।।
এতে গন্ধপুষ্পে তুলসীদেব্যৈ নমঃ।।
পূজান্তে পাঠ্যঃ
নির্মিতা ত্বং পুরা দেবৈ রচিতা ত্বং সুরাসুরৈঃ।
তুলসী হর মে পাপং পূজাং গৃহ্ন নমোহস্তুতে।।
তুলসী হর মে পাপং পূজাং গৃহ্ন নমোহস্তুতে।।
তুলসীর স্তুতিঃ
মহাপ্রসাদ জননী সর্বসৌভাগ্যবর্ধিনী।
আধিব্যাধিহরি নিত্যং তুলসী ত্বং নমোহস্তুতে।।
আধিব্যাধিহরি নিত্যং তুলসী ত্বং নমোহস্তুতে।।
তুলসীর ধ্যানঃ
তুলসী সর্বভূতানাং মহাপাতকনাশিনী।
স্বর্গাপবর্গদে দেবী বৈষ্ণবানাং প্রিয়ে সদা।।
সত্যে সত্যবতীচৈব ত্রেতায়াং মানবী তথা।
দ্বাপরে অবতীর্ণাসি বৃন্দা ত্বং তুলসী কলৌ।।
স্বর্গাপবর্গদে দেবী বৈষ্ণবানাং প্রিয়ে সদা।।
সত্যে সত্যবতীচৈব ত্রেতায়াং মানবী তথা।
দ্বাপরে অবতীর্ণাসি বৃন্দা ত্বং তুলসী কলৌ।।
তুলসীর প্রণামঃ
বৃন্দায়ৈ তুলসীদেব্যৈ প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ।
কৃষ্ণভক্তিপদে দেবী সত্যবত্যৈ নমো নমঃ।।
যা দৃষ্টা নিখিলাঘ সঙ্খ সমমী স্পষ্টা বপুঃ পাবনী।
রোগানামভিবন্দিতা নিরসনী সিক্তান্তকত্রাসিনী।।
প্রত্যাশক্তি বিধায়িনী ভগতবঃ কৃষ্ণস্য সংরোপিতা।
ন্যস্তাতচ্চরণে বিমুক্তি ফলদাতস্যৈ তুলস্যৈ নমঃ।।
কৃষ্ণভক্তিপদে দেবী সত্যবত্যৈ নমো নমঃ।।
যা দৃষ্টা নিখিলাঘ সঙ্খ সমমী স্পষ্টা বপুঃ পাবনী।
রোগানামভিবন্দিতা নিরসনী সিক্তান্তকত্রাসিনী।।
প্রত্যাশক্তি বিধায়িনী ভগতবঃ কৃষ্ণস্য সংরোপিতা।
ন্যস্তাতচ্চরণে বিমুক্তি ফলদাতস্যৈ তুলস্যৈ নমঃ।।
তুলসী চয়ন নিষিদ্ধ তত্ত্বঃ
অস্বাতা তুলসীং ছিত্বা যঃ পূজা কুরুতে নরঃ।
সোহপরাধা ভবেৎ সত্যং তৎসর্ব নিষ্ফলঃ ভবেৎ।।
ন স্নাতা তুলসীং ছিদ্যাং দেবার্থে পিতৃকর্মণি।
মাসান্তে পক্ষয়োবন্তে দ্বাদশ্রাং নিশি সন্ধ্যয়োঃ।।
তুলসীচ্ছেদনেব বিষ্ণোঃ শিরসি ছেদনম্।
বিনা স্নানে করে যদি তুলসী চয়ন।
তাহা দ্বারা করে যদি ভগবৎ অর্চন।
দেবকর্ম পিতৃকর্ম বিফলে তার যায়।
পদ্মপূরাণের মতে বর্ণিলাম তায়।।
দ্বাদশী, সংক্রান্তি, সন্ধ্যা, অমা পৌর্ণমাসী।
রাত্রি কালে কখন না তুলিবে তুলসী।।
যদিস্যাৎ কোন লোক করয়ে চয়ন।
বিষ্ণু শিরচ্ছেদ পাপ হইবে তখন।।
সোহপরাধা ভবেৎ সত্যং তৎসর্ব নিষ্ফলঃ ভবেৎ।।
ন স্নাতা তুলসীং ছিদ্যাং দেবার্থে পিতৃকর্মণি।
মাসান্তে পক্ষয়োবন্তে দ্বাদশ্রাং নিশি সন্ধ্যয়োঃ।।
তুলসীচ্ছেদনেব বিষ্ণোঃ শিরসি ছেদনম্।
বিনা স্নানে করে যদি তুলসী চয়ন।
তাহা দ্বারা করে যদি ভগবৎ অর্চন।
দেবকর্ম পিতৃকর্ম বিফলে তার যায়।
পদ্মপূরাণের মতে বর্ণিলাম তায়।।
দ্বাদশী, সংক্রান্তি, সন্ধ্যা, অমা পৌর্ণমাসী।
রাত্রি কালে কখন না তুলিবে তুলসী।।
যদিস্যাৎ কোন লোক করয়ে চয়ন।
বিষ্ণু শিরচ্ছেদ পাপ হইবে তখন।।
তুলসী আরতিঃ
নমো নমো তুলসী শ্রীকৃষ্ণের প্রেয়সী
জয় রাধাকৃষ্ণের চরণ পাব এই অভিলাষী।।
যে তোমার স্মরণ লয়…. তার বাঞ্ছা পূর্ণ হয়
তুমি কৃপা করি কর তারে বৃন্দাবনবাসী।
এই মনের অভিলাষ …. বিলাস কুঞ্জে দিও বাস
নয়নে হেরিব সদা যুগলরূপ রাশি।।
এই নিবেদন ধর…. সখীর অনুগত কর
সেবা অধিকার দিয়ে কর নিজো দাসী।।
তুমি বৃন্দে নাম ধর…. অঘটন ঘটাতে পার
কৃপা করি সিদ্ধমন্ত্র দিলা পৌর্ণমাসী।।
দীন কৃষ্ণদাসে কয়…. মোর যেন এই হয়
শ্রীরাধা-গোবিন্দ প্রেমে সদা যেন ভাঁসি।।
জয় রাধাকৃষ্ণের চরণ পাব এই অভিলাষী।।
যে তোমার স্মরণ লয়…. তার বাঞ্ছা পূর্ণ হয়
তুমি কৃপা করি কর তারে বৃন্দাবনবাসী।
এই মনের অভিলাষ …. বিলাস কুঞ্জে দিও বাস
নয়নে হেরিব সদা যুগলরূপ রাশি।।
এই নিবেদন ধর…. সখীর অনুগত কর
সেবা অধিকার দিয়ে কর নিজো দাসী।।
তুমি বৃন্দে নাম ধর…. অঘটন ঘটাতে পার
কৃপা করি সিদ্ধমন্ত্র দিলা পৌর্ণমাসী।।
দীন কৃষ্ণদাসে কয়…. মোর যেন এই হয়
শ্রীরাধা-গোবিন্দ প্রেমে সদা যেন ভাঁসি।।
তুলসী প্রদক্ষিণ মন্ত্রঃ
যানি কানি চ পাপানি, ব্রহ্মহত্যাদি কানি চ।
তৎ সর্ব্বং বিলয়ং যাতি, তুলসী! তৎপ্রদক্ষিণাৎ।।(দুই বার)
তৎ সর্ব্বং বিলয়ং যাতি, তুলসী! তৎপ্রদক্ষিণাৎ।।(দুই বার)
Older Posts Home
Popular Posts
-
ভারতীয় সময় অনুসারে ২০১৯ ভাই ফোঁটার তারিখ ও সময়, ২০১৯ ভাই ফোঁটা ক্যালেন্ডার: ভাইফোঁটা হিন্দুদের একটি উৎসব। এই উৎসবের আর এক নাম ভ্রাতৃদ্ব...
-
ভারতীয় সময় অনুসারে ২০১৮ ভাই ফোঁটার তারিখ ও সময়, ২০১৮ ভাই ফোঁটা ক্যালেন্ডার: ভাইফোঁটা হিন্দুদের একটি উৎসব। এই উৎসবের আর এক নাম ভ্রাতৃদ্ব...
-
ONGC- অয়েল অ্যান্ড নেচেরাল গ্যাস কর্পরাশন লিমিটেট ( Oil and Natural Gas Corporation Limited ) তে ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস নিয়োগ হবে। অ্যাকাউন্ট,...
-
শুভ দীপাবলি ও শ্যামা পূজার ( কালীপূজা ) প্রীতি ও অভিন্দন। এর মাত্র কয়েক প্রহর তারপরেই শুরু হতে চলেছে হিন্দুদের আলোর উৎসব অর্থাৎ দীপাবলি। দ...
-
উত্তর দিনাজপুর জেলার নামকারা কালিপূজা বলতে গেলে এককথায় কালিয়াগঞ্জের শহরের মা বয়রা কালির পুজো কেই আমারা জানি। এলাকার বর্ষীয়ান মানুষদের মত...
Kmdinfo FB Page