Tips Tweet | Free PC Tricks
Search ...
সরস্বতী পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি অন্যতম প্রচলিত পূজা। সরস্বতী দেবীকে শিক্ষা, সংগীত ও শিল্পকলার দেবী ও আশীর্বাদাত্রী মনে করা হয়। বাংলা মাঘ মাসের ৫মী তিথিতে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা, সংগীত ও শিল্পকলায় সফলতার আশায় শিক্ষার্থীরা দেবীর পূজা করে থাকে।
আজ এই পোস্টে সকল পাঠক বন্ধুদের জন্য সরস্বতী পুজার ফটো, ওয়ালপেপার ও ইমেজ, শেয়ার করা হল। - Latest Saraswati Puja HD Wallpaper
Malin Sarkar 22:17:00 New Google SEO Bandung, Indonesia
আজ এই পোস্টে সকল পাঠক বন্ধুদের জন্য সরস্বতী পুজার ফটো, ওয়ালপেপার ও ইমেজ, শেয়ার করা হল। - Latest Saraswati Puja HD Wallpaper
১০০+ সরস্বতী পুজার ফটো ও ইমেজ পেতে নিচের দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করুন।
সরস্বতী পুজার ওয়ালপেপার , ইমেজ, ও ফটো - Latest Saraswati Puja HD Wallpaper
Labels: Saraswati Puja, ওয়ালপেপার, ফটো, সরস্বতী পুজার ফটো ও ওয়ালপেপার
সরস্বতী পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি অন্যতম প্রচলিত পূজা। সরস্বতী দেবীকে শিক্ষা, সংগীত ও শিল্পকলার দেবী ও আশীর্বাদাত্রী মনে করা হয়। বাংলা মাঘ মাসের ৫মী তিথিতে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা, সংগীত ও শিল্পকলায় সফলতার আশায় শিক্ষার্থীরা দেবীর পূজা করে থাকে।
বাকদেবী, বিরাজ, সারদা, ব্রাহ্মী, শতরূপা, মহাশ্বেতা, পৃথুধর, বকেশ্বরী সহ আরো অনেক নামেই দেবী ভক্তের হৃদয়ে বিরাক করে।
পুরাণ অনুযায়ী দেবী সরস্বতী ব্রহ্মের মুখ থেকে উথ্থান। দেবীর সকল সৌন্দর্য্য ও দীপ্তির উৎস মূলত ব্রহ্মা। পঞ্চ মস্তকধারী দেবী ব্রহ্মা এক স্বকীয় নিদর্শন।
পূজার জন্য দেবী সরস্বতীর মূর্তি শ্বেত বস্র পরিধান করে থাকে যা পবিত্রতার নিদর্শন। দেবীর আসন কে পুষ্পশোভামন্ডিত করে রাখা হয়। পরিবারের সকল সদস্য খুব ভোরে স্নান শেষে পরিস্কার বস্র পরিধান করে দেবীর সামনে অবস্থান করে থাকে। পুরোহিত পূজা শুরু করবার আগ পর্যন্ত দেবীর মুখমন্ডল ঢাকা থাকে। পূজার অর্ঘ্যর পাশাপাশি দেবীর পূজার অারেকটি প্রধান অংশ ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক। সরস্বতী পূজার একটি বিশেষ অর্য্য হল পলাশ ফুল। দেবীর অঞ্জলীর জন্য এটি একটি অত্যবশ্যকীয় উপাদান।
পূজা পদ্ধতি _ গৌরমোহন দাস
দেবতা জাগ্রতকরণ :
উত্তিষ্ঠোত্তিষ্ঠ শ্রীগুরো ত্যজ নিদ্রাং কৃপাময়।
উত্তিষ্ঠোত্তিষ্ঠ গৌরাঙ্গ জহি নিদ্রাং মহাপ্রভো।
শুভদৃষ্টিপ্রদানেন ত্রৈলোক্যমঙ্গলং কুরু ॥
ঈশ্বর শ্রীহরে কৃষ্ণ দেবকীনন্দন প্রভো।
নিদ্রাং মুঞ্চ জগন্নাথ প্রভাতসময়ো ভবেৎ ॥
উত্তিষ্ঠোত্তিষ্ঠ গোবিন্দ উত্তিষ্ঠ পরমেশ্বর।
উত্তিষ্ঠ কমলাকান্ত ত্রৈলোক্যংমঙ্গলং কুরু ॥
গঙ্গা প্রণাম :
ওঁ বিষ্ণুপাদার্ঘ্যসম্ভূতে গঙ্গে ত্রিপথগামিনি।
ধর্মদ্রবীতি বিখ্যাতে পাপং মে হর জাহ্নবি॥
শ্রদ্ধয়া ভক্তি সম্পন্নে শ্রীমাতর্দেবী জাহ্নবি।
অমৃতেনাম্বুনা তব ভাগীরথি পুণীহি মাম্ ॥
অগ্নি প্রজ্বলন এবং জল শুদ্ধি :
ওঁ-কারস্য ব্রহ্ম ঋষির্গায়ত্রীচ্ছন্দেগ্নির্দেবতা সর্বকর্মারম্ভে বিনিয়োগ।
ওঁ সপ্তব্যাপহৃতিনাং প্রজাপতিঋষি গায়ত্রী-উষ্ণিগনুষ্টুপ-বৃহতি পংক্তিত্রিষ্টুপজগত্যশ্ছন্দাংসি অগ্নির্বায়ু সূর্যবরুণ বৃহস্পতিন্দ্র বিশ্বেদেবা দেবতাঃ প্রাণায়ামে বিনিয়োগঃ। গায়ত্র্যাঃ বিশ্বামিত্রঋষির্গায়ত্রিচ্ছন্দঃ সবিতা দেবতা প্রাণায়মে বিনিয়োগঃ॥
গায়ত্রী শিরস প্রজাপতিঋষির্ব্রহ্মবায়ু অগ্নি সূর্যাশ্চতস্রোদেবতাঃ প্রাণায়ামে বিনিয়োগঃ॥
আসন শুদ্ধিমন্ত্র :
ওঁ অস্য আসনমন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠঋষি সুতলং ছন্দঃ।
কূর্মো দেবতা আসনোপবেশনে বিনিয়োগঃ॥ ১
ওঁ পৃথ্বিত্বয়া ধৃত্বা লোকা দেবিত্বং বিষ্ণুনা ধৃতা।
ত্বং চ ধারায় মাং নিত্যং পবিত্রং কুরুচাসনম্॥ ২
বামে- গুরুভ্যো নমঃ, ডানে- গণেশায় নমঃ, ঊর্ধ্বে- ব্রহ্মণে নমঃ,
নিচে-অনন্তায় নমঃ, সামনে-শিবায় নমঃ।
আচমন :
(জল হাতে রেখে)
ওঁ শং নো দেবীরভিষ্টয় আপোভবন্তু পীতয়ে।
শংযোরভিস্রবন্তু ন ॥ ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু । বলে জল দ্বারা ৩ বার মুখ মার্জনা
হাত জোড় করে
ওঁ তদবিষ্ণু পরমং পদম্ সদা পশ্যন্তি সুরয়ঃ।
দিবীব চক্ষুরাততম ॥
ওঁ শঙ্খচক্রধরং বিষ্ণুং দ্বিভূজং পীতবাসসম্।
প্রারম্ভে কর্মণ কর্তা পাবনং তং স্মরেদ্ধরিম ॥
ওঁ মাধবো মাধবো বাচি মাধবো মাধবো হৃদি।
স্মরন্তি সাধবঃ সর্বে সর্বকর্মসু মাধবম্ ॥
ওঁ অপবিত্র পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোহপি বা
যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তÍÍরঃ শুচি॥ (বৃ.ভক্তিতত্ত্বসার)
তুলসী প্রণামমন্ত্র :
‘ওঁ বৃন্দায়ৈ তুলসীদেবৈ প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ।
বিষ্ণুভক্তি প্রদে দেবী সত্যবত্যৈ নমো নমঃ॥
তিলক ধারণ :
কেশবানন্ত গোবিন্দ বরাহ পুরুষোত্তম।
পুণ্য যশস্যমায়ুষ্যং তিলকং মে প্রসাদ তু ॥
চন্দন তিলক :
কান্তিং লক্ষ্মী ধৃতিং সৌম্যং সৌভাগ্যমতুলং।
দদাতু চন্দনং নিত্যং সততং ধারয়াম্যহম্ ॥
১. ললাটে কেশবায় নমঃ ২. কণ্ঠে পুরুষোত্তমায় নমঃ
৩. বাম হাতে বাসুদেবায় নমঃ ৪. ডান হাতে দামোদরায় নমঃ
৫. নাভিতে নারায়ণায় নমঃ ৬. হৃদয়ে মাধবায় নমঃ
৭. ডানপাশে গোবিন্দায় নমঃ ৮. বামপাশে ত্রিবিক্রমায় নমঃ
৯. ডান কানের মূলে মধুসূদনায় নমঃ ১০. বামকানের মূলে বিষ্ণবে নমঃ
১১. মাথার মধ্যে হৃষিকেশায় নমঃ ১২. মেরুদণ্ডে পদ্মনাভায় নমঃ
১৩. নাকের ডগায় পবনায় নমঃ ১৪. বাসুদেবায় নমঃ বলে ঘ্রাণগ্রহণ
শিখাবন্ধন :
ওঁ ব্রহ্মবাণী সহস্রাণি শিবানী শতেন চ
বিষ্ণোর্নামসহস্রেণ শিখাবন্ধনং করোম্যহম্ ॥
ওঁ ভুঃ ভুবঃ স্বঃ তৎসবির্তুবরেণ্যং ভর্গোদেবস্য ধীমহি।
ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ॥
শিখা মোচন :
ওঁ গচ্ছন্তু সকলা দেবা ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বরাঃ।
তিষ্ঠত্বত্রাচলা লক্ষ্মীঃ শিখামুক্তং করোম্যহম॥
কর শুদ্ধি :
‘ঐঁ’ মন্ত্রে ডান হাতে একটি ফুল নিয়ে ওঁ মন্ত্রে উহা দুই হাতে পেষণ করে ঈশান কোণে ফেলতে হবে।
ফুল শুদ্ধিমন্ত্র : ওঁ পুষ্পে পুষ্পে মহাপুষ্পে সুপুষ্পে পুষ্পসম্ভবে
পুষ্পচয়াবকীর্ণে চ হুঁ ফট স্বাহা।
এরপর - এতে গন্ধপুষ্পে এতদধিপতয়ে ওঁ শ্রী বিষ্ণুবে নমঃ।
এতে গন্ধেপুষ্পে এতঃ সম্প্রদানৈ ওঁ শ্রীশ্রীদেবতায় নমঃ ॥
ধূপদীপ শুদ্ধি : ওঁ এতৌ ধূপদীপৌ বং নমঃ (বলে ধূপ ও দীপে ফুল দিবেন)
শঙ্খশুদ্ধি : এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ হুং হুং হুং নমঃ মহাশঙ্খায় স্বাহা।
ঘণ্টাশুদ্ধি : এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ জয়ধ্বনি মন্ত্রমাতঃ স্বাহা।
ঘট স্থাপনমন্ত্র : ওঁ সর্বতীর্থদ্ভবং বারি সর্বদেব সমন্বিতম।
ইমং ঘটং সমারুহ্য তিষ্ঠ দেবগণৈঃ সহ॥
ওঁ স্থাং স্থীং স্থিরোভব।
ওঁ স্থিরোভব বিড়বঙ্গ আশুর্ভব বাজ্যর্বন।
পৃথুর্ভব সুষদস্তমগ্নেঃ পরীষবাহন॥
প্রাণ প্রতিষ্ঠা :
প্রতিমার হৃদয়ে আঙ্গুল রেখে
ওঁ মনোজ্যোতিজ্যোষতামাজ্যস্য বৃহস্পতির্যজ্ঞমিমং তনোত্বরিষ্ঠং যজ্ঞং সমিমং দধাতু। বিশ্বে দেবাস ইহ মাদায়ন্তা মোং প্রতিষ্ঠ ॥
ওঁ অস্যৈ প্রাণাঃ প্রতিষ্ঠন্তু অস্যৈ প্রাণাঃ ক্ষরন্তু চ। অস্যৈ দেবত্ব সিদ্ধয়ে স্বাহা॥
অর্ঘ্যজলের ছিটা দিয়ে কম পক্ষে দশবার গায়ত্রী মন্ত্র জপ:
ওঁ ভুঃ ভুবঃ স্বঃ তৎসবির্তুবরেণ্যং ভর্গোদেবস্য ধীমহি। ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াঃ॥
সামান্যার্ঘ্য স্থাপন :
পূজা করতে বসে সামনে (মাটিতে) ত্রিভুজ এঁকে তাকে ফুল-চন্দন দিয়ে পূজা করবে।
এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ অনন্তায় আধারশক্তয়ে নমঃ।
এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ প্রকৃত্যৈ নমঃ। এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ কূর্মায় নমঃ।
এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ অনন্তায় নমঃ। এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ পৃথিব্যৈ নমঃ।
কোষা প্রক্ষালন করে তার অগ্রভাগ (সরু দিক) দেবতার দিকে ত্রিকোণের উপর স্থাপন করে উহা জলপূর্ণ করে এবং অগ্রভাগে গন্ধপুষ্প, আতপতণ্ডুল, বিল্বপত্র ও দূর্বা প্রদান করতে হবে। এরপর কোষে জল স্পর্শ করে
ওঁ শন্নো আপো ধণ¡ন্যাঃ শমনঃ সন্তুনূপ্যা।
শণœঃ সমুদ্রিয়া আপঃ শমনঃ সন্তুকূপ্যাঃ ॥
ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরী সরস্বতী।
নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলেহস্মিন সন্নিধিং কুরু ॥
ওঁ কুরুক্ষেত্র গয়াগঙ্গা প্রভাস পুষ্করাণি চ।
তীর্থান্যেতানি পুণ্যানি পূজাকালে/স্নানকালে ভবন্তীহ॥
সূর্যার্ঘ্য দান :
(পূজামন্ত্র : ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্যায় নমঃ)
ওঁ নমঃ সবিত্রে জগদেকচক্ষুষে জগৎপ্রসূতিস্থিতিনাশহেতবে।
এয়ীময়ায় ত্রিগুণাত্মধারিণে বিরিঞ্চিনারায়ণ শঙ্করাত্মনে॥
ওঁ এহি সূর্য সহস্রাংশো তেজোরাশে জগৎপতে।
অনুকম্পায় মাং ভক্তং গৃহাণার্ঘং দিবাকর ॥
সূর্য প্রণাম :
ওঁ জবাকুসুম সঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম।
ধ্বন্তারিং সর্ব পাপঘœং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্॥
সংকল্প :
ওঁ তৎ সৎ, অদ্য........ ,মাসে...... .পক্ষে.....তিথ্যো ....... গোত্র মম সংকল্পিতং.......পূজনকর্মাহং ........উপাচারে/যথাসাধ্য সংকল্প মস্তু /করিষ্যামি।
দেবতাদিগকে গন্ধপুষ্পদান :
এতে গন্ধেপুষ্পে ওঁ সিদ্ধেদাত্রে শ্রীগণেশায় নমঃ।
এতে গন্ধেপুষ্পে ওঁ শ্রীলক্ষ্মীকান্তায় নারায়ণায় নমঃ।
এতে গন্ধেপুষ্পে ওঁ শিবাদি পঞ্চ দেবতাভ্যো নমঃ।
এতে গন্ধেপুষ্পে ওঁ আদিত্যাদি নবগ্রহেভ্যো নমঃ।
এতে গন্ধেপুষ্পে ওঁ ইন্দ্রাদি দশদিকপালেভ্যো নমঃ।
এতে গন্ধেপুষ্পে ওঁ মৎসাদি দশাবতারেভ্যো নমঃ।
জল দান মন্ত্র :
ওঁ ব্রহ্মণে নমঃ। ওঁ ব্রাহ্মণেভ্যো নমঃ আচার্যেভ্যো নমঃ।
ঋষিভ্যো, দেবেভ্যো, বেদেভ্যো নমঃ।
বায়বে, মৃত্যবে, বিষ্ণবে নমঃ। বিশ্রবণায়, উপজায় নমঃ।
পিতৃ-মাতৃ প্রণাম :
ওঁ পিতা স্বর্গঃ পিতা ধর্মঃ পিতাহি পরমং তপঃ।
পিতরি প্রীতিমাপন্নে প্রিয়ন্তে সর্বদেবতাঃ॥
যৎ প্রসাদাৎ জগৎদৃষ্টং পূর্ণকামো যদাশীষা।
প্রত্যক্ষ দেবতা মে তুভ্যং মাত্রে নমো নমঃ ॥
গুরু প্রণাম :
ওঁ অখণ্ডমণ্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম
তদ্পদংদর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ॥
ওঁ অজ্ঞান তিমিরান্ধ্যস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া
চক্ষুরুনমিলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ॥
গণেশ প্রণামমন্ত্র :
ওঁ দেবেন্দ্রমৌলিমন্দার মকরন্দ-কণারুণাঃ।
বিঘ্নং হরস্তু হেরম্ব চরণাম্বজরেণব্ ঃ দিবাকরম্॥
ওঁ একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননং।
বিঘ্নং নাশ্চকরং দেবং হেরম্বং প্রণাম্যাহম্॥
ওঁ সিদ্ধিদাত্রে গণেশায় সর্ববিঘ্নং প্রশান্তয়ে লেখকায় নমস্তুভ্যং দেবাগ্রযজ্ঞভাগিনে॥
শ্রীকৃষ্ণ/বিষ্ণু/নারায়ণ প্রণামমন্ত্র :
ওঁ ব্রহ্মণ্য দেবায় গো ব্রাহ্মণ হিতায় চ।
জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ ॥
ওঁ কৃষ্ণায় বাসুদেবায় হরয়ে পরমাত্মনে।
প্রণতঃ ক্লেশ নাশায় গোবিন্দায় নমো নমঃ ॥
হে কৃষ্ণ করুণাসিন্ধু দীনবন্ধু জগৎপতে।
গোপেশ গোপীকাকান্ত রাধাকান্ত নমোহস্তুতে ॥
নারায়ণ প্রণামমন্ত্র :
ওঁ ত্রৈলোক্যপূজিত শ্রীমন্ সদা বিজয়বর্ধন।
শান্তি কুরু গদাপাণে নারায়ণ নমোহস্তুতে ॥(জ্ঞানমঞ্জরী ২/১৮৭)
লক্ষ্মী ধ্যানমন্ত্র :
ওঁ পাশাক্ষ মালিকাম্ভোজ শৃণিভির্যামসৌম্যয়োঃ।
পদ্মাসনস্থাং ধ্যায়েচ্চ শ্রিয়ং ত্রৈলোক্য মাতরম্ ॥
গৌরবর্ণাং সুরূপাঞ্চ নানালঙ্কার ভুষিতাম।
রৌ´পদ্মব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তুং॥
পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র :
ওঁ নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
যা গতিস্তৎ প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াৎ ত্বর্দর্চ্চনাৎ।
এষ সচন্দন পুষ্প বিল্বপত্রাঞ্জলি ওঁ শ্রীং লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ॥
লক্ষ্মী প্রণামমন্ত্র :
ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মলয়ে শুভে।
সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোহস্তুতে ॥
লক্ষ্মী গায়ত্রীমন্ত্র :
মহালক্ষ্ম্যৈ বিদ্মহে মহাশ্রিয়ৈ ধীমহি তন্নঃ শ্রীঃ প্রচোদয়াৎ।
সরস্বতী ধ্যানমন্ত্র :
ওঁ তরুণ-শকলমিন্দোর্বিভ্রতী শুভ্রকান্তিঃ
কুচভরণমিতাঙ্গী সন্নিষণা সিতাজে।
নিজকর কমলোদ্যল্লেখনী পুস্তকশ্রীঃ
সকল বিভবসিদ্ধ্যৈ পাতু বাগ্দেবতা নমঃ॥
মন্ত্র : ওঁ সরস্বতৈ নমঃ।
সরস্বতী পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র :
ওঁ সরস্বতৈ নমো নিত্যং ভদ্রকাল্লৈ নমো নমঃ।
বেদ- বেদাঙ্গ বেদান্তÍ বিদ্যাস্থানেভ্য এব চ স্বাহা ॥
এষ স চন্দন পুষ্প বিল্বপত্রাঞ্জলিঃ ওঁ সরস্বতৈ নমঃ ॥
সরস্বতী প্রণামমন্ত্র :
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচরসারে। কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে ভগবতী ভারতী দেবী নমস্তে ॥
ওঁ সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাং দেহী নমোহস্তুতে ॥
সরস্বতী গায়ত্রীমন্ত্র : ওঁ বাগদেব্যৈ বিদ্মহে কামরাজায় ধীমহি তনো দেবী প্রচোদয়াৎ ওঁ।
লোকনাথ প্রণামমন্ত্র : নমস্তে আর্তত্রাণায় সর্বসিদ্ধি প্রদায়িণে।
নমস্তে লোকনাথায় ব্রহ্মত্মনে নমো নমঃ ॥
দেবদেবী বীজমন্ত্র জপের মন্ত্র প্রণাম/উৎসর্গের মন্ত্র
কৃষ্ণ ওঁ ক্লীং ওঁ ক্লীং কৃষ্ণঃ ওঁ ক্লীং কৃষ্ণায় নমঃ/স্বাহা
বিষ্ণু ওঁ ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণবে নমঃ/স্বাহা
নারায়ণ ওঁ ওঁ নারায়ণঃ ওঁ নারায়ণায় নমঃ/স্বাহা
গণেশ ওঁ গং ওঁ গং গণেশ ওঁ গং গণেশায় নমঃ/স্বাহা
লক্ষ্মী ওঁ শ্রীং ওঁ শ্রীং লক্ষ্মী ওঁ শ্রীং লক্ষ্মী দেব্যৈ নমঃ/স্বাহা
সরস্বতী ওঁ ঐঁং ওঁ ঐং সরস্বতী ওঁ ঐং সরস্বতী দেবৈ নমঃ/স্বাহা
শিব ওঁ ওঁ শিবঃ ওঁ শিবায় নমঃ/স্বাহা
দুর্গা ওঁ হ্রীং দুর্গাঃ ওঁ হ্রীং দুর্গাঃ ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নমঃ/স্বাহা
কালী ওঁ হ্রীং ওঁ হ্রীং কালী ওঁ হ্রীং কালীকায়ৈ নমঃ/স্বাহা
রাম ওঁ রাং ওঁ রাং রাম ওঁ রাং রামচন্দ্রায় নমঃ/স্বাহা
চণ্ডী ওঁ হ্রীং ওঁ হ্রীং চণ্ডী ওঁ হ্রীং নমশ্চণ্ডীকায়ৈ/স্বাহা
গুরু ওঁ ঐং ওঁ ঐং (অমুক) গুরু ওঁ ঐং (অমুক) গুরবে নমঃ/স্বাহা
কার্তিক ওঁ কাং ওঁ কাং কার্তিক ওঁ কাং কার্তিকেয়ায় নমঃ/স্বাহা
বনদুর্গা ওঁ হ্রীং ওঁ হ্রীং বনদুর্গা ওঁ হ্রীং বনদুর্গায়ৈ নমঃ/স্বাহা
মঙ্গলচণ্ডী ওঁ হ্রীং ওঁ হ্রীং মঙ্গলচণ্ডী ওঁ হ্রীং মঙ্গলচণ্ডিকায়ৈ নমঃ/স্বাহা
শীতলা ওঁ হ্রীং ওঁ হ্রীং শীতলা ওঁ হ্রীং শ্রী শীতলায়ৈ নমঃ/স্বাহা
সর্বদেবদেবী ওঁ ঐং হ্রীং ক্লীং ওঁ ঐং হ্রীং ক্লীং ওঁ ওঁ ঐং হ্রীং ক্লীং নমঃ/স্বাহা
শান্তিপাঠ :
মধুবাতা ঋতায়তে মধু ক্ষরন্তি সিন্ধব।
মাধ্বীর্ণ সন্তোষধীঃ॥
মধু নক্তমুতোষসো মধুমৎ পার্থিবং রজঃ। মধু দ্যৌরস্তু নঃ পিতা॥
মধুমান্নো বনস্পতি মধুমান্নোনস্তু সূর্যঃ। মাধ্বী গার্বো ভবন্তু। (ঋগে¦দ-১/৯০/৬-৮)
ওঁ দ্যৌঃ শান্তিরন্তরিক্ষং শান্তিঃ
পৃথিবী শান্তিরাপঃ শান্তি রোষধয়ঃ শান্তিঃ॥
বনস্পতয়ঃ শান্তির্বিশ্বেদেবাঃ শান্তি ব্রহ্ম শান্তিঃ
সর্বং শান্তিঃ শান্তিরেব শান্তিঃ সা মা শান্তিরেধি॥ (শুক্ল যজুর্বেদ ৩৬/১৭)
ওঁ অসতো মা সদ্গময় তমসো মা জ্যোতির্গময়
মৃত্যুর্মাহমৃতংগময় আবিরাবি র্ম এধি।
ওঁ সর্বেষাং মঙ্গলাং ভুয়াৎ সর্বে সুখিনঃ ভবন্তু
সর্বে সন্তু নিরাময়া সর্বে ভদ্রাণী পশন্তু
মা কশ্চিদ্ দুঃখ ভাক্ ভবেৎ ॥ (বৃহদারণ্যক উপনিষদ)
ওঁ স্বস্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্তি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ।
স্বস্তি ন-স্তার্ক্ষ্যােরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নো বৃহস্পতির্দধাতু ॥
ওঁ স্বস্তি, ওঁ স্বস্তি, ওঁ স্বস্তি ॥ (অথর্ববেদীয় শান্তিমন্ত্র)
ওঁ যদক্ষরং পরিভ্রষ্টং মাত্রাহীনঞ্চ যৎ ভবেৎ।
পূর্ণং ভবতু তৎ প্রসাদাৎ জনার্দন ॥
ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে।
পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে॥
ওঁ শান্তি, ওঁ শান্তি, ওঁ শান্তি ॥ (শুক্ল যজুর্বেদ)
ভোগ নিবেদন :
ভোগ নিবেদন পাত্রে একটি করে তুলসী পাতা দিতে হবে। ভোগ নিবেদন পাত্রের পাশে গ্লাসে জল দিতে হবে, কর্পূর দিতে পারলে ভাল হয়। ভোগ নিবেদনে আপনার গুরু প্রদত্ত দীক্ষামন্ত্র/পঞ্চতত্ত্ব/হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কমপক্ষে ১০ বার (প্রতি পাত্রের জন্য) জপ করুন এবং পূর্বের মতো বীজমন্ত্র উচ্চারণ করে ফুল, জল অর্পণ করুন।
নিবেদনের প্রণাম মন্ত্র :
সমানায় স্বাহা উপানায় স্বাহা
অপানায় স্বাহা ব্যানানায় স্বাহা
পস্তুরমসি স্বাহা
ভূ পতয়ে নমঃ ভূব পতয়ে নমঃ
স্ব পতয়ে নমঃ ভূভূর্বস্ব পতয়ে নমঃ
নারায়ণ শ্রীবিষ্ণবে নমঃ।
এতৎ সোপকরণামান্ননৈবেদ্যং ওঁ শ্রীশ্রীদেব /শ্রীশ্রীদেব্যৈ নমঃ (নৈবেদ্যে ফুল দিতে হবে)।
ভোগ নিবেদনের পর : বিগ্রহের বীজমন্ত্রে ধ্যানমন্ত্র অনুযায়ী ধ্যান করতে হবে (কমপক্ষে ১০ বার
পঞ্চতত্ত্ব বন্দনা :
জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ।
শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌরভক্তবৃন্দ॥
মহামন্ত্র :
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
লক্ষ্মীর পাঁচালী :
আরতী : ১. ধূপ ২.পঞ্চদীপ ৩. কর্পূরদীপ ৪. জলশঙ্খ ৫. রুমাল/পাখা (শীতে পাখা বন্ধ) ৬. পুষ্পচন্দন।
ওঁ যদক্ষরং পরিভ্রষ্টং মাত্রাহীনঞ্চ যৎ ভবেৎ।
পূর্ণং ভবতু তৎ প্রসাদাৎ জনার্দন ॥
ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে।
পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে॥
ওঁ শান্তি, ওঁ শান্তি, ওঁ শান্তি ॥ (শুক্ল যজুর্বেদ)
......................................................................................................................................................................
কালী প্রণামমন্ত্র :
ওঁ জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রাকালী কপালিনী।
দুর্গা শিবা ক্ষমাধাত্রী স্বাহা সদা নমোহস্তুতে ॥
সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোহস্তুতে॥ (শ্রীশ্রীচণ্ডী-১১/১০)
তুলসী চয়নমন্ত্র : ওঁ তুলস্যমৃতনামামি সদা ত্বং কেশবপ্রিয়ে।
কেশবার্থে চিনোমি ত্বাং বরদা ভব শোভন্ ে॥
আরতী তত্ত্ব :
১. ধূপ ক্ষিতিতত্ত্ব দেহের প্রতীক দেহ সমর্পণ।
২. পঞ্চদীপ তেজতত্ত্ব পঞ্চপ্রাণের প্রতীক পঞ্চপ্রাণ সমর্পণ
৩. কর্পূরদীপ বায়ুতত্ত্ব মন বুদ্ধির প্রতীক মনসমর্পণ।
৪. জলশঙ্খ জলতত্ত্ব স্নেহ, প্রীতির প্রতীক, হৃদয় পবিত্রতার প্রীতিসমর্পণ।
৫. বস্ত্র/রুমাল আকাশতত্ত্ব লজ্জা, ভয়াদির প্রতীক-হৃদয়পাত্র ভরা প্রীতি সমর্পণ।
৬. পুষ্পচন্দন ভক্তিমাখা আত্মসমর্পণ সর্বতোভাবে নিজেকে দান।
৭. পাখা/চামর অহংকার তত্ত্ব অহংসত্ত্বা ঈশ্বরে মিলিয়ে দেয়া।
[
(ওঁ-কার আকৃতিতে আরতী করতে হয়। শ্রীমুখে ৩ বার, বুকে ১ বার, নাভিতে ১ বার, চরণে ২ বার সর্বাঙ্গে ৭ বার মোট ১৪ বার। ১৪ বারের কম নয়, বেশি যত খুশি)
রাধাকৃষ্ণ শয়নমন্ত্র : আগচ্ছ শয়নস্থানং প্রিয়াভিঃ সহ কেশব।
দিভ্য পুষ্পাঢ্য শয্যায়াং সুখং বিহর মাধব॥
সিঁদুর পরার মন্ত্র :
ওঁ শিরোভূষণং সিন্দুরং ভর্তারায়ুর্বিবর্ধনং
সর্বরত্নাকরং দিব্যং সিন্দুরং পতিগৃহ্যতাম্ ॥
মৃত্যু সংবাদ শোনা মাত্র যে মন্ত্র বলতে হয় :
ওঁ কৃত্বাতু দুষ্কৃতং কর্মং জানতা বাপ্য জানতা।
মৃত্যুকালবশং প্রাপ্য নরং পঞ্চত্বমাগতম॥
ধর্মাধর্ম সমাযুক্তং লোভ মোহ সমাবৃতম্।
দহেয়াং সর্বগাত্রাণি দিব্যান্ লোকান্ স গচ্ছতু॥
পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্র (৩ বার পাঠসহ)
=================
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।
নমঃভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ।
বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ।।
এস স-চন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বতৈ নমঃ।।
প্রনাম মন্ত্র
=======
নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি নমোহস্তুতে।।
জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।
সরস্বতীর স্তব
=======
শ্বেতপদ্মাসনা দেবী শ্বেত পুষ্পোপশোভিতা।
শ্বেতাম্ভরধরা নিত্যা শ্বেতাগন্ধানুলেপনা।।
শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা চ শ্বেতচন্দনচর্চ্চিতা।
শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারবভূষিতা
বন্দিতা সিদ্ধগন্ধর্ব্বৈর্চ্চিতা দেবদানবৈঃ।
পূঝিতা মুনিভি: সর্ব্বৈঋষিভিঃ স্তূয়তে সদা।।
স্তোত্রেণানেন তাং দেবীং জগদ্ধাত্রীং সরস্বতীম্।
যে স্মরতি ত্রিসন্ধ্যায়ং সর্ব্বাং বিদ্যাং লভন্তি তে।।
তথ্য সুত্র - ইন্টারনেট
Malin Sarkar 09:17:00 New Google SEO Bandung, Indonesia
বাকদেবী, বিরাজ, সারদা, ব্রাহ্মী, শতরূপা, মহাশ্বেতা, পৃথুধর, বকেশ্বরী সহ আরো অনেক নামেই দেবী ভক্তের হৃদয়ে বিরাক করে।
পুরাণ অনুযায়ী দেবী সরস্বতী ব্রহ্মের মুখ থেকে উথ্থান। দেবীর সকল সৌন্দর্য্য ও দীপ্তির উৎস মূলত ব্রহ্মা। পঞ্চ মস্তকধারী দেবী ব্রহ্মা এক স্বকীয় নিদর্শন।
পূজার জন্য দেবী সরস্বতীর মূর্তি শ্বেত বস্র পরিধান করে থাকে যা পবিত্রতার নিদর্শন। দেবীর আসন কে পুষ্পশোভামন্ডিত করে রাখা হয়। পরিবারের সকল সদস্য খুব ভোরে স্নান শেষে পরিস্কার বস্র পরিধান করে দেবীর সামনে অবস্থান করে থাকে। পুরোহিত পূজা শুরু করবার আগ পর্যন্ত দেবীর মুখমন্ডল ঢাকা থাকে। পূজার অর্ঘ্যর পাশাপাশি দেবীর পূজার অারেকটি প্রধান অংশ ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক। সরস্বতী পূজার একটি বিশেষ অর্য্য হল পলাশ ফুল। দেবীর অঞ্জলীর জন্য এটি একটি অত্যবশ্যকীয় উপাদান।
পূজা পদ্ধতি _ গৌরমোহন দাস
দেবতা জাগ্রতকরণ :
উত্তিষ্ঠোত্তিষ্ঠ শ্রীগুরো ত্যজ নিদ্রাং কৃপাময়।
উত্তিষ্ঠোত্তিষ্ঠ গৌরাঙ্গ জহি নিদ্রাং মহাপ্রভো।
শুভদৃষ্টিপ্রদানেন ত্রৈলোক্যমঙ্গলং কুরু ॥
ঈশ্বর শ্রীহরে কৃষ্ণ দেবকীনন্দন প্রভো।
নিদ্রাং মুঞ্চ জগন্নাথ প্রভাতসময়ো ভবেৎ ॥
উত্তিষ্ঠোত্তিষ্ঠ গোবিন্দ উত্তিষ্ঠ পরমেশ্বর।
উত্তিষ্ঠ কমলাকান্ত ত্রৈলোক্যংমঙ্গলং কুরু ॥
গঙ্গা প্রণাম :
ওঁ বিষ্ণুপাদার্ঘ্যসম্ভূতে গঙ্গে ত্রিপথগামিনি।
ধর্মদ্রবীতি বিখ্যাতে পাপং মে হর জাহ্নবি॥
শ্রদ্ধয়া ভক্তি সম্পন্নে শ্রীমাতর্দেবী জাহ্নবি।
অমৃতেনাম্বুনা তব ভাগীরথি পুণীহি মাম্ ॥
অগ্নি প্রজ্বলন এবং জল শুদ্ধি :
ওঁ-কারস্য ব্রহ্ম ঋষির্গায়ত্রীচ্ছন্দেগ্নির্দেবতা সর্বকর্মারম্ভে বিনিয়োগ।
ওঁ সপ্তব্যাপহৃতিনাং প্রজাপতিঋষি গায়ত্রী-উষ্ণিগনুষ্টুপ-বৃহতি পংক্তিত্রিষ্টুপজগত্যশ্ছন্দাংসি অগ্নির্বায়ু সূর্যবরুণ বৃহস্পতিন্দ্র বিশ্বেদেবা দেবতাঃ প্রাণায়ামে বিনিয়োগঃ। গায়ত্র্যাঃ বিশ্বামিত্রঋষির্গায়ত্রিচ্ছন্দঃ সবিতা দেবতা প্রাণায়মে বিনিয়োগঃ॥
গায়ত্রী শিরস প্রজাপতিঋষির্ব্রহ্মবায়ু অগ্নি সূর্যাশ্চতস্রোদেবতাঃ প্রাণায়ামে বিনিয়োগঃ॥
আসন শুদ্ধিমন্ত্র :
ওঁ অস্য আসনমন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠঋষি সুতলং ছন্দঃ।
কূর্মো দেবতা আসনোপবেশনে বিনিয়োগঃ॥ ১
ওঁ পৃথ্বিত্বয়া ধৃত্বা লোকা দেবিত্বং বিষ্ণুনা ধৃতা।
ত্বং চ ধারায় মাং নিত্যং পবিত্রং কুরুচাসনম্॥ ২
বামে- গুরুভ্যো নমঃ, ডানে- গণেশায় নমঃ, ঊর্ধ্বে- ব্রহ্মণে নমঃ,
নিচে-অনন্তায় নমঃ, সামনে-শিবায় নমঃ।
আচমন :
(জল হাতে রেখে)
ওঁ শং নো দেবীরভিষ্টয় আপোভবন্তু পীতয়ে।
শংযোরভিস্রবন্তু ন ॥ ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু । বলে জল দ্বারা ৩ বার মুখ মার্জনা
হাত জোড় করে
ওঁ তদবিষ্ণু পরমং পদম্ সদা পশ্যন্তি সুরয়ঃ।
দিবীব চক্ষুরাততম ॥
ওঁ শঙ্খচক্রধরং বিষ্ণুং দ্বিভূজং পীতবাসসম্।
প্রারম্ভে কর্মণ কর্তা পাবনং তং স্মরেদ্ধরিম ॥
ওঁ মাধবো মাধবো বাচি মাধবো মাধবো হৃদি।
স্মরন্তি সাধবঃ সর্বে সর্বকর্মসু মাধবম্ ॥
ওঁ অপবিত্র পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোহপি বা
যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তÍÍরঃ শুচি॥ (বৃ.ভক্তিতত্ত্বসার)
তুলসী প্রণামমন্ত্র :
‘ওঁ বৃন্দায়ৈ তুলসীদেবৈ প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ।
বিষ্ণুভক্তি প্রদে দেবী সত্যবত্যৈ নমো নমঃ॥
তিলক ধারণ :
কেশবানন্ত গোবিন্দ বরাহ পুরুষোত্তম।
পুণ্য যশস্যমায়ুষ্যং তিলকং মে প্রসাদ তু ॥
চন্দন তিলক :
কান্তিং লক্ষ্মী ধৃতিং সৌম্যং সৌভাগ্যমতুলং।
দদাতু চন্দনং নিত্যং সততং ধারয়াম্যহম্ ॥
১. ললাটে কেশবায় নমঃ ২. কণ্ঠে পুরুষোত্তমায় নমঃ
৩. বাম হাতে বাসুদেবায় নমঃ ৪. ডান হাতে দামোদরায় নমঃ
৫. নাভিতে নারায়ণায় নমঃ ৬. হৃদয়ে মাধবায় নমঃ
৭. ডানপাশে গোবিন্দায় নমঃ ৮. বামপাশে ত্রিবিক্রমায় নমঃ
৯. ডান কানের মূলে মধুসূদনায় নমঃ ১০. বামকানের মূলে বিষ্ণবে নমঃ
১১. মাথার মধ্যে হৃষিকেশায় নমঃ ১২. মেরুদণ্ডে পদ্মনাভায় নমঃ
১৩. নাকের ডগায় পবনায় নমঃ ১৪. বাসুদেবায় নমঃ বলে ঘ্রাণগ্রহণ
শিখাবন্ধন :
ওঁ ব্রহ্মবাণী সহস্রাণি শিবানী শতেন চ
বিষ্ণোর্নামসহস্রেণ শিখাবন্ধনং করোম্যহম্ ॥
ওঁ ভুঃ ভুবঃ স্বঃ তৎসবির্তুবরেণ্যং ভর্গোদেবস্য ধীমহি।
ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ॥
শিখা মোচন :
ওঁ গচ্ছন্তু সকলা দেবা ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বরাঃ।
তিষ্ঠত্বত্রাচলা লক্ষ্মীঃ শিখামুক্তং করোম্যহম॥
কর শুদ্ধি :
‘ঐঁ’ মন্ত্রে ডান হাতে একটি ফুল নিয়ে ওঁ মন্ত্রে উহা দুই হাতে পেষণ করে ঈশান কোণে ফেলতে হবে।
ফুল শুদ্ধিমন্ত্র : ওঁ পুষ্পে পুষ্পে মহাপুষ্পে সুপুষ্পে পুষ্পসম্ভবে
পুষ্পচয়াবকীর্ণে চ হুঁ ফট স্বাহা।
এরপর - এতে গন্ধপুষ্পে এতদধিপতয়ে ওঁ শ্রী বিষ্ণুবে নমঃ।
এতে গন্ধেপুষ্পে এতঃ সম্প্রদানৈ ওঁ শ্রীশ্রীদেবতায় নমঃ ॥
ধূপদীপ শুদ্ধি : ওঁ এতৌ ধূপদীপৌ বং নমঃ (বলে ধূপ ও দীপে ফুল দিবেন)
শঙ্খশুদ্ধি : এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ হুং হুং হুং নমঃ মহাশঙ্খায় স্বাহা।
ঘণ্টাশুদ্ধি : এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ জয়ধ্বনি মন্ত্রমাতঃ স্বাহা।
ঘট স্থাপনমন্ত্র : ওঁ সর্বতীর্থদ্ভবং বারি সর্বদেব সমন্বিতম।
ইমং ঘটং সমারুহ্য তিষ্ঠ দেবগণৈঃ সহ॥
ওঁ স্থাং স্থীং স্থিরোভব।
ওঁ স্থিরোভব বিড়বঙ্গ আশুর্ভব বাজ্যর্বন।
পৃথুর্ভব সুষদস্তমগ্নেঃ পরীষবাহন॥
প্রাণ প্রতিষ্ঠা :
প্রতিমার হৃদয়ে আঙ্গুল রেখে
ওঁ মনোজ্যোতিজ্যোষতামাজ্যস্য বৃহস্পতির্যজ্ঞমিমং তনোত্বরিষ্ঠং যজ্ঞং সমিমং দধাতু। বিশ্বে দেবাস ইহ মাদায়ন্তা মোং প্রতিষ্ঠ ॥
ওঁ অস্যৈ প্রাণাঃ প্রতিষ্ঠন্তু অস্যৈ প্রাণাঃ ক্ষরন্তু চ। অস্যৈ দেবত্ব সিদ্ধয়ে স্বাহা॥
অর্ঘ্যজলের ছিটা দিয়ে কম পক্ষে দশবার গায়ত্রী মন্ত্র জপ:
ওঁ ভুঃ ভুবঃ স্বঃ তৎসবির্তুবরেণ্যং ভর্গোদেবস্য ধীমহি। ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াঃ॥
সামান্যার্ঘ্য স্থাপন :
পূজা করতে বসে সামনে (মাটিতে) ত্রিভুজ এঁকে তাকে ফুল-চন্দন দিয়ে পূজা করবে।
এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ অনন্তায় আধারশক্তয়ে নমঃ।
এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ প্রকৃত্যৈ নমঃ। এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ কূর্মায় নমঃ।
এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ অনন্তায় নমঃ। এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ পৃথিব্যৈ নমঃ।
কোষা প্রক্ষালন করে তার অগ্রভাগ (সরু দিক) দেবতার দিকে ত্রিকোণের উপর স্থাপন করে উহা জলপূর্ণ করে এবং অগ্রভাগে গন্ধপুষ্প, আতপতণ্ডুল, বিল্বপত্র ও দূর্বা প্রদান করতে হবে। এরপর কোষে জল স্পর্শ করে
ওঁ শন্নো আপো ধণ¡ন্যাঃ শমনঃ সন্তুনূপ্যা।
শণœঃ সমুদ্রিয়া আপঃ শমনঃ সন্তুকূপ্যাঃ ॥
ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরী সরস্বতী।
নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলেহস্মিন সন্নিধিং কুরু ॥
ওঁ কুরুক্ষেত্র গয়াগঙ্গা প্রভাস পুষ্করাণি চ।
তীর্থান্যেতানি পুণ্যানি পূজাকালে/স্নানকালে ভবন্তীহ॥
সূর্যার্ঘ্য দান :
(পূজামন্ত্র : ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্যায় নমঃ)
ওঁ নমঃ সবিত্রে জগদেকচক্ষুষে জগৎপ্রসূতিস্থিতিনাশহেতবে।
এয়ীময়ায় ত্রিগুণাত্মধারিণে বিরিঞ্চিনারায়ণ শঙ্করাত্মনে॥
ওঁ এহি সূর্য সহস্রাংশো তেজোরাশে জগৎপতে।
অনুকম্পায় মাং ভক্তং গৃহাণার্ঘং দিবাকর ॥
সূর্য প্রণাম :
ওঁ জবাকুসুম সঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম।
ধ্বন্তারিং সর্ব পাপঘœং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্॥
সংকল্প :
ওঁ তৎ সৎ, অদ্য........ ,মাসে...... .পক্ষে.....তিথ্যো ....... গোত্র মম সংকল্পিতং.......পূজনকর্মাহং ........উপাচারে/যথাসাধ্য সংকল্প মস্তু /করিষ্যামি।
দেবতাদিগকে গন্ধপুষ্পদান :
এতে গন্ধেপুষ্পে ওঁ সিদ্ধেদাত্রে শ্রীগণেশায় নমঃ।
এতে গন্ধেপুষ্পে ওঁ শ্রীলক্ষ্মীকান্তায় নারায়ণায় নমঃ।
এতে গন্ধেপুষ্পে ওঁ শিবাদি পঞ্চ দেবতাভ্যো নমঃ।
এতে গন্ধেপুষ্পে ওঁ আদিত্যাদি নবগ্রহেভ্যো নমঃ।
এতে গন্ধেপুষ্পে ওঁ ইন্দ্রাদি দশদিকপালেভ্যো নমঃ।
এতে গন্ধেপুষ্পে ওঁ মৎসাদি দশাবতারেভ্যো নমঃ।
জল দান মন্ত্র :
ওঁ ব্রহ্মণে নমঃ। ওঁ ব্রাহ্মণেভ্যো নমঃ আচার্যেভ্যো নমঃ।
ঋষিভ্যো, দেবেভ্যো, বেদেভ্যো নমঃ।
বায়বে, মৃত্যবে, বিষ্ণবে নমঃ। বিশ্রবণায়, উপজায় নমঃ।
পিতৃ-মাতৃ প্রণাম :
ওঁ পিতা স্বর্গঃ পিতা ধর্মঃ পিতাহি পরমং তপঃ।
পিতরি প্রীতিমাপন্নে প্রিয়ন্তে সর্বদেবতাঃ॥
যৎ প্রসাদাৎ জগৎদৃষ্টং পূর্ণকামো যদাশীষা।
প্রত্যক্ষ দেবতা মে তুভ্যং মাত্রে নমো নমঃ ॥
গুরু প্রণাম :
ওঁ অখণ্ডমণ্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম
তদ্পদংদর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ॥
ওঁ অজ্ঞান তিমিরান্ধ্যস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া
চক্ষুরুনমিলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ॥
গণেশ প্রণামমন্ত্র :
ওঁ দেবেন্দ্রমৌলিমন্দার মকরন্দ-কণারুণাঃ।
বিঘ্নং হরস্তু হেরম্ব চরণাম্বজরেণব্ ঃ দিবাকরম্॥
ওঁ একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননং।
বিঘ্নং নাশ্চকরং দেবং হেরম্বং প্রণাম্যাহম্॥
ওঁ সিদ্ধিদাত্রে গণেশায় সর্ববিঘ্নং প্রশান্তয়ে লেখকায় নমস্তুভ্যং দেবাগ্রযজ্ঞভাগিনে॥
শ্রীকৃষ্ণ/বিষ্ণু/নারায়ণ প্রণামমন্ত্র :
ওঁ ব্রহ্মণ্য দেবায় গো ব্রাহ্মণ হিতায় চ।
জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ ॥
ওঁ কৃষ্ণায় বাসুদেবায় হরয়ে পরমাত্মনে।
প্রণতঃ ক্লেশ নাশায় গোবিন্দায় নমো নমঃ ॥
হে কৃষ্ণ করুণাসিন্ধু দীনবন্ধু জগৎপতে।
গোপেশ গোপীকাকান্ত রাধাকান্ত নমোহস্তুতে ॥
নারায়ণ প্রণামমন্ত্র :
ওঁ ত্রৈলোক্যপূজিত শ্রীমন্ সদা বিজয়বর্ধন।
শান্তি কুরু গদাপাণে নারায়ণ নমোহস্তুতে ॥(জ্ঞানমঞ্জরী ২/১৮৭)
লক্ষ্মী ধ্যানমন্ত্র :
ওঁ পাশাক্ষ মালিকাম্ভোজ শৃণিভির্যামসৌম্যয়োঃ।
পদ্মাসনস্থাং ধ্যায়েচ্চ শ্রিয়ং ত্রৈলোক্য মাতরম্ ॥
গৌরবর্ণাং সুরূপাঞ্চ নানালঙ্কার ভুষিতাম।
রৌ´পদ্মব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তুং॥
পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র :
ওঁ নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
যা গতিস্তৎ প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াৎ ত্বর্দর্চ্চনাৎ।
এষ সচন্দন পুষ্প বিল্বপত্রাঞ্জলি ওঁ শ্রীং লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ॥
লক্ষ্মী প্রণামমন্ত্র :
ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মলয়ে শুভে।
সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোহস্তুতে ॥
লক্ষ্মী গায়ত্রীমন্ত্র :
মহালক্ষ্ম্যৈ বিদ্মহে মহাশ্রিয়ৈ ধীমহি তন্নঃ শ্রীঃ প্রচোদয়াৎ।
সরস্বতী ধ্যানমন্ত্র :
ওঁ তরুণ-শকলমিন্দোর্বিভ্রতী শুভ্রকান্তিঃ
কুচভরণমিতাঙ্গী সন্নিষণা সিতাজে।
নিজকর কমলোদ্যল্লেখনী পুস্তকশ্রীঃ
সকল বিভবসিদ্ধ্যৈ পাতু বাগ্দেবতা নমঃ॥
মন্ত্র : ওঁ সরস্বতৈ নমঃ।
সরস্বতী পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র :
ওঁ সরস্বতৈ নমো নিত্যং ভদ্রকাল্লৈ নমো নমঃ।
বেদ- বেদাঙ্গ বেদান্তÍ বিদ্যাস্থানেভ্য এব চ স্বাহা ॥
এষ স চন্দন পুষ্প বিল্বপত্রাঞ্জলিঃ ওঁ সরস্বতৈ নমঃ ॥
সরস্বতী প্রণামমন্ত্র :
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচরসারে। কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে ভগবতী ভারতী দেবী নমস্তে ॥
ওঁ সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাং দেহী নমোহস্তুতে ॥
সরস্বতী গায়ত্রীমন্ত্র : ওঁ বাগদেব্যৈ বিদ্মহে কামরাজায় ধীমহি তনো দেবী প্রচোদয়াৎ ওঁ।
লোকনাথ প্রণামমন্ত্র : নমস্তে আর্তত্রাণায় সর্বসিদ্ধি প্রদায়িণে।
নমস্তে লোকনাথায় ব্রহ্মত্মনে নমো নমঃ ॥
দেবদেবী বীজমন্ত্র জপের মন্ত্র প্রণাম/উৎসর্গের মন্ত্র
কৃষ্ণ ওঁ ক্লীং ওঁ ক্লীং কৃষ্ণঃ ওঁ ক্লীং কৃষ্ণায় নমঃ/স্বাহা
বিষ্ণু ওঁ ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণবে নমঃ/স্বাহা
নারায়ণ ওঁ ওঁ নারায়ণঃ ওঁ নারায়ণায় নমঃ/স্বাহা
গণেশ ওঁ গং ওঁ গং গণেশ ওঁ গং গণেশায় নমঃ/স্বাহা
লক্ষ্মী ওঁ শ্রীং ওঁ শ্রীং লক্ষ্মী ওঁ শ্রীং লক্ষ্মী দেব্যৈ নমঃ/স্বাহা
সরস্বতী ওঁ ঐঁং ওঁ ঐং সরস্বতী ওঁ ঐং সরস্বতী দেবৈ নমঃ/স্বাহা
শিব ওঁ ওঁ শিবঃ ওঁ শিবায় নমঃ/স্বাহা
দুর্গা ওঁ হ্রীং দুর্গাঃ ওঁ হ্রীং দুর্গাঃ ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নমঃ/স্বাহা
কালী ওঁ হ্রীং ওঁ হ্রীং কালী ওঁ হ্রীং কালীকায়ৈ নমঃ/স্বাহা
রাম ওঁ রাং ওঁ রাং রাম ওঁ রাং রামচন্দ্রায় নমঃ/স্বাহা
চণ্ডী ওঁ হ্রীং ওঁ হ্রীং চণ্ডী ওঁ হ্রীং নমশ্চণ্ডীকায়ৈ/স্বাহা
গুরু ওঁ ঐং ওঁ ঐং (অমুক) গুরু ওঁ ঐং (অমুক) গুরবে নমঃ/স্বাহা
কার্তিক ওঁ কাং ওঁ কাং কার্তিক ওঁ কাং কার্তিকেয়ায় নমঃ/স্বাহা
বনদুর্গা ওঁ হ্রীং ওঁ হ্রীং বনদুর্গা ওঁ হ্রীং বনদুর্গায়ৈ নমঃ/স্বাহা
মঙ্গলচণ্ডী ওঁ হ্রীং ওঁ হ্রীং মঙ্গলচণ্ডী ওঁ হ্রীং মঙ্গলচণ্ডিকায়ৈ নমঃ/স্বাহা
শীতলা ওঁ হ্রীং ওঁ হ্রীং শীতলা ওঁ হ্রীং শ্রী শীতলায়ৈ নমঃ/স্বাহা
সর্বদেবদেবী ওঁ ঐং হ্রীং ক্লীং ওঁ ঐং হ্রীং ক্লীং ওঁ ওঁ ঐং হ্রীং ক্লীং নমঃ/স্বাহা
শান্তিপাঠ :
মধুবাতা ঋতায়তে মধু ক্ষরন্তি সিন্ধব।
মাধ্বীর্ণ সন্তোষধীঃ॥
মধু নক্তমুতোষসো মধুমৎ পার্থিবং রজঃ। মধু দ্যৌরস্তু নঃ পিতা॥
মধুমান্নো বনস্পতি মধুমান্নোনস্তু সূর্যঃ। মাধ্বী গার্বো ভবন্তু। (ঋগে¦দ-১/৯০/৬-৮)
ওঁ দ্যৌঃ শান্তিরন্তরিক্ষং শান্তিঃ
পৃথিবী শান্তিরাপঃ শান্তি রোষধয়ঃ শান্তিঃ॥
বনস্পতয়ঃ শান্তির্বিশ্বেদেবাঃ শান্তি ব্রহ্ম শান্তিঃ
সর্বং শান্তিঃ শান্তিরেব শান্তিঃ সা মা শান্তিরেধি॥ (শুক্ল যজুর্বেদ ৩৬/১৭)
ওঁ অসতো মা সদ্গময় তমসো মা জ্যোতির্গময়
মৃত্যুর্মাহমৃতংগময় আবিরাবি র্ম এধি।
ওঁ সর্বেষাং মঙ্গলাং ভুয়াৎ সর্বে সুখিনঃ ভবন্তু
সর্বে সন্তু নিরাময়া সর্বে ভদ্রাণী পশন্তু
মা কশ্চিদ্ দুঃখ ভাক্ ভবেৎ ॥ (বৃহদারণ্যক উপনিষদ)
ওঁ স্বস্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্তি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ।
স্বস্তি ন-স্তার্ক্ষ্যােরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নো বৃহস্পতির্দধাতু ॥
ওঁ স্বস্তি, ওঁ স্বস্তি, ওঁ স্বস্তি ॥ (অথর্ববেদীয় শান্তিমন্ত্র)
ওঁ যদক্ষরং পরিভ্রষ্টং মাত্রাহীনঞ্চ যৎ ভবেৎ।
পূর্ণং ভবতু তৎ প্রসাদাৎ জনার্দন ॥
ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে।
পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে॥
ওঁ শান্তি, ওঁ শান্তি, ওঁ শান্তি ॥ (শুক্ল যজুর্বেদ)
ভোগ নিবেদন :
ভোগ নিবেদন পাত্রে একটি করে তুলসী পাতা দিতে হবে। ভোগ নিবেদন পাত্রের পাশে গ্লাসে জল দিতে হবে, কর্পূর দিতে পারলে ভাল হয়। ভোগ নিবেদনে আপনার গুরু প্রদত্ত দীক্ষামন্ত্র/পঞ্চতত্ত্ব/হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কমপক্ষে ১০ বার (প্রতি পাত্রের জন্য) জপ করুন এবং পূর্বের মতো বীজমন্ত্র উচ্চারণ করে ফুল, জল অর্পণ করুন।
নিবেদনের প্রণাম মন্ত্র :
সমানায় স্বাহা উপানায় স্বাহা
অপানায় স্বাহা ব্যানানায় স্বাহা
পস্তুরমসি স্বাহা
ভূ পতয়ে নমঃ ভূব পতয়ে নমঃ
স্ব পতয়ে নমঃ ভূভূর্বস্ব পতয়ে নমঃ
নারায়ণ শ্রীবিষ্ণবে নমঃ।
এতৎ সোপকরণামান্ননৈবেদ্যং ওঁ শ্রীশ্রীদেব /শ্রীশ্রীদেব্যৈ নমঃ (নৈবেদ্যে ফুল দিতে হবে)।
ভোগ নিবেদনের পর : বিগ্রহের বীজমন্ত্রে ধ্যানমন্ত্র অনুযায়ী ধ্যান করতে হবে (কমপক্ষে ১০ বার
পঞ্চতত্ত্ব বন্দনা :
জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ।
শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌরভক্তবৃন্দ॥
মহামন্ত্র :
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
লক্ষ্মীর পাঁচালী :
আরতী : ১. ধূপ ২.পঞ্চদীপ ৩. কর্পূরদীপ ৪. জলশঙ্খ ৫. রুমাল/পাখা (শীতে পাখা বন্ধ) ৬. পুষ্পচন্দন।
ওঁ যদক্ষরং পরিভ্রষ্টং মাত্রাহীনঞ্চ যৎ ভবেৎ।
পূর্ণং ভবতু তৎ প্রসাদাৎ জনার্দন ॥
ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে।
পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে॥
ওঁ শান্তি, ওঁ শান্তি, ওঁ শান্তি ॥ (শুক্ল যজুর্বেদ)
......................................................................................................................................................................
কালী প্রণামমন্ত্র :
ওঁ জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রাকালী কপালিনী।
দুর্গা শিবা ক্ষমাধাত্রী স্বাহা সদা নমোহস্তুতে ॥
সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোহস্তুতে॥ (শ্রীশ্রীচণ্ডী-১১/১০)
তুলসী চয়নমন্ত্র : ওঁ তুলস্যমৃতনামামি সদা ত্বং কেশবপ্রিয়ে।
কেশবার্থে চিনোমি ত্বাং বরদা ভব শোভন্ ে॥
আরতী তত্ত্ব :
১. ধূপ ক্ষিতিতত্ত্ব দেহের প্রতীক দেহ সমর্পণ।
২. পঞ্চদীপ তেজতত্ত্ব পঞ্চপ্রাণের প্রতীক পঞ্চপ্রাণ সমর্পণ
৩. কর্পূরদীপ বায়ুতত্ত্ব মন বুদ্ধির প্রতীক মনসমর্পণ।
৪. জলশঙ্খ জলতত্ত্ব স্নেহ, প্রীতির প্রতীক, হৃদয় পবিত্রতার প্রীতিসমর্পণ।
৫. বস্ত্র/রুমাল আকাশতত্ত্ব লজ্জা, ভয়াদির প্রতীক-হৃদয়পাত্র ভরা প্রীতি সমর্পণ।
৬. পুষ্পচন্দন ভক্তিমাখা আত্মসমর্পণ সর্বতোভাবে নিজেকে দান।
৭. পাখা/চামর অহংকার তত্ত্ব অহংসত্ত্বা ঈশ্বরে মিলিয়ে দেয়া।
[
(ওঁ-কার আকৃতিতে আরতী করতে হয়। শ্রীমুখে ৩ বার, বুকে ১ বার, নাভিতে ১ বার, চরণে ২ বার সর্বাঙ্গে ৭ বার মোট ১৪ বার। ১৪ বারের কম নয়, বেশি যত খুশি)
রাধাকৃষ্ণ শয়নমন্ত্র : আগচ্ছ শয়নস্থানং প্রিয়াভিঃ সহ কেশব।
দিভ্য পুষ্পাঢ্য শয্যায়াং সুখং বিহর মাধব॥
সিঁদুর পরার মন্ত্র :
ওঁ শিরোভূষণং সিন্দুরং ভর্তারায়ুর্বিবর্ধনং
সর্বরত্নাকরং দিব্যং সিন্দুরং পতিগৃহ্যতাম্ ॥
মৃত্যু সংবাদ শোনা মাত্র যে মন্ত্র বলতে হয় :
ওঁ কৃত্বাতু দুষ্কৃতং কর্মং জানতা বাপ্য জানতা।
মৃত্যুকালবশং প্রাপ্য নরং পঞ্চত্বমাগতম॥
ধর্মাধর্ম সমাযুক্তং লোভ মোহ সমাবৃতম্।
দহেয়াং সর্বগাত্রাণি দিব্যান্ লোকান্ স গচ্ছতু॥
পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্র (৩ বার পাঠসহ)
=================
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।
নমঃভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ।
বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ।।
এস স-চন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বতৈ নমঃ।।
প্রনাম মন্ত্র
=======
নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি নমোহস্তুতে।।
জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।
সরস্বতীর স্তব
=======
শ্বেতপদ্মাসনা দেবী শ্বেত পুষ্পোপশোভিতা।
শ্বেতাম্ভরধরা নিত্যা শ্বেতাগন্ধানুলেপনা।।
শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা চ শ্বেতচন্দনচর্চ্চিতা।
শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারবভূষিতা
বন্দিতা সিদ্ধগন্ধর্ব্বৈর্চ্চিতা দেবদানবৈঃ।
পূঝিতা মুনিভি: সর্ব্বৈঋষিভিঃ স্তূয়তে সদা।।
স্তোত্রেণানেন তাং দেবীং জগদ্ধাত্রীং সরস্বতীম্।
যে স্মরতি ত্রিসন্ধ্যায়ং সর্ব্বাং বিদ্যাং লভন্তি তে।।
তথ্য সুত্র - ইন্টারনেট
উপবেশন ও আসন
সকালে স্নান-আহ্নিক সেরে ইষ্টমন্ত্র জপ বা স্তব পাঠ করতে করতে পূজাস্থলে গিয়ে শুদ্ধাসনে পূর্বমুখে বা উত্তরমুখে বসবেন।
আচমন
গোকর্ণাকৃতি ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলের গোড়ায় মাষকলাই ডুবতে পারে এমন পরিমাণ জল নিয়ে ‘ওঁ বিষ্ণু’ মন্ত্রে তিনবার পান করে ডান
অঙ্গুষ্ঠের মূল দেশ দিয়ে মিলিত ঠোঁটদুটি ডান থেকে বামে দু’বার মার্জনা করবে ও হাত ধুয়ে ফেলবে।
এবারে তর্জনী, মধ্যমা ও অনামিকার মিলিত অগ্রভাগ দ্বারা ওষ্ঠ ও অধর স্পর্শ করবে। এভাবে অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জনীর মিলিত অগ্রভাগ দিয়ে
ডান ও বাম নাসাপুট, অঙ্গুষ্ঠ ও অনামিকার মিলিত অগ্রভাগ দিয়ে প্রথমে ডান ও পরে বাম চোখ, তারপরে ডান ও বাম কান ছোঁবে।
এরপরে অঙ্গুষ্ঠ ও কনিষ্ঠার অগ্রভাগ দিয়ে নাভি স্পর্শ করবে ও হাত ধুয়ে ফেলবে।
অতঃপর করতল দিয়ে হৃদয়, সমস্ত আঙ্গুলের অগ্রভাগ দিয়ে মাথা এবং ডান ও বাম বাহুমূল স্পর্শ করবে ও হাত ধুয়ে হাত জোড় করে
পাঠ করবেঃ
ওঁ তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ
দিবীব চক্ষুরাততম্।
ওঁ অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোহপি বা
যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।
গন্ধাদির অর্চনা- ‘ওঁ এতেভ্যো গন্ধাদিভ্যো নমঃ’ -মন্ত্রে পুষ্পপাত্রে সাজানো গন্ধ ও পুষ্পাদিতে জলের দ্বারা তিনবার প্রোক্ষণ ( চিৎ হাতে
জলের ছিটা ) করবে। পরে গন্ধপুষ্প নিয়ে ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতেভ্যো গন্ধাদিভ্যো নমঃ’ বলে পুষ্পপাত্রে দিবে এবং হাতে এক একটি
গন্ধপুষ্প নিয়ে নিচের এক একটি মন্ত্র বলে বলে গন্ধপুষ্প তাম্রকুণ্ডে দিয়ে দিয়ে পূজা করবে।
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতদধিপতয়ে দেবায় শ্রীবিষ্ণবে নমঃ’;
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতৎসম্প্রদানেভ্যঃ পূজনীয়দেবতাভ্যো নমঃ’;
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীগুরবে নমঃ’;
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে গণেশাদিপঞ্চদেবতাভ্যো নমঃ’;
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে নমো নারায়ণায় নমঃ’;
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে ব্রাহ্মণেভ্যো নমঃ’।
সূর্যার্ঘ্য- কুশীতে জল, রক্তপুষ্প, রক্তচন্দন, আতপ চাল, যব, তিল, সরিষা, কুশের অগ্র ও দুর্বা নিয়ে নিম্নোক্ত মন্ত্রে নিবেদন করবেঃ
‘ওঁ নমো বিবস্বতে ব্রহ্মন্ ভাস্বতে বিষ্ণুতেজসে।
জগৎসবিত্রে শুচয়ে সবিত্রে কর্মদায়িনে।
এষোহর্ঘ্যঃ শ্রীসূর্যায় নমঃ’- মন্ত্রে সন্মুখস্থ বাণেশ্বরাদি যন্ত্রের উপর দিবে ও নিচের মন্ত্রে প্রণাম করবে-
ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্ ।
ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্।
[ জ্ঞাতব্যঃ রক্তপুষ্প, রক্তচন্দন, আতপ চাল, যব, তিল, সরিষা, কুশের অগ্র ও দুর্বা সকল দেবতা বিষয়ক অর্ঘ্যেই প্রদান করা যায়।
অন্যান্য দ্রব্যের অভাব হলে শুধু আতপ চাল ও দুর্বা দ্বারা প্রদান করা যায়। ]
স্বস্তিবাচন- ‘ওঁ কর্তব্যেহস্মিন্ লক্ষ্ম্যাদি দেবতা সহিত সরস্বতীপূজাকর্মণি ওঁ পুণ্যাহং ভবন্তো ব্রুবন্তু’। পরে ‘ওঁ পুণ্যাহং’ তিনবার বলতে বলতে
ঘণ্টাবাদনপূর্বক আতপ চাল ছড়াবে।
‘ওঁ কর্তব্যেহস্মিন্ লক্ষ্ম্যাদি দেবতা সহিত সরস্বতীপূজাকর্মণি ওঁ স্বস্তি ভবন্তো ব্রুবন্তু’। পরে ‘ওঁ স্বস্তি’ তিনবার বলতে বলতে ঘণ্টাবাদনপূর্বক
আতপ চাল ছড়াবে।
‘ওঁ কর্তব্যেহস্মিন্ লক্ষ্ম্যাদি দেবতা সহিত সরস্বতীপূজাকর্মণি ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তো ব্রুবন্তু’। পরে ‘ওঁ ঋদ্ধ্যতাম্’ তিনবার বলতে বলতে
ঘণ্টাবাদনপূর্বক আতপ চাল ছড়াবে। পরে নিম্নোক্ত মন্ত্রপাঠ ও ঘণ্টাবাদনসহ আতপ চাল ছড়াবেঃ
ওঁ স্বন্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্তি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ ।
স্বস্তি নস্তার্ক্ষো অরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নো বৃহস্পতির্দধাতু।
ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি।
তারপর করজোড়ে পাঠ করবে-
ওঁ সূর্যঃ সোমো যমঃ কালঃ সন্ধ্যে ভূতান্যহঃ ক্ষপা।
পবনো দিকপতির্ভূমিরাকাশং খচরামরাঃ।
ব্রাহ্ম্যং শাসনমাস্থায় কল্পধ্বমিহ সন্নিধিম্।
ওঁ তৎসৎ অয়মারম্ভঃ শুভায় ভবতু।
সঙ্কল্প- তাম্রপাত্রে ( কুশীতে ) মূল ও অগ্রভাগের সহিত তিনটি কুশ, তিল, তুলসী, হরিতকী, গন্ধ, পুষ্প, আতপ চাল ও জল নিয়ে
বীরাসনে (দক্ষিণ জানু পেতে ) পূর্বমুখী ( বা উত্তরমুখী ) বসবে। বাম করতলে কুশী স্থাপন করে দক্ষিণ করতল দ্বারা আচ্ছাদনপূর্বক পাঠ
করবেঃ
বিষ্ণুরোম্ তৎসদদ্য মাঘে মাসি মকর রাশিস্থে ভাস্করে শুক্লে পক্ষে পঞ্চম্যান্তিথৌ অমুকগোত্রঃ শ্রীঅমুকদেবশর্মা ( পরার্থে- অমুকগোত্রস্য
অমুকদেবশর্মণঃ ) [অমুকগোত্রঃ শ্রীঅমুকঃ
(যজমানের গোত্র ও নাম)] সরস্বতী প্রীতিকামনায়া গণপত্যাদি নানাদেবতাপূজাপূর্বক-লক্ষ্মী-মস্যাধার-লেখনী-সহিত সরস্বতী পূজাকর্ম অহং
করিষ্যে ( পরার্থে- করিষ্যামি )।
পরে হাতের পাত্রটি ঈশান কোণে উপুড় করে রেখে তার উপর নিম্নোক্ত মন্ত্রে আতপ চাল ছড়াবে এবং ঘণ্টা বাজাবে-
ওঁ যজ্জাগ্রতো দূরমুদৈতি দৈবং তদু সুপ্তস্য তথৈবৈতি।
দূরঙ্গমং জ্যোতিষাং জ্যোতিরেকং তন্মে মনঃ শিবসঙ্কল্পমস্তু।
অতঃপর করজোড়ে পাঠ করবে-
ওঁ সঙ্কল্পিতার্থাঃ সিধ্যন্তু সিদ্ধাঃ সন্তু মনোরথাঃ।
ভক্তিজ্ঞানোদয়ায় অয়মারম্ভঃ শুভায় ভবতু।
হরিঃ ওঁ তৎসৎ।
ঘটস্থাপন- অতঃপর নিম্নোক্ত রীতিতে সংক্ষেপে ঘটস্থাপন করা যেতে পারে। ভূমিতে সর্বতোভদ্রমণ্ডল অথবা ভূপুরমধ্যগত অষ্টদল পদ্ম এঁকে
অঞ্জলি পরিমান শুক্ল্যধান্যের ওপর ঘট বসাবে। ঘট মধ্যে জল, সোনা ও ঘটোপরি আম্রপল্লব বসিয়ে তদুপরি একটি সশীষ ডাব অথবা কলা
বা হরীতকী স্থাপন করবে। সম্ভব হলে ফলটি বস্ত্রখণ্ডে আচ্ছাদিত করে তদুপরি একটি অর্ঘ্য (বিল্বপত্র, গন্ধপুষ্প, দুর্বা ও আতপ চাল)
সাজিয়ে দিবে। ঘটগাত্রে সিন্দুর দিয়ে একটি স্বস্তিক বা পুত্তলিকা অঙ্কন করবে। অনন্তর করজোড়ে পাঠ করবে-
ওঁ সর্বতীর্থোদ্ভবং বারি সর্বদেবসমন্বিতম।
ইমং ঘটং সমারুহ্য তিষ্ঠ দেবি গণৈঃ সহ।
ঘটস্পর্শ করে পাঠ করবে- ওঁ স্থাং স্থীং স্থিরো ভব। বৈদিক গায়ত্রী- ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ তৎ সবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো দেবস্য ধীমহি ধিয়ো যো নঃ
প্রচোদয়াৎ ওঁ।। -এই মন্ত্রও ঘট স্পর্শ করে তিনবার পাঠ করবে।
সামান্যার্ঘ্যস্থাপন- নিজের সামনে একটু বামদিকের ভূমিতে অধোমুখ ত্রিকোণ (পুং দেবতা হলে উর্ধমুখ), বৃত্ত ও চতুর্ভুজ মণ্ডল এঁকে তদুপরি
পূজা করবে-
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্তাদিভ্যো নমঃ।
পরে ‘ফট্’ মন্ত্রে কোশা ধুয়ে মণ্ডলোপরি স্থাপন করে ‘নমঃ’ মন্ত্রে জলপূর্ণ করবে এবং ‘ওঁ’ মন্ত্রে কোশার অগ্রভাগে একটি অর্ঘ্য (বিল্বপত্র,
গন্ধপুষ্প, দুর্বা ও আতপ চাল) সাজিয়ে দিবে। ‘ওঁ’ মন্ত্রে দূর্বা, অক্ষত বিল্বপত্র, চন্দন, পুষ্প, তুলসীপত্র, আতপ চাল কোশার জলে নিক্ষেপ
করবে। পরে অঙ্কুশ মুদ্রায় জল স্পর্শ করে নিম্নোক্ত মন্ত্রে সূর্যমণ্ডল হতে তীর্থ আবাহন করবে-
ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতি।
নর্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেহস্মিন্ সন্নিধিং কুরু।।
অতঃপর ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে তীর্থেভ্যো নমঃ’ মন্ত্রে জলে তীর্থপূজা করে ‘হূঁ’ মন্ত্রে অবগুণ্ঠন মুদ্রা ও ‘বং’ মন্ত্রে ধেনুমুদ্রা প্রদর্শনপূর্বক
মৎস্যমুদ্রায় জল আচ্ছাদন করে ১০ বার ‘ওঁ’ মন্ত্র জপ করবে। এরপর সামান্যার্ঘ্যের জল নিজের মাথায় ও দ্বারদেশে ছিটিয়ে দিয়ে
দ্বারদেবতার পূজা করবে।
দ্বারদেবতাপূজা- ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে দ্বারদেবতাভ্যো নমঃ (নৈঋতকোণে); তাম্রকুণ্ডে- ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে ব্রহ্মণে নমঃ; ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে
বাস্তুপুরুষায় নমঃ।
ভূতাপসারণ- ‘ফট্’ মন্ত্র আতপ চালে সাতবার জপ করে তা ঘন্টাবাদন করতে করতে নিম্নোক্ত মন্ত্রে নারাচ মুদ্রায় চারদিকে ছড়াবে-
ওঁ সর্ববিঘ্নানুৎসারয় হূঁ ফট্ স্বাহা।
ওঁ অপসর্পন্তু তে ভূতা যে ভূতা ভুবি সংস্থিতাঃ।
যে ভূতা বিঘ্নকর্তারস্তে নশ্যন্তু শিবাজ্ঞয়া।।
ভূমিশুদ্ধি- ‘ওঁ রক্ষ রক্ষ হূঁ ফট্ স্বাহা’-মন্ত্রে মুষ্টি-নিঃসৃত জল ভূমিতে নিক্ষেপ করবে।
আসনশুদ্ধি- স্ববামে আসনের নিম্নবর্তী ভূমিতে ত্রিকোণ মণ্ডল এঁকে ‘ওঁ হ্রীঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্ত্যাদিভ্যো নমঃ’ –মন্ত্রে মণ্ডল পূজা
করবে। অতঃপর আসন স্পর্শ করে পাঠ করবে- ‘ওঁ অস্য আসনোপবেশনমন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠ ঋষিঃ সুতলং ছন্দঃ কূর্মো দেবতা আসনোপবেশনে
বিনিয়োগঃ’। পরে কৃতাঞ্জলিপূর্বক পাঠ-
ওঁ পৃথ্বি ত্বয়া ধৃতা লোকা দেবি ত্বং বিষ্ণুনা ধৃতা।
ত্বঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্রং কুরু চাসনম্ ।।
অতঃপর আসনের উপর ত্রিকোণ মণ্ডল এঁকে ‘হ্রীঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্তয়ে কমলাসনায় নমঃ’- মন্ত্রে ঐ মণ্ডল গন্ধপুষ্প দ্বারা পূজা করবে।
গুরুপ্রণাম- হাত জোড় করে প্রণাম করবে। বামকর্ণোর্ধ্বে- ঐঁ গুরুভ্যো নমঃ; তদূর্ধ্বে- ঐঁ পরমগুরুভ্যো নমঃ; তদূর্ধ্বে- ঐঁ পরাপরগুরুভ্যো
নমঃ; তদূর্ধ্বে- ঐঁ পরমেষ্ঠিগুরুভ্যো নমঃ; দক্ষিণকর্ণোর্ধ্বে- ওঁ গণেশায় নমঃ; মধ্যে অর্থাৎ ললাটে বা হৃদয়ে- ওঁ ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ।
করশুদ্ধি- ‘হেঁসৌঃ’ মন্ত্রে একটি সচন্দন রক্তবর্ণ পুষ্প নিয়ে ‘আং হূং ফট্ স্বাহা’ মন্ত্রে উভয় করতল দিয়ে মর্দন করে বাম হাতের নারাচ মুদ্রায়
সেই ফুলটিকে মাথার চারদিকে ‘ক্লীং’ মন্ত্রে ঘুরিয়ে ‘ঐং’ মন্ত্রে ঘ্রাণ নিয়ে ‘ফট্’ মন্ত্রে ঈশানকোণে নিক্ষেপ করবে।
পুষ্পশুদ্ধি- ‘ওঁ শতাভিষেক হূঁ ফট্ স্বাহা’ মন্ত্রে পুষ্পে জলের ছিটা দিয়ে ‘ওঁ পুষ্পে পুষ্পে মহাপুষ্পে সুপুষ্পে পুষ্পসম্ভবে পুষ্পচয়াবকীর্ণে চ হূঁ
ফট্ স্বাহা’ মন্ত্রে পুষ্প স্পর্শ করে শোধন করবে।
ত্রিবিধ বিঘ্নাপসারণ- ‘ওঁ ঐঁ’ মন্ত্র উচ্চারণ করে ঊর্ধ্বে দৃষ্টিপাতকরতঃ দিব্যবিঘ্নাপসারণ করবে। তারপর তর্জনী ও মধ্যমা দ্বারা বাম করতলে
ঊর্ধ্ব ঊর্ধ্ব ক্রমে তালত্রয় দিয়ে দক্ষিণ হস্তের অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জনী দ্বারা পূর্বদিক থেকে আরম্ভ করে ঈশানকোণ পর্যন্ত এবং অধঃ ও ঊর্ধ্ব- এই
দশ দিকে ‘ফট্’ মন্ত্রে তুড়ি দিয়ে দিগবন্ধন করবে। তারপর ‘ফট্’ মন্ত্রে বামপায়ের গোড়ালি দ্বারা ভূমিতে তিনবার আঘাত করে ভূমিবিঘ্ন
অপসারণ করে ‘অস্ত্রায় ফট্’ মন্ত্রে ঊর্ধ্বদিকে জলের ছিটা দিয়ে অন্তরিক্ষবিঘ্ন দূর করবে।
দেবতা ও পূজাদ্রব্যশুদ্ধি- ‘ওঁ ঐং ফট্’ মন্ত্রে দেবতা ও পূজাদ্রব্য সামান্যার্ঘ্যের জলে তিনবার প্রোক্ষণ (জলের ছিটা) করবে ও ধেনুমুদ্রা
দেখাবে আর ভাবনা করবে যে সকলই চিন্ময়, ঈশ্বরময়।
মন্ত্রশুদ্ধি- ‘অং হ্রীং অং; কং হ্রীং কং; চং হ্রীং চং; টং হ্রীং টং; তং হ্রীং তং; পং হ্রীং পং; যং হ্রীং যং; শং হ্রীং শং’ –এই মন্ত্র একবার জপ
করবে।
বহ্নিপ্রাকারচিন্তা-
‘রং’ মন্ত্রে নিজের চারদিকে বৃত্তাকার জলধারা দিয়ে আগুনের প্রাচীর চিন্তা করবে।
দেহমার্জন ও আত্মরক্ষা- ‘ওঁ ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ’ মন্ত্রে করতলদ্বয় দ্বারা নিজদেহ মার্জনা করে হৃদয়ে হাত দিয়ে পাঠ করবে- ওঁ দুর্গে দুর্গে
রক্ষিণি স্বাহা। ওঁ আং হূঁ ফট্ স্বাহা।
প্রাণায়াম- ডান হাতের তর্জনী ও মধ্যমা মুষ্ঠিবদ্ধ করে অঙ্গুষ্ঠ দিয়ে ডান নাসা টিপে বন্ধ করে বাম নাসাপুটে বায়ু আকর্ষণ করতে করতে ৪
বার ‘ওঁ’ (অথবা ‘ঐং’) জপ করবে। অতঃপর অনামিকা ও কনিষ্ঠা দ্বারা বাম নাসাপুট টিপে বায়ু রুদ্ধ রেখে ‘ওঁ’ (অথবা ‘ঐং’মন্ত্র ১৬ বার জপ
করবে। অনন্তর ডান নাসা থেকে অঙ্গুষ্ঠ সরিয়ে নিয়ে ঐ নাসাপুট দ্বারাই ধীরে ধীরে বায়ু রেচন করবে। রেচনকালে ‘ওঁ’ (অথবা ‘ঐং’মন্ত্র ৮
বার জপ করবে। এইভাবে পূরক, কুম্ভক ও রেচক করলে একত্রে একটি প্রাণায়াম হয়। এই পদ্ধতিতে অবিচ্ছেদে তিনবার প্রাণায়াম
করবে। সমর্থ হলে ১৬/৬৪/৩২ সংখ্যায়ও প্রাণায়াম করা যেতে পারে।
ভূতশুদ্ধি (সংক্ষিপ্ত)- স্বক্রোড়ে বাম হাতের উপর ডান হাত চিৎভাবে স্থাপন করে নিম্নোক্ত মন্ত্র পাঠ করবে-
ওঁ ভূতশৃঙ্গাটাচ্ছিরঃ সুষুম্নাপথেন
জীবশিবং পরমশিবপদে যোজয়ামি স্বাহা ।।১।।
ওঁ যং লিঙ্গশরীরং শোষয় শোষয় স্বাহা ।।২।।
ওঁ রং সংঙ্কোচশরীরং দহ দহ স্বাহা ।।৩।।
ওঁ পরমশিব সুষুম্নাপথেন
মূলশৃঙ্গাটমুল্লসোল্লস জ্বল জ্বল প্রজ্বল প্রজ্বল
সোহহং হংসঃ স্বাহা ।।৪।।
এখানে, পূজক যে দেবতার পূজা করতে অগ্রসর, তিনি স্বয়ং সেই দেবতায় রূপান্তরিত হয়েছেন, এরূপ দৃঢ় ভাবনা করতে হবে।
ব্যাপকন্যাস- ‘আং হূঁ ফট্ স্বাহা’ মন্ত্রে মাথা থেকে পায়ের আঙ্গুল এবং পায়ের আঙ্গুল থেকে মাথা পর্যন্ত উভয় হাত দ্বারা তিনবার মার্জনা
করবে। এতদ্বারা নিজ শরীর, বাক্য ও মন শুদ্ধ হল বলে চিন্তা করবে।
জীবন্যাস- নতুন রচিত দিব্যদেহে ইষ্টদেবতার (যে দেবতার পূজা করছে) প্রাণ-প্রতিষ্ঠা করার জন্য ‘সোহহং’ (তিনিই আমি) ভাবনা করে
লেলিহান মুদ্রায় হৃদয় স্পর্শ করে পাঠ করবে ও আপনাকে দেবতাময় ভাবনা করবে-
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা শ্রীসরস্বতী-দেব্যাঃ প্রাণা ইহ প্রাণাঃ।
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা শ্রীসরস্বতী-দেব্যাঃ জীব ইহ স্থিতঃ।
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা শ্রীসরস্বতী-দেব্যাঃ সর্বেন্দ্রিয়াণি।
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা শ্রীসরস্বতী-দেব্যাঃ বাঙ্ মনশ্চক্ষুস্ত্বক-শ্রোত্র-ঘ্রাণপ্রাণা ইহাগত্য সুখং চিরং তিষ্ঠন্তু
স্বাহা।
মাতৃকান্যাস- কৃতাঞ্জলিপুটে পাঠ- ওঁ অস্য মাতৃকামন্ত্রস্য ব্রহ্ম ঋষির্গায়ত্রীচ্ছন্দো দেবী মাতৃকা সরস্বতী দেবতা, হলো বীজানি স্বরাঃ শক্তয়ঃ
অব্যক্তং কীলকং সর্বাভীষ্টসিদ্ধয়ে লিপিন্যাসে বিনিয়োগঃ।
তত্ত্বমুদ্রায় স্পর্শ করে বলবে : মস্তকে- ওঁ ব্রহ্মণে ঋষয়ে নমঃ; মুখে- ওঁ গায়ত্রীচ্ছন্দসে নমঃ; হৃদয়ে- ওঁ মাতৃকাসরস্বত্যৈ দেবতায়ৈ নমঃ;
মূলাধারে- ওঁ হলভ্যো বীজেভ্যো নমঃ; পাদদ্বয়ে- ওঁ স্বরেভ্যঃ শক্তিভ্যো নমঃ; সর্বাঙ্গে- ওঁ অব্যক্তকীলকায় নমঃ।
করন্যাস- উভয় হাতের তর্জনী সেই সেই হাতের অঙ্গুষ্ঠ-পৃষ্ঠে দিয়ে বলবে- অং কং খং গং ঘং ঙং আং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ। উভয় হাতের
অঙ্গুষ্ঠ উভয় হাতের তর্জনীর পৃষ্ঠে দিয়ে পাঠ করবে- ইং চং ছং জং ঝং ঞং ঈং তর্জনীভ্যাং স্বাহা। উভয় হাতের অঙ্গুষ্ঠ উভয় হাতের
মধ্যমার পৃষ্ঠে দিয়ে পাঠ করবে- উং টং ঠং ডং ঢং ণং ঊং মধ্যমাভ্যাং বষট্ । উভয় হাতের অঙ্গুষ্ঠ উভয় হাতের অনামিকার পৃষ্ঠে রেখে
পাঠ করবে- এং তং থং দং ধং নং ঐং অনামিকাভ্যাং হূঁ । উভয় হাতের অঙ্গুষ্ঠ উভয় হাতের কনিষ্ঠার পৃষ্ঠে দিয়ে পাঠ করবে- ওং পং ফং
বং ভং মং ঔং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্। অতঃপর অং যং রং লং বং শং ষং সং হং লং ক্ষং অঃ করতলপৃষ্ঠাভ্যাং অস্ত্রায় ফট্- এই মন্ত্র পাঠ করে
ডান হাতের যুক্ত তর্জনী ও মধ্যমা দ্বারা বাম হাতের তল ও পৃষ্ঠ স্পর্শ করে বাম করতলে তালি দিবে।
অঙ্গন্যাস- ডান হাতের তর্জনী, মধ্যমা ও অনামিকার অগ্রভাগ দ্বারা বক্ষঃস্থল স্পর্শ করে পাঠ করবে- অং কং খং গং ঘং ঙং আং হৃদয়ায়
নমঃ। ইং চং ছং জং ঝং ঞং ঈং শিরসে স্বাহা- মন্ত্রে তর্জনী ও মধ্যমার অগ্রভাগ দ্বারা মস্তক; উং টং ঠং ডং ঢং ণং ঊং শিখায়ৈ বষট্- মন্ত্রে
বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের দ্বারা শিখা; এং তং থং দং ধং নং ঐং কবচায় হূঁ- মন্ত্রে ডান হাতের পঞ্চাঙ্গুলির অগ্রভাগ দ্বারা বাম বাহুমূল এবং বাম হাতের
পঞ্চাঙ্গুলির অগ্রভাগ দ্বারা ডান বাহুমূল; ওং পং ফং বং ভং মং ঔং নেত্রত্রয়ায় বৌষট্- মন্ত্রে তর্জনী, মধ্যমা ও অনামিকার অগ্রভাগ দ্বারা
যথাক্রমে দক্ষিণ নেত্র, ঊর্ধ্ব নেত্র (নাসামূল) ও বাম নেত্র স্পর্শ করবে। অং যং রং লং বং শং ষং সং হং লং ক্ষং অঃ করতলপৃষ্ঠাভ্যাং
অস্ত্রায় ফট্- মন্ত্রে ডান হাতের যুক্ত তর্জনী ও মধ্যমা দ্বারা বাম হাতের তল ও পৃষ্ঠ স্পর্শ করে বাম করতলে তালি দিবে।
গুর্বাদিপূজা- গুরু ও গণেশাদি পঞ্চদেবতার পূজা নিম্নোক্ত মন্ত্রে গন্ধপুষ্পে করা যেতে পারে। সমস্ত পূজাই সন্মুখবর্তী তাম্রকুণ্ডস্থ জলে
করবে।
ওঁ ঐঁ এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীগুরবে নমঃ।
ওঁ গং এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীগণেশায় নমঃ।
ওঁ নমঃ শিবায় এতে গন্ধপুষ্পে শিবায় নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীসূর্যায় নমঃ।
ওঁ নমো নারায়ণায় এতে গন্ধপুষ্পে নারায়ণায় নমঃ।
ওঁ হ্রীঁ এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীজয়দুর্গায়ৈ নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে আদিত্যাদি-নবগ্রহেভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে ইন্দ্রাদি-দশদিকপালেভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে কাল্যাদি-দশমহাবিদ্যাভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে মৎস্যাদি-দশাবতারেভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে সর্বেভ্যো দেবেভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে সর্বাভ্যো দেবীভ্যো নমঃ।
পীঠন্যাস- মৃগমুদ্রায় বক্ষস্থল স্পর্শ করে বলবে- ওঁ হ্রীং পীঠদেবতাভ্যো নমঃ; ওঁ হ্রীং পীঠশক্তিভ্যো নমঃ।
ঋষ্যাদিন্যাস- হাত জোড় করে পাঠ করবে- ওঁ ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ ইত্যস্য মন্ত্রস্য কণ্বঋষির্বিরাড্ গায়ত্রীচ্ছন্দঃ বাগীশ্বরী দেবতা মম
সর্বাভীষ্টসিদ্ধয়ে শ্রীসরস্বতী পূজনে বিনিয়োগঃ।
তত্ত্বমুদ্রায় স্পর্শ করবে; মস্তকে- ওঁ কণ্বায় ঋষয়ে নমঃ; মুখে- ওঁ বিরাড্ গায়ত্র্যৈচ্ছন্দসে নমঃ; হৃদয়ে- ওঁ বাগীশ্বর্যৈ দেবতায়ৈঃ নমঃ।
করন্যাস- (স্পর্শ প্রভৃতি পূর্বোক্ত করন্যাসের অনুরূপ) সাং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ; সীং তর্জনীভ্যাং স্বাহা; সূং মধ্যমাভ্যাং বষট্; সৈং অনামিকাভ্যাং
হূং; সৌং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্; সঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।
অঙ্গন্যাস- (স্পর্শ প্রভৃতি পূর্বোক্ত অঙ্গন্যাসের অনুরূপ) সাং হৃদয়ায় নমঃ; সীং শিরসে স্বাহা; সূং শিখায়ৈ বষট্; সৈং কবচায় হূং; সৌং
নেত্রত্রয়ায় বৌষট্; সঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।
ব্যাপকন্যাস- ওঁ ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ- মন্ত্রে পাঁচবার দুই হাতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত এবং পা থেকে মাথা পর্যন্ত মার্জনা করবে।
ধ্যান- কূর্মমুদ্রায় হাতে ফুল নিয়ে হৃদয়ে জ্যোতির্ময় মূর্তি ভাবনাপূর্বক ধ্যান করবে-
ওঁ তরুণশকলমিন্দোর্বিভ্রতী শুভ্রকান্তিঃ
কুচভর-নমিতাঙ্গী সন্নিষন্না সিতাব্জে।
নিজ-করকমলোদ্যল্লেখনীপুস্তকশ্রীঃ
সকলবিভবসিদ্ধ্যৈ পাতু বাগদেবতা নঃ।।
মানসপূজা- ধ্যানান্তে হাতের ফুল মাথায় স্থাপন করে কোলে বাম করতলের উপর দক্ষিণ করপৃষ্ঠ রেখে মানস উপচারে পূজা করবে।
হৃদয়কেই দেবতার আসন কল্পনা করে সেখানে তাঁর আবাহন করবে। অতঃপর সহস্রদলকমল-নিঃসৃত সুধারূপ পাদ্য, মনোরূপ অর্ঘ্য,
পূর্বোক্ত সুধারূপ আচমনীয় ও স্নানীয়, আকাশতত্ত্বরূপ বসন, ক্ষিতিতত্ত্বরূপ গন্ধ, চিত্তরূপ পুষ্প, প্রাণরূপ ধূপ, তেজস্তত্ত্বরূপ দীপ,
সুধাসমুদ্ররূপ নৈবেদ্য মনে মনে প্রদান করবে।
বিশেষার্ঘ্য স্থাপন- পূজক নিজের সামনে কোশার বাম দিকে একটি নিম্নমুখ ত্রিকোণ, তার বাইরে
বৃত্ত ও তার বাইরে চতুষ্কোণ মণ্ডল এঁকে সামান্যার্ঘ্যের জল দ্বারা প্রোক্ষণ করবে এবং ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্তয়ে নমঃ’ মন্ত্রে মণ্ডল
পূজা করবে। মণ্ডলের উপর ত্রিপদিকা স্থাপন করে ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে মং বহ্নিমণ্ডলায় দশকলাত্মনে নমঃ’ মন্ত্রে ত্রিপদিকায় পূজা করবে। ‘হূঁ
ফট্’ মন্ত্রে শঙ্খ ধুয়ে ত্রিপদিকার উপর রেখে ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে অং অর্কমণ্ডলায় দ্বাদশকলাত্মনে নমঃ’ মন্ত্রে পূজা করবে। পরে ‘ঐং’ মন্ত্র
উচ্চারণ করে শঙ্খের তিনভাগ জল দ্বারা পূর্ণ করবে এবং ‘নমঃ’ মন্ত্রে গন্ধপুষ্প, দুর্বা ও আতপ তণ্ডুল দিয়ে অর্ঘ্য রচনা করে তদুপরি
স্থাপনপূর্বক ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে উং সোমমণ্ডলায় ষোড়শকলাত্মনে নমঃ’ মন্ত্রে অর্ঘ্য জলে পূজা করবে। পরে অঙ্কুশ মুদ্রায় ঐ জল স্পর্শ করে
‘ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতি নর্মদে সিন্ধুকাবেরি জলেহস্মিন্ সন্নিধিং কুরু’ মন্ত্রে সূর্যমণ্ডল থেকে তীর্থ আবাহন করবে এবং ‘ওঁ
এতে গন্ধপুষ্পে তীর্থেভ্যো নমঃ’ মন্ত্রে তীর্থ পূজা করবে। পরে ‘বষট্’ মন্ত্রে গালিনী মুদ্রা দেখিয়ে পূজা করবে- ‘ওঁ ঐং এতে গন্ধপুষ্পে
শ্রীসরস্বতীদেবতাভ্যো নমঃ’। অতঃপর আবাহন্যাদি পঞ্চমুদ্রা দেখিয়ে শঙ্খে দেবতার আবাহন করবে-
‘ওঁ ঐং সরস্বতী দেবি ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ (আবাহনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ তিষ্ঠ ইহ তিষ্ঠ (স্থাপনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সন্নিধেহি ইহ সন্নিধেহি
(সন্নিধাপনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সন্নিরুধ্যস্ব ইহ সন্নিরুধ্যস্ব (সংরোধনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সম্মুখী ভব ইহ সম্মুখী ভব (সম্মুখীকরণ মুদ্রা দ্বারা)
অত্রাধিষ্ঠানং কুরু, মম পূজাং গৃহাণ’ (করজোড়ে) বলবে। পরে ‘ওঁ ঐং এতে গন্ধপুষ্পে সরস্বত্যৈ নমঃ’ মন্ত্রে গন্ধপুষ্প দ্বারা পূজা করে
মৎস্যমুদ্রায় অর্ঘ্য আচ্ছাদনপূর্বক ‘ওঁ’ মন্ত্র দশবার জপ করবে। তারপর বাম করতলে দক্ষিণ হস্তের তর্জনী ও মধ্যমা যোগে ‘ফট্’ মন্ত্রে
ঊর্ধ্বোর্ধ্বে তালত্রয় দিয়ে ধেনু, যোনি ও পরমীকরণ মুদ্রা প্রদর্শন করবে। শঙ্খ কাৎ করে কিঞ্চিৎ জল কুশীতে ঢেলে সেই জল ‘ওঁ ঐং
সরস্বত্যৈ নমঃ’ মন্ত্রে নিজের মাথায় ও পূজাদ্রব্যে ছিটিয়ে দিবে।
পীঠপূজা- ‘ওঁ হ্রীং এতে গন্ধপুষ্পে পীঠদেবতাভ্যো নমঃ; ওঁ হ্রীং এতে গন্ধপুষ্পে পীঠশক্তিভ্যো নমঃ’ মন্ত্রে তাম্রকুণ্ডে পূজা করবে। পুনরায়-
করন্যাস- (স্পর্শ প্রভৃতি পূর্বোক্ত করন্যাসের অনুরূপ) সাং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ; সীং তর্জনীভ্যাং স্বাহা; সূং মধ্যমাভ্যাং বষট্; সৈং অনামিকাভ্যাং
হূং; সৌং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্; সঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।
অঙ্গন্যাস- (স্পর্শ প্রভৃতি পূর্বোক্ত অঙ্গন্যাসের অনুরূপ) সাং হৃদয়ায় নমঃ; সীং শিরসে স্বাহা; সূং শিখায়ৈ বষট্; সৈং কবচায় হূং; সৌং
নেত্রত্রয়ায় বৌষট্; সঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।
ব্যাপকন্যাস- ওঁ ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ- মন্ত্রে পাঁচবার দুই হাতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত এবং পা থেকে মাথা পর্যন্ত মার্জনা করবে।
ধ্যান- কূর্মমুদ্রায় হাতে ফুল নিয়ে হৃদয়ে জ্যোতির্ময় মূর্তি ভাবনাপূর্বক ধ্যান করবে-
‘ওঁ তরুণশকলমিন্দোর্বিভ্রতী শুভ্রকান্তিঃ
কুচভর-নমিতাঙ্গী সন্নিষন্না সিতাব্জে।
নিজ-করকমলোদ্যল্লেখনীপুস্তকশ্রীঃ
সকলবিভবসিদ্ধ্যৈ পাতু বাগদেবতা নঃ’।।
ধ্যানান্তে হৃদয়স্থ অষ্টদলপদ্মের দেবতার জ্যোতির্ময় মূর্তি হস্তস্থিত পুষ্পে আবির্ভূত ভাবনা করে সেই পুষ্প তাম্রকুণ্ডে বা পূজাধারে স্থাপন
করবে।
[ এখন অপ্রতিষ্ঠিত মূর্তি বা পট হলে সেই মূর্তিতে বা পটে এবং ঘটে পূজা হলে ঘটে আবাহন করতে হবে।]
আবাহন- আবাহন্যাদি পঞ্চমুদ্রায় আবাহন করবে-
‘ওঁ ঐং সরস্বতী দেবি ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ (আবাহনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ তিষ্ঠ ইহ তিষ্ঠ (স্থাপনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সন্নিধেহি ইহ সন্নিধেহি
(সন্নিধাপনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সন্নিরুধ্যস্ব ইহ সন্নিরুধ্যস্ব (সংরোধনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সম্মুখী ভব ইহ সম্মুখী ভব (সম্মুখীকরণ মুদ্রা দ্বারা)
অত্রাধিষ্ঠানং কুরু, মম পূজাং গৃহাণ’ (করজোড়ে)। অতঃপর ‘হূং’ মন্ত্রে মূর্তিতে বা পটে বা ঘটে অবগুণ্ঠন মুদ্রা দেখিয়ে দেবতার অঙ্গে
ষড়াঙ্গন্যাস করতে হবে।
ষড়াঙ্গন্যাস- এক একটি ফুল নিয়ে ‘সাং হৃদয়ায় নমঃ; সীং শিরসে স্বাহা; সূং শিখায়ৈ বষট্; সৈং করচায় হূং; সৌং নেত্রত্রয়ায় বৌষট্; সঃ
করতল পৃষ্ঠাভ্যাং অস্ত্রায় ফট্’ ইত্যাদি ক্রমে দেবতার অঙ্গে নিক্ষেপ করতে হবে। পরে ধেনু মুদ্রা ও পরমীকরণ মুদ্রা প্রদর্শন করবে।
[অপ্রতিষ্ঠিত মূর্তি বা পটে পূজা হলে এখন চক্ষুদান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ঘটে বা শালগ্রামে পূজা হলে এর দরকার নেই।]
চক্ষুদান- ঘৃত দ্বারা একটি বিল্বপত্রে কাজল প্রস্তুত করে আর একটি বিল্বপত্রের বোঁটা দ্বারা সেই কাজল নিয়ে ‘ওঁ বাগ্দেব্যৈ বিদ্মহে
কামরাজায় ধীমহি তন্নো দেবি প্রচোদয়াৎ ওঁ’ –সরস্বতীর এই গায়ত্রী মন্ত্র পাঠপূর্বক প্রথমে ঊর্ধ্বনেত্রে পরে বামনেত্রে তৎপরে দক্ষিণ নেত্রের
মণিতে দিয়ে চক্ষুদান করবে।
প্রাণ প্রতিষ্ঠা- প্রতিমার গণ্ডদ্বয় ধরে পাঠ করবে-
ওঁ হংসঃ শুচিষদ্ বসুরন্তরিক্ষসদ্ হোতা বেদিসদ্ অতিথিঃ দুরোণসদ্ নৃষদ্ বরসদ্ ব্যোমসদ্ অব্জা গোজা ঋতজা অদ্রিজা ঋতং বৃহৎ।
ওঁ প্রতদ্বিষ্ণুঃ স্তবতে বীর্য্যেণ মৃগো ন ভীমঃ কুচরো গিরিষ্ঠা, যস্যোরুষু ত্রিষু বিক্রমণেষ্বধিক্ষিয়ন্তি ভুবানি বিশ্বাঃ।
ওঁ তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ দিবীব চক্ষুরাততম্।
ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্। উর্ব্বারুকমিব বন্ধনান্মৃত্যোঃ মুক্ষীয়মামৃতাৎ।
ওঁ তদ্বিপ্রাসো বিপণ্যবো জাগৃবাংসঃ সম….
সরস্বতী পূজা-পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্র, প্রণাম মন্ত্র, স্তব ও প্রার্থনা মন্ত্র::
পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্র (৩ বার পাঠসহ)
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে। বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।। নমঃভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ। বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ।। এস স-চন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বতৈ নমঃ।।
সোর্স - sanatandharmatattva.wordpress.com
Malin Sarkar 18:05:00 New Google SEO Bandung, Indonesia
সকালে স্নান-আহ্নিক সেরে ইষ্টমন্ত্র জপ বা স্তব পাঠ করতে করতে পূজাস্থলে গিয়ে শুদ্ধাসনে পূর্বমুখে বা উত্তরমুখে বসবেন।
আচমন
গোকর্ণাকৃতি ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলের গোড়ায় মাষকলাই ডুবতে পারে এমন পরিমাণ জল নিয়ে ‘ওঁ বিষ্ণু’ মন্ত্রে তিনবার পান করে ডান
অঙ্গুষ্ঠের মূল দেশ দিয়ে মিলিত ঠোঁটদুটি ডান থেকে বামে দু’বার মার্জনা করবে ও হাত ধুয়ে ফেলবে।
এবারে তর্জনী, মধ্যমা ও অনামিকার মিলিত অগ্রভাগ দ্বারা ওষ্ঠ ও অধর স্পর্শ করবে। এভাবে অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জনীর মিলিত অগ্রভাগ দিয়ে
ডান ও বাম নাসাপুট, অঙ্গুষ্ঠ ও অনামিকার মিলিত অগ্রভাগ দিয়ে প্রথমে ডান ও পরে বাম চোখ, তারপরে ডান ও বাম কান ছোঁবে।
এরপরে অঙ্গুষ্ঠ ও কনিষ্ঠার অগ্রভাগ দিয়ে নাভি স্পর্শ করবে ও হাত ধুয়ে ফেলবে।
অতঃপর করতল দিয়ে হৃদয়, সমস্ত আঙ্গুলের অগ্রভাগ দিয়ে মাথা এবং ডান ও বাম বাহুমূল স্পর্শ করবে ও হাত ধুয়ে হাত জোড় করে
পাঠ করবেঃ
ওঁ তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ
দিবীব চক্ষুরাততম্।
ওঁ অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোহপি বা
যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।
গন্ধাদির অর্চনা- ‘ওঁ এতেভ্যো গন্ধাদিভ্যো নমঃ’ -মন্ত্রে পুষ্পপাত্রে সাজানো গন্ধ ও পুষ্পাদিতে জলের দ্বারা তিনবার প্রোক্ষণ ( চিৎ হাতে
জলের ছিটা ) করবে। পরে গন্ধপুষ্প নিয়ে ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতেভ্যো গন্ধাদিভ্যো নমঃ’ বলে পুষ্পপাত্রে দিবে এবং হাতে এক একটি
গন্ধপুষ্প নিয়ে নিচের এক একটি মন্ত্র বলে বলে গন্ধপুষ্প তাম্রকুণ্ডে দিয়ে দিয়ে পূজা করবে।
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতদধিপতয়ে দেবায় শ্রীবিষ্ণবে নমঃ’;
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতৎসম্প্রদানেভ্যঃ পূজনীয়দেবতাভ্যো নমঃ’;
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীগুরবে নমঃ’;
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে গণেশাদিপঞ্চদেবতাভ্যো নমঃ’;
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে নমো নারায়ণায় নমঃ’;
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে ব্রাহ্মণেভ্যো নমঃ’।
সূর্যার্ঘ্য- কুশীতে জল, রক্তপুষ্প, রক্তচন্দন, আতপ চাল, যব, তিল, সরিষা, কুশের অগ্র ও দুর্বা নিয়ে নিম্নোক্ত মন্ত্রে নিবেদন করবেঃ
‘ওঁ নমো বিবস্বতে ব্রহ্মন্ ভাস্বতে বিষ্ণুতেজসে।
জগৎসবিত্রে শুচয়ে সবিত্রে কর্মদায়িনে।
এষোহর্ঘ্যঃ শ্রীসূর্যায় নমঃ’- মন্ত্রে সন্মুখস্থ বাণেশ্বরাদি যন্ত্রের উপর দিবে ও নিচের মন্ত্রে প্রণাম করবে-
ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্ ।
ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্।
[ জ্ঞাতব্যঃ রক্তপুষ্প, রক্তচন্দন, আতপ চাল, যব, তিল, সরিষা, কুশের অগ্র ও দুর্বা সকল দেবতা বিষয়ক অর্ঘ্যেই প্রদান করা যায়।
অন্যান্য দ্রব্যের অভাব হলে শুধু আতপ চাল ও দুর্বা দ্বারা প্রদান করা যায়। ]
স্বস্তিবাচন- ‘ওঁ কর্তব্যেহস্মিন্ লক্ষ্ম্যাদি দেবতা সহিত সরস্বতীপূজাকর্মণি ওঁ পুণ্যাহং ভবন্তো ব্রুবন্তু’। পরে ‘ওঁ পুণ্যাহং’ তিনবার বলতে বলতে
ঘণ্টাবাদনপূর্বক আতপ চাল ছড়াবে।
‘ওঁ কর্তব্যেহস্মিন্ লক্ষ্ম্যাদি দেবতা সহিত সরস্বতীপূজাকর্মণি ওঁ স্বস্তি ভবন্তো ব্রুবন্তু’। পরে ‘ওঁ স্বস্তি’ তিনবার বলতে বলতে ঘণ্টাবাদনপূর্বক
আতপ চাল ছড়াবে।
‘ওঁ কর্তব্যেহস্মিন্ লক্ষ্ম্যাদি দেবতা সহিত সরস্বতীপূজাকর্মণি ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তো ব্রুবন্তু’। পরে ‘ওঁ ঋদ্ধ্যতাম্’ তিনবার বলতে বলতে
ঘণ্টাবাদনপূর্বক আতপ চাল ছড়াবে। পরে নিম্নোক্ত মন্ত্রপাঠ ও ঘণ্টাবাদনসহ আতপ চাল ছড়াবেঃ
ওঁ স্বন্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্তি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ ।
স্বস্তি নস্তার্ক্ষো অরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নো বৃহস্পতির্দধাতু।
ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি।
তারপর করজোড়ে পাঠ করবে-
ওঁ সূর্যঃ সোমো যমঃ কালঃ সন্ধ্যে ভূতান্যহঃ ক্ষপা।
পবনো দিকপতির্ভূমিরাকাশং খচরামরাঃ।
ব্রাহ্ম্যং শাসনমাস্থায় কল্পধ্বমিহ সন্নিধিম্।
ওঁ তৎসৎ অয়মারম্ভঃ শুভায় ভবতু।
সঙ্কল্প- তাম্রপাত্রে ( কুশীতে ) মূল ও অগ্রভাগের সহিত তিনটি কুশ, তিল, তুলসী, হরিতকী, গন্ধ, পুষ্প, আতপ চাল ও জল নিয়ে
বীরাসনে (দক্ষিণ জানু পেতে ) পূর্বমুখী ( বা উত্তরমুখী ) বসবে। বাম করতলে কুশী স্থাপন করে দক্ষিণ করতল দ্বারা আচ্ছাদনপূর্বক পাঠ
করবেঃ
বিষ্ণুরোম্ তৎসদদ্য মাঘে মাসি মকর রাশিস্থে ভাস্করে শুক্লে পক্ষে পঞ্চম্যান্তিথৌ অমুকগোত্রঃ শ্রীঅমুকদেবশর্মা ( পরার্থে- অমুকগোত্রস্য
অমুকদেবশর্মণঃ ) [অমুকগোত্রঃ শ্রীঅমুকঃ
(যজমানের গোত্র ও নাম)] সরস্বতী প্রীতিকামনায়া গণপত্যাদি নানাদেবতাপূজাপূর্বক-লক্ষ্মী-মস্যাধার-লেখনী-সহিত সরস্বতী পূজাকর্ম অহং
করিষ্যে ( পরার্থে- করিষ্যামি )।
পরে হাতের পাত্রটি ঈশান কোণে উপুড় করে রেখে তার উপর নিম্নোক্ত মন্ত্রে আতপ চাল ছড়াবে এবং ঘণ্টা বাজাবে-
ওঁ যজ্জাগ্রতো দূরমুদৈতি দৈবং তদু সুপ্তস্য তথৈবৈতি।
দূরঙ্গমং জ্যোতিষাং জ্যোতিরেকং তন্মে মনঃ শিবসঙ্কল্পমস্তু।
অতঃপর করজোড়ে পাঠ করবে-
ওঁ সঙ্কল্পিতার্থাঃ সিধ্যন্তু সিদ্ধাঃ সন্তু মনোরথাঃ।
ভক্তিজ্ঞানোদয়ায় অয়মারম্ভঃ শুভায় ভবতু।
হরিঃ ওঁ তৎসৎ।
ঘটস্থাপন- অতঃপর নিম্নোক্ত রীতিতে সংক্ষেপে ঘটস্থাপন করা যেতে পারে। ভূমিতে সর্বতোভদ্রমণ্ডল অথবা ভূপুরমধ্যগত অষ্টদল পদ্ম এঁকে
অঞ্জলি পরিমান শুক্ল্যধান্যের ওপর ঘট বসাবে। ঘট মধ্যে জল, সোনা ও ঘটোপরি আম্রপল্লব বসিয়ে তদুপরি একটি সশীষ ডাব অথবা কলা
বা হরীতকী স্থাপন করবে। সম্ভব হলে ফলটি বস্ত্রখণ্ডে আচ্ছাদিত করে তদুপরি একটি অর্ঘ্য (বিল্বপত্র, গন্ধপুষ্প, দুর্বা ও আতপ চাল)
সাজিয়ে দিবে। ঘটগাত্রে সিন্দুর দিয়ে একটি স্বস্তিক বা পুত্তলিকা অঙ্কন করবে। অনন্তর করজোড়ে পাঠ করবে-
ওঁ সর্বতীর্থোদ্ভবং বারি সর্বদেবসমন্বিতম।
ইমং ঘটং সমারুহ্য তিষ্ঠ দেবি গণৈঃ সহ।
ঘটস্পর্শ করে পাঠ করবে- ওঁ স্থাং স্থীং স্থিরো ভব। বৈদিক গায়ত্রী- ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ তৎ সবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো দেবস্য ধীমহি ধিয়ো যো নঃ
প্রচোদয়াৎ ওঁ।। -এই মন্ত্রও ঘট স্পর্শ করে তিনবার পাঠ করবে।
সামান্যার্ঘ্যস্থাপন- নিজের সামনে একটু বামদিকের ভূমিতে অধোমুখ ত্রিকোণ (পুং দেবতা হলে উর্ধমুখ), বৃত্ত ও চতুর্ভুজ মণ্ডল এঁকে তদুপরি
পূজা করবে-
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্তাদিভ্যো নমঃ।
পরে ‘ফট্’ মন্ত্রে কোশা ধুয়ে মণ্ডলোপরি স্থাপন করে ‘নমঃ’ মন্ত্রে জলপূর্ণ করবে এবং ‘ওঁ’ মন্ত্রে কোশার অগ্রভাগে একটি অর্ঘ্য (বিল্বপত্র,
গন্ধপুষ্প, দুর্বা ও আতপ চাল) সাজিয়ে দিবে। ‘ওঁ’ মন্ত্রে দূর্বা, অক্ষত বিল্বপত্র, চন্দন, পুষ্প, তুলসীপত্র, আতপ চাল কোশার জলে নিক্ষেপ
করবে। পরে অঙ্কুশ মুদ্রায় জল স্পর্শ করে নিম্নোক্ত মন্ত্রে সূর্যমণ্ডল হতে তীর্থ আবাহন করবে-
ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতি।
নর্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেহস্মিন্ সন্নিধিং কুরু।।
অতঃপর ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে তীর্থেভ্যো নমঃ’ মন্ত্রে জলে তীর্থপূজা করে ‘হূঁ’ মন্ত্রে অবগুণ্ঠন মুদ্রা ও ‘বং’ মন্ত্রে ধেনুমুদ্রা প্রদর্শনপূর্বক
মৎস্যমুদ্রায় জল আচ্ছাদন করে ১০ বার ‘ওঁ’ মন্ত্র জপ করবে। এরপর সামান্যার্ঘ্যের জল নিজের মাথায় ও দ্বারদেশে ছিটিয়ে দিয়ে
দ্বারদেবতার পূজা করবে।
দ্বারদেবতাপূজা- ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে দ্বারদেবতাভ্যো নমঃ (নৈঋতকোণে); তাম্রকুণ্ডে- ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে ব্রহ্মণে নমঃ; ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে
বাস্তুপুরুষায় নমঃ।
ভূতাপসারণ- ‘ফট্’ মন্ত্র আতপ চালে সাতবার জপ করে তা ঘন্টাবাদন করতে করতে নিম্নোক্ত মন্ত্রে নারাচ মুদ্রায় চারদিকে ছড়াবে-
ওঁ সর্ববিঘ্নানুৎসারয় হূঁ ফট্ স্বাহা।
ওঁ অপসর্পন্তু তে ভূতা যে ভূতা ভুবি সংস্থিতাঃ।
যে ভূতা বিঘ্নকর্তারস্তে নশ্যন্তু শিবাজ্ঞয়া।।
ভূমিশুদ্ধি- ‘ওঁ রক্ষ রক্ষ হূঁ ফট্ স্বাহা’-মন্ত্রে মুষ্টি-নিঃসৃত জল ভূমিতে নিক্ষেপ করবে।
আসনশুদ্ধি- স্ববামে আসনের নিম্নবর্তী ভূমিতে ত্রিকোণ মণ্ডল এঁকে ‘ওঁ হ্রীঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্ত্যাদিভ্যো নমঃ’ –মন্ত্রে মণ্ডল পূজা
করবে। অতঃপর আসন স্পর্শ করে পাঠ করবে- ‘ওঁ অস্য আসনোপবেশনমন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠ ঋষিঃ সুতলং ছন্দঃ কূর্মো দেবতা আসনোপবেশনে
বিনিয়োগঃ’। পরে কৃতাঞ্জলিপূর্বক পাঠ-
ওঁ পৃথ্বি ত্বয়া ধৃতা লোকা দেবি ত্বং বিষ্ণুনা ধৃতা।
ত্বঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্রং কুরু চাসনম্ ।।
অতঃপর আসনের উপর ত্রিকোণ মণ্ডল এঁকে ‘হ্রীঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্তয়ে কমলাসনায় নমঃ’- মন্ত্রে ঐ মণ্ডল গন্ধপুষ্প দ্বারা পূজা করবে।
গুরুপ্রণাম- হাত জোড় করে প্রণাম করবে। বামকর্ণোর্ধ্বে- ঐঁ গুরুভ্যো নমঃ; তদূর্ধ্বে- ঐঁ পরমগুরুভ্যো নমঃ; তদূর্ধ্বে- ঐঁ পরাপরগুরুভ্যো
নমঃ; তদূর্ধ্বে- ঐঁ পরমেষ্ঠিগুরুভ্যো নমঃ; দক্ষিণকর্ণোর্ধ্বে- ওঁ গণেশায় নমঃ; মধ্যে অর্থাৎ ললাটে বা হৃদয়ে- ওঁ ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ।
করশুদ্ধি- ‘হেঁসৌঃ’ মন্ত্রে একটি সচন্দন রক্তবর্ণ পুষ্প নিয়ে ‘আং হূং ফট্ স্বাহা’ মন্ত্রে উভয় করতল দিয়ে মর্দন করে বাম হাতের নারাচ মুদ্রায়
সেই ফুলটিকে মাথার চারদিকে ‘ক্লীং’ মন্ত্রে ঘুরিয়ে ‘ঐং’ মন্ত্রে ঘ্রাণ নিয়ে ‘ফট্’ মন্ত্রে ঈশানকোণে নিক্ষেপ করবে।
পুষ্পশুদ্ধি- ‘ওঁ শতাভিষেক হূঁ ফট্ স্বাহা’ মন্ত্রে পুষ্পে জলের ছিটা দিয়ে ‘ওঁ পুষ্পে পুষ্পে মহাপুষ্পে সুপুষ্পে পুষ্পসম্ভবে পুষ্পচয়াবকীর্ণে চ হূঁ
ফট্ স্বাহা’ মন্ত্রে পুষ্প স্পর্শ করে শোধন করবে।
ত্রিবিধ বিঘ্নাপসারণ- ‘ওঁ ঐঁ’ মন্ত্র উচ্চারণ করে ঊর্ধ্বে দৃষ্টিপাতকরতঃ দিব্যবিঘ্নাপসারণ করবে। তারপর তর্জনী ও মধ্যমা দ্বারা বাম করতলে
ঊর্ধ্ব ঊর্ধ্ব ক্রমে তালত্রয় দিয়ে দক্ষিণ হস্তের অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জনী দ্বারা পূর্বদিক থেকে আরম্ভ করে ঈশানকোণ পর্যন্ত এবং অধঃ ও ঊর্ধ্ব- এই
দশ দিকে ‘ফট্’ মন্ত্রে তুড়ি দিয়ে দিগবন্ধন করবে। তারপর ‘ফট্’ মন্ত্রে বামপায়ের গোড়ালি দ্বারা ভূমিতে তিনবার আঘাত করে ভূমিবিঘ্ন
অপসারণ করে ‘অস্ত্রায় ফট্’ মন্ত্রে ঊর্ধ্বদিকে জলের ছিটা দিয়ে অন্তরিক্ষবিঘ্ন দূর করবে।
দেবতা ও পূজাদ্রব্যশুদ্ধি- ‘ওঁ ঐং ফট্’ মন্ত্রে দেবতা ও পূজাদ্রব্য সামান্যার্ঘ্যের জলে তিনবার প্রোক্ষণ (জলের ছিটা) করবে ও ধেনুমুদ্রা
দেখাবে আর ভাবনা করবে যে সকলই চিন্ময়, ঈশ্বরময়।
মন্ত্রশুদ্ধি- ‘অং হ্রীং অং; কং হ্রীং কং; চং হ্রীং চং; টং হ্রীং টং; তং হ্রীং তং; পং হ্রীং পং; যং হ্রীং যং; শং হ্রীং শং’ –এই মন্ত্র একবার জপ
করবে।
বহ্নিপ্রাকারচিন্তা-
‘রং’ মন্ত্রে নিজের চারদিকে বৃত্তাকার জলধারা দিয়ে আগুনের প্রাচীর চিন্তা করবে।
দেহমার্জন ও আত্মরক্ষা- ‘ওঁ ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ’ মন্ত্রে করতলদ্বয় দ্বারা নিজদেহ মার্জনা করে হৃদয়ে হাত দিয়ে পাঠ করবে- ওঁ দুর্গে দুর্গে
রক্ষিণি স্বাহা। ওঁ আং হূঁ ফট্ স্বাহা।
প্রাণায়াম- ডান হাতের তর্জনী ও মধ্যমা মুষ্ঠিবদ্ধ করে অঙ্গুষ্ঠ দিয়ে ডান নাসা টিপে বন্ধ করে বাম নাসাপুটে বায়ু আকর্ষণ করতে করতে ৪
বার ‘ওঁ’ (অথবা ‘ঐং’) জপ করবে। অতঃপর অনামিকা ও কনিষ্ঠা দ্বারা বাম নাসাপুট টিপে বায়ু রুদ্ধ রেখে ‘ওঁ’ (অথবা ‘ঐং’মন্ত্র ১৬ বার জপ
করবে। অনন্তর ডান নাসা থেকে অঙ্গুষ্ঠ সরিয়ে নিয়ে ঐ নাসাপুট দ্বারাই ধীরে ধীরে বায়ু রেচন করবে। রেচনকালে ‘ওঁ’ (অথবা ‘ঐং’মন্ত্র ৮
বার জপ করবে। এইভাবে পূরক, কুম্ভক ও রেচক করলে একত্রে একটি প্রাণায়াম হয়। এই পদ্ধতিতে অবিচ্ছেদে তিনবার প্রাণায়াম
করবে। সমর্থ হলে ১৬/৬৪/৩২ সংখ্যায়ও প্রাণায়াম করা যেতে পারে।
ভূতশুদ্ধি (সংক্ষিপ্ত)- স্বক্রোড়ে বাম হাতের উপর ডান হাত চিৎভাবে স্থাপন করে নিম্নোক্ত মন্ত্র পাঠ করবে-
ওঁ ভূতশৃঙ্গাটাচ্ছিরঃ সুষুম্নাপথেন
জীবশিবং পরমশিবপদে যোজয়ামি স্বাহা ।।১।।
ওঁ যং লিঙ্গশরীরং শোষয় শোষয় স্বাহা ।।২।।
ওঁ রং সংঙ্কোচশরীরং দহ দহ স্বাহা ।।৩।।
ওঁ পরমশিব সুষুম্নাপথেন
মূলশৃঙ্গাটমুল্লসোল্লস জ্বল জ্বল প্রজ্বল প্রজ্বল
সোহহং হংসঃ স্বাহা ।।৪।।
এখানে, পূজক যে দেবতার পূজা করতে অগ্রসর, তিনি স্বয়ং সেই দেবতায় রূপান্তরিত হয়েছেন, এরূপ দৃঢ় ভাবনা করতে হবে।
ব্যাপকন্যাস- ‘আং হূঁ ফট্ স্বাহা’ মন্ত্রে মাথা থেকে পায়ের আঙ্গুল এবং পায়ের আঙ্গুল থেকে মাথা পর্যন্ত উভয় হাত দ্বারা তিনবার মার্জনা
করবে। এতদ্বারা নিজ শরীর, বাক্য ও মন শুদ্ধ হল বলে চিন্তা করবে।
জীবন্যাস- নতুন রচিত দিব্যদেহে ইষ্টদেবতার (যে দেবতার পূজা করছে) প্রাণ-প্রতিষ্ঠা করার জন্য ‘সোহহং’ (তিনিই আমি) ভাবনা করে
লেলিহান মুদ্রায় হৃদয় স্পর্শ করে পাঠ করবে ও আপনাকে দেবতাময় ভাবনা করবে-
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা শ্রীসরস্বতী-দেব্যাঃ প্রাণা ইহ প্রাণাঃ।
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা শ্রীসরস্বতী-দেব্যাঃ জীব ইহ স্থিতঃ।
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা শ্রীসরস্বতী-দেব্যাঃ সর্বেন্দ্রিয়াণি।
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা শ্রীসরস্বতী-দেব্যাঃ বাঙ্ মনশ্চক্ষুস্ত্বক-শ্রোত্র-ঘ্রাণপ্রাণা ইহাগত্য সুখং চিরং তিষ্ঠন্তু
স্বাহা।
মাতৃকান্যাস- কৃতাঞ্জলিপুটে পাঠ- ওঁ অস্য মাতৃকামন্ত্রস্য ব্রহ্ম ঋষির্গায়ত্রীচ্ছন্দো দেবী মাতৃকা সরস্বতী দেবতা, হলো বীজানি স্বরাঃ শক্তয়ঃ
অব্যক্তং কীলকং সর্বাভীষ্টসিদ্ধয়ে লিপিন্যাসে বিনিয়োগঃ।
তত্ত্বমুদ্রায় স্পর্শ করে বলবে : মস্তকে- ওঁ ব্রহ্মণে ঋষয়ে নমঃ; মুখে- ওঁ গায়ত্রীচ্ছন্দসে নমঃ; হৃদয়ে- ওঁ মাতৃকাসরস্বত্যৈ দেবতায়ৈ নমঃ;
মূলাধারে- ওঁ হলভ্যো বীজেভ্যো নমঃ; পাদদ্বয়ে- ওঁ স্বরেভ্যঃ শক্তিভ্যো নমঃ; সর্বাঙ্গে- ওঁ অব্যক্তকীলকায় নমঃ।
করন্যাস- উভয় হাতের তর্জনী সেই সেই হাতের অঙ্গুষ্ঠ-পৃষ্ঠে দিয়ে বলবে- অং কং খং গং ঘং ঙং আং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ। উভয় হাতের
অঙ্গুষ্ঠ উভয় হাতের তর্জনীর পৃষ্ঠে দিয়ে পাঠ করবে- ইং চং ছং জং ঝং ঞং ঈং তর্জনীভ্যাং স্বাহা। উভয় হাতের অঙ্গুষ্ঠ উভয় হাতের
মধ্যমার পৃষ্ঠে দিয়ে পাঠ করবে- উং টং ঠং ডং ঢং ণং ঊং মধ্যমাভ্যাং বষট্ । উভয় হাতের অঙ্গুষ্ঠ উভয় হাতের অনামিকার পৃষ্ঠে রেখে
পাঠ করবে- এং তং থং দং ধং নং ঐং অনামিকাভ্যাং হূঁ । উভয় হাতের অঙ্গুষ্ঠ উভয় হাতের কনিষ্ঠার পৃষ্ঠে দিয়ে পাঠ করবে- ওং পং ফং
বং ভং মং ঔং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্। অতঃপর অং যং রং লং বং শং ষং সং হং লং ক্ষং অঃ করতলপৃষ্ঠাভ্যাং অস্ত্রায় ফট্- এই মন্ত্র পাঠ করে
ডান হাতের যুক্ত তর্জনী ও মধ্যমা দ্বারা বাম হাতের তল ও পৃষ্ঠ স্পর্শ করে বাম করতলে তালি দিবে।
অঙ্গন্যাস- ডান হাতের তর্জনী, মধ্যমা ও অনামিকার অগ্রভাগ দ্বারা বক্ষঃস্থল স্পর্শ করে পাঠ করবে- অং কং খং গং ঘং ঙং আং হৃদয়ায়
নমঃ। ইং চং ছং জং ঝং ঞং ঈং শিরসে স্বাহা- মন্ত্রে তর্জনী ও মধ্যমার অগ্রভাগ দ্বারা মস্তক; উং টং ঠং ডং ঢং ণং ঊং শিখায়ৈ বষট্- মন্ত্রে
বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের দ্বারা শিখা; এং তং থং দং ধং নং ঐং কবচায় হূঁ- মন্ত্রে ডান হাতের পঞ্চাঙ্গুলির অগ্রভাগ দ্বারা বাম বাহুমূল এবং বাম হাতের
পঞ্চাঙ্গুলির অগ্রভাগ দ্বারা ডান বাহুমূল; ওং পং ফং বং ভং মং ঔং নেত্রত্রয়ায় বৌষট্- মন্ত্রে তর্জনী, মধ্যমা ও অনামিকার অগ্রভাগ দ্বারা
যথাক্রমে দক্ষিণ নেত্র, ঊর্ধ্ব নেত্র (নাসামূল) ও বাম নেত্র স্পর্শ করবে। অং যং রং লং বং শং ষং সং হং লং ক্ষং অঃ করতলপৃষ্ঠাভ্যাং
অস্ত্রায় ফট্- মন্ত্রে ডান হাতের যুক্ত তর্জনী ও মধ্যমা দ্বারা বাম হাতের তল ও পৃষ্ঠ স্পর্শ করে বাম করতলে তালি দিবে।
গুর্বাদিপূজা- গুরু ও গণেশাদি পঞ্চদেবতার পূজা নিম্নোক্ত মন্ত্রে গন্ধপুষ্পে করা যেতে পারে। সমস্ত পূজাই সন্মুখবর্তী তাম্রকুণ্ডস্থ জলে
করবে।
ওঁ ঐঁ এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীগুরবে নমঃ।
ওঁ গং এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীগণেশায় নমঃ।
ওঁ নমঃ শিবায় এতে গন্ধপুষ্পে শিবায় নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীসূর্যায় নমঃ।
ওঁ নমো নারায়ণায় এতে গন্ধপুষ্পে নারায়ণায় নমঃ।
ওঁ হ্রীঁ এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীজয়দুর্গায়ৈ নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে আদিত্যাদি-নবগ্রহেভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে ইন্দ্রাদি-দশদিকপালেভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে কাল্যাদি-দশমহাবিদ্যাভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে মৎস্যাদি-দশাবতারেভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে সর্বেভ্যো দেবেভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে সর্বাভ্যো দেবীভ্যো নমঃ।
পীঠন্যাস- মৃগমুদ্রায় বক্ষস্থল স্পর্শ করে বলবে- ওঁ হ্রীং পীঠদেবতাভ্যো নমঃ; ওঁ হ্রীং পীঠশক্তিভ্যো নমঃ।
ঋষ্যাদিন্যাস- হাত জোড় করে পাঠ করবে- ওঁ ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ ইত্যস্য মন্ত্রস্য কণ্বঋষির্বিরাড্ গায়ত্রীচ্ছন্দঃ বাগীশ্বরী দেবতা মম
সর্বাভীষ্টসিদ্ধয়ে শ্রীসরস্বতী পূজনে বিনিয়োগঃ।
তত্ত্বমুদ্রায় স্পর্শ করবে; মস্তকে- ওঁ কণ্বায় ঋষয়ে নমঃ; মুখে- ওঁ বিরাড্ গায়ত্র্যৈচ্ছন্দসে নমঃ; হৃদয়ে- ওঁ বাগীশ্বর্যৈ দেবতায়ৈঃ নমঃ।
করন্যাস- (স্পর্শ প্রভৃতি পূর্বোক্ত করন্যাসের অনুরূপ) সাং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ; সীং তর্জনীভ্যাং স্বাহা; সূং মধ্যমাভ্যাং বষট্; সৈং অনামিকাভ্যাং
হূং; সৌং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্; সঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।
অঙ্গন্যাস- (স্পর্শ প্রভৃতি পূর্বোক্ত অঙ্গন্যাসের অনুরূপ) সাং হৃদয়ায় নমঃ; সীং শিরসে স্বাহা; সূং শিখায়ৈ বষট্; সৈং কবচায় হূং; সৌং
নেত্রত্রয়ায় বৌষট্; সঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।
ব্যাপকন্যাস- ওঁ ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ- মন্ত্রে পাঁচবার দুই হাতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত এবং পা থেকে মাথা পর্যন্ত মার্জনা করবে।
ধ্যান- কূর্মমুদ্রায় হাতে ফুল নিয়ে হৃদয়ে জ্যোতির্ময় মূর্তি ভাবনাপূর্বক ধ্যান করবে-
ওঁ তরুণশকলমিন্দোর্বিভ্রতী শুভ্রকান্তিঃ
কুচভর-নমিতাঙ্গী সন্নিষন্না সিতাব্জে।
নিজ-করকমলোদ্যল্লেখনীপুস্তকশ্রীঃ
সকলবিভবসিদ্ধ্যৈ পাতু বাগদেবতা নঃ।।
মানসপূজা- ধ্যানান্তে হাতের ফুল মাথায় স্থাপন করে কোলে বাম করতলের উপর দক্ষিণ করপৃষ্ঠ রেখে মানস উপচারে পূজা করবে।
হৃদয়কেই দেবতার আসন কল্পনা করে সেখানে তাঁর আবাহন করবে। অতঃপর সহস্রদলকমল-নিঃসৃত সুধারূপ পাদ্য, মনোরূপ অর্ঘ্য,
পূর্বোক্ত সুধারূপ আচমনীয় ও স্নানীয়, আকাশতত্ত্বরূপ বসন, ক্ষিতিতত্ত্বরূপ গন্ধ, চিত্তরূপ পুষ্প, প্রাণরূপ ধূপ, তেজস্তত্ত্বরূপ দীপ,
সুধাসমুদ্ররূপ নৈবেদ্য মনে মনে প্রদান করবে।
বিশেষার্ঘ্য স্থাপন- পূজক নিজের সামনে কোশার বাম দিকে একটি নিম্নমুখ ত্রিকোণ, তার বাইরে
বৃত্ত ও তার বাইরে চতুষ্কোণ মণ্ডল এঁকে সামান্যার্ঘ্যের জল দ্বারা প্রোক্ষণ করবে এবং ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্তয়ে নমঃ’ মন্ত্রে মণ্ডল
পূজা করবে। মণ্ডলের উপর ত্রিপদিকা স্থাপন করে ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে মং বহ্নিমণ্ডলায় দশকলাত্মনে নমঃ’ মন্ত্রে ত্রিপদিকায় পূজা করবে। ‘হূঁ
ফট্’ মন্ত্রে শঙ্খ ধুয়ে ত্রিপদিকার উপর রেখে ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে অং অর্কমণ্ডলায় দ্বাদশকলাত্মনে নমঃ’ মন্ত্রে পূজা করবে। পরে ‘ঐং’ মন্ত্র
উচ্চারণ করে শঙ্খের তিনভাগ জল দ্বারা পূর্ণ করবে এবং ‘নমঃ’ মন্ত্রে গন্ধপুষ্প, দুর্বা ও আতপ তণ্ডুল দিয়ে অর্ঘ্য রচনা করে তদুপরি
স্থাপনপূর্বক ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে উং সোমমণ্ডলায় ষোড়শকলাত্মনে নমঃ’ মন্ত্রে অর্ঘ্য জলে পূজা করবে। পরে অঙ্কুশ মুদ্রায় ঐ জল স্পর্শ করে
‘ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতি নর্মদে সিন্ধুকাবেরি জলেহস্মিন্ সন্নিধিং কুরু’ মন্ত্রে সূর্যমণ্ডল থেকে তীর্থ আবাহন করবে এবং ‘ওঁ
এতে গন্ধপুষ্পে তীর্থেভ্যো নমঃ’ মন্ত্রে তীর্থ পূজা করবে। পরে ‘বষট্’ মন্ত্রে গালিনী মুদ্রা দেখিয়ে পূজা করবে- ‘ওঁ ঐং এতে গন্ধপুষ্পে
শ্রীসরস্বতীদেবতাভ্যো নমঃ’। অতঃপর আবাহন্যাদি পঞ্চমুদ্রা দেখিয়ে শঙ্খে দেবতার আবাহন করবে-
‘ওঁ ঐং সরস্বতী দেবি ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ (আবাহনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ তিষ্ঠ ইহ তিষ্ঠ (স্থাপনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সন্নিধেহি ইহ সন্নিধেহি
(সন্নিধাপনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সন্নিরুধ্যস্ব ইহ সন্নিরুধ্যস্ব (সংরোধনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সম্মুখী ভব ইহ সম্মুখী ভব (সম্মুখীকরণ মুদ্রা দ্বারা)
অত্রাধিষ্ঠানং কুরু, মম পূজাং গৃহাণ’ (করজোড়ে) বলবে। পরে ‘ওঁ ঐং এতে গন্ধপুষ্পে সরস্বত্যৈ নমঃ’ মন্ত্রে গন্ধপুষ্প দ্বারা পূজা করে
মৎস্যমুদ্রায় অর্ঘ্য আচ্ছাদনপূর্বক ‘ওঁ’ মন্ত্র দশবার জপ করবে। তারপর বাম করতলে দক্ষিণ হস্তের তর্জনী ও মধ্যমা যোগে ‘ফট্’ মন্ত্রে
ঊর্ধ্বোর্ধ্বে তালত্রয় দিয়ে ধেনু, যোনি ও পরমীকরণ মুদ্রা প্রদর্শন করবে। শঙ্খ কাৎ করে কিঞ্চিৎ জল কুশীতে ঢেলে সেই জল ‘ওঁ ঐং
সরস্বত্যৈ নমঃ’ মন্ত্রে নিজের মাথায় ও পূজাদ্রব্যে ছিটিয়ে দিবে।
পীঠপূজা- ‘ওঁ হ্রীং এতে গন্ধপুষ্পে পীঠদেবতাভ্যো নমঃ; ওঁ হ্রীং এতে গন্ধপুষ্পে পীঠশক্তিভ্যো নমঃ’ মন্ত্রে তাম্রকুণ্ডে পূজা করবে। পুনরায়-
করন্যাস- (স্পর্শ প্রভৃতি পূর্বোক্ত করন্যাসের অনুরূপ) সাং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ; সীং তর্জনীভ্যাং স্বাহা; সূং মধ্যমাভ্যাং বষট্; সৈং অনামিকাভ্যাং
হূং; সৌং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্; সঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।
অঙ্গন্যাস- (স্পর্শ প্রভৃতি পূর্বোক্ত অঙ্গন্যাসের অনুরূপ) সাং হৃদয়ায় নমঃ; সীং শিরসে স্বাহা; সূং শিখায়ৈ বষট্; সৈং কবচায় হূং; সৌং
নেত্রত্রয়ায় বৌষট্; সঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।
ব্যাপকন্যাস- ওঁ ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ- মন্ত্রে পাঁচবার দুই হাতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত এবং পা থেকে মাথা পর্যন্ত মার্জনা করবে।
ধ্যান- কূর্মমুদ্রায় হাতে ফুল নিয়ে হৃদয়ে জ্যোতির্ময় মূর্তি ভাবনাপূর্বক ধ্যান করবে-
‘ওঁ তরুণশকলমিন্দোর্বিভ্রতী শুভ্রকান্তিঃ
কুচভর-নমিতাঙ্গী সন্নিষন্না সিতাব্জে।
নিজ-করকমলোদ্যল্লেখনীপুস্তকশ্রীঃ
সকলবিভবসিদ্ধ্যৈ পাতু বাগদেবতা নঃ’।।
ধ্যানান্তে হৃদয়স্থ অষ্টদলপদ্মের দেবতার জ্যোতির্ময় মূর্তি হস্তস্থিত পুষ্পে আবির্ভূত ভাবনা করে সেই পুষ্প তাম্রকুণ্ডে বা পূজাধারে স্থাপন
করবে।
[ এখন অপ্রতিষ্ঠিত মূর্তি বা পট হলে সেই মূর্তিতে বা পটে এবং ঘটে পূজা হলে ঘটে আবাহন করতে হবে।]
আবাহন- আবাহন্যাদি পঞ্চমুদ্রায় আবাহন করবে-
‘ওঁ ঐং সরস্বতী দেবি ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ (আবাহনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ তিষ্ঠ ইহ তিষ্ঠ (স্থাপনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সন্নিধেহি ইহ সন্নিধেহি
(সন্নিধাপনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সন্নিরুধ্যস্ব ইহ সন্নিরুধ্যস্ব (সংরোধনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সম্মুখী ভব ইহ সম্মুখী ভব (সম্মুখীকরণ মুদ্রা দ্বারা)
অত্রাধিষ্ঠানং কুরু, মম পূজাং গৃহাণ’ (করজোড়ে)। অতঃপর ‘হূং’ মন্ত্রে মূর্তিতে বা পটে বা ঘটে অবগুণ্ঠন মুদ্রা দেখিয়ে দেবতার অঙ্গে
ষড়াঙ্গন্যাস করতে হবে।
ষড়াঙ্গন্যাস- এক একটি ফুল নিয়ে ‘সাং হৃদয়ায় নমঃ; সীং শিরসে স্বাহা; সূং শিখায়ৈ বষট্; সৈং করচায় হূং; সৌং নেত্রত্রয়ায় বৌষট্; সঃ
করতল পৃষ্ঠাভ্যাং অস্ত্রায় ফট্’ ইত্যাদি ক্রমে দেবতার অঙ্গে নিক্ষেপ করতে হবে। পরে ধেনু মুদ্রা ও পরমীকরণ মুদ্রা প্রদর্শন করবে।
[অপ্রতিষ্ঠিত মূর্তি বা পটে পূজা হলে এখন চক্ষুদান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ঘটে বা শালগ্রামে পূজা হলে এর দরকার নেই।]
চক্ষুদান- ঘৃত দ্বারা একটি বিল্বপত্রে কাজল প্রস্তুত করে আর একটি বিল্বপত্রের বোঁটা দ্বারা সেই কাজল নিয়ে ‘ওঁ বাগ্দেব্যৈ বিদ্মহে
কামরাজায় ধীমহি তন্নো দেবি প্রচোদয়াৎ ওঁ’ –সরস্বতীর এই গায়ত্রী মন্ত্র পাঠপূর্বক প্রথমে ঊর্ধ্বনেত্রে পরে বামনেত্রে তৎপরে দক্ষিণ নেত্রের
মণিতে দিয়ে চক্ষুদান করবে।
প্রাণ প্রতিষ্ঠা- প্রতিমার গণ্ডদ্বয় ধরে পাঠ করবে-
ওঁ হংসঃ শুচিষদ্ বসুরন্তরিক্ষসদ্ হোতা বেদিসদ্ অতিথিঃ দুরোণসদ্ নৃষদ্ বরসদ্ ব্যোমসদ্ অব্জা গোজা ঋতজা অদ্রিজা ঋতং বৃহৎ।
ওঁ প্রতদ্বিষ্ণুঃ স্তবতে বীর্য্যেণ মৃগো ন ভীমঃ কুচরো গিরিষ্ঠা, যস্যোরুষু ত্রিষু বিক্রমণেষ্বধিক্ষিয়ন্তি ভুবানি বিশ্বাঃ।
ওঁ তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ দিবীব চক্ষুরাততম্।
ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্। উর্ব্বারুকমিব বন্ধনান্মৃত্যোঃ মুক্ষীয়মামৃতাৎ।
ওঁ তদ্বিপ্রাসো বিপণ্যবো জাগৃবাংসঃ সম….
সরস্বতী পূজা-পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্র, প্রণাম মন্ত্র, স্তব ও প্রার্থনা মন্ত্র::
পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্র (৩ বার পাঠসহ)
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে। বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।। নমঃভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ। বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ।। এস স-চন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বতৈ নমঃ।।
সোর্স - sanatandharmatattva.wordpress.com
Older Posts Home
Popular Posts
-
ভারতীয় সময় অনুসারে ২০১৯ ভাই ফোঁটার তারিখ ও সময়, ২০১৯ ভাই ফোঁটা ক্যালেন্ডার: ভাইফোঁটা হিন্দুদের একটি উৎসব। এই উৎসবের আর এক নাম ভ্রাতৃদ্ব...
-
ভারতীয় সময় অনুসারে ২০১৮ ভাই ফোঁটার তারিখ ও সময়, ২০১৮ ভাই ফোঁটা ক্যালেন্ডার: ভাইফোঁটা হিন্দুদের একটি উৎসব। এই উৎসবের আর এক নাম ভ্রাতৃদ্ব...
-
ONGC- অয়েল অ্যান্ড নেচেরাল গ্যাস কর্পরাশন লিমিটেট ( Oil and Natural Gas Corporation Limited ) তে ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস নিয়োগ হবে। অ্যাকাউন্ট,...
-
শুভ দীপাবলি ও শ্যামা পূজার ( কালীপূজা ) প্রীতি ও অভিন্দন। এর মাত্র কয়েক প্রহর তারপরেই শুরু হতে চলেছে হিন্দুদের আলোর উৎসব অর্থাৎ দীপাবলি। দ...
-
উত্তর দিনাজপুর জেলার নামকারা কালিপূজা বলতে গেলে এককথায় কালিয়াগঞ্জের শহরের মা বয়রা কালির পুজো কেই আমারা জানি। এলাকার বর্ষীয়ান মানুষদের মত...
Kmdinfo FB Page