কোচবিহার জেলা পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের জলপাইগুড়ি বিভাগের একটি জেলা। আয়তনের হিসেবে এটি রাজ্যের ত্রয়োদশ এবং জনসংখ্যার হিসেবে ষোড়শ বৃহত্তম জেলা। এই জেলার উত্তরে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা; দক্ষিণে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ; পূর্বে অসমের ধুবড়ী জেলা এবং পশ্চিমে জলপাইগুড়ি জেলা ও বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ অবস্থিত।
বর্তমান কোচবিহার জেলা অতীতে বৃহত্তর কামরূপ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। ১৭৭২ সালে কোচবিহার রাজ্য ব্রিটিশ ভারতের একটি করদ রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৪৯ সালে কোচবিহারের তদনীন্তন রাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপবাহাদুর রাজ্যটিকে ভারত অধিরাজ্যের হাতে তুলে দেন। ১৯৫০ সালে কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলায় পরিণত হয়।
কোচবিহার জেলা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
প্রঃ কোচবিহার জেলায় সীমানা কি কি উল্লেখ কর।
উঃ উত্তরে জলপাইগুড়ি, দক্ষিণে ও পশ্চিমে বাংলাদেশ আর পূর্বে অসম রাজ্য।
প্রঃ কোচবিহার জেলায় জনসংখ্যা কত?
উঃ ২৪,৭৮,২৮০ জন।
প্রঃ কোচবিহায় জেলায় সাক্ষর জনগণের সংখ্যা কত?
উঃ ১৪,০৯,৩৫০ জন।
প্রঃ কোচবিহার জেলায় সাক্ষরতার হার কত শতাংশ?
উ : ৬৭.২১ শতাংশ।
প্র ৪ কোচবিহার জেলায় প্রতি বর্গ কিমিতে কতজন লােক বাস করে?
উঃ ৭৩২ জন।
প্রঃ কোচবিহার জেলায় জেলা সদয় কোনটি?
উঃ কোচবিহার।
প্রঃ কোচবিহার জেলার মহকুমা কটি ?
উঃ ৫টি।
প্র ও গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি কোচবিহার জেলায় কটি আছে?
উঃ গ্রাম পঞ্চায়েত ১২৮টি ও পঞ্চায়েত সমিতি ১২টি।
প্রঃ কোচবিহার জেলায় কটি পুরস রয়েছে?
উ : ৬টি।
প্রঃ কোচবিহার জেলায় কটি থানা আছে ?
উঃ ১টি।
প্রঃ কোচবিহার জেলার কয়েকটি কৃষিজ দ্রব্যের নাম লেখ।
উঃ ধান, গম, আনারস, তামাক, পাট। প্রঃ কোচবিহার জেলা গম উৎপাদনে কোন স্থানাধিকার করে?
উঃ ষষ্ঠ স্থান।
প্রঃ ডিম উৎপাদনে কোচবিহার জেলা কোন্ স্থান অধিকার করে?
উ : দ্বাদশ স্থান।
প্রঃ কোচবিহার জেলায় কয়েকটি নদীর নাম লেখ।
উঃ তিস্তা, তাের্সা, রায়ডাক, জলঢাকা, কালিন্দী ও সঙ্কোশ।
প্রঃ কোচবিহার জেলার কয়েকটি দর্শনীয় স্থান কি কি?
উ : কোচবিহার শহরের রাজপ্রাসাদ, মদনমােহন মন্দির ও গােসানিমারীর প্রাচীন মন্দির।
প্রঃ কোচবিহার জেলার আয়তন কত?
উঃ ৩,৩৮৭ বর্গ কিমি।
প্রঃ কোচবিহার জেলায় প্রতি হাজার হেক্টরে কৃষি জমির পরিমাণ কত ভাগ?
উঃ ২৪৬,৭ ভাগ।
এটিও পড়ুন – মালদা জেলা – প্রাচীন ঐতিহ্য About Malda District
কোচবিহার জেলা
প্রঃ কোচবিহার জেলার সীমানা উল্লেখ করো।
উঃ পূর্বে অসম; দক্ষিণে বাংলাদেশ রাষ্ট্র; পশ্চিমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও জলপাইগুড়ি জেলা; উত্তরে জলপাইগুড়ি জেলা।
প্রঃ কোচবিহার জেলার আয়তন কত?
উঃ ৩,৩৮৭ বর্গকিমি।
প্রঃ কোচবিহার জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত নদীর নাম কী?
উঃ তিস্তা, তাের্সা, রায়ডাক, জলঢাকা, কালিন্দী ও সঙ্কোশ ।
প্রঃ কোচবিহার নামের অর্থ কী?
উঃ কোচদের বাসস্থান।
প্রঃ কোচবিহার জেলার জনসংখ্যা কত?
উঃ ২৪,৭৮,২৮০ জন; পুরুষ—১২,৭১,৭১৫ জন; মহিলা—১২,০৬,৫৬৫ জন।
প্রঃ কোচবিহার জেলার দক্ষিণে ও পশ্চিমে কোন দেশ অবস্থিত?
উঃ বাংলাদেশ ।
প্রঃ কোচবিহার জেলার লােকবসতির ঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে কত?
উঃ ৭৩২ জন।
প্রঃ কোচবিহার জেলার সাক্ষরতার হার কত শতাংশ?
উঃ ৬৭-২১ শতাংশ; সাক্ষর-১৪,০৯,৩৫০ জন।
প্রঃ গ্রামাঞ্চলে কৃষিজমির পরিমাণ কত শতাংশ?
উঃ ৯০-৯০ শতাংশ।
প্রঃ কোচবিহার জেলায় থানা ও ব্লক আছে কটি ?
উঃ ৯টি থানা ও ১২টি ব্লক।
প্রঃ কোচবিহার জেলা কত সালে পশ্চিমবঙ্গের জেলারূপে ঘােষিত হয়েছিল?
উঃ ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে।
প্রঃ কোচবিহার জেলার পুরসভা কটি?
উঃ ছয়টি।
প্রঃ কোচবিহার জেলার মহকুমা কয়টি ও কী কী?
উঃ কোচবিহার জেলার মহকুমা মােট পাঁচটি। যথা-তুফানগঞ্জ, দিনহাটা, কোচবিহার সদর, মাথাভাঙ্গা এবং মেখলিগঞ্জ।
প্রঃ কোচবিহার শহরটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত ?
উঃ তাের্সা নদী ও কালজানি নদীর দুদিকে কোচবিহার জেলাটি অবস্থিত।
প্রঃ কোচবিহার জেলার বিখ্যাত লােকগীতিগুলির নাম কী?
উঃ ভাওয়াইয়া, চটকা, মহুত বন্ধুর গান।
প্রঃ কোচবিহার শহরের ঐতিহাসিক কলেজের নাম কী?
উঃ ব্রজেন্দ্রনাথ শীল মহাবিদ্যালয়।
প্রঃ কোচবিহারের কোথায় পাখিরালয় আছে?
উঃ কোচবিহারের তুফানগঞ্জের রসিকবিলে পাখিরালয় আছে।
প্রঃ কোচবিহারের কোন্ ফসল উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গে অগ্রণী?
উঃ তামাক।
প্রঃ কোচবিহার জেলা কত শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠান করা হয়? এবং কে প্রতিষ্ঠান করেছিলেন?
উঃ যােড়শ শতাব্দীতে রাজা বিশ্বনারায়ণ সিংহ।
প্রঃ কোচবিহারে রাজাদের নামের সঙ্গে কী যুক্ত হত?
উঃ নামের সাথে নারায়ণ যুক্ত হত।
প্রঃ কোচবিহার জেলার দর্শনীয় স্থানগুলির নামােল্লেখ করাে।
উঃ কোচবিহার শহরে রাজপ্রাসাদ, মদনমােহন মন্দির ও গােসানিমারির প্রাচীন মন্দির
প্রঃ কোচবিহার জেলার উৎপাদিত কয়েকটি দ্রব্যর নাম লেখাে।
উঃ ধান, দুধ, ডিম, আনারস, তামাক, পাট প্রভৃতি।
প্রঃ প্রাচীনকালে কোচবিহার অঞ্চল কোন্ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল?
উঃ কামরূপ বা আসাম রাজ্যে।
প্রঃ কোচবিহার জেলার ভূপ্রকৃতি কী ধরনের?
উঃ এই জেলার মাটি প্রধানত পলিগঠিত সমতলভূমি। কিন্তু কোথাও কোথাও ছােটো পাহাড়ী অঞ্চল এবং কিছু নীচু অঞ্চল রয়েছে।
এটিও পড়ুন – পুরুলিয়া জেলা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
Its nice of Information