স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর ও PDF সহ

স্নায়ুতন্ত্র প্রাণীদেহের ঐচ্ছিক ও অনৈচ্ছিক কাজগুলি সমন্বয় করে এবং দেহের বিভিন্ন অংশে সংকেত প্রদান করে। স্নায়ু টিস্যু অতি ক্ষুদ্র অর্গানিজম রূপে প্রায় ৫৫০-৬০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে আবির্ভূত হয়। অধিকাংশ প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান দুটি অংশ আছে –কেন্দ্রীয় স্নায়ু তন্ত্র ও প্রান্তীয় স্নায়ু তন্ত্র।

স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর ও PDF সহ

প্রশ্নঃ- স্নায়ু কাকে বলে?

Ans:  স্নায়ুকোষ বা নিউরোন দিয়ে গঠিত যে তন্ত্রের সাহায্যে প্রাণিদেহ উদ্দীপনা গ্রহণ। করে ও উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সঙ্গে দেহের জৈবিক কার্যাবলীর সামঞ্জস্য বিধান করে এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে সমন্বয়সাধন করে, তাকে স্নায়ুতন্ত্র বা নার্ভতন্ত্র বলে।

প্রশ্নঃ-স্নায়ুতন্ত্র কি কি অংশ নিয়ে গঠিত?

Ans: স্নায়ুতন্ত্র অসংখ্য স্নায়ু, স্নায়ুগ্রন্থি, স্নায়ুসন্ধি, স্নায়ুকোষ ও নিউরোগ্লিয়া নিয়ে গঠিত।

প্রশ্নঃ-নিউরোন কি?

Ans: স্নায়ুতন্ত্রের গঠনমূলক ও কার্যমূলক একককে নিউরোন বলে যা অ্যাক্সন, ডেনড্রন এবং কোষদেহ দ্বার গঠিত।

প্রশ্নঃ-অ্যাক্সন হিলক কাকে বলে?

Ans: কোষদেহের যে অংশ থেকে অ্যাক্সন নির্গত হয়, তাকে অ্যাক্সন হিলক বলে।

প্রশ্নঃ-র‍্যানভিয়ারের নোড কাকে বলে? এর কাজ কি?

Ans: অ্যাক্সনের যেসব স্থানে মায়োলিন সীদ থাকে না সেখানে কুঞ্চনের সৃষ্টি হয়, একেই র‍্যানভিয়ারের নোড বলা হয়। এই স্থানে কেবল অ্যাক্সোলেম্মা এবং নিউরোলেম্মা থাকে। এই অঞ্চল সর্বাধিক আয়নভেদ্য হয় এবং এটি স্নায়ুপ্রবাহের প্রেরকস্থান হিসেবে কাজ করে।

প্রশ্নঃ-নিল দানা কোথায় অবস্থিত এবং এদের কাজ কি?

Ans: নিল দানা কোষদেহের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত ।এদের কাজ প্রোটিন সংশ্লেষ করা।

প্রশ্নঃ-অ্যাক্সনের আবরণীগুলির নাম লেখ।

Ans: অ্যাক্সনে তিন ধরনের আবরণী দেখা যায়, যথা- (i) অ্যাক্সোলেম্মা, (ii) মায়োলিন সীদ ও (iii) নিউরোলেম্মা।

প্রশ্নঃ-মায়োলিন সীদের কাজ কি?

(i) স্নায়ুতস্ককে অন্তরিত করা, যাতে পাশাপাশি অন্য স্নায়ুতন্ততে স্নায়ুপ্রবাহ ছড়িয়ে না পড়ে।

(ii) স্নায়ুপ্রবাহের গতি বৃদ্ধি করা।

(iii) স্নায়ুকোষকে অংশত পুষ্টি যোগানো।

এটিও পড়ুন –  ভারতের বিভিন্ন বিখ্যাত স্থান ও তাদের উপনাম এর তালিকা

প্রশ্নঃ- প্রাপ্ত বুরুশ কি?

Ans: অ্যাক্সনের শেষ প্রান্ত সূক্ষ্ম-শাখান্বিত হয়ে যে বুরুশের আকার গঠন করে, তাকে প্রান্ত বুরুশ বলে।

প্রশ্নঃ-অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের কার্যগত পার্থক্য কি?

Ans: অ্যাক্সন স্নায়ু-স্পন্দন বহন করে এবং ডেনড্রন স্নায়ু-স্পন্দন গ্রহণ করে।

প্রশ্নঃ-যেকোন দুটি উল্লেখযোগ্য কাজের নাম কর যার প্রথমটি ‘ডেনড্রন’এর এবং দ্বিতীয়টি ‘অ্যাক্সন’-এর।

Ans: ডেনড্রন রিসেপ্টর থেকে স্নায়ু-স্পন্দন গ্রহণ করে এবং অ্যাক্সন স্নায়ু-স্পন্দন পরবর্তী নিউরোনে বহন করে।

প্রশ্নঃ-রিজেক্টর কাকে বলে? এরা কোথায় অবস্থিত?

Ans:  দেহের বিশেষ বিশেষ অঙ্গে অবস্থিত, বহির্জগতের সংবাদ গ্রহণে সক্ষম স্নায়ুকোষগুলিকে গ্রাহক বা রিসেপ্টর বলে। এরা ত্বক, পেশী, জিহ্বা, নাক, কান, চোখ প্রভৃতি অঙ্গে অবস্থান করে।

প্রশ্নঃ- কয়েক প্রকার গ্রাহকের উদাহরণ দাও।

Ans: স্বানগ্রাহক, স্পর্শগ্রাহক, বেদনাগ্রাহক, তাপগ্রাহক, চাপগ্রাহক ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ- কারক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

Ans: দেহের যে সকল অঙ্গ উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্দীপিত হয় এবং সৃষ্টি করে, তাদের কারক বলে। যেমন—পেশী, গ্রন্থি ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ-বাহক কাকে বলে?

Ans: উদ্দীপনা বহনকারী স্নায়ুতন্ত্রের উপাদানকে বাহক বলে। এটি দুপ্রকারের, যথা— সংজ্ঞাবহ এবং আজ্ঞাবহ।

প্রশ্নঃ-নিউরোফাইব্রিল কোথায় অবস্থিত, এর কাজ কি?

Ans: স্নায়ুকোষের কোষদেহের সাইটোপ্লাজমে নিউরোফাইব্রিল অবস্থিত। এর কাজ প্রোটিন সংশ্লেষ করা।

প্রশ্নঃ-স্নায়ুকোষ বিভাজিত হয় না কেন?

Ans: স্নায়ুকোষের কোষদেহে যে সেন্ট্রোজোম থাকে তা নিষ্ক্রিয়, তাই স্নায়ুকোষ বিভাজিত হয় না।

প্রশ্নঃ-মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্র দেহের কোথায় অবস্থিত?

Ans: মেরুদণ্ডী প্রাণীদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র দেহের পৃষ্ঠদেশে এবং অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র দেহের অঙ্কদেশে অবস্থিত।

প্রশ্নঃ-সাইন্যাপস্ কি?

Ans: একটি নিউরোনের অ্যাপন এবং অন্য নিউরোনের ডেনড্রনের সংযোগস্থলকে সাইন্যাপস্ বলে।

প্রশ্নঃ-নিউরোট্রান্সমিটার কি?

Ans: যেসব রাসায়নিক পদার্থ ক্ষরিত হয়ে স্নায়ুপ্রবাহকে এক নিউরোন থেকে অন্য নিউরোন বা পেশীতে পৌঁছে দেয়, তাদের নিউরোট্রান্সমিটার বলে। যথা—অ্যাসিটাইল কোলিন, অ্যাড্রিনালিন ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ-প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে?

Ans: প্রাণিদেহে নির্দিষ্ট উত্তেজনার প্রভাবে সুষুম্নাকাণ্ড থেকে যে স্বতঃস্ফূর্ত, তাৎক্ষণিক ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, তাকে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।

প্রশ্নঃ-একটি সরল প্রতিবর্ত ক্রিয়ার উদাহরণ দাও।

Ans: চোখে তীব্র আলো পড়লে চোখের পাতা দুটি তৎক্ষণাৎ মুদে যায়।

প্রশ্নঃ-সহজাত ও অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলতে কি বোঝ?

Ans: যেসব প্রতিবর্ত ক্রিয়া জন্মগত এবং কোন শর্তাধীন নয়, তাদের সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে। অপরপক্ষে, যেসব প্রতিবর্ত ক্রিয়া জন্মগত নয়, বারবার অভ্যাসের ফলে অর্জিত হয়, তাদের অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।

প্রশ্নঃ-প্রতিবর্ত চাপ কি?

Ans: প্রতিবর্ত ক্রিয়ার স্নায়ু-স্পন্দন যে পথে আবর্তিত হয়, তাকে প্রতিবর্ত চাপ বলে।একটি প্রতিবর্ত চাপ গ্রাহক, সংজ্ঞাবহ নিউরোন, স্নায়ুকেন্দ্র (সুষুম্নাকাণ্ড, মস্তিষ্ক), আজ্ঞাবহ নিউরোন ও কারক অঙ্গ নিয়ে গঠিত।

প্রশ্নঃ- অসন্ধি প্রতিবর্ত চাপ কি?

Ans: যে প্রতিবর্ত চাপে স্নায়ুসন্ধি বা প্রান্তসন্নিকর্ষ অনুপস্থিত থাকে, তাকে অসন্ধি প্রতিবর্ত চাপ বলে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে একটি মাত্র নিউরোন দিয়েই প্রতিবর্ত চাপ গঠিত হয়।

প্রশ্নঃ- একসন্ধি বা সরল প্রতিবর্ত চাপ কি?

Ans: যে প্রতিবর্ত চাপে দুটি নিউরোন ও একটি স্নায়ুসন্ধি থাকে, তাকে একসন্ধি বা সরল প্রতিবর্ত চাপ বলে।

প্রশ্নঃ- দ্বিসন্ধি প্রতিবর্ত চাপ কি?

Ans: যে প্রতিবর্ত চাপে তিনটি নিউরোন ও দুটি স্নায়ুসন্ধি থাকে, তাকে দ্বিসন্ধি প্রতিবর্ত চাপ বলে।

প্রশ্নঃ-. বহুসন্ধি প্রতিবর্ত চাপ কি?

Ans: যে প্রতিবর্ত চাপে তিনটির বেশি নিউরোন ও দুটির বেশি স্নায়ুসন্ধি থাকে, তাকে বহুসন্ধি প্রতিবর্ত চাপ বলে।

প্রশ্নঃ-নিউরোগ্লিয়া বলতে কি বোঝ?

Ans: স্নায়ুকলা বা স্নায়ুতন্ত্রে স্নায়ুকোষ ছাড়াও একপ্রকার পরিবর্তিত যোগকলা মূল উপাদানরূপে থাকে, যাকে নিউরোগ্লিয়া বলে। স্নায়ুতন্ত্রের 90 শতাংশই নিউরোগ্লিয়া।

প্রশ্নঃ-অন্তর্ব আয়ু কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

Ans: যেসব স্নায়ু দেহের বিভিন্ন ইন্দ্রিয় থেকে কোন নির্দেশ বা উদ্দীপনা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে বহন করে আনে, তাদের অন্তর্বাহী স্নায়ু বা সংজ্ঞাবহ স্নায়ু বা অ্যাফারেন্ট নার্ভ বলে। যথা- অলফ্যাক্টরি, অপটিক, অডিটরি নার্ভ ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ- বহিবাহী স্নায়ু কাকে বলে?

Ans: যেসব স্নায়ু কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে পেশী, গ্রন্থি ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অঙ্গে প্রয়োজনীয় নির্দেশ বা আব্বা বহন করে নিয়ে যায়, তাদের বহির্বাহী স্নায়ু বা চেষ্টীয় স্নায়ু বা ইফারেন্ট নার্ভ বলে। যেমন—স্পাইন্যাল অ্যাক্সেসরি ও হাইপোগ্লসাল স্নায়ু ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ-মিশ্র স্নায়ু কাকে বলে?

Ans: যে স্নায়ু সংজ্ঞাবহ ও আজ্ঞাবহ উভয় প্রকার নিউরোন দিয়ে গঠিত, তাকে নিশ্র স্নায়ু বলে। যেমন—ভেগাস স্নায়ু।

প্রশ্নঃ-সহযোগী নিউরোন কি? কোথায় অবস্থিত?

Ans যেসব নিউরোন সেনসরি বা মোটর নিউরোনের মধ্যে সংযোগরক্ষা করে, তাদের সহযোগী নিউরোন বলে। এই জাতীয় নিউরোন কেবল সুষুম্নাকাণ্ডেই দেখা যায়।

প্রশ্নঃ-মেরুদণ্ডী প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রের অংশগুলি কি কি?

Ans: মেরুদণ্ডী প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রের অংশগুলি হল—কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র, প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র এবং স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র।

প্রশ্নঃ-কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশগুলি কি কি?

Ans: কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশগুলি হল – (i) মস্তিস্ক ও (ii) সুষুম্নাকাণ্ড।

প্রশ্নঃ-প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশগুলি কি কি?

Ans: প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশগুলি – (i) 12 জোড়া করোটি স্নায়ু এবং (il) 31 জোড়া সুযুম্না স্নায়ু।

প্রশ্নঃ-স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র কি কি অংশ নিয়ে গঠিত?

Ans: স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র —–(1) সিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র এবং (ii) প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র নিয়ে গঠিত।

প্রশ্নঃ-মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান পার্থক্য কি?

Ans: → মেরুদণ্ডী প্রাণীর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ফাঁপা এবং অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র নিরেট।

প্রশ্নঃ- মস্তিষ্কের প্রধান তিনটি অঞ্চলের নাম কর।

Ans: → মস্তিষ্কের প্রধান তিনটি অঞ্চলের নাম—অগ্রমস্তিষ্ক, মধ্যমস্তিষ্ক ও পশ্চাৎমস্তিষ্ক।

প্রশ্নঃ- গুরুমস্তিষ্কের কাজ কি?

Ans শুরুমস্তিষ্ক প্রাণীদের বুদ্ধি, চিন্তা, স্মৃতিশক্তি, দর্শন, শ্রবণ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রশ্নঃ-লঘুমস্তিষ্কের কাজ কি?

Ans: মেরুদণ্ডী প্রাণীদের দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা লঘু মস্তিষ্কের কাজ।

প্রশ্নঃ-থ্যালামাসের কাজ কি?

Ans: থ্যালামাস ক্রোধ, মানসিক চাপ, তাপ, বেদনা, লজ্জা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রশ্নঃ-হাইপোথ্যালামাসের কাজ কি লেখ।

Ans:  হাইপোথ্যালামাস ক্ষুধা, তৃষ্ণা, খাদ্যগ্রহণ, নিদ্রা ও জাগ্রত অবস্থা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ

প্রশ্নঃ- গুরুমস্তিষ্কের কোথায় ধূসর বস্তু ও শ্বেত বস্তু থাকে?

Ans: গুরুমস্তিষ্কের বহির্ভাগে ধূসর বস্তু এবং অন্তর্ভাগে শ্বেত বস্তু থাকে।

প্রশ্নঃ-মস্তিষ্কের ভেন্ট্রিকল কি?

Ans: মস্তিষ্কের ভেতর যে প্রকোষ্ঠগুলি থাকে, তাদের ভেন্ট্রিকল বলে। মানবমস্তিষ্কে মোট চারটি ভেন্ট্রিক্যাল আছে এবং এগুলি সেরিব্রোস্পাইন্যাল ফ্লুয়িড দ্বারা পূর্ণ থাকে।

প্রশ্নঃ-ফাইলাম টারমিনেল কি?

Ans: সুষুম্নাকাণ্ডের শেষ প্রান্ত অতি সূক্ষ্ম চুলের মতো, একে ফাইলাম টারমিনেল বলে।

প্রশ্নঃ-বাইনেস্ফেটিক অনুভূতি কাকে বলে?

Ans: দেহের অবস্থান সংক্রান্ত অনুভূতি এবং বিভিন্ন অঙ্গের নড়াচড়ার অনুভূতিকে বাইনেস্ফেটিক অনুভূতি বলে।

প্রশ্নঃ- নার্ভ ইমপালস্ কি?

Ans: স্নায়ুকোষের ঝিল্লিতে আয়নের পরিবর্তন ঘটিয়ে যে বিশেষ তরঙ্গ এক স্নায়ুকোষ থেকে অন্য স্নায়ুকোষে প্রবাহিত হয়, তাকে নার্ভ ইমপালস্ বলে।

প্রশ্নঃ-উদ্ভিদের কি স্নায়ুতন্ত্র আছে?

Ans:  না।

প্রশ্নঃ-কোন্ প্রাণীর দেহে প্রথম স্নায়ুর অস্তিত্ব দেখা যায় ?

Ans: হাইড্রার দেহে।

প্রশ্নঃ-কোন্ প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্র মই-এর মতো?

Ans: পেরিপেটাস-এর

প্রশ্নঃ-উদ্ভিদের কি স্নায়ুতন্ত্র আছে?

Ans: না।

প্রশ্নঃ-কোন্ প্রাণীর দেহে প্রথম স্নায়ুর অস্তিত্ব দেখা যায় ?

Ans: হাইড্রার দেহে।

প্রশ্নঃ-কোন্ প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্র মই-এর মতো?

Ans: পেরিপেটাস-এর

প্রশ্নঃ-স্নায়ুতন্ত্রের গঠনমূলক উপাদান কি কি?

Ans: স্নায়ুকোষ ও নিউরোগ্লিয়া।

প্রশ্নঃ-স্নায়ুতন্ত্রের কার্যমূলক উপাদান কি কি?

Ans: গ্রাহক, বাহক ও কারক।

প্রশ্নঃ- স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একককে কি বলে?

Ans: নিউরোন।

প্রশ্নঃ-স্নায়ুকোষের কোষদেহকে কি বলে?

Ans: সোমা।

প্রশ্নঃ-অমেরুদণ্ডী প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রটি কি ধরনের?

Ans নিরেট।

প্রশ্নঃ- মেরুদণ্ডী প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্র দেহের কোন্ দিকে অবস্থিত?

Ans: পৃষ্ঠদেশে।
প্রশ্নঃ-অমেরুদণ্ডী প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্র দেহের কোন দিকে অবস্থিত?

Ans: অঙ্কদেশে।

প্রশ্নঃ- নিউরোনের লম্বা অংশটিকে কি বলে?

Ans: অ্যাক্সন।

প্রশ্নঃ-নিউরোনের ক্ষুদ্র ও শাখাযুক্ত অংশটিকে কি বলে?

Ans: ডেনড্রন।

প্রশ্নঃ-সোয়ান কোষের অবস্থান কোথায়?

Ans: অ্যাক্সনের নিউরোলেম্মা ও মায়োলিন সীদের মাঝখানে।

প্রশ্নঃ-ডেনড্রাইট কি?

Ans: ডেনড্রনের এক একটি ছোট শাখাকে ডেনড্রাইট বলে।

প্রশ্নঃ-মায়োলিন আবরণী কোথায় থাকে?

Ans: মায়োলিনযুক্ত স্নায়ুতত্ত্বতে।

প্রশ্নঃ-দুটি তন্ত্রের নাম কর যারা শরীরের বিভিন্ন কাজের মধ্যে সমন্বয়সাধন করে।

Ans:  স্নায়ুতন্ত্র এবং অনালতন্ত্র (হরমোন)।

প্রশ্নঃ- স্নায়ু কি?

Ans: পেরিনিউরিয়াম নামক যোজক কলার আবরণ দ্বারা আবৃত এবং রক্তবাহসমন্বিত এক বা একাধিক স্নায়ুতত্ত্বকে স্নায়ু বলে।

প্রশ্নঃ- নিউরোনের দুটি অংশের নাম কি?

Ans: কোষদেহ এবং প্রবর্ধক।

প্রশ্নঃ-. নিউরোনের প্রবর্ধকগুলি কি কি?

Ans: অ্যাক্সন ও ডেনড্রন।

  1. নিউরোনের ঠিক ওপরে যে আবরণটি থাকে তাকে কি বলে?

Ans: অ্যাক্সোলেম্মা

প্রশ্নঃ-নিউরোনের সবচেয়ে বাইরের আবরণটি কি?

Ans: নিউরোলো।

প্রশ্নঃ-কোষদেহ ও অ্যাক্সনের মধ্যবর্তী অংশকে কি বলে?

Ans: অ্যাক্সন হিলক।

প্রশ্নঃ-একটি সাইটোপ্লাজমীয় বস্তুর নাম কর যা কেবল স্নায়ুকোষে পাওয়া যায়।

Ans: নিল দানা।

প্রশ্নঃ- স্নায়ুকোষ বিভাজিত হয় না কেন?

Ans: স্নায়ুকোষে সক্রিয় সেন্ট্রোজোম নেই বলে তা বিভাজিত হয় না।

প্রশ্নঃ- মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডের গহ্বরে যে রস থাকে তার নাম কি?

Ans: সেরিব্রোস্পাইনাল রস।

প্রশ্নঃ- কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের আবরণীটির নাম কি?

Ans: মেনিনজেস।

প্রশ্নঃ-পর পর অবস্থিত দুটি নিউরোনের সংযোগস্থলকে কি বলে?

Ans: স্নায়ুসন্ধি বা সাইন্যাপস্।

প্রশ্নঃ-সুষুম্নাকাণ্ডের ভেতর যে গহ্বর থাকে তার নাম কি?

Ans: কেন্দ্রীয় গহ্বর।

প্রশ্নঃ- স্নায়ুতন্ত্র কোন্ কলা দ্বারা গঠিত?

Ans: • স্নায়ুকলা দ্বারা।

প্রশ্নঃ-অ্যাক্সনের প্রান্ত থেকে যে রাসায়নিক বস্তু নিঃসৃত হয়, তাকে কি বলে?

Ans: অ্যাসিটাইল কোলিন।

প্রশ্নঃ- সহজাত ও অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া সম্পর্কে কে ধারণা দেন?

Ans: বিজ্ঞানী ইভান প্যাভলভ।

প্রশ্নঃ- হঠাৎ পায়ে কাঁটা ফুটলে পা তৎক্ষণাৎ সরে আসে—এটি কি ধরনের প্রতিবর্ত ক্রিয়া?

Ans: সহজাত এবং সরল প্রতিবর্ত ক্রিয়া।

প্রশ্নঃ- শিশুদের সময়মতো মলমূত্র ত্যাগ করা—এটি কি ধরনের প্রতিবর্ত ক্রিয়া?

Ans: অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।

প্রশ্নঃ-C.N.S.-এর পুরো নাম কি?

Ans: সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম।

প্রশ্নঃ- একটি প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের মস্তিষ্কের ওজন কত

Ans: 1:36 কিলোগ্রাম।

প্রশ্নঃ-মস্তিষ্কের সর্ববৃহৎ অংশ কোনটি?

Ans: গুরুমস্তিষ্ক বা সেরিব্রাম।

এটিও পড়ুন – ভারতের আন্দোলন এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

প্রশ্নঃ-মস্তিষ্কের কোন্ অংশ দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে?

Ans: লঘুমস্তিষ্ক বা সেরিবেলাম।

প্রশ্নঃ- গুরুমস্তিষ্কের গোলার্ধর্ষয়ের সংযোজকটির নাম কি?

Ans: করপাস ক্যালোসাম।

প্রশ্নঃ- লঘুমস্তিষ্কের গোলার্ধর্ষয়ের সংযোজকটির নাম কি?

Ans:  ভারমিস।

প্রশ্নঃ- মানুষের কয় জোড়া করোটি স্নায়ু আছে?

Ans: 12 জোড়া।

প্রশ্নঃ- মানুষের কয় জোড়া সুষুম্না স্নায়ু আছে?

Ans: 31 জোড়া।

প্রশ্নঃ-মানবদেহের সবচেয়ে দীর্ঘ স্নায়ুর নাম কি?

Ans:  সায়াটিক স্নায়ু

প্রশ্নঃ-মেনিনজেসের বিভিন্ন স্তর কি কি?

Ans:  ডুরাম্যাটার, পিয়াম্যাটার এবং অ্যারানয়েড ম্যাটার।

প্রশ্নঃ- দুই ধরনের স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রের স্নায়ুর নাম কর।

Ans:  সিমপ্যাথেটিক এবং প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ু।

প্রশ্নঃ- সুষুম্নাকাণ্ডের কোন অংশে ধুসর বস্তু ও কোন অংশে শ্বেত বস্তু থাকে?

Ans: সুষুম্নাকাণ্ডের ভেতর দিকে ধূসর বস্তু এবং বাইরের দিকে শ্বেত বস্তু থাকে।

প্রশ্নঃ- গুরুমস্তিষ্কের বহিঃস্তরের খাঁজ ও ভাঁজগুলিকে কি বলে?

Ans: গুরুমস্তিষ্কের বহিঃস্তরের খাঁজকে সালকাস এবং ভাঁজকে জাইরাস

প্রশ্নঃ-মানুষের সুষুম্নাকাণ্ডের দৈর্ঘ্য কত?

Ans: সেন্টিমিটার।

প্রশ্নঃ-ব্যাঙের কয় জোড়া করোটি স্নায়ু ও কয় জোড়া সুষুম্না স্নায়ু বর্তমান?

Ans: ব্যাঙের 10 জোড়া করোটি স্নায়ু ও 10 জোড়া সুষুম্না স্নায়ু বর্তমান।

প্রশ্নঃ- মস্তিষ্কের গহ্বরগুলিকে কি বলে?

Ans: ভেন্ট্রিকল।

প্রশ্নঃ- স্নায়ুকোষের কোন অংশ পূর্ববর্তী স্নায়ুকোষ থেকে স্নায়ু-সংবেদ গ্রহণ করে কোষদেহে পাঠায়?

Ans: ডেনড্রন।

ট্যাগ- স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর ও PDF সহ, Free Download স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর ও PDF সহ, Download 500+ GK স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর ও PDF সহ

This Post Has One Comment

Leave a Reply