Raksha Bandhan is also called Rakhi Purnima or simply Rakhi or "Rakhri", in many parts of India and Nepal. The same festival is also celebrated as Janai Purnima in hilly regions of Nepal. Wikipedia
Raksha Bandhan Wallpaper , Facebook Cover Photo
Latest Raksha Bandhan Wallpaper, Facebook Cover Photo
Latest Raksha Bandhan Wallpaper, Facebook Cover Photo
Latest Raksha Bandhan Wallpaper, Facebook Cover Photo
Raksha Bandhan is also called Rakhi Purnima or simply Rakhi or "Rakhri", in many parts of India and Nepal. The same festival is also celebrated as Janai Purnima in hilly regions of Nepal. Wikipedia
Tag:
Raksha Bandhan Wallpaper , Facebook Cover Photo, Download Raksha Bandhan Wallpaper , Facebook Cover Photo, Free download Raksha Bandhan Wallpaper , Facebook Cover Photo, Latest Raksha Bandhan Wallpaper , Facebook Cover Photo
আজ ১৫ আগস্ট । ভারতের ৭০তম স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের এই দিনে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত। প্রায় ২০০ বছরের শাসন-শোষণের ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটে ১৫ আগস্ট। আজকের এই বিশেষ দিনে Kmdinfo এর পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিন্দন। জয় হোক মানবতার জয় হোক ভারত বর্ষের। আসুন সকলে মিলে ভালবাসি আমাদের এই দেশকে।
Malin Sarkar 19:46:00 New Google SEO Bandung, Indonesia
আজ ১৪ আগস্ট রাত পোহালেই ১৫ আগস্ট , অর্থাৎ ৭০ তম স্বাধীনতা দিবস। এই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কিছু এসএমএস শেয়ার করা হল।
*********.--,_
Koi mere dil se puche,
Jo taqlef di hai ushse muh na mode!
Koi aft ko na de bulawa,
Pr uska sanhar to kare!
Koi mere atet se samjhe,
Nwjwano mein utsah ka snchar ho!
Aantk jo phela hai,
Aag ki ujwalta danv pe na ho,
Bachalo.. chupalon aao tumhe apni god mein!
Lo Dharti Maa tujhe salam!
WISH YOU ALL A HAPPY INDEPENDENCE DAY
MAY OUR COUNTRY PROGRESS IN EVERYWHERE AND IN EVERYTHING
SO THAT THE WHOLE WORLD SHOULD HAVE PROUD ON US
HINDUSTAN JINDABAD
"JAI HIND" HAPPY INDEPENDENCE DAY.
Malin Sarkar 23:28:00 New Google SEO Bandung, Indonesia
*********.--,_
********['****'\.
*********\*******`''|
*********|*********,]
**********`._******].
************|*****\
**********_/*******-'\
*********,'**********,'
*******_/'**********\*********************,....__
**|--''**************'-;_********|\*****/******.,'
***\**********************`--.__,'_*'----*****,-'
***`\******** 15th August ********\`-'\__****,|
,--;/ ********************************/*****.|*,/
\__*** HAPPY INDEPENDENCE DAY *'|****/**/*
**./**_-,*************************_|***
**\__/*/************************,/********"
*******|**********************_/
*******|********************,/
*******\*******************/
********|**************/.-'
*********\***********_/
**********|*********/
***********|********|
******.****|********|
******;*****\*******/
******'******|*****|
*************\****_|
**************\_,/
A Very Happy Independence Day 2 all of u!
Independence Day SMS
:: 15 august independence day SMS ::Koi mere dil se puche,
Jo taqlef di hai ushse muh na mode!
Koi aft ko na de bulawa,
Pr uska sanhar to kare!
Koi mere atet se samjhe,
Nwjwano mein utsah ka snchar ho!
Aantk jo phela hai,
Aag ki ujwalta danv pe na ho,
Bachalo.. chupalon aao tumhe apni god mein!
Lo Dharti Maa tujhe salam!
Independence Day SMS
WISH YOU ALL A HAPPY INDEPENDENCE DAY
MAY OUR COUNTRY PROGRESS IN EVERYWHERE AND IN EVERYTHING
SO THAT THE WHOLE WORLD SHOULD HAVE PROUD ON US
HINDUSTAN JINDABAD
Independence Day SMS
15 August ek aisa din jo hume humari azadi ki yaad dilata hai un deshbhakto ki yaad dilata hai jinhone is desh ke liye apna ghar, apni family, apni jindagi, apni jaan tak gavaa dee. I SOLUTE THEM."JAI HIND" HAPPY INDEPENDENCE DAY.
স্বাধীনতা দিবস এর শুভেচ্ছা বার্তা - এক
আজ আমরা একসঙ্গে আসা
ঐক্যের কারণ হতে
এটি সুন্দর দিন অন্য
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই
জাতি এর পতাকা সর্পিল
শুভ স্বাধীনতা দিবস 2015
=======================
স্বাধীনতা দিবস এর শুভেচ্ছা বার্তা -দুই
স্বাধীনতা দিবসে
এখানে একটি নতুন আমাদের স্বপ্ন তবেই এর
আগামীকাল আমাদের জন্য আসা সত্য ...
এবং সবসময় এখন!
শুভ স্বাধীনতা দিবস 2016
=======================
স্বাধীনতা দিবস এর শুভেচ্ছা বার্তা -তিন
এর একটি প্রচার করে ফ্রিডম উদযাপন করা যাক
মানবাধিকার সংস্কৃতি যা
সম্মান, মর্যাদা ও সমতার
রোজগারের জন্য একটি কোড হয়ে.
এই আমাদের ভূমিকা হতে হবে
স্বপ্ন পর্যন্ত বাস
1947 সালের
শুভ স্বাধীনতা দিবস 2016
স্বাধীনতা দিবস হল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটি জাতীয় ছুটির দিন। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসনকর্তৃত্ব থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। তারই স্মৃতিতে প্রতি বছর ১৫ অগস্ট ভারতে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রধানত অহিংস অসহযোগ ও আইন অমান্য কর্মসূচির মাধ্যমে দীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের পর ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার সময় ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত হয়ে ভারত অধিরাজ্য ও পাকিস্তান অধিরাজ্য নামে দুটি পৃথক রাষ্ট্রের রূপে আত্মপ্রকাশ করে। এই বিভাজনের সময় ধর্মীয় দাঙ্গায় প্রচুর জীবন ও সম্পত্তি হানি ঘটেছিল। ভারত বিভাজনের ফলে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন জওহরলাল নেহেরু। এই দিন দিল্লির লাল কেল্লার লাহোরি দরজার উপর ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পর থেকে প্রতি বছরই স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় পতাকা উত্তোলন করে ভাষণ দেন।[১]
স্বাধীনতা দিবসে সারা ভারতে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি, কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ভারতীয়রা এই দিন তাঁদের পোষাক-পরিচ্ছদ, যানবাহন ও বাড়িতে জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত করেন। দেশাত্মবোধক গান ও দেশপ্রেমমূল চলচ্চিত্র সম্প্রচারিত হয়। এই দিনটি পারিবারিক পুনর্মিলন ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে একত্রে মিলিত হওয়ার একটি দিনও বটে। যে সব চলচ্চিত্র বা গ্রন্থে স্বাধীনতা ও দেশভাগের কথা রয়েছে, সেগুলিও এই দিন সম্প্রচারিত বা পঠিত হয়ে থাকে। ১৫ অগস্ট এবং তার আগের ও পরের দিনগুলিতে দেশে সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি হানার আশঙ্কা থাকে। তাই এই সময় দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখা হয়।
ইতিহাস
১৭শ শতাব্দীতে ইউরোপীয় বণিকরা ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করতে শুরু করে।.১৮শ শতাব্দীতে অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তির বলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি স্থানীয় রাজ্যগুলিকে পরাজিত করে ভারতে নিজেদের শাসন কায়েম করে। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের পর ভারত শাসন আইন (১৮৫৮) পাস হয় এবং ব্রিটিশ রাজশক্তি ভারতের প্রত্যক্ষ শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেয়। পরবর্তী কয়েক দশকে ধীরে ধীরে ভারতে সুশীল সমাজ গড়ে ওঠে। এই গড়ে ওঠার পিছনে অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি ছিল ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস।[৪][৫]:123 প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ সরকার মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার প্রভৃতি শাসনতান্ত্রিক সংস্কারে উদ্যোগী হয়। সেই সঙ্গে দমনমূলক রাওলাট আইনও পাস হয়। এর ফলে ভারতীয় আন্দোলনকারীরা স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি জানাতে থাকেন। এই সময় ভারতীয় জনসাধারণের অসন্তোষ সারা দেশব্যাপী অহিংস অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলনের জন্ম দেয়। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মোহনদাস করমচন্দ গান্ধী (মহাত্মা গান্ধী)।
১৯৩০-এর দশকে ব্রিটিশ সরকার ভারতে আংশিক স্বায়ত্তশাসন মঞ্জুর করার পর আইনসভা গঠিত হয়। এরপর নির্বাচনে কংগ্রেস জয়লাভ করে।[৫]:195–197 পরবর্তী দশকটি ভারতের ইতিহাসে একটি রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার দশক। এই দশকেই ভারত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়, কংগ্রেস সর্বশেষ বারের জন্য অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে এবং অল-ইন্ডিয়া মুসলিম লিগের ইসলামি জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে। এই রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার অবসান ঘটে ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে। তবে স্বাধীনতা লাভের আগে ভারতীয় উপমহাদেশ ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রে বিভাজিত হয়।[৫]:203
১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস ২৬ জানুয়ারি তারিখটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে এসেছে।[৯][১০] সেই সময় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জনসভার আয়োজন করা হত। সেই জনসভায় অংশগ্রহণকারীরা “স্বাধীনতার শপথ” গ্রহণ করতেন। [৮]:19–20 জওহরলাল নেহেরু তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, এই জনসভাগুলি ছিল শান্তিপূর্ণ ও ভাবগম্ভীর এবং “এই সব সভায় কোনও প্রকার ভাষণ দেওয়া হত না বা কোনও সনির্বন্ধ মিনতি জ্ঞাপন করাও হত না।”[১১] গান্ধী ভেবেছিলেন যে এই সব জনসভার সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে “...কিছু সৃজনশীল কাজও করা যায়। যেমন, চরকা কাটা, সামাজিকভাবে অস্পৃশ্যদের সেবা করা, হিন্দু-মুসলমান সমন্বয়, সরকারিভাবে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ অথবা এই সব কটি কাজই।”[১২] ১৯৪৭ সালে ভারত প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের সংবিধান কার্যকর হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি তারিখে। সেই থেকে ২৬ জানুয়ারি তারিখটি ভারতে সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
ভারতের নবনিযুক্ত ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন মনে করেন, কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে ক্রমান্বয়িক বিতর্ক অন্তর্বর্তী সরকারের পতনের কারণ হতে পারে। তাই তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি এগিয়ে আনেন।[১৭] তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের দ্বিতীয় বার্ষিকী ১৫ অগস্ট তারিখটিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের তারিখ হিসেবে নির্ধারিত করেন।[১৭] ১৯৪৭ সালের ৩ জুন ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে, সরকার ব্রিটিশ ভারতকে দুটি রাষ্ট্রে বিভক্ত করার প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে[১৬] এবং উক্ত দুই রাষ্ট্রের সরকারকে অধিরাজ্য মর্যাদা দেওয়া হবে এবং ব্রিটিশ কমনওয়েলথ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্ণ অধিকারও দেওয়া হবে। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন ১৯৪৭ (১০ অ্যান্ড ১১ জিও ৬ সি. ৩০) পাস হয়। উক্ত আইন বলে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ব্রিটিশ ভারত দ্বিধাবিভক্ত হয় এবং স্বাধীন ভারতীয় অধিরাজ্য ও পাকিস্তান অধিরাজ্য (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভূখণ্ড সহ) গঠিত হয়। দুই রাষ্ট্রেরই গণপরিষদের উপর রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ আইনি কর্তৃত্ব স্বীকৃত হয়। ১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই এই আইনটি ব্রিটিশ রাজশক্তির সম্মতি লাভ করেছিল।[১৮]
স্বাধীনতা ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসতে থাকে, পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তত বৃদ্ধি পায়। দাঙ্গা রোধে ব্রিটিশ বাহিনীর অক্ষমতার কথা মাথায় রেখে ভারতের তদনীন্তন ভাইসরয় লুইস মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি সাত মাস এগিয়ে আনেন। ১৯৪৭ সালের জুন মাসে জওহরলাল নেহেরু, আবুল কালাম আজাদ, মহম্মদ আলি জিন্নাহ, ভীমরাও রামজি আম্বেডকর প্রমুখ জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের প্রস্তাব মেনে নেন। হিন্দু ও শিখ সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি ভারতে ও মুসলমান সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যুক্ত হয়; পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশ দ্বিখণ্ডিত হয়।
লক্ষাধিক মুসলমান, শিখ ও হিন্দু শরণার্থী র্যাডক্লিফ লাইন পেরিয়ে নিরাপদ দেশে আশ্রয় নেন। পাঞ্জাবে শিখ অঞ্চলগুলি দ্বিখণ্ডিত হওয়ায় রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা হয়। বাংলা ও বিহারে মহাত্মা গান্ধীর উপস্থিতি দাঙ্গার প্রকোপ কিছুটা প্রশমিত করতে সক্ষম হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ২৫০,০০০ থেকে ৫০০,০০০ লোক সীমান্তের দুই পারের দাঙ্গায় হতাহত হয়।[২০] ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট নতুন পাকিস্তান অধিরাজ্য জন্ম নেয়। করাচিতে মহম্মদ আলি জিন্নাহ এই রাষ্ট্রের প্রথম গভর্নর-জেনারেল হিসেবে শপথ নেন। মধ্যরাতে অর্থাৎ, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট সূচিত হলে জওহরলাল নেহেরু তাঁর বিখ্যাত নিয়তির সঙ্গে অভিসার অভিভাষণটি প্রদানের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ভারতীয় ইউনিয়নের জন্ম হয়। নতুন দিল্লিতে নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী রূপে কার্যভার গ্রহণ করেন। মাউন্টব্যাটেন হন স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল।
Malin Sarkar 17:48:00 New Google SEO Bandung, Indonesia
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রধানত অহিংস অসহযোগ ও আইন অমান্য কর্মসূচির মাধ্যমে দীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের পর ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার সময় ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত হয়ে ভারত অধিরাজ্য ও পাকিস্তান অধিরাজ্য নামে দুটি পৃথক রাষ্ট্রের রূপে আত্মপ্রকাশ করে। এই বিভাজনের সময় ধর্মীয় দাঙ্গায় প্রচুর জীবন ও সম্পত্তি হানি ঘটেছিল। ভারত বিভাজনের ফলে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন জওহরলাল নেহেরু। এই দিন দিল্লির লাল কেল্লার লাহোরি দরজার উপর ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পর থেকে প্রতি বছরই স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় পতাকা উত্তোলন করে ভাষণ দেন।[১]
স্বাধীনতা দিবসে সারা ভারতে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি, কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ভারতীয়রা এই দিন তাঁদের পোষাক-পরিচ্ছদ, যানবাহন ও বাড়িতে জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত করেন। দেশাত্মবোধক গান ও দেশপ্রেমমূল চলচ্চিত্র সম্প্রচারিত হয়। এই দিনটি পারিবারিক পুনর্মিলন ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে একত্রে মিলিত হওয়ার একটি দিনও বটে। যে সব চলচ্চিত্র বা গ্রন্থে স্বাধীনতা ও দেশভাগের কথা রয়েছে, সেগুলিও এই দিন সম্প্রচারিত বা পঠিত হয়ে থাকে। ১৫ অগস্ট এবং তার আগের ও পরের দিনগুলিতে দেশে সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি হানার আশঙ্কা থাকে। তাই এই সময় দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখা হয়।
ইতিহাস
১৭শ শতাব্দীতে ইউরোপীয় বণিকরা ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করতে শুরু করে।.১৮শ শতাব্দীতে অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তির বলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি স্থানীয় রাজ্যগুলিকে পরাজিত করে ভারতে নিজেদের শাসন কায়েম করে। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের পর ভারত শাসন আইন (১৮৫৮) পাস হয় এবং ব্রিটিশ রাজশক্তি ভারতের প্রত্যক্ষ শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেয়। পরবর্তী কয়েক দশকে ধীরে ধীরে ভারতে সুশীল সমাজ গড়ে ওঠে। এই গড়ে ওঠার পিছনে অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি ছিল ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস।[৪][৫]:123 প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ সরকার মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার প্রভৃতি শাসনতান্ত্রিক সংস্কারে উদ্যোগী হয়। সেই সঙ্গে দমনমূলক রাওলাট আইনও পাস হয়। এর ফলে ভারতীয় আন্দোলনকারীরা স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি জানাতে থাকেন। এই সময় ভারতীয় জনসাধারণের অসন্তোষ সারা দেশব্যাপী অহিংস অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলনের জন্ম দেয়। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মোহনদাস করমচন্দ গান্ধী (মহাত্মা গান্ধী)।
১৯৩০-এর দশকে ব্রিটিশ সরকার ভারতে আংশিক স্বায়ত্তশাসন মঞ্জুর করার পর আইনসভা গঠিত হয়। এরপর নির্বাচনে কংগ্রেস জয়লাভ করে।[৫]:195–197 পরবর্তী দশকটি ভারতের ইতিহাসে একটি রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার দশক। এই দশকেই ভারত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়, কংগ্রেস সর্বশেষ বারের জন্য অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে এবং অল-ইন্ডিয়া মুসলিম লিগের ইসলামি জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে। এই রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার অবসান ঘটে ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে। তবে স্বাধীনতা লাভের আগে ভারতীয় উপমহাদেশ ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রে বিভাজিত হয়।[৫]:203
স্বাধীনতার আগে স্বাধীনতা দিবস
১৯২৯ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে ‘পূর্ণ স্বরাজ’ ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়[৬] এবং ২৬ জানুয়ারি তারিখটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[৬] কংগ্রেস জনসাধারণের কাছে আবেদন জানায়, যতক্ষণ না ভারত পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করছে ততক্ষণ তারা যেন আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করেন এবং “বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেস কর্তৃক প্রচারিত নির্দেশাবলি অনুসরণ করেন”।[৭] এই ধরনের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ধারণার প্রসার এবং ভারতের স্বাধীনতা অনুমোদনের জন্য ব্রিটিশ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা।[৮]:19১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস ২৬ জানুয়ারি তারিখটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে এসেছে।[৯][১০] সেই সময় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জনসভার আয়োজন করা হত। সেই জনসভায় অংশগ্রহণকারীরা “স্বাধীনতার শপথ” গ্রহণ করতেন। [৮]:19–20 জওহরলাল নেহেরু তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, এই জনসভাগুলি ছিল শান্তিপূর্ণ ও ভাবগম্ভীর এবং “এই সব সভায় কোনও প্রকার ভাষণ দেওয়া হত না বা কোনও সনির্বন্ধ মিনতি জ্ঞাপন করাও হত না।”[১১] গান্ধী ভেবেছিলেন যে এই সব জনসভার সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে “...কিছু সৃজনশীল কাজও করা যায়। যেমন, চরকা কাটা, সামাজিকভাবে অস্পৃশ্যদের সেবা করা, হিন্দু-মুসলমান সমন্বয়, সরকারিভাবে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ অথবা এই সব কটি কাজই।”[১২] ১৯৪৭ সালে ভারত প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের সংবিধান কার্যকর হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি তারিখে। সেই থেকে ২৬ জানুয়ারি তারিখটি ভারতে সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
সমসাময়িক প্রেক্ষাপট
১৯৪৬ সালে ব্রিটেনে লেবার সরকার গঠিত হয়। সদ্যসমাপ্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারের সরকারি অর্থভাণ্ডার প্রায় নিঃশেষিত হয়ে গিয়েছিল। ব্রিটিশ সরকার বুঝতে পারে, ভারতে ক্রমবর্ধমান অস্থির পরিস্থিতির মোকাবিলায় তারা স্বদেশের সম্মতি বা আন্তর্জাতিক সাহায্য তো পাবেই না, তার উপর স্থানীয় বাহিনীর উপরেও নির্ভর করতেও পারবে না।[৫]:203[১৩][১৪][১৫] ১৯৪৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি ঘোষণা করেন, ব্রিটিশ সরকার ১৯৪৮ সালের জুন মাসের মধ্যেই ভারতকে সম্পূর্ণ স্বায়ত্ত্বশাসনের অধিকার প্রদান করবে।[১৬]ভারতের নবনিযুক্ত ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন মনে করেন, কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে ক্রমান্বয়িক বিতর্ক অন্তর্বর্তী সরকারের পতনের কারণ হতে পারে। তাই তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি এগিয়ে আনেন।[১৭] তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের দ্বিতীয় বার্ষিকী ১৫ অগস্ট তারিখটিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের তারিখ হিসেবে নির্ধারিত করেন।[১৭] ১৯৪৭ সালের ৩ জুন ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে, সরকার ব্রিটিশ ভারতকে দুটি রাষ্ট্রে বিভক্ত করার প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে[১৬] এবং উক্ত দুই রাষ্ট্রের সরকারকে অধিরাজ্য মর্যাদা দেওয়া হবে এবং ব্রিটিশ কমনওয়েলথ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্ণ অধিকারও দেওয়া হবে। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন ১৯৪৭ (১০ অ্যান্ড ১১ জিও ৬ সি. ৩০) পাস হয়। উক্ত আইন বলে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ব্রিটিশ ভারত দ্বিধাবিভক্ত হয় এবং স্বাধীন ভারতীয় অধিরাজ্য ও পাকিস্তান অধিরাজ্য (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভূখণ্ড সহ) গঠিত হয়। দুই রাষ্ট্রেরই গণপরিষদের উপর রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ আইনি কর্তৃত্ব স্বীকৃত হয়। ১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই এই আইনটি ব্রিটিশ রাজশক্তির সম্মতি লাভ করেছিল।[১৮]
পটভূমি
১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাবে ব্রিটেনের রাজকোষ শূন্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় ব্রিটেনের পক্ষে অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক কোনোরকম সাহায্য লাভ অসম্ভব হয়ে পড়ে। ব্রিটেনের লেবার সরকার বুঝতে পারেই সেই পরিস্থিতে ভারতে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বা অর্থবল ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী হারিয়ে ফেলেছে।[১৩][১৯] তাঁরা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৪৭ সালের গোড়ার দিকে ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে দেন যে, ১৯৪৮ সালের জুন মাসের মধ্যে ভারতের শাসনক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।স্বাধীনতা ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসতে থাকে, পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তত বৃদ্ধি পায়। দাঙ্গা রোধে ব্রিটিশ বাহিনীর অক্ষমতার কথা মাথায় রেখে ভারতের তদনীন্তন ভাইসরয় লুইস মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি সাত মাস এগিয়ে আনেন। ১৯৪৭ সালের জুন মাসে জওহরলাল নেহেরু, আবুল কালাম আজাদ, মহম্মদ আলি জিন্নাহ, ভীমরাও রামজি আম্বেডকর প্রমুখ জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের প্রস্তাব মেনে নেন। হিন্দু ও শিখ সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি ভারতে ও মুসলমান সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যুক্ত হয়; পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশ দ্বিখণ্ডিত হয়।
লক্ষাধিক মুসলমান, শিখ ও হিন্দু শরণার্থী র্যাডক্লিফ লাইন পেরিয়ে নিরাপদ দেশে আশ্রয় নেন। পাঞ্জাবে শিখ অঞ্চলগুলি দ্বিখণ্ডিত হওয়ায় রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা হয়। বাংলা ও বিহারে মহাত্মা গান্ধীর উপস্থিতি দাঙ্গার প্রকোপ কিছুটা প্রশমিত করতে সক্ষম হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ২৫০,০০০ থেকে ৫০০,০০০ লোক সীমান্তের দুই পারের দাঙ্গায় হতাহত হয়।[২০] ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট নতুন পাকিস্তান অধিরাজ্য জন্ম নেয়। করাচিতে মহম্মদ আলি জিন্নাহ এই রাষ্ট্রের প্রথম গভর্নর-জেনারেল হিসেবে শপথ নেন। মধ্যরাতে অর্থাৎ, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট সূচিত হলে জওহরলাল নেহেরু তাঁর বিখ্যাত নিয়তির সঙ্গে অভিসার অভিভাষণটি প্রদানের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ভারতীয় ইউনিয়নের জন্ম হয়। নতুন দিল্লিতে নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী রূপে কার্যভার গ্রহণ করেন। মাউন্টব্যাটেন হন স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল।
উদযাপন
১৫ আগস্ট দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানটি জাতীয় চ্যানেল দূরদর্শনের সাহায্যে সারা দেশে সম্প্রচারিত হয়। রাজ্য রাজধানীগুলিতেও পতাকা উত্তোলন সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অন্যান্য শহরে রাজনৈতিক নেতৃবর্গ নিজ নিজ কেন্দ্রে পতাকা উত্তোলন করেন। নানা বেসরকারি সংস্থাও পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্কুল-কলেজেও পতাকা উত্তোলন ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা এই উপলক্ষে বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাজপোষাক পরে শোভাযাত্রা করে। সোর্স - Wikipedia
রাখিবন্ধন:রাখীবন্ধন উৎসব (হিন্দি: रक्षाबंधन, পাঞ্জাবি: ਰਕਸ਼ਾਬੰਧਨ, উর্দু: رکشا بندھن the bond of protection), বা রাখী (হিন্দি: राखी, পাঞ্জাবি: ਰਾਖੀ, উর্দু: راکھی) বা রাখীপূর্ণিমা ভারতের একটি উৎসব। এই উৎসব ভাই ও বোনের মধ্যে প্রীতিবন্ধনের উৎসব।[১][২] হিন্দু, জৈন ও শিখরা এই উৎসব পালন করে।[৩][৪][৫] এই দিন দিদি বা বোনেরা তাদের ভাই বা দাদার হাতে রাখী নামে একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। এই রাখীটি ভাই বা দাদার প্রতি দিদি বা বোনের ভালবাসা ও ভাইয়ের মঙ্গলকামনা এবং দিদি বা বোনকে আজীবন রক্ষা করার ভাই বা দাদার শপথের প্রতীক।[৬][৭] হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব উদযাপিত হয়।[৬][৮][৯][১০] চিতোরের বিধবা রানি কর্ণবতী মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সাহায্য প্রার্থনা করে একটি রাখী পাঠিয়েছিলেন। এর পর থেকে এই উৎসবের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।[৫]
রাখীবন্ধন উৎসবের দিন দিদি বা বোনেরা তাদের ভাই বা দাদার হাতের কবজিতে রাখী নামে একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। পরিবর্তে ভাই বোনকে উপহার দেয় এবং সারাজীবন তাকে রক্ষা করার শপথ নেয়। এরপর ভাই-বোন পরস্পরকে মিষ্টি খাওয়ায়। উত্তর ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ে সহোদর ভাইবোন ছাড়াও জ্ঞাতি ভাইবোন এবং অন্যান্য আত্মীয়দের মধ্যেও রাখীবন্ধন উৎসব প্রচলিত।[১১][১২] অনাত্মীয় ছেলেকেও ভাই বা দাদা মনে করে রাখী পরানোর রেওয়াজ রয়েছে।[১৩]
মহাভারতে আছে, একটি যুদ্ধের কৃষ্ণের কবজিতে আঘাত লেগে রক্তপাত শুরু হলে পাণ্ডবদের স্ত্রী দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির আঁচল খানিকটা ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। এতে কৃষ্ণ অভিভূত হয়ে যান। দ্রৌপদী তাঁর অনাত্মীয়া হলেও, তিনি দ্রৌপদীকে নিজের বোন বলে ঘোষণা করেন এবং দ্রৌপদীকে এর প্রতিদান দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। বহু বছর পরে, পাশাখেলায় কৌরবরা দ্রৌপদীকে অপমান করে তাঁর বস্ত্রহরণ করতে গেলে কৃষ্ণ দ্রৌপদীর সম্মান রক্ষা করে সেই প্রতিদান দেন। এইভাবেই রাখীবন্ধনের প্রচলন হয়।[১৪]
অন্য একটি গল্পে রয়েছে, দৈত্যরাজা বলি ছিলেন বিষ্ণুর ভক্ত। বিষ্ণু বৈকুণ্ঠ ছেড়ে বালির রাজ্য রক্ষা করতে চলে এসেছিলেন। বিষ্ণুর স্ত্রী লক্ষ্মী স্বামীকে ফিরে পাওয়ার জন্য এক সাধারণ মেয়ের ছদ্মবেশে বলিরাজের কাছে আসেন। লক্ষ্মী বলিকে বলেন, তাঁর স্বামী নিরুদ্দেশ। যতদিন না স্বামী ফিরে আসেন, ততদিন যেন বলি তাঁকে আশ্রয় দেন। বলিরাজা ছদ্মবেশী লক্ষ্মীকে আশ্রয় দিতে রাজি হন। শ্রাবণ পূর্ণিমা উৎসবে লক্ষ্মী বলিরাজার হাতে একটি রাখী বেঁধে দেন। বলিরাজা এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে লক্ষ্মী আত্মপরিচয় দিয়ে সব কথা খুলে বলেন। এতে বলিরাজা মুগ্ধ হয়ে বিষ্ণুকে বৈকুণ্ঠে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। বলিরাজা বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করেন। সেই থেকে শ্রাবণ পূর্ণিমা তিথিটি বোনেরা রাখীবন্ধন হিসেবে পালন করে।
বলিউডের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র জয় সন্তোষী মা-এ (১৯৭৫) রক্ষাবন্ধন সংক্রান্ত একটি গল্প বলা হয়েছে। রাখীবন্ধনের দিন গণেশের বোন গণেশের হাতে একটি রাখী বেঁধে দেন। এতে গণেশের দুই ছেলে শুভ ও লাভের হিংসে হয়। তাদের কোনো বোন ছিল না। তারা বাবার কাছে একটা বোনের বায়না ধরে। গণেশ তখন তাঁর দুই ছেলের সন্তোষ বিধানের জন্য দিব্য আগুন থেকে একটি কন্যার জন্ম দেন। এই দেবী হলেন গণেশের মেয়ে সন্তোষী মা। সন্তোষী মা শুভ ও লাভের হাতে রাখী বেঁধে দেন। সোর্স-https://en.wikipedia.org/
Malin Sarkar 09:54:00 New Google SEO Bandung, Indonesia
রাখীবন্ধন উৎসবের দিন দিদি বা বোনেরা তাদের ভাই বা দাদার হাতের কবজিতে রাখী নামে একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। পরিবর্তে ভাই বোনকে উপহার দেয় এবং সারাজীবন তাকে রক্ষা করার শপথ নেয়। এরপর ভাই-বোন পরস্পরকে মিষ্টি খাওয়ায়। উত্তর ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ে সহোদর ভাইবোন ছাড়াও জ্ঞাতি ভাইবোন এবং অন্যান্য আত্মীয়দের মধ্যেও রাখীবন্ধন উৎসব প্রচলিত।[১১][১২] অনাত্মীয় ছেলেকেও ভাই বা দাদা মনে করে রাখী পরানোর রেওয়াজ রয়েছে।[১৩]
কৃষ্ণ ও দ্রৌপদী:
মহাভারতে আছে, একটি যুদ্ধের কৃষ্ণের কবজিতে আঘাত লেগে রক্তপাত শুরু হলে পাণ্ডবদের স্ত্রী দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির আঁচল খানিকটা ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। এতে কৃষ্ণ অভিভূত হয়ে যান। দ্রৌপদী তাঁর অনাত্মীয়া হলেও, তিনি দ্রৌপদীকে নিজের বোন বলে ঘোষণা করেন এবং দ্রৌপদীকে এর প্রতিদান দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। বহু বছর পরে, পাশাখেলায় কৌরবরা দ্রৌপদীকে অপমান করে তাঁর বস্ত্রহরণ করতে গেলে কৃষ্ণ দ্রৌপদীর সম্মান রক্ষা করে সেই প্রতিদান দেন। এইভাবেই রাখীবন্ধনের প্রচলন হয়।[১৪]
বলিরাজা ও লক্ষ্মী
অন্য একটি গল্পে রয়েছে, দৈত্যরাজা বলি ছিলেন বিষ্ণুর ভক্ত। বিষ্ণু বৈকুণ্ঠ ছেড়ে বালির রাজ্য রক্ষা করতে চলে এসেছিলেন। বিষ্ণুর স্ত্রী লক্ষ্মী স্বামীকে ফিরে পাওয়ার জন্য এক সাধারণ মেয়ের ছদ্মবেশে বলিরাজের কাছে আসেন। লক্ষ্মী বলিকে বলেন, তাঁর স্বামী নিরুদ্দেশ। যতদিন না স্বামী ফিরে আসেন, ততদিন যেন বলি তাঁকে আশ্রয় দেন। বলিরাজা ছদ্মবেশী লক্ষ্মীকে আশ্রয় দিতে রাজি হন। শ্রাবণ পূর্ণিমা উৎসবে লক্ষ্মী বলিরাজার হাতে একটি রাখী বেঁধে দেন। বলিরাজা এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে লক্ষ্মী আত্মপরিচয় দিয়ে সব কথা খুলে বলেন। এতে বলিরাজা মুগ্ধ হয়ে বিষ্ণুকে বৈকুণ্ঠে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। বলিরাজা বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করেন। সেই থেকে শ্রাবণ পূর্ণিমা তিথিটি বোনেরা রাখীবন্ধন হিসেবে পালন করে।
সন্তোষী মা:
বলিউডের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র জয় সন্তোষী মা-এ (১৯৭৫) রক্ষাবন্ধন সংক্রান্ত একটি গল্প বলা হয়েছে। রাখীবন্ধনের দিন গণেশের বোন গণেশের হাতে একটি রাখী বেঁধে দেন। এতে গণেশের দুই ছেলে শুভ ও লাভের হিংসে হয়। তাদের কোনো বোন ছিল না। তারা বাবার কাছে একটা বোনের বায়না ধরে। গণেশ তখন তাঁর দুই ছেলের সন্তোষ বিধানের জন্য দিব্য আগুন থেকে একটি কন্যার জন্ম দেন। এই দেবী হলেন গণেশের মেয়ে সন্তোষী মা। সন্তোষী মা শুভ ও লাভের হাতে রাখী বেঁধে দেন। সোর্স-https://en.wikipedia.org/
আর মাত্র কয়েক দিন তারপরই রাখী। সকল Kushmandi Info এর পাঠক ও পাঠিকাদের জানাই আগাম রাখী পূর্ণিমার শুভেচ্ছা। তাই কুশমণ্ডি ইনফো (Kushmandi Info) এর পক্ষ থেকে শেয়ার করা হল কিছু রাখী বন্ধন ম্যাসেজ (SMS)।
Malin Sarkar 04:34:00 New Google SEO Bandung, Indonesia
রাখী বন্ধন এক
I am sure you are not going to
tie Rakhi for me this year and forever.
But let me tell you this.
You are my sweetest little sis
though we are not blood related.
রাখী বন্ধন দুই
Near of far wherever u r,
My best wishes r with U,
Tum jiyo hazaron saal,
May success & joy be yours everyday,
Yehi hai meri wish dil se!
Happy Raksha Bandhan
রাখী বন্ধন তিন
This msg is for the most wonderful
sisters of this world – badi and chhoti.
Thank u didi for always being there on my
side and for helping me in those infinite
ways which I cannot even remember..
রাখী বন্ধন চার
I wish u “HAPPY RAKHI” and
I pray to God for ur prosperous life.
May you find all the delights of life,
may ur all dreams come true.
My best wishes will always be with you
and I wish that u’ll always shower your blessings on me.
রাখী বন্ধন পাঁচ
Sister is someone who is caring and sharing.
Sister can understand things you never said.
She can understand pain which is not visible to anyone.
I love my sister.
রাখী বন্ধন ছয়
May this Rakhi bring you everything
you desire and everything you dream of.
May success accompany you in every step that you take.
Have A Blessed Rakhi
রাখী বন্ধন সাত
We were always close,
looking out for each other
even when life led us along
different paths…
Like an invisible thread,
our love binds us together,
making sure we’ll
remember where we came
from and what we mean to each other.
Wishing you a joyous Raksha Bandhan
Advertisement
Popular News
-
Chamor Kali Happy club Sarbajanin Durga Puja (চামোর কালি সার্বজনীন দুর্গা পূজা, কুশমণ্ডি) is one of the popular Sarbajanin Durga Puja Pand...
-
Kaliyaganj Chalantika Club Sarbajanin Durga Puja (চলান্তিকা ক্লাব, কালিয়াগঞ্জ) is one of the popular Sarbajanin Durga Puja Pandal at Kaliy...
-
Famous Durga Puja Live Photo - Kaliyaganj Beside Maa Boira Kali is one of the popular Sarbajanin Durga Puja Pandal at Kaliyaganj in Uttar D...
-
Kushmandi Baghraichandi Sarbajanin Durga Puja is one of the popular Sarbajanin Durga Puja Pandal at Kushmandi in Dakshin Dinajpur. ...
-
Kumari Puja (কুমারী পূজা কি এবং কেন) ছোট বেলা থেকেই রামায়ন ও মহাভারতে আমরা অনেক বড় বড় যজ্ঞের কথা শুনে এসেছি। কলি যুগের একটি বড় যজ্...